মানভূমের নাচনি শিল্পীদের সংগঠন : ‘মানভূম লোকসংস্কৃতি ও নাচনী উন্নয়ন সমিতি’ 

ড. নিমাইকৃষ্ণ মাহাত

মানভূমের প্রচলিত প্রাচীন লোকনৃত্য গুলির মধ্যে অন্যতম হল নাচনি নাচ । এই অঞ্চলের লোকনৃত্যগুলির মধ্যে জনপ্রিয়তায় ও ব্যাপ্তিতে ছৌ নাচের পরেই রয়েছে নাচনি নাচ। এই নাচে আছে মাটির টান , অন্তরের স্পন্দন ।

মানভূমে বর্তমানে প্রায় ৭০ জন নাচনিশিল্পী রয়েছেন । এই শিল্পীরা সকলেই কমবেশি দুর্ভাগ্য- পীড়িত। অধিকাংশ নাচনিই দুঃখ-কষ্ট, দারিদ্র ও দুর্ভাগ্যের স্রোতে ভাসতে ভাসতে জীবনে বেঁচে থাকার জন্য খড়কুটোর মত আঁকড়ে ধরেছেন নাচনি নাচকে। কোন কোন নাচনি শিল্পী হয়তো ভালোবেসে নাচনি নাচকে পেশা হিসাবে গ্রহণ করেছেন। তবে প্রত্যেক নাচনিশিল্পীই নিজস্ব দাবি-দাওয়া পূরণের জন্য নিজেদের একটি সংগঠন গড়ে তোলার প্রয়োজনীয়তা অনুভব করেছিলেন। নাচনিশিল্পী পস্তুবালাদেবী, সরস্বতীদেবী, বিমলাদেবী, সন্ধ্যাদেবী, তারাদেবী প্রমূখ এই সংগঠন গড়ে তোলার ব্যাপারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন। 

 ২০০২ সালে নাচনিদের নিজস্ব সংগঠন গড়ে তোলার জন্য আন্দোলন শুরু হয়। এই আন্দোলন শুরুর ইতিহাস জানা জরুরি।

নাচনি শিল্পী পস্তুবালাদেবী ও মাদল বাদক দুর্যোধন কর্মকার 

বলরামপুর থানার যুগিডি গ্রামের নাচনিশিল্পী রাজবালা তন্তুবায় ছোট উরমা গ্রামের একটি মহুল গাছের তলায় অসহায় অবস্থায় মারা যান । নাচনি- দরদি ডাক্তার সুখেন বিশ্বাস (বলরামপুর) বিনা পয়সায় রাজবালার চিকিৎসা করেছিলেন । কিন্তু রোগজর্জরিত রাজবালার শেষের দিকে ডাক্তারবাবুর কাছে যাওয়ার মত শারীরিক সামর্থ্য ছিল না । নিদারুণ কষ্ট ভোগ করার পর রাজবালা খোলা আকাশের নীচে মারা যান । তার মৃতদেহ সঠিকভাবে সৎকারের জন্য কেউ এগিয়ে আসেনি। দেহ পচন ধরে গন্ধ ছড়াবে বলে পায়ে দড়ি বেঁধে টানতে টানতে নদীর ধারে ভাগাড়ে ফেলে দেওয়া হয়।

এই ঘটনা মানভূমের নাচনিদের মনে প্রবল আঘাত হানে। তারা নিজেদের অবস্থার উন্নতি ও বিভিন্ন দাবি-দাওয়া সঠিক জায়গায় উত্থাপনের জন্য নিজস্ব সংগঠন গড়ে তোলার প্রয়োজনীয়তা অনুভব করেন। ২০০২ সাল থেকে ২০০৭ সাল পর্যন্ত নাচনিদের নিজস্ব সংগঠন গড়ে তোলা, অফিস ঘর তৈরি , শিল্পীর মর্যাদা লাভ ইত্যাদি দাবি আদায়ের আন্দোলন চলতে থাকে।

অবশেষে ২০০৭ সালে পুরুলিয়া শহরের উপকণ্ঠে সুরুলিয়া গ্রামে ‘ মানভূম লোকসংস্কৃতিওনাচনীউন্নয়ন সমিতি ‘  গঠিত হয় । এই সংগঠন গড়ে তোলার জন্য সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেই কলকাতার দুর্বারমহিলাসমন্বয়কমিটি ‌‌। নাচনি শিল্পীদের এই সংগঠনের স্থায়ী অফিসের পুরো ঠিকানা হল – 

মানভূমলোকসংস্কৃতি ও নাচনী উন্নয়ন সমিতি

সুরুলিয়া ( ডিয়ার পার্কের বিপরীতে ),

পোস্ট অফিস  : বিবেকানন্দ নগর , 

থানা : পুরুলিয়া ( মফস্বল ).

জেলা : পুরুলিয়া,

পিনকোড : ৭২৩ ১৪৭ ।

রেজিস্ট্রেশন নম্বর : S/IL/3646 of 2007-2008.

মানভূমলোকসংস্কৃতিওনাচনীউন্নয়নসমিতি’র স্থায়ী অফিস ঘরের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন তৎকালীন শিক্ষা মন্ত্রী মাননীয় পার্থ দে মহাশয় , বিশিষ্ট সাহিত্যিক ও সমাজসেবী মাননীয়া মহাশ্বেতা দেবী মহাশয়া, দুর্বার মহিলা সমন্বয় কমিটির পক্ষ থেকে ড .  স্মরজিত জানা মহাশয় , বিশিষ্ট রাজনীতিক শান্তিরাম মাহাত মহাশয় , নাচনি দরদি ডাক্তার সুখেন বিশ্বাস মহাশয় প্রমূখ বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ।

 প্রসঙ্গত উল্লেখ্য এই উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ডাক্তার সুখেন বিশ্বাসের উপস্থিতির মূল কারণ তাঁর নাচনিদরদি মনোভাব । তিনি দু:স্থ ও রোগজর্জরিত নাচনিদের বিনা পয়সায় চিকিৎসা করতেন  । নাচনিদের সংগঠন থেকে ৩০- ৩৫ জন নাচনিকে বিভিন্ন জায়গায় নিয়ে যেতেন অনুষ্ঠান করার জন্য। শিয়ালদা কৈবর্ত সমিতি , শিশির মঞ্চ, মধুসূদন মঞ্চ ইত্যাদি জায়গায় উনার উদ্যোগে নাচ-গান পরিবেশন করেছেন নাচনি শিল্পীরা । এছাড়াও তিনি নাচনিদের ‘ এক ঠ্যাঙ্গা নাচ ‘ ( এক পায়ে নাচ ) কেমন করে নাচতে হয় তাও নিজে করে দেখিয়ে দিতেন । দুর্বার সংগঠন যখন নাচনিদের অনুষ্ঠানের জন্য বিভিন্ন জায়গায় নিয়ে যায় তখন দুর্বার সমস্ত খরচ বহন করে।

মানভূমলোকসংস্কৃতিওনাচনীউন্নয়নসমিতি’তে বর্তমানে প্রায় ৭০ জন নাচনি শিল্পী সদস্য হিসাবে আছেন । তবে এই সংগঠনের সদস্য হিসেবে শুধু নাচনিরাই নন , লোকসংস্কৃতির অন্যান্য অঙ্গের শিল্পীরাও এর অন্তর্ভুক্ত । মানভূমের অনেক করম দল ও করম গানের শিল্পী এই সংগঠনে যুক্ত ‌। এছাড়া ভাদু, টুসু , ঘোড়ানাচ , জাঁতমঙ্গল , ঝুমুর নাচ (যেখানে ছেলেরা মেয়ের সাজসজ্জা পরে নাচে ,  এখন অবশ্য মেয়েরাও এই নাচ করছে ) ইত্যাদি শিল্পীরাও এতে যুক্ত।

প্রতি বছর ফেব্রুয়ারি মাসের শেষের দিকে সুরুলিয়ার ‘ মানভূম লোকসংস্কৃতি ও নাচনী উন্নয়ন সমিতি ‘ সংলগ্ন মাঠে তিন দিনের জন্য নাচ-গানের আসর বসে । এই আসরে নাচনি নাচ ছাড়াও সাঁওতালি নাচ , ঘোড়ানাচ , ভাদু ,  টুসু , করম , জাঁতমঙ্গল , ঝুমুর ইত্যাদি পরিবেশিত হয়।

এই অনুষ্ঠান আয়োজনে প্রায় ৩ লাখ টাকার মতো খরচ (২০১৯ সালের হিসাব অনুযায়ী) হয় ।  তার মধ্যে মানভূম ‘লোকসংস্কৃতি ও নাচনি উন্নয়ন সমিতির’ সদস্যদের কাছ থেকেই চাঁদা হিসেবে উঠে আসে ১ লাখ থেকে ১ লাখ ৩০ হাজার টাকার মতো। বাকি সমস্ত খরচ দেয় দুর্বার মহিলা সমন্বয় কমিটি। নাচনি শিল্পী ছাড়াও  লোকসংস্কৃতির অন্যান্য আঙ্গিকের শিল্পীদের মিলে এই সংগঠনের মোট সদস্য সংখ্যা বর্তমানে প্রায় ছয় হাজারের মতো। করোনা ভাইরাসজনিত অতিমারির কারণে দুবছর ধরে এই অনুষ্ঠান বন্ধ আছে।

 ‘মানভূমলোকসংস্কৃতিও নাচনীউন্নয়নসমিতি’র প্রথম সেক্রেটারি ছিলেন ইন্দ্রানী মাহাত ( তাঁর পূর্ব নাম ছিল অষ্টমী মাহাত ) ‌। তারপর সেক্রেটারি হলেন নাচনি শিল্পী সরস্বতীদেবী এবং অন্যতম বিখ্যাত নাচনি শিল্পী পস্তুবালাদেবী কর্মকার হন সভাপতি । তবু সংগঠনের পথ চলা সুগম হয়নি।

পরবর্তী সময়ে পুরুলিয়া শহরের ব্রাহ্মণ ধর্মশালায় এই সংগঠনের সেক্রেটারি নির্বাচনের জন্য এক মিটিং বসে । সেখানে ভোটাভুটি হয় । সেক্রেটারি পদের জন্য প্রতিদ্বন্দ্বিতা হয় পস্তুবালাদেবী ও সরস্বতীদেবীর মধ্যে। অধিকাংশ ভোট পেয়ে সেক্রেটারি নির্বাচিত হন পস্তুবালাদেবীকর্মকার। 

 ২০০৭- ২০০৮ সাল থেকে বর্তমান সময় পর্যন্ত এই সংগঠনের সেক্রেটারি পদে রয়েছেন পস্তবালাদেবীকর্মকার ।

বর্তমান অবক্ষয়ের যুগে মানভূমের বিলুপ্তপ্রায় নাচনি নাচ , নাচনি শিল্পীদের অস্তিত্ব রক্ষা ও নাচনি শিল্পীদের দাবি-দাওয়া আদায়ের তাদের সংগঠন ‘মানভূম লোকসংস্কৃতি ওনাচনী উন্নয়ন সমিতি ‘ সক্রিয়ভাবে গঠনমূলক ভূমিকা পালন করে চলেছে। 

মূল তথ্যসূত্র : 

১) শিল্পী পস্তবালাদেবীর সঙ্গে সাক্ষাৎকার ।

২)’মানভূম লোকসংস্কৃতি ও নাচনী উন্নয়ন সমিতি ‘র রেকর্ড বুক । 

৩) মানভূমের নাচনিকথা : প্রবীর সরকার , পুরুলিয়া দর্পণ, পূজা বার্ষিকী ১৪২৪ ।

(আকাদেমি বানান অভিধান অনুসরণে )

খবরটি শেয়ার করুণ

2 thoughts on “মানভূমের নাচনি শিল্পীদের সংগঠন : ‘মানভূম লোকসংস্কৃতি ও নাচনী উন্নয়ন সমিতি’ ”

  1. সুমিত

    খুব ভালো লাগলো এই উদ্যোগের খবর আপনাদের কাছ থেকে জেনে। পস্তবালাদেবীর সাক্ষাৎকারটি পড়ার অপেক্ষায় থাকলাম।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন


World’s most polluted cities: নয়াদিল্লি, মুম্বাই এবং কলকাতা বিশ্বের সবচেয়ে দূষিত শহরের তালিকায়

উত্তরাপথঃ দিওয়ালি উদযাপনের একদিন পর জাতীয় রাজধানী নয়াদিল্লি, মুম্বাই এবং কলকাতা বিশ্বের সবচেয়ে দূষিত শহরের (World’s most polluted cities) তালিকায় উঠে এসেছে।সোমবার, অর্থাৎ দীপাবলির পরের দিন এই শহরগুলির বায়ুর গুণমান উল্লেখযোগ্য মাত্রায় খারাপ হয়েছে।বায়ুর গুনমান খারাপ হওয়ার পেছনে মাত্রাতিরিক্ত আতশবাজি জ্বালানোকে দায়ী করা হয়েছে। আমাদের বিশ্বের সবচেয়ে দূষিত শহরের (World’s most polluted cities) তালিকায় যথারীতি প্রথম স্থান দখল করেছে ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লি। দীপাবলির পরের দিন এটির AQI (এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স) পরিসংখ্যান ছিল ৪০৭। নভেম্বরের শুরু থেকে, দিল্লিতে AQI পরিসংখ্যান খারাপ হয়েছে।  সুইস গ্রুপ আইকিউএয়ার শহরের বাতাসকে "বিপজ্জনক" বিভাগে রেখেছে।ভারতের আর্থিক রাজধানী মুম্বাই বিশ্বের সবচেয়ে দূষিত শহরের তালিকায়(World’s most polluted cities), ১৫৭ এর AQI সহ ষষ্ঠ স্থানে রয়েছে। কলকাতা ১৫৪ এর AQI সহ সপ্তম স্থানে রয়েছে। .....বিস্তারিত পড়ুন

দীপাবলির সময় কেন পটকা ফোটানো নিষেধাজ্ঞা কার্যকর করা যায় না ?

উত্তরাপথঃ দীপাবলির পরের দিন, যখন কেন্দ্রীয় দূষণ নিয়ন্ত্রণ বোর্ড (CPCB) শহরের বায়ু মানের সূচকের তালিকা প্রকাশ করে,তখন  দেখা যায় রাজধানী দিল্লি বিশ্বের শীর্ষ ১০টি দূষিত শহরের প্রথমেই রয়েছে। CPCB-এর মতে, ১২ নভেম্বর বিকেল ৪ টায় দিল্লির বায়ু মানের সূচক ছিল ২১৮ যা ভোরের দিকে বেড়ে ৪০৭ এ পৌঁছায় । ৪০০ – ৫০০ AQI  এর স্তর সুস্থ ব্যক্তিদের প্রভাবিত করে। দীপাবলির সারা রাত, লোকেরা পটকা ফাটিয়ে দীপাবলি উদযাপন করে। ১৩ নভেম্বর বিকেল ৪ টায় কেন্দ্রীয় দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ আবার তথ্য প্রকাশ করে এই তালিকায়, দিল্লির গড় বায়ু মানের সূচক ছিল ৩৫৮ যা 'খুব খারাপ' বিভাগে পড়ে।   বায়ু দূষণের এই পরিস্থিতি শুধু দিল্লিতেই সীমাবদ্ধ ছিল না।  নয়ডার বায়ু মানের সূচক ১৮৯ থেকে ৩৬৩ এ এবং রোহতক, হরিয়ানার ১৩৭ থেকে বেড়ে ৩৮৩ হয়েছে। দীপাবলির দুই দিন দিল্লি ,নয়ডা  ,কলকাতা, মুম্বাই সহ দেশের অন্যান্য শহরেও একই অবস্থা বিরাজ করছে। এই দিনগুলিতে মানুষ বিষাক্ত বাতাসে শ্বাস নিতে বাধ্য হয়েছে। ২০১৮ সালে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে জাতীয় রাজধানী দিল্লি এবং নয়ডায় সবুজ পটকা ছাড়া যে কোনও ধরণের আতশবাজি ফাটান সম্পূর্ণ রূপে নিষিদ্ধ। আদালত সবুজ পটকা পোড়ানোর সময়ও নির্ধারণ করে দিয়েছে রাত ৮টা থেকে ১০টা। এমন পরিস্থিতিতে প্রশ্ন উঠছে সুপ্রিম কোর্টের এই আদেশের মানে কী?  আদালতের এই আদেশ কি এখন প্রত্যাহার করা উচিত?  পুলিশ কেন এই আদেশ কার্যকর করতে পারছে না?  এর জন্য কি পুলিশ দায়ী নাকি সরকারের উদাসীনতা রয়েছে এর পেছনে? .....বিস্তারিত পড়ুন

Electoral Bond এর গোপনীয়তা সরিয়ে রাজনৈতিক দলগুলিকে, জানাতে হবে প্রাপ্ত অনুদানের পরিমাণ

উত্তরাপথঃ বুধবার, নির্বাচনী বন্ড (Electoral Bond)প্রকল্পের আইনি বৈধতাকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে আবেদনের শুনানি হয়। শীর্ষ আদালত তার মন্তব্যে বলেছে, 'নির্বাচনী বন্ডগুলি রাজনৈতিক দলগুলিকে বেনামী অর্থ প্রদান করে, কারণ তাদের কেনাকাটা সম্পর্কিত রেকর্ডগুলি স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার কাছে উপলব্ধ যা শুধুমাত্র তদন্তকারী সংস্থাগুলি অ্যাক্সেস করতে পারে৷ এর আগে নির্বাচনী বন্ড’ (Electoral Bond) সংক্রান্ত মামলায় সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court) কেন্দ্র দাবি করেছিল, রাজনৈতিক দলগুলির আয়ের উৎস জানার অধিকার নেই জনতার।এবার সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে তৎপর হল নির্বাচন কমিশন (Election Commission of India)।বুধবার বিকেল ৫টার মধ্যে যাবতীয় হিসেব জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে কমিশনের তরফে।নির্বাচনী বন্ডের (Electoral Bond)মামলায় কেন্দ্রের আর্জি সত্বেও সুপ্রিম কোর্ট রাজনৈতিক দলগুলিকে আয়ের উৎস জানাতে বলেছিল। আদলত নির্দেশ দিয়েছিল, গত ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত কোন রাজনৈতিক দল কত অনুদান মিলেছে, সেই তথ্য বন্ধ খামে জানাতে হবে।এর আগেও নির্বাচনী বন্ডের বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে একাধিক মামলা হয়েছে শীর্ষ আদালতে। মামলাকারীরা অভিযোগ করেছিলেন, রাজনৈতিক দলগুলি এই নির্বাচনী বন্ডের মাধ্যমে অবৈধ অর্থ বিদেশ থেকে পেতে পারে এর ফলে গণতন্ত্র ধ্বংস হবে। যদিও কোনও রাজনৈতিক দলই এই দাবি মানতে চায়নি। ৩ অক্টোবর মামলার শুনানিতে প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়ের নেতৃত্বাধীন পাঁচ বিচারপতির বেঞ্চ নির্দেশ দেয়, আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে সব তথ্য দিতে হবে নির্বাচন কমিশনকে। এই রায়ের পরেই তৎপর হল কমিশন। .....বিস্তারিত পড়ুন

Vijay Stambh : চিতোরগড় দুর্গে বিজয় স্তম্ভ হিন্দু – মুসলিম সহাবস্থানের প্রতীক

উত্তরাপথঃ খ্রিস্টীয় ৭ম শতাব্দীতে মৌর্য রাজবংশ কর্তৃক স্থাপিত চিতোরগড় দুর্গ সাহস ও আত্মত্যাগের প্রতীক হিসেবে আজও দাঁড়িয়ে আছে। এই দুর্গ তার বিশাল কাঠামো, রাজপ্রাসাদ, একাধিক  সুদৃশ্য মন্দির সহ সুন্দর জলাশয়ের জন্য বিখ্যাত।৭০০-একর এলাকা জুড়ে বিস্তৃত, এই দুর্গটিতে প্রায় ৬৫টি ঐতিহাসিক স্থাপত্য নিদর্শন রয়েছে যা রাজপুত এবং ইসলামিক স্থাপত্য শৈলীর সূক্ষ্মতার প্রমান দেয়। বিজয় স্তম্ভ (Vijay Stambh)) হল এই দুর্গে অবস্থিত,সবচেয়ে মনোমুগ্ধকর কাঠামো।এই আশ্চর্য-অনুপ্রেরণামূলক স্তম্ভটি কেবল তার উচ্চতার জন্য বিখ্যাত নয়,এটি রাজপুতদের অদম্য সাহস এবং অধ্যবসায়ের গল্পও বলে যা চিতোরগড় দুর্গেরই সমার্থক হয়ে উঠেছে।বিজয় স্তম্ভ (Vijay Stambh), নাম থেকে বোঝা যায়, বিজয়ের প্রতীক।  প্রাচীনকালে যে কোনো যুদ্ধ অভিযানের সাফল্যের পর সেই বিজয়কে স্মরণীয় করে রাখতে রাজারা মন্দির, স্তূপ, স্মৃতিস্তম্ভ ও স্তম্ভ নির্মাণ করতেন।  ৯ তলা এই বিজয় স্তম্ভটি ১৯৪০ থেকে ১৪৪৮ সালের মধ্যে মহারানা কুম্ভ দ্বারা নির্মিত হয়েছিল। .....বিস্তারিত পড়ুন

Scroll to Top