Vitamin-D: ভিটামিন ডি’র সেবন হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি কমায়

উত্তরাপথ

ছবি সংগৃহীত

হার্ট অ্যাটাক এবং স্ট্রোক সহ কার্ডিওভাসকুলার রোগগুলি বর্তমানে বিশ্বব্যাপী মৃত্যুর একটি প্রধান কারণ।সম্প্রতি একটি ক্লিনিকাল ট্রায়ালে দেখা গেছে যে ভিটামিন ডি সম্পূরকগুলি ৬০ বছরের বেশি বয়সী লোকেদের হার্ট অ্যাটাক সহ যে কোনও বড় ধরনের কার্ডিওভাসকুলার অ্যাটাকের ঝুঁকি কমাতে পারে৷ গবেষণায় দেখা গেছে ভিটামিন ডি প্রায়ই “সানশাইন ভিটামিন” হিসাবে পরিচিত। এটি গ্রহণকারীদের মধ্যে স্ট্রোক সহ কার্ডিওভাসকুলার রোগ ৯% হ্রাস পেয়েছে । যা ২৮ জুন দ্য বিএমজে দ্বারা প্রকাশিত একটি ক্লিনিকাল ট্রায়ালে এই তথ্য প্রকাশিত হয়েছে।

ভিটামিন ডি(Vitamin-D) একটি আমাদের চর্মে দ্রবণীয় ভিটামিন যা আমাদের শরীর সূর্যালোকের সংস্পর্শে এলে উৎপন্ন করে। আবার কিছু খাবার যেমন চর্বিযুক্ত মাছ,  দুগ্ধজাত পণ্য এবং অন্যান্য পরিপূরকগুলিতেও পর্যাপ্ত পরিমাণে পাওয়া যায়। ভিটামিন ডি হাড়ের স্বাস্থ্য বজায় রাখতে, ইমিউন ফাংশনকে ঠিক করতে এবং শরীরে ক্যালসিয়াম ও ফসফরাসের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। যাইহোক, সাম্প্রতিক গবেষণাগুলি ইঙ্গিত করে যে ভিটামিন ডি কার্ডিওভাসকুলার স্বাস্থ্যের জন্যও খুব উপযোগী।

ভিটামিন ডি এবং কার্ডিওভাসকুলার স্বাস্থ্য:

ভিটামিন ডি রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণের সাথে যুক্ত। গবেষণায় দেখা গেছে যে পর্যাপ্ত ভিটামিন ডি  গ্রহণ উচ্চ রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করতে পারে, যা হার্ট অ্যাটাক এবং স্ট্রোকের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ ঝুঁকির কারণ।

ভিটামিন ডি দীর্ঘস্থায়ী প্রদাহ (inflammation) সহ কার্ডিওভাসকুলার রোগের বিকাশ এবং অগ্রগতি হ্রাস করে সেই সাথে এটি  রক্তনালীগুলিকে ক্ষতি থেকে রক্ষা করার ক্ষেত্রে বিশেষ  উপযোগী।  

এছাড়াও ইনসুলিন গ্রহণের পর এটি ইনসুলিনকে আমাদের শরীরে আরও ভালোভাবে কাজ করতে সাহায্য করে।সঠিক গ্লুকোজ বিপাক বজায় রাখার জন্য এটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ইনসুলিন সংবেদনশীলতা উন্নত করে, ভিটামিন ডি সাপ্লিমেন্টেশন ডায়াবেটিসের মতো অবস্থার ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করতে পারে, যা পরবর্তীতে কার্ডিওভাসকুলার রোগের ঝুঁকি বাড়ায়।

সাম্প্রতিক গবেষণা থেকে আমরা জানতে পারি যে ভিটামিন ডি কার্ডিয়াক ফাংশনের উপর সরাসরি প্রভাব ফেলতে পারে। এটি হৃৎপিণ্ডের পেশীর সংকোচনকে উন্নত করতে পারে, হার্টের ছন্দ নিয়ন্ত্রণ করতে পারে এবং হার্ট ফেইলিউরের ঝুঁকি কমাতে পারে।

গবেষণা এবং প্রমাণ:

বেশ কয়েকটি গবেষণায় ভিটামিন ডি সম্পূরক এবং কার্ডিওভাসকুলার স্বাস্থ্যের মধ্যে সম্পর্ক অন্বেষণ করা হয়েছে, এবং তাতে বেশ কিছু আশাব্যঞ্জক ফলাফল  বেরিয়ে এসেছে ।

একাধিক মেটা-বিশ্লেষণে ভিটামিন ডি সাপ্লিমেন্টেশন এবং হার্ট অ্যাটাক এবং স্ট্রোক সহ বড় কার্ডিওভাসকুলার ইভেন্টের ঝুঁকি হ্রাসের মধ্যে একটি সম্পর্ক পাওয়া গেছে। এই বিশ্লেষণগুলি পরামর্শ দেয় যে সম্পূরকটি কার্ডিওভাসকুলার রোগের বিরুদ্ধে একটি প্রতিরক্ষামূলক প্রভাব ফেলতে পারে। তবে এলোমেলোভাবে নিয়ন্ত্রিত ট্রায়ালগুলিতে এমন কোনও প্রমাণ পাওয়া যায়নি যে ভিটামিন ডি সম্পূরকগুলি কার্ডিওভাসকুলার সমস্যাগুলিকে প্রতিরোধ করে।

এই অনিশ্চয়তাকে মোকাবেলা করার জন্য, অস্ট্রেলিয়ার গবেষকরা ৬০ ঊর্ধ্ব প্রাপ্তবয়স্কদের প্রতি মাসে একটি নির্দিষ্ট মাত্রায় ভিটামিন ডি এর পরিপূরক দিয়ে তারা তদন্ত করতে শুরু করেন এই মানুষগুলির কার্ডিওভাসকুলার স্বাস্থের কোনও পরিবর্তন হচ্ছে কিনা।

তাদের ডি-হেলথ ট্রায়াল ২০১৪ থেকে ২০২০পর্যন্ত পরিচালিত হয়েছিল এবং এতে ৬০-৮৪ বছর বয়সী ২১,৩১৫ অস্ট্রেলিয়ান জড়িত ছিল । এরপর গবেষক দলটি গবেষণায় অংশ গ্রহণকারীদের দুটি ভাগে ভাগ করেন। এক দল যারা ৬০,০০০ আইইউ ভিটামিন ডি (১০,৬৬২ অংশগ্রহণকারী) এবং  প্ল্যাসিবো (১০,৬৫৩ অংশগ্রহণকারী)তাঁরা প্রতিটি মাসের শুরুতে একটি করে ক্যাপসুল পেয়েছে ৫ বছর পর্যন্ত।

ট্রায়াল চলাকালীন, ১,৩৩৬ জন অংশগ্রহণকারী একটি বড় ধরনের কার্ডিওভাসকুলার সমস্যার সম্মুখীন হয়েছেন (প্ল্যাসিবো গ্রুপে ৬.৬%এবং ভিটামিন ডি গ্রুপে.৬%)। প্লাসিবো গ্রুপের তুলনায় ভিটামিন ডি-তে বড় ধরনের কার্ডিওভাসকুলার ইভেন্টের হার ৯% কম ছিল ।অন্যদিকে ভিটামিন ডি গ্রুপে হার্ট অ্যাটাকের হার ১৯% কম এবং করোনারি রিভাসকুলারাইজেশনের হার ১১% কম ছিল, তবে দুটি গ্রুপের মধ্যে স্ট্রোকের হারে কোনও পার্থক্য ছিল না।

গবেষকরা  স্বীকার করেছেন যে ঘটনাগুলির ফলাফল সমস্ত জনসংখ্যার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য নাও হতে পারে, বিশেষ করে যেখানে মানুষের বেশী মাত্রায় ভিটামিন ডি এর ঘাটতি রয়েছে। তবে ফলাফলগুলি থেকে এটা স্পষ্ট যে পরিপূরকের মাধ্যমে সর্বোত্তম ভিটামিন ডি’র মাত্রা বজায় রেখে স্ট্রোক সহ কার্ডিওভাসকুলার রোগগুলির ঝুঁকি অনেকাংশে কমান সম্ভব ।

বিবেচনা এবং সুপারিশ:

যদিও হার্ট অ্যাটাক সহ কার্ডিওভাসকুলার স্মস্যাঝুঁকি কমাতে ভিটামিন ডি সম্পূরকের সম্ভাব্য সুবিধাগুলি রয়েছে , নিম্নলিখিত বিষয়গুলি বিবেচনা করা অপরিহার্য।

কার্ডিওভাসকুলার স্বাস্থ্যের জন্য ভিটামিন ডি সাপ্লিমেন্টেশনের উপযুক্ত ডোজ ঠিক কি হওয়া উচিত তা নিয়ে এখনও অধ্যয়ন করা হচ্ছে। তাই একজন পেশাদার চিকিৎসকের সাথে পরামর্শ করে ব্যক্তিগত চাহিদা এবং বিদ্যমান ভিটামিন ডি স্তরের উপর ভিত্তি করে উপযুক্ত ডোজ নির্ধারণ করা উচিত ।

 আবার বয়স, জাতিগততা, সূর্যের সংস্পর্শ এবং বিদ্যমান স্বাস্থ্য পরিস্থিতির মতো কারণের উপর ভিত্তি করে প্রতিটি ব্যক্তির প্রয়োজনীয়তা পরিবর্তিত হতে পারে। এক্ষেত্রে একজন চিকিৎসক প্রতিটি ব্যক্তির ব্যক্তিগত প্রয়োজন অনুসারে একটি পরিপূরক পরিকল্পনা তৈরি করে তাঁকে সহায়তা করতে পারে।

 এই সম্পূরকটি ছাড়াও নিয়মিত ব্যায়াম, একটি সুষম খাদ্য, এবং অন্যান্য প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা যেমন স্ট্রেস কম করা এবং ধূমপান ত্যাগ করা সামগ্রিক কার্ডিওভাসকুলার স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

হার্ট অ্যাটাক এবং বড় কার্ডিওভাসকুলার ইভেন্টগুলির ঝুঁকি কমাতে ভিটামিন ডি সম্পূরকের সম্ভাব্য প্রভাব গবেষণার ক্ষেত্রে একটি উল্লেখযোগ্য প্রাপ্তি। তবে সুনির্দিষ্ট নির্দেশিকা প্রতিষ্ঠার জন্য আরও অধ্যয়নের প্রয়োজন, তবে গবেষণাগুলি এখন পর্যন্ত পরামর্শ দেয় যে পরিপূরকের মাধ্যমে সর্বোত্তম স্তর বজায় রাখা প্রতিরোধমূলক যত্ন কৌশলগুলির ক্ষেত্রে একটি মূল্যবান সংযোজন হতে পারে। তবে সর্বদা ব্যক্তিগত কার্ডিওভাসকুলার স্বাস্থ্যের ব্যাপারে পরামর্শের জন্য একজন পেশাদার চিকিৎসকের পরামর্শ গ্রহণ করা গুরুত্বপূর্ণ।

খবরটি শেয়ার করুণ

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন


রাতের ঘামের সমস্যা এবং এ সম্পর্কে আপনি কি করতে পারেন  

উত্তরাপথঃ রাতের ঘামের সমস্যা শরীরের কুলিং সিস্টেমের একটি স্বাভাবিক অংশ, তাপ মুক্তি এবং সর্বোত্তম শরীরের তাপমাত্রা বজায় রাখতে সাহায্য করে।তবে রাতের ঘাম একটি সাধারণ সমস্যা যা বিভিন্ন কারণে হতে পারে।এর  অস্বস্তিকর অনুভূতির জন্য ঘুম ব্যাহত হতে পারে, যার ফলে ক্লান্তি এবং অন্যান্য স্বাস্থ্য সমস্যা হতে পারে। আপনি যদি রাতে অতিরিক্ত ঘাম অনুভব করেন, তাহলে তার অন্তর্নিহিত কারণটি চিহ্নিত করা এবং এটি মোকাবেলার জন্য কিছু ইতিবাচক পদক্ষেপ নেওয়া গুরুত্বপূর্ণ। এখানে রাতের ঘামের কিছু সম্ভাব্য কারণ নিয়ে আলোচনা করা হল।মেনোপজ: যে কেউ, বয়স বা লিঙ্গ নির্বিশেষে, রাতের ঘাম অনুভব করতে পারে। .....বিস্তারিত পড়ুন

NASA Carbon Emission: পৃথিবী কার্বন ডাই অক্সাইড শোষণ করার চেয়ে বেশি নির্গত করছে

উত্তরাপথঃ কার্বন নির্গমন (NASA Carbon Emission) সম্পর্কে নাসার সর্বশেষ আবিষ্কার পৃথিবীর জন্য এক সতর্কতা সংকেত। মহাকাশ সংস্থার মতে, পৃথিবী কার্বন ডাই অক্সাইড শোষণ করার চেয়ে বেশি নির্গত করছে, যার ফলে গ্রিনহাউস গ্যাসের বায়ুমণ্ডলীয় ঘনত্ব উল্লেখযোগ্য বৃদ্ধি পাচ্ছে। NASA এর এই আবিষ্কারটি জলবায়ু পরিবর্তনের জন্য একটি উল্লেখযোগ্য কারণ হিসাবে দেখা যেতে পারে, সেইসাথে কার্বন নিঃসরণ কমানোর জন্য জরুরি পদক্ষেপের প্রয়োজনীয়তার উপর আলোকপাত করেছে।নাসার সর্বশেষ গবেষণায় যে তথ্য উঠে এসেছে তাতে পৃথিবীর মহাসাগর এবং ভূমি-ভিত্তিক বাস্তুতন্ত্র আগের চেয়ে কম কার্বন ডাই অক্সাইড শোষণ করছে। গবেষণায় দেখা গেছে যে গত এক দশকে ভূমি এবং মহাসাগর দ্বারা শোষিত কার্বন ডাই অক্সাইডের পরিমাণ ৫% হ্রাস পেয়েছে, যার ফলে গ্যাসের বায়ুমণ্ডলীয় ঘনত্ব বৃদ্ধি পেয়েছে। .....বিস্তারিত পড়ুন

দীপাবলির সময় কেন পটকা ফোটানো নিষেধাজ্ঞা কার্যকর করা যায় না ?

উত্তরাপথঃ দীপাবলির পরের দিন, যখন কেন্দ্রীয় দূষণ নিয়ন্ত্রণ বোর্ড (CPCB) শহরের বায়ু মানের সূচকের তালিকা প্রকাশ করে,তখন  দেখা যায় রাজধানী দিল্লি বিশ্বের শীর্ষ ১০টি দূষিত শহরের প্রথমেই রয়েছে। CPCB-এর মতে, ১২ নভেম্বর বিকেল ৪ টায় দিল্লির বায়ু মানের সূচক ছিল ২১৮ যা ভোরের দিকে বেড়ে ৪০৭ এ পৌঁছায় । ৪০০ – ৫০০ AQI  এর স্তর সুস্থ ব্যক্তিদের প্রভাবিত করে। দীপাবলির সারা রাত, লোকেরা পটকা ফাটিয়ে দীপাবলি উদযাপন করে। ১৩ নভেম্বর বিকেল ৪ টায় কেন্দ্রীয় দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ আবার তথ্য প্রকাশ করে এই তালিকায়, দিল্লির গড় বায়ু মানের সূচক ছিল ৩৫৮ যা 'খুব খারাপ' বিভাগে পড়ে।   বায়ু দূষণের এই পরিস্থিতি শুধু দিল্লিতেই সীমাবদ্ধ ছিল না।  নয়ডার বায়ু মানের সূচক ১৮৯ থেকে ৩৬৩ এ এবং রোহতক, হরিয়ানার ১৩৭ থেকে বেড়ে ৩৮৩ হয়েছে। দীপাবলির দুই দিন দিল্লি ,নয়ডা  ,কলকাতা, মুম্বাই সহ দেশের অন্যান্য শহরেও একই অবস্থা বিরাজ করছে। এই দিনগুলিতে মানুষ বিষাক্ত বাতাসে শ্বাস নিতে বাধ্য হয়েছে। ২০১৮ সালে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে জাতীয় রাজধানী দিল্লি এবং নয়ডায় সবুজ পটকা ছাড়া যে কোনও ধরণের আতশবাজি ফাটান সম্পূর্ণ রূপে নিষিদ্ধ। আদালত সবুজ পটকা পোড়ানোর সময়ও নির্ধারণ করে দিয়েছে রাত ৮টা থেকে ১০টা। এমন পরিস্থিতিতে প্রশ্ন উঠছে সুপ্রিম কোর্টের এই আদেশের মানে কী?  আদালতের এই আদেশ কি এখন প্রত্যাহার করা উচিত?  পুলিশ কেন এই আদেশ কার্যকর করতে পারছে না?  এর জন্য কি পুলিশ দায়ী নাকি সরকারের উদাসীনতা রয়েছে এর পেছনে? .....বিস্তারিত পড়ুন

Karar Oi Lauh Kapat: কাজী নজরুলের এই গানকে ঘিরে  বিতর্কে এ আর রহমান

উত্তরাপথঃ বিতর্কে 'পিপ্পা' ছবির সঙ্গীত পরিচালক অস্কারজয়ী সুরকার এ আর রহমান।সম্প্রতি কবি কাজী নজরুল ইসলামের পরিবার একটি হিন্দি ছবিতে কবির জনপ্রিয় গান 'করার ঐ লৌহ কাপাত...' (Karar Oi Lauh Kapat )।কিন্তু এ আর রহমানের সঙ্গীত পরিচালনায় ওই গানটি যেভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে তাতে আপত্তি জানিয়েছে নজরুল পরিবার।বিতর্কের পর যে চুক্তির আওতায় ওই গানটি ছবিতে ব্যবহার করা হয়েছে তা প্রকাশ্যে আনার দাবি তুলেছে কবির পরিবার।'পিপ্পা' শিরোনামের হিন্দি চলচ্চিত্রটি যেখানে (Karar Oi Lauh Kapat )গানটি ব্যবহার করা হয়েছে তা বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে অংশ নেওয়া একজন ভারতীয় সেনা সৈনিককে কেন্দ্র করে একটি সত্য ঘটনা অবলম্বনে নির্মিত। ছবির সঙ্গীত পরিচালক অস্কারজয়ী সুরকার এ আর রহমান। গানের কথা ঠিক রেখেও সুর পাল্টানোর অভিযোগে ভারত ও বাংলাদেশে বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে।কবির পরিবারের অভিযোগ, গানটি ব্যবহারের অনুমতি দিলেও সুর পরিবর্তনের অনুমতি দেওয়া হয়নি।পরিবারের সদস্যরাও ছবিটি থেকে গানটি বাদ দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন। .....বিস্তারিত পড়ুন

Scroll to Top