উত্তরাপথঃগত বৃহস্পতিবার অস্ট্রিয়ান গবেষণা সংস্থা, ইন্টারন্যাশনাল ইনস্টিটিউট ফর অ্যাপ্লাইড সিস্টেমস অ্যানালাইসিস (IIASA) এবং উইটজেনস্টাইন সেন্টার ফর ডেমোগ্রাফি অ্যান্ড গ্লোবাল হিউম্যান ক্যাপিটাল দ্বারা একটি ইন্টারেক্টিভ ডেটাসেটের আপডেটে নতুন মানব জনসংখ্যার অনুমান এই মাসে প্রকাশিত হয়েছে।প্রকাশিত বিশ্ব জনসংখ্যা সম্ভাবনা ২০২৪ প্রতিবেদনে বলা হয়েছে যে আগামী ৫০-৬০ বছর বিশ্বের জনসংখ্যা বাড়তে থাকবে বলে আশা করা হচ্ছে, এই সময় ভারতের জনসংখ্যা ২০৬০-এর দশকের গোড়ার দিকে প্রায় ১.৭ বিলিয়ন হবে এবং তারপরে ১২ শতাংশ হ্রাস পাবে বলে অনুমান করা হয়েছে, তবে ভারত পুরো শতাব্দী জুড়ে বিশ্বের সবচেয়ে জনবহুল দেশ হিসাবে থাকবে।
২০৮০-এর দশকের মাঝামাঝি সময়ে বিশ্বের জনসংখ্যা দাঁড়াবে প্রায় ১০.৩ বিলিয়ন।ইতিমধ্যে ২০২৪ সালের মাঝামাঝি বিশ্বব্যাপী জনসংখ্যা প্রায় ৮.২ বিলিয়নে পৌঁছেছে এবং পরবর্তী ৫০-৬০ বছরে আরও দুই বিলিয়ন বৃদ্ধি পাবে বলে আশা করা হচ্ছে। তারপর এক দশকে জনসংখ্যা আগের বৃদ্ধির তুলনায় অনেক কম স্তরে নেমে যাবে, ২১০০ সালে বিশ্বের জনসংখ্যার আকার ৬ শতাংশ কম হবে, বা ৭০০ মিলিয়ন লোক কম হবে বলে অস্ট্রিয়ান গবেষণা সংস্থার অনুমান।
ভারত, গত বছর বিশ্বের সবচেয়ে জনবহুল দেশ হিসাবে চীনকে ছাড়িয়ে গেছে, ২১০০ সাল পর্যন্ত সেই অবস্থান ধরে রাখবে। “ভারতের জনসংখ্যা, আগামী ১০০ বছর বিশ্বের বৃহত্তম থাকবে বলে আশা করা হচ্ছে, জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার একটি সর্বচ্চ স্তরে পৌঁছানোর পরে সম্ভবত ১২ শতাংশ হ্রাস পাবে।জাতিসংঘের অর্থনৈতিক ও সামাজিক বিষয়ক বিভাগ (DESA), জনসংখ্যা বিভাগ দ্বারা প্রকাশিত অস্ট্রিয়ান গবেষণা সংস্থার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।
রিপোর্ট অনুযায়ী, ২০২৪ সালে ভারতের জনসংখ্যা ১.৪৫ বিলিয়ন, সেখান থেকে বেড়ে ২০৫৪ সালে তা ১.৬৯ বিলিয়ন হবে বলে অনুমান করা হয়েছে।এর পরে অর্থাৎ ২১০০ সালে এই শতাব্দীর শেষ নাগাদ ভারতের জনসংখ্যা ১.৫ বিলিয়নে নেমে আসবে বলে অনুমান করা হচ্ছে, তবে ভারত তখনও পৃথিবীর সবচেয়ে জনবহুল দেশ থাকবে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে যে চীনের জনসংখ্যা, বর্তমানে ২০২৪ সালে ১.৪১ বিলিয়ন, ২০৫৪ সালে ১.২১ বিলিয়নে নেমে আসবে এবং ২১০০ সালের মধ্যে আরও কমে ৬৩৩ মিলিয়নে নামবে।এটি প্রত্যাশিত যে চীন, বর্তমানে বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম জনসংখ্যার দেশ, সম্ভবত ২০২৪ এবং ২০৫৪ (২০৪ মিলিয়ন) এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি জনসংখ্যার ক্ষতির সম্মুখীন হবে।
আরও পড়ুন
মানভূমে প্রচলিত রাত কহনি
ড. নিমাইকৃষ্ণ মাহাত: পুরুলিয়া জেলা ও তৎসংলগ্ন অঞ্চলে (মানভূম ) সন্ধ্যার ঠিক কিছু পরেই ঠাকুমা , দিদিমা, পিসিমা , মাসিমারা ছোটদের নানা রূপকথা , উপকথা শোনায় যেগুলি ' রাত কহনি ' নামে পরিচিত।এরকম রাত কহনির দু একটি দৃষ্টান্ত দেওয়া যেতে পারে। .....বিস্তারিত পড়ুন
টিউমার নির্মূল এর নতুন থেরাপিউটিক যা স্থায়ীভাবে গ্যাস্ট্রিক ক্যান্সার দূর করে
উত্তরাপথ: একটি বহু-প্রাতিষ্ঠানিক গবেষণা দল একটি অভিনব ক্যান্সার থেরাপিউটিক তৈরি করেছে, অ্যান্টিবডি টুকরোগুলিকে আণবিকভাবে তৈরি করা ন্যানো পার্টিকেলগুলির সাথে একত্রিত করে, যা গ্যাস্ট্রিক ক্যান্সারে আক্রান্ত ইঁদুরের ক্যান্সারকে স্থায়ীভাবে নির্মূল করে। "হিট অ্যান্ড রান" ড্রাগ ডেলিভারি সিস্টেম, কর্নেল প্রাইম ডটস (সি' ডটস) নামে পরিচিত, এটি বিভিন্ন ধরনের ক্যান্সারের জন্য একটি বহুমুখী এবং অভিযোজনযোগ্য চিকিত্সা হিসাবে সম্ভাব্যতা দেখায়, ন্যূনতম পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া এবং বিষাক্ততার সাথে। গবেষকদের একটি বহু-প্রাতিষ্ঠানিক দল আবিষ্কার করেছে যে একটি নতুন ক্যান্সার থেরাপিউটি .....বিস্তারিত পড়ুন
পরম সুন্দরী
মৈত্রেয়ী চৌধুরী: চাকরির বাজার ভীষণ মন্দা। পাত্র সৃজিত এম. এস.সি পাশ করেও কোনো চাকরি পাচ্ছে না। অগত্যা পরিবারের ব্যাবসার হাল ধরেছে। পারিবারিক সূত্রে তাদের মিষ্টির বেশ বড় দোকান রয়েছে। সৃজিত পড়াশোনা তে বেশ ভালো ছাত্র ছিল। প্রতিদিন সকালে পেপারে চাকরির বিজ্ঞাপন খোঁজা তার একটি কাজ। বাবা মায়ের একমাত্র সন্তান, বয়স তো থেমে থাকবে না। বাবা মা ছেলের বিয়ে নিয়ে বেশ চিন্তিত। তারা কিছু দিনের মধ্যেই ছেলের বিয়ে দেবেন এরকম স্থির করেন। মোনালিসা ভূগোলে সদ্য এম.এ, পি. এইচ. ডি করে একই ভাবেই চাকরির খোঁজ করে যাচ্ছে। বাবা সুভাষ বাবু সরকারি .....বিস্তারিত পড়ুন
১ কোটি টাকার মানহানির মামলা প্রাক্তন CJI রঞ্জন গগৈয়ের বিরুদ্ধে
উত্তরাপথ: গুয়াহাটির একটি স্থানীয় আদালতে আসাম পাবলিক ওয়ার্কসের (এপিডব্লিউ) সভাপতি অভিজিৎ শর্মার রাজ্যসভার সাংসদ এবং ভারতের প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি (সিজেআই) রঞ্জন গগৈয়ের বিরুদ্ধে ১কোটি টাকার মানহানির মামলা করেছে। অভিজিৎ শর্মার অভিযোগ রঞ্জন গগৈ তার আত্মজীবনী জাস্টিস ফর এ জাজে তার বিরুদ্ধে বিভ্রান্তিকর এবং মানহানিকর বিবৃতি প্রকাশ করেছে । তাই তিনি প্রকাশক গগৈ এবং রুপা পাবলিকেশন্সের বিরুদ্ধে মানহানির মামলা দায়ের করেন এবং কোনও বই প্রকাশ, বিতরণ বা বিক্রি করা থেকে বিরত রাখার জন্য অন্তবর্তী .....বিস্তারিত পড়ুন