ধাক্কা কাটিয়ে ছন্দে ফেরার চ্যালেঞ্জ মোহনবাগানের

উত্তরাপথঃ ঠিকই ছিল মোহনবাগানের। জয়ের সেই হ্যাটট্রিকের পরই ছন্দপতন বাগানের। ঘরের মাঠে আটকে গিয়েছে দল।এখন ধাক্কা কাটিয়ে ছন্দে ফেরার চ্যালেঞ্জ মোহনবাগানের। তবে তা নিয়ে ভাবতে নারাজ মোহনবাগান (Mohun Bagan) রিজার্ভ দলের কোচ বাস্তব রায়। বরং সিএফসি-কে হারিয়ে ফের জয়ের রাস্তায় দলকে তুলে আনার বিষয়ে আত্মবিশ্বাসী তিনি। পুলিশি নিরাপত্তা সংক্রান্ত ইস্যুতে বৃহস্পতিবার শেষবেলায় ম্যাচটা মোহনবাগানের ঘরের মাঠ থেকে সরিয়ে পাঠানো হল বারাকপুর স্টেডিয়ামে।

বুধবার ঘরের মাঠে কালীঘাট এমএস-এর সঙ্গে কোনওরকমে ড্র করেছে মোহনবাগান। ফলে শুক্রবার সিএফসি ম্যাচের গুরুত্ব বেড়েছে মোহনবাগানের কাছে। যদিও সিএফসি গ্রুপের অন্যতম সহজ প্রতিপক্ষ। এখনও পর্যন্ত মহামেডান স্পোর্টিংয়ের কাছে সাত গোল খেয়েছে তারা, ইউনাইটেড স্পোর্টস দিয়েছে আট গোল। তাই তিন পয়েন্টের পাশাপাশি গোল পার্থক্য অনেকটা বাড়িয়ে রাখার সুযোগ এই ম্যাচ থেকে পাচ্ছে মোহনবাগান। তবে এরমধ্যেই কাঁটা হয়ে রয়েছে একদিনের ব্যবধানে ম্যাচ খেলা এবং কালীঘাটের সঙ্গে ড্রয়ের বিষয়টি। টানা ম্যাচ খেলার ধাক্কা সামলানো প্রসঙ্গে সবুজ-মেরুন কোচ বাস্তব রায় বলছেন, “কী দল খেলাব তা এখনও ঠিক করিনি। ম‌্যাচের দিন সকালে দেখব কে কেমন অবস্থায় আছে। তারপর প্রথম একাদশ ঠিক করব।”

 তবে কালীঘাট ম্যাচের ফল নিয়ে আর ভাবছেন না তিনি। বলছেন, “আমার ছেলেরা চার ম্যাচে ১৪ গোল করেছে। ফলে একটা ম্যাচ ড্র করে চাপে পড়ার কিছু নেই।” এদিকে, সিনিয়র টিমে অনুশীলনে যোগ দিলেন সবুজ-মেরুনের নতুন তারকা সাহাল আবদুল সামাদ। বুধবার সকালেই কলকাতা এসেছেন কেরল ব্লাস্টার্স থেকে এবার মোহনবাগানে যোগ দেওয়া এই মিডফিল্ডার। তবে দলের সঙ্গে পুরোদমে অনুশীলন শুরু করেননি তিনি, বসে ছিলেন মাঠের বাইরে।

খবরটি শেয়ার করুণ

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন


সু-স্বাস্থের জন্য ক্যালোরি গ্রহণ প্রয়োজন,কিন্তু সমস্ত খাবারে ক্যালোরির মাত্রা সমান থাকে না

উত্তরাপথঃসু-স্বাস্থের জন্য ক্যালোরি গ্রহণ প্রয়োজন ,কিন্তু কিভাবে একজন ব্যক্তি তার সঠিক ওজন এবং সামগ্রিক স্বাস্থ্যর মধ্যে ভারসাম্য রাখতে পারে । অনেক লোক বিশ্বাস করে যে ক্যালোরি গণনা সাফল্যের চাবিকাঠি। এক্ষেত্রে একটি বিষয় গুরুত্বপূর্ণ তা হল সঠিক মাপে ক্যালোরি গ্রহণ , কিন্তু সমস্ত খাবারে ক্যালোরির মাত্রা সমান থাকে না।আমরা যে খাবার গ্রহণ করি তা আমাদের শরীর প্রক্রিয়া করে সেটিকে ক্যালোরিতে রুপান্তরিত করে । পরে আমরা সেই ক্যালোরিকে ব্যবহার করে বিভিন্ন কাজ করে থাকি।এই বিষয়ে কথা বলার জন্য, আমরা একজন নিবন্ধিত ডায়েটিশিয়ানের কাছে প্রশ্ন রাখি  আমরা যে ধরনের খাবার খাই তা আমাদের শরীরের জন্য কেন গুরুত্বপূর্ণ। .....বিস্তারিত পড়ুন

ধানের সাধ ভক্ষণ : জিহুড়

ড.  নিমাইকৃষ্ণ মাহাত: আশ্বিন সংক্রান্তিতে কৃষক সমাজের মধ্যে জিহুড় পার্বণ পালিত হয়। কৃষক সাধারণের মধ্যে জিহুড় পার্বণের একটি বিশেষ তাৎপর্য রয়েছে। জিহুড় অর্থাৎ আশ্বিন সংক্রান্তির সময় বহাল জমিতে লাগানো ধান বা বড়ান ধানে থোড় আসতে শুরু করে। সুতরাং ধান গাছ গর্ভাবস্থায় থাকে। মানুষের ক্ষেত্রে গর্ভাবস্থায় নানা ধরনের আচার-সংস্কার পালন করা হয়। এই সংস্কারগুলির অন্যতম হলো " ন' মাসি " অর্থাৎ গর্ভাবস্থার নবম মাসে যে আচার -অনুষ্ঠান পালন করা হয়। এর কিছুদিন পরেই সন্তানজন্মগ্রহণ করে। মানব- সমাজের গর্ভাবস্থাজনিত এই ধরনের আচার সংস্কারের সঙ্গে ধান গাছের গর্ভাবস্থার কারণে পালনীয় অনুষ্ঠান জিহুড়ের সাদৃশ্য থাকে দেখা যায়। সেই জন্য অনেকে জিহুড় অনুষ্ঠানকে ধান গাছের 'সাধভক্ষণ'  বলে থাকেন। জিহুড়-এ ধান গাছ .....বিস্তারিত পড়ুন

মহারানী পদ্মাবতী এবং জোহরের ঐতিহ্য: সাহস ও আত্মত্যাগের এক গল্প

উত্তরাপথঃ ভারতের ইতিহাসে, এমন অনেক গল্প রয়েছে যা সময়কে অতিক্রম করে আমাদের সম্মিলিত চেতনায় এক অমোঘ চিহ্ন রেখে যায়। তেমনই একটি গল্প মহারানী পদ্মাবতী ও জোহরের ঐতিহ্য। সাহস, সম্মান এবং ত্যাগের এই গল্প প্রজন্মের পর প্রজন্মকে অনুপ্রাণিত করেছে এবং আমাদের কল্পনাকে মুগ্ধ করে চলেছে।ভারতীয় ইতিহাসের পাতায় অত্যন্ত সুন্দরী ও সাহসী মহারানী পদ্মাবতী'র উল্লেখ আছে।  রানী পদ্মাবতী রানী পদ্মিনী নামেও পরিচিত।  রানী পদ্মাবতীর পিতা ছিলেন সিংহল প্রদেশের (শ্রীলঙ্কা) রাজা গন্ধর্বসেন।ইতিহাসে রানী পদ্মিনী তার ব্যতিক্রমী সৌন্দর্য, বুদ্ধিমত্তা এবং বীরত্বের জন্য পরিচিত হলেও, তিনি করুণা এবং শক্তির প্রতীক হিসেবেও পরিচিত ছিলেন। দিল্লির শক্তিশালী শাসক আলাউদ্দিন খিলজি তার অতুলনীয় সৌন্দর্যের কথা শুনে তাকে অধিকার করার সংকল্প করেছিলেন। .....বিস্তারিত পড়ুন

ছৌশিল্পী পদ্মশ্রী নেপাল মাহতো ও বিশ্ব মঞ্চে ভারতের লোকনৃত্য

গার্গী আগরওয়ালা মাহাতোঃ আমাদের চারিদিকে বিশ্ব দ্রুত বিকশিত হচ্ছে,পরিবর্তিত হচ্ছে শিল্প সাধনার প্রকৃতি। এই পরিবর্তিত শিল্প সাধনার যুগে আমাদের সেই সমস্ত ব্যক্তিদের স্বীকৃতি দেওয়া এবং সম্মান করা অপরিহার্য যারা সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য সংরক্ষণ ও প্রচারে তাদের জীবন উৎসর্গ করেছেন। এমনই একজন উল্লেখযোগ্য ব্যক্তিত্ব হলেন ছৌশিল্পী পদ্মশ্রী নেপাল মাহতো। নেপাল মাহাতো, যার ছৌনৃত্যের জগতে  দেশে ও বিদেশে অতুলনীয় অবদান তাকে ভারতের চতুর্থ সর্বোচ্চ নাগরিক সম্মান ‘পদ্মশ্রী´এনে দিয়েছে। নেপাল মাহতোর জন্ম ১৭ জুন ১৯৫৪ সালে পশ্চিমবঙ্গের পুরুলিয়া জেলার বরাবাজার থানার আদাবনা নামে একটি ছোট গ্রামে। তার পিতা স্বর্গীয় নগেন্দ্রনাথ মাহাতো ও মাতা তুষ্ট মাহাতো। .....বিস্তারিত পড়ুন

Scroll to Top