সিডনিতে লারা-টেন্ডুলকারকে বিরল সম্মান

উত্তরাপথ

অস্ট্রেলিয়া সিডনি ক্রিকেট গ্রাউন্ড অন্যরকম শ্রদ্ধা জানাল শচিন টেন্ডুলকার ও ব্রায়ান লারা এই দুই কিংবদন্তিকে। যদিও এই দুই কিংবদন্তির কেউই তাদের দেশের  নন।তবুও তাদের কৃতিত্বকে স্বীকৃতি জানান অস্ট্রেলিয়া। লারা ও টেন্ডুলকারের নামে নামকরণ করা হলো এসসিজির কয়েকটি ফটকের। সফরকারী দলের ড্রেসিং রুমের পাশের মেম্বার্স প্যাভিলিয়ন থেকে নোবল-ব্র্যাডম্যান-ম্যাসেঞ্জার স্ট্যান্ডের মাঝামাঝি ফটকগুলোর নাম এখন থেকে ‘ব্রায়ান লারা-শচিন টেন্ডুলকার গেটস’। এ বছরই ৩০ বছর পূর্ণ  হল লারার সেই বিখ্যাত ২৭৭ রানের ইনিংসটির। টেন্ডুলকারের ৫০তম জন্মদিনকে বেছে নিল ফটকগুলোর নতুন নামকরণের জন্য। অস্ট্রেলিয়ান না হলেও অস্ট্রেলিয়ায় তুমুল জনপ্রিয় লারা ও টেন্ডুলকার।

এই মাঠ ১১১ টেস্ট ও ১৬০ ওয়ানডের স্বাক্ষী এই মাঠের অন্য ফটকগুলির নামকরণ করা হয়েছে স্যার ডন ব্র্যাডম্যান, অ্যালান ডেভিডসন ও আর্থার মরিসের নামে। তারা সবাই নিউ সাউথ ওয়েলস ও অস্ট্রেলিয়ার কিংবদন্তি। লারা ও টেন্ডুলকারই এখানে ব্যতিক্রম। তবে সিডনিতে তাদেরকে সম্মানিত করার মূল কারণ এই মাঠে তাদের পারফরম্যান্স। ক্যারিয়ারের প্রথম টেস্ট সেঞ্চুরি এই মাঠেই করেছিলেন লারা। ১৯৯৩ সালের জানুয়ারিতে সেই ইনিংসকে টেনে নিয়েছিলেন তিনি ২৭৭ রান পর্যন্ত। ট্রিপল সেঞ্চুরির কাছে গিয়ে তিনি রান আউট হয়ে যান। তবে সিডনি ক্রিকেট গ্রাউন্ড তার হৃদয়ে জায়গা পেয়ে যায়। পরে লারা নিজের প্রথম সন্তানের নাম রাখেন ‘সিডনি’। এই মাঠে লারার টেস্ট গড় ৫৪.৮৫।

টেন্ডুলকারের জন্য এই মাঠ তো আরও পয়মন্ত। ২০০৪ সালে এখানেই তিনি সোয়া ১০ ঘণ্টা ব্যাটিংয়ে খেলেছিলেন ২৪১ রানের স্মরণীয় ইনিংস। এই মাঠে ৫ টেস্ট খেলে ৩ সেঞ্চুরি ও ২ অর্ধশত। এই মাঠে তার রান ৭৮৫, গড় ১৫৭। দুটি ফটকের নামফলকে দুই কিংবদন্তির রানের পরিসংখ্যানও খোদাই করা আছে।  

খবরটি শেয়ার করুণ

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন


আগামী ৩ বছরে শূন্য বর্জ্য হওয়ার পথে রাজস্থানের প্রথম গ্রাম

উত্তরাপথঃ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিভাগের একটি প্রকল্পের আওতায় আঁধি গ্রামে এই পরিবর্তন করা হচ্ছে।জয়পুর থেকে ৫০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত আন্ধি গ্রাম।আগামী তিন বছরে এই গ্রাম শূন্য বর্জ্য হয়ে যাবে বলে মনে করা হচ্ছে ।আন্ধি গ্রামের এই সম্পূর্ণ রূপান্তরটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিভাগের একটি প্রকল্পের অধীনে করা হচ্ছে।  এই প্রকল্পটি সবুজ প্রযুক্তির হস্তক্ষেপ ব্যবহার করে আন্ধি গ্রামকে জিরো ওয়েস্ট মডেলে রূপান্তরিত করার কাজ চলছে ।  এই প্রকল্পটি ২১ মার্চ ২০২২ এ শুরু হয়েছে,  প্রকল্প পরিচালক বলেন, এ গ্রামের অবস্থা আগে খুবই খারাপ ছিল।আগে এই গ্রামের লোকেদের কঠিন বর্জ্য আলাদা করার কোনও ধারনা ছিল না । .....বিস্তারিত পড়ুন

মানব-চালিত রোবট ARCHAX এর সাথে দেখা করুন

উত্তরাপথঃসাম্প্রতিক বছরগুলিতে, প্রযুক্তিগত অগ্রগতি আমাদের এক ধাপে অনেকটা এগিয়ে নিয়ে এসেছে, আজ রোবটগুলি আমাদের দৈনন্দিন জীবনের একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ। স্বয়ংক্রিয় সহকারী থেকে স্ব-ড্রাইভিং গাড়ি পর্যন্ত,সর্বত্র আজ রোবটের অবাধ উপস্থিতি। ARCHAX মানব-চালিত এই রোবট  এমনই এক উদ্ভাবন যা বিজ্ঞানী এবং সাধারণ জনগণ উভয়ের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে । অটোনোমাস রোবোটিক কম্প্যানিয়ন উইথ হিউম্যান অ্যাসিসট্যান্সের সংক্ষিপ্ত আর্ক্যাক্স, এর একটি যুগান্তকারী সৃষ্টি যা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার (AI) বুদ্ধিমত্তাকে একজন মানব অপারেটরের দক্ষতা এবং সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতার সাথে একত্রিত করে তৈরি করা হয়েছে।জাপানের Tsubame Industries ARCHAX তৈরি করেছে।এটি একটি মানুষের আকারের ককপিট সহ একটি বিশাল ট্রান্সফরমার রোবট। .....বিস্তারিত পড়ুন

ছৌশিল্পী পদ্মশ্রী নেপাল মাহতো ও বিশ্ব মঞ্চে ভারতের লোকনৃত্য

গার্গী আগরওয়ালা মাহাতোঃ আমাদের চারিদিকে বিশ্ব দ্রুত বিকশিত হচ্ছে,পরিবর্তিত হচ্ছে শিল্প সাধনার প্রকৃতি। এই পরিবর্তিত শিল্প সাধনার যুগে আমাদের সেই সমস্ত ব্যক্তিদের স্বীকৃতি দেওয়া এবং সম্মান করা অপরিহার্য যারা সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য সংরক্ষণ ও প্রচারে তাদের জীবন উৎসর্গ করেছেন। এমনই একজন উল্লেখযোগ্য ব্যক্তিত্ব হলেন ছৌশিল্পী পদ্মশ্রী নেপাল মাহতো। নেপাল মাহাতো, যার ছৌনৃত্যের জগতে  দেশে ও বিদেশে অতুলনীয় অবদান তাকে ভারতের চতুর্থ সর্বোচ্চ নাগরিক সম্মান ‘পদ্মশ্রী´এনে দিয়েছে। নেপাল মাহতোর জন্ম ১৭ জুন ১৯৫৪ সালে পশ্চিমবঙ্গের পুরুলিয়া জেলার বরাবাজার থানার আদাবনা নামে একটি ছোট গ্রামে। তার পিতা স্বর্গীয় নগেন্দ্রনাথ মাহাতো ও মাতা তুষ্ট মাহাতো। .....বিস্তারিত পড়ুন

সম্পাদকীয়

বিশ্ব উস্নায়ন এবং তাকে কেন্দ্র করে জলবায়ু পরিবর্তন একবিংশ শতাব্দীর অন্যতম বড় চ্যালেঞ্জ। এটি  ধীরে ধীরে একাধিক উপায়ে মানব সমাজকে ব্যাপকভাবে প্রভাবিত করছে এবং অদূর ভবিষ্যতে এটি প্রায় অনিয়ন্ত্রিত হয়ে যাবে বলে মনে করা হচ্ছে।ইতিমধ্যে এটি আমাদের পরিবেশ, অর্থনীতি এবং আমাদের জীবন যাত্রার উপর ব্যাপক ভাবে প্রভাব দেখাতে শুরু করেছে ।সদ্য হয়ে যাওয়া হিমাচল প্রদেশের বন্যা আমাদের সামনে বেশ কিছু প্রশ্ন তুলে দিল । এবছর হিমাচল প্রদেশে বর্ষাকালে রেকর্ড পরিমাণে বৃষ্টিপাত হয়েছে ,যা বিগত কয়েক বছরের তুলনায় বহু গুণ বেশী।  ভারতের আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, হিমাচল প্রদেশে ১ জুলাই থেকে ১২ জুলাই পর্যন্ত গড় বৃষ্টিপাত হয়েছে ২৪৯.৬ মিমি যা স্বাভাবিক গড় ৭৬.৬ মিমি থেকে প্রায় ৭০% বেশী .....বিস্তারিত পড়ুন

Scroll to Top