

উত্তরাপথঃ দেশের ৩০টি পর্যটন স্থানকে ভিক্ষুকমুক্ত করার পরিকল্পনা তৈরি করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। এর মধ্যে রয়েছে উত্তরে অযোধ্যা থেকে পূর্বে গুয়াহাটি এবং পশ্চিমে ত্রিম্বকেশ্বর থেকে দক্ষিণে তিরুবনন্তপুরম পর্যন্ত – কেন্দ্র ৩০টি শহরের তালিকা বানিয়েছে। ধর্মীয়, ঐতিহাসিক এবং পর্যটন দৃষ্টিকোণ থেকে ওই শহরগুলিতে ভিক্ষাবৃত্তিতে নিযুক্ত প্রাপ্তবয়স্ক, বিশেষ করে মহিলা এবং শিশুদের উপর একটি সার্ভে করা হবে। এরপর কিছু সময়ের মধ্যেই এই হটস্পটগুলি চিহ্নিত করে ভিক্ষুক মুক্ত করবে সামাজিক ন্যায়বিচার ও ক্ষমতায়ন মন্ত্রক। আগামী ২০২৬ সালের মধ্যেই এই স্থানগুলিকে ভিক্ষুক মুক্ত করতে জেলা এবং পৌর কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেওয়া হবে ।
প্রসঙ্গত ভিক্ষুকদের চিহ্নিত করতে ভিক্ষুক মুক্ত ভারত অভিযানের আওতায় একটি সমীক্ষা শুরু হয়েছে। এর পর্যবেক্ষণের জন্য ২০২৪ সালের ফেব্রুয়ারিতে মন্ত্রণালয় একটি অ্যাপ এবং পোর্টালও চালু করবে। ভিক্ষাবৃত্তির ব্যাপারে যাবতীয় তথ্য এখানে থাকবে। প্রাথমিক ভাবে জানা গেছে ৩০ টি পর্যটন স্থানে সমীক্ষার একটি অভিন্ন প্যাটার্ন রাখা হয়েছে। আপাতত যে ১০টি ধর্মীয় স্থানে ভিক্ষুকদের উপর সার্ভে করার বিষয়টি ফোকাস করা হবে তার মধ্যে রয়েছে অযোধ্যা, কাংড়া, ওমকারেশ্বর, উজ্জয়িন, সোমনাথ, পাভাগড়, ত্রিম্বকেশ্বর, বোধগয়া, গুয়াহাটি এবং মাদুরাই।এছাড়াও পর্যটন স্থানগুলির মধ্যে রয়েছে বিজয়ওয়াড়া, কেভাদিয়া, শ্রী নগর, নামসাই, কুশিনগর, সাঁচি, খাজুরাহো, জয়সলমের, তিরুবনন্তপুরম এবং পুদুচেরি। অমৃতসর, উদয়পুর, ওয়ারাঙ্গল, কটক, ইন্দোর, কোঝিকোড়, মাইসুরু, পঞ্চকুলা, সিমলা, তেজপুর ঐতিহাসিক শহরের তালিকায় রয়েছে।
এই স্থানগুলিতে প্রথমে ভিক্ষুকদের জিজ্ঞাসা করা হবে তারা জীবিকার জন্য অন্য কোন কাজ করতে চান নাকি ভিক্ষা চালিয়ে যেতে চান। এছাড়া তাদের পরিবারের কতজন এ কাজে জড়িত তাও জানতে চাওয়া হবে। এর ভিত্তিতে প্রতিটি শহরের জন্য একটি প্রতিবেদন তৈরি করা হবে। বিভিন্ন শহরের মিউনিসিপ্যালিটি এবং মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশনের তৈরি পরিকল্পনার অধীনে, মন্ত্রণালয় ভিক্ষুকদের বাস্তুচ্যুত করার জন্য তহবিল দেবে।
৩০টি চিহ্নিত শহরের মধ্যে ২৫টি শহরের পৌরসভা এবং পৌর কর্পোরেশন পরিকল্পনাটি শুরু করতে মন্ত্রণালয়কে সম্মতি দিয়েছে। কিন্তু কাংড়া, কটক, উদয়পুর এবং কুশিনগর থেকে এখনও কোনও প্রতিক্রিয়া পায়নি মন্ত্রক। একই সময়ে কোঝিকোড়, বিজয়ওয়াড়া, মাদুরাই এবং মহীশূরও তাদের সমীক্ষা শেষ করেছে। অন্যদিকে, মধ্যপ্রদেশের রাইসেন জেলায় অবস্থিত সাঁচির জন্য, জেলা কর্মকর্তারা বলেছেন যে এখানে কোনও ভিক্ষুক নেই। এমন পরিস্থিতিতে মন্ত্রক শীঘ্রই সাঁচির পরিবর্তে অন্য কোনও জায়গা চিহ্নিত করতে পারে।
কর্মকর্তাদের মতে দুই বছরের মধ্যে এই তালিকায় আরও শহর যুক্ত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। আপাতত মোট ৩০টি শহরে ‘জীবিকা ও উদ্যোগের জন্য প্রান্তিক ব্যক্তিদের সহায়তা’ (SMILE) এর একটি প্রকল্পের অধীনে এই সার্ভেতে করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন
Karar Oi Lauh Kapat: কাজী নজরুলের এই গানকে ঘিরে বিতর্কে এ আর রহমান
উত্তরাপথঃ বিতর্কে 'পিপ্পা' ছবির সঙ্গীত পরিচালক অস্কারজয়ী সুরকার এ আর রহমান।সম্প্রতি কবি কাজী নজরুল ইসলামের পরিবার একটি হিন্দি ছবিতে কবির জনপ্রিয় গান 'করার ঐ লৌহ কাপাত...' (Karar Oi Lauh Kapat )।কিন্তু এ আর রহমানের সঙ্গীত পরিচালনায় ওই গানটি যেভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে তাতে আপত্তি জানিয়েছে নজরুল পরিবার।বিতর্কের পর যে চুক্তির আওতায় ওই গানটি ছবিতে ব্যবহার করা হয়েছে তা প্রকাশ্যে আনার দাবি তুলেছে কবির পরিবার।'পিপ্পা' শিরোনামের হিন্দি চলচ্চিত্রটি যেখানে (Karar Oi Lauh Kapat )গানটি ব্যবহার করা হয়েছে তা বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে অংশ নেওয়া একজন ভারতীয় সেনা সৈনিককে কেন্দ্র করে একটি সত্য ঘটনা অবলম্বনে নির্মিত। ছবির সঙ্গীত পরিচালক অস্কারজয়ী সুরকার এ আর রহমান। গানের কথা ঠিক রেখেও সুর পাল্টানোর অভিযোগে ভারত ও বাংলাদেশে বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে।কবির পরিবারের অভিযোগ, গানটি ব্যবহারের অনুমতি দিলেও সুর পরিবর্তনের অনুমতি দেওয়া হয়নি।পরিবারের সদস্যরাও ছবিটি থেকে গানটি বাদ দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন। .....বিস্তারিত পড়ুন
Vijay Stambh : চিতোরগড় দুর্গে বিজয় স্তম্ভ হিন্দু – মুসলিম সহাবস্থানের প্রতীক
উত্তরাপথঃ খ্রিস্টীয় ৭ম শতাব্দীতে মৌর্য রাজবংশ কর্তৃক স্থাপিত চিতোরগড় দুর্গ সাহস ও আত্মত্যাগের প্রতীক হিসেবে আজও দাঁড়িয়ে আছে। এই দুর্গ তার বিশাল কাঠামো, রাজপ্রাসাদ, একাধিক সুদৃশ্য মন্দির সহ সুন্দর জলাশয়ের জন্য বিখ্যাত।৭০০-একর এলাকা জুড়ে বিস্তৃত, এই দুর্গটিতে প্রায় ৬৫টি ঐতিহাসিক স্থাপত্য নিদর্শন রয়েছে যা রাজপুত এবং ইসলামিক স্থাপত্য শৈলীর সূক্ষ্মতার প্রমান দেয়। বিজয় স্তম্ভ (Vijay Stambh)) হল এই দুর্গে অবস্থিত,সবচেয়ে মনোমুগ্ধকর কাঠামো।এই আশ্চর্য-অনুপ্রেরণামূলক স্তম্ভটি কেবল তার উচ্চতার জন্য বিখ্যাত নয়,এটি রাজপুতদের অদম্য সাহস এবং অধ্যবসায়ের গল্পও বলে যা চিতোরগড় দুর্গেরই সমার্থক হয়ে উঠেছে।বিজয় স্তম্ভ (Vijay Stambh), নাম থেকে বোঝা যায়, বিজয়ের প্রতীক। প্রাচীনকালে যে কোনো যুদ্ধ অভিযানের সাফল্যের পর সেই বিজয়কে স্মরণীয় করে রাখতে রাজারা মন্দির, স্তূপ, স্মৃতিস্তম্ভ ও স্তম্ভ নির্মাণ করতেন। ৯ তলা এই বিজয় স্তম্ভটি ১৯৪০ থেকে ১৪৪৮ সালের মধ্যে মহারানা কুম্ভ দ্বারা নির্মিত হয়েছিল। .....বিস্তারিত পড়ুন
World Children's Day: সত্যিই কি ‘বিশ্ব শিশু দিবস´পালনের কোনও যৌক্তিকতা আছে ?
প্রীতি গুপ্তাঃ হাতে গোনা আর মাত্র কয়েকটি দিন তারপর ১৪ নভেম্বর আমাদের দেশ সহ সারা বিশ্বজুড়ে পালন করা হবে ‘বিশ্ব শিশু দিবস´(World Children's Day)।এই দিনটি শিশুদের মঙ্গলের জন্য, তাদের ভবিষ্যতের জন্য একটি অনুকূল বিশ্ব তৈরি করার প্রচেষ্টার একটি দিন।কিন্তু প্রশ্ন,সত্যি কি হাজার হাজার কোটি টাকা খরচ করে সারা বিশ্ব জুড়ে শিশু দিবস পালন করার কোনও যৌক্তিকতা আছে? আদৌ কি এর কোনও লাভ আমরা আমাদের প্রান্তিক স্তরের শিশুদের কাছে পৌঁছে দিতে পেরেছি ? সম্প্রতি কাজের প্রয়োজনে রাজস্থানের উদয়পুর শহরে আসা। আমরা সবাই জানি উদয়পুর বিখ্যাত তার হ্রদের কারণে । এখানকার স্থানীয় থেকে পর্যটক সকলেই এই সুন্দর হ্রদগুলির আকর্ষণে বারবার ছুঁটে যায়। ‘ফতে সাহেব লেক’ রাজস্থানের উদয়পুরের এক বিখ্যাত পর্যটক স্থল।এখানে বহু মানুষ সকাল- বিকেল এই লেকের চার ধারে হাঁটাহাঁটি করতে বেরিয়ে পড়ে। সেভাবেই দুই দিন আগে বিকেলে হঠাৎ করে বেরিয়ে পড়লাম ‘ফতে সাহেব লেকের ধারে হাঁটার উদ্দেশ্য নিয়ে। হাঁটার মাঝখানে হঠাৎ করে একটি বাচ্চাছেলে আওয়াজ করে ডাকছে ,বললাম কিছু বলবি? সে বলল একটু দাঁড়াতে। ও ছুটে গিয়ে হাতে করে কয়েকটি বেলুন নিয়ে এসে হাজির । সে বারবার বেলুন কেনার অনুরোধ জানাতে লাগল। হাতে অন্য কাজের চাপ নেই অনেকটা অবসর সময় তাই আমি অনেকটা সাংবাদিক সুলভ মন নিয়ে বললাম ঠিক আছে আমি তোর বেলুন নেব ,কিন্তু তার আগে আমি তোকে যা বলব তার তার ঠিক ঠিক উত্তর দিতে হবে। সে খুশী খুশী রাজি হয়ে গেল । .....বিস্তারিত পড়ুন
প্রাপ্তবয়স্কদের স্মৃতিশক্তি এবং চিন্তাভাবনা হ্রাস সমস্যার সমাধানের ক্ষেত্রে প্রোবায়োটিক
উত্তরাপথঃ সারা বিশ্বের জনসংখ্যার বয়স বৃদ্ধির সাথে স্মৃতিশক্তি এবং চিন্তাভাবনা হ্রাস এবং ডিমেনশিয়ার মতো নিউরোডিজেনারেটিভ রোগের প্রকোপ বাড়ছে৷ তাদের এই সমস্যাগুলি যে কেবল তাদের একার সমস্যা তা নয় ,এটি ধীরে ধীরে পুরো পারিবারিক সমস্যার আকার নেয়।সম্প্রতি বয়স্ক প্রাপ্তবয়স্কদের মধ্যে মস্তিষ্কের কার্যকারিতাকে পুনরুদ্ধার করার জন্য গবেষকদের মধ্যে কার্যকর কৌশল খোঁজার আগ্রহ বাড়ছে।বর্তমানে বেশীরভাগ গবেষক মস্তিস্কের স্বাস্থ্য উদ্ধারের ক্ষেত্রে প্রোবায়োটিকের সম্ভাব্য ভূমিকা নিয়ে গবেষণা করছেন । এখন খুব স্বাভাবিকভাবেই একটি প্রশ্ন আসে প্রোবায়োটিক কি? কেনই বা গবেষকরা মস্তিস্কের স্বাস্থ্য উদ্ধারের ক্ষেত্রে প্রোবায়োটিকের ভূমিকা নিয়ে গবেষণা করছেন । .....বিস্তারিত পড়ুন