শুভেন্দুর, ‘স্ট্র্যাটেজি’ খারিজ সুকান্তর

উত্তরাপথ

শুভেন্দুর, ‘স্ট্র্যাটেজি’খারিজ সুকান্তর, পঞ্চায়েত ভোটকে সামনে রেখে তৃণমূলকে আটকাতে বিজেপির সঙ্গে কংগ্রেস-সিপিএমকে আসার আহ্বান জানিয়েছিলেন শুভেন্দুর, আর সেই স্ট্র্যাটেজি খারিজ করে দিয়েছেন বিজেপির রাজ‌্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার।এখন প্রশ্ন রাজ্য বিজেপির প্রধান দায়িত্বে কে? বিরোধী দলনেতা না রাজ্য সভাপতি ? শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) তার বিতর্কিত কথার জন্য রাজ্যে বিশেষ পরিচিত, তবে তিনি কি পারেন রাজ‌্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের (ম্মঞ্জ) সাথে আলোচনা ছাড়া কোনও সাংগঠনিক সিদ্ধান্ত একক ভাবে নিতে ?

পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে তৃণমূলকে আটকাতে বিজেপির সঙ্গে কংগ্রেস-সিপিএমকে আসার আহ্বান জানিয়েছিলেন শুভেন্দু। শুভেন্দুর, ‘স্ট্র্যাটেজি’খারিজ করে সুকান্তর বক্তব‌্য, ‘‘বাংলায় রাজনৈতিকভাবে কোনও জোট হবে না সেটা আমরা চাইছি। বিজেপিই প্রধান বিরোধী। আমাদের পতাকার তলায় সমস্ত ভোটারদের এক হতে হবে। হয় তৃণমূল করুন, নয়তো বিজেপির পতাকাতলে এসে বিজেপি করুন।‘

এদিকে পঞ্চায়েত নির্বাচনের ফলাফলের পর এ রাজ্যে তৃণমূলের প্রধান বিরোধী কারা, তা নিয়ে তরজা শুরু হয়ে গিয়েছে বিজেপি ও সিপিএমের মধ্য়ে। বিজেপি এবার ভোট পেয়েছে ২২.৮৮ শতাংশ। ২০২১-এর বিধানসভা থেকে এবার পদ্ম শিবিরের ভোট কমেছে ১৬ শতাংশ। ৩৮ শতাংশ থেকে ভোট নেমে এসেছে ২২ শতাংশে। সিপিএম বলছে, গত বিধানসভা ভোটে তারা ১০ শতাংশ ভোট পেয়েছিল কংগ্রেস ও আইএসএফকে নিয়ে। এবার পঞ্চায়েতে তাদের সম্মিলিত ভোট ২১ শতাংশ। অর্থাৎ, একুশের নিরিখে ১‌১ শতাংশ ভোট বেড়েছে বাম-কংগ্রেস জোটের। তাই সিপিএমের দাবি, প্রাপ্ত ভোট শতাংশের নিরিখে প্রধান বিরোধী তারাই।রাজ্য বিজেপির এক সদস্যের বক্তব্য ,ভোটের আগে শুভেন্দুর, ‘স্ট্র্যাটেজি’মত তৃণমূলকে আটকাতে বিজেপির সঙ্গে কংগ্রেস-সিপিএমকে আসার আহ্বান জানিয়েছিলেন তাতেই তৃণমূল বিরোধী ভোট তিনটি দলের মধ্যে ভাগাভাগি হয়ে যায় ,আর তার লাভ পায় তৃণমূল।

বিজেপির রাজ‌্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের আবার দাবি, ‘‘এটা প্রহসনের ভোট। এই ভোট দিয়ে শতাংশের বিচার করা যাবে না। লোকসভা ও বিধানসভা ভোটের সঙ্গে পঞ্চায়েতের তুলনা চলে না।’’ সুকান্ত বলেন, ‘‘২০১৮-র পঞ্চায়েতের থেকে এবার আমাদের আসন বেড়েছে। গ্রাম পঞ্চায়েতে প্রায় ১১ হাজার আসন জিতেছি আমরা। ভোটও বেড়েছে ৬ শতাংশ।’’ সিপিএমের তরফে একুশের বিধানসভার সঙ্গে তুলনা তুলে ধরা হলেও বিজেপির যুক্তি, আঠারোর পঞ্চায়েতের সঙ্গেই তুলনা হবে। বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষের বক্তব‌্য, ‘‘সিপিএম যতই গায়ের জোরে বলুক মানুষ ঠিক করবে, আসল বিরোধী কে। তিনবার মানুষ ওদের সব ভোটে হারিয়েছে। তবে হ্যাঁ, ওরা (সিপিএম) যে এখনও আছে তার প্রমাণ দিতে পেরেছে।’’

খবরটি শেয়ার করুণ

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন


সম্পাদকীয়

এ যেন বহুদিন পর বিজেপির চেনা ছন্দের পতন। হিমাচল প্রদেশের পর কর্ণাটক কংগ্রেস নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে বিজেপির বিজয়রথকে থামিয়ে দিল ।২০১৮ পর থেকে লাগাতার হারতে থাকা একটি দল আবার ২০২৪ সাধারণ নির্বাচনে প্রাসঙ্গিক হয়ে গেল । ২২৪ সদস্যের কর্ণাটক বিধানসভায় সরকার গঠন করতে গেলে প্রয়োজন ১১৩টি আসন সেখানে কংগ্রেস একাই পেয়েছে ১৩৬টি আসন, বিজেপি পেয়েছে ৬৫ টি এবং প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী দেবগৌড়ার জেডিএস পেয়েছে ১৯টি এবং অন্যান্য ৪ টি আসন পেয়েছে। যা গতবারের তুলনায় বিজেপির ৩৯ টি আসন কমেছে এবং কংগ্রেসের বেড়েছে ৫৭টি আসন এবং জেডিএসের কমেছে ১৮ টি আসন।   কর্ণাটকে কংগ্রেসের এই সাফল্য কি রাজ্যে কংগ্রেসের শক্তিশালী সংগঠনের ফল না কি কর্ণাটকের আগের ক্ষমতাশীল বিজেপি সরকারের বিরুদ্ধে মানুষের ক্ষোভ । কর্ণাটকে কংগ্রেসে অনেক বড় নেতা রয়েছে।  প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি শিবকুমার দক্ষ সংগঠক। আগের মুখ্যমন্ত্রী সিদ্ধারামাইয়ার ব্যাপক জনভিত্তি রয়েছে।  ভোটের আগে বিজেপির প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী জগদীশ শেট্টার এবং উপমুখ্যমন্ত্রী সাভাড়ি কংগ্রেসে যোগ দিয়ে নির্বাচনে লড়েছেন। অন্যদিকে বিজেপির প্রচারের সবচেয়ে বড় মুখ ছিলেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। বিজেপির প্রচারে সব নেতারাই মোদীর নাম করেই ভোট চেয়েছিলেন কিন্তু শেষ রক্ষা হল না ।কর্ণাটকের বিজেপি সরকারের ব্যাপক দুর্নীতি সেই সাথে কংগ্রেসের লাগাতার প্রচার যা প্রতিষ্ঠান বিরোধিতার সুরকে আরও তীব্র করেছে। তাই শুধুমাত্র মোদী ম্যাজিকের উপর ভর করে নির্বাচন জেতা যে  আর বিজেপির পক্ষে সম্ভব নয় কর্ণাটকের জনগণ চোখে হাত দিয়ে তাই দেখিয়ে দিল। .....বিস্তারিত পড়ুন

কতো অজানা রে

মৈত্রেয়ী চৌধুরী: ইতিহাস বিষয়ে আলোচনা করতে গেলেই আমাদের মনে যে সব সৌধের প্রসঙ্গ মনে আসে তারমধ্যে পার্লামেন্ট ভবন একটা অবশ্য দ্রষ্টব্য স্থান। বহু পর্যটক এই ভবন দেখতে যান. কিন্তু জানেন কি, এই পার্লামেন্ট ভবনের ডিজাইন কে বানিয়েছিলেন ? 10 জনকে জিজ্ঞেস করলে 9 জনই বলতে পারবেন না। যাঁরা খুব ইতিহাস নিয়ে ঘাঁটাঘাঁটি করেন অথবা গুগুল সার্চ করে থাকেন, তাঁরা হয়তো উত্তরটা দিতে পারবেন। পার্লামেন্ট ভবনের ডিজাইন বানিয়েছিলেন বিখ্যাত ব্রিটিশ স্থপতি এডুইন লুটিয়েন। তাঁর সহকারী ছিলেন আরেক ব্রিটিশ স্থপতি হার্বার্ট বেকার। 1927 খ্রিস্টাব্দে এই ভবনটির নির্মাণ সম্পূর্ণ হয় এবং ব্রিটিশ .....বিস্তারিত পড়ুন

ইঞ্জিনিয়ারড ব্যাকটেরিয়া জলবায়ু পরিবর্তনের বিরুদ্ধে লড়াই করার ক্ষমতা রাখে

উত্তরাপথ: লরেন্স বার্কলে ন্যাশনাল ল্যাবরেটরি এবং ইউসি বার্কলে এর সহযোগিতামূলক গবেষণায় গবেষকরা একটি অভিনব ব্যাকটেরিয়া ইঞ্জিনিয়ারড করেছেন যা জ্বালানি, ওষুধ এবং রাসায়নিক উত্পাদনের সময় উত্পন্ন গ্রিনহাউস গ্যাসের নির্গমনকে উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস করতে ডিকার্বনাইজশন এর মাধ্যমে। সম্প্রতি Nature জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে এই আবিষ্কারটি । আর এটি "Carbene Transfer Chemistry in Biosynthesis" নামে পরিচিত । একটি অভিনব প্রতিক্রিয়ার সাথে প্রাকৃতিক এনজাইমেটিক বিক্রিয়াকে সংহত করতে ব্যাকটেরিয়াকে কাজে লাগায়। আর যা সাধারণত জীবাশ্ম .....বিস্তারিত পড়ুন

Scroll to Top