প্রীতি গুপ্তা


আজ আমরা আলোচনা করব তিসি বীজ সেবনের সুবিধা ও অসুবিধার দিক নিয়ে —
ফ্ল্যাক্স সিডস বা তিসি বীজকে তার গুনমানের জন্য আয়ুর্বেদ শাস্ত্রে একে গুনের ভান্ডার বলে বর্ণনা করা হয়েছে । এর রঙ বাদামী, হলুদ বা সোনালী। এই বীজ থেকে তেল বের করা হয়, যাকে তিসির তেলও বলা হয়। তিসি বীজে অনেক পুষ্টি ও খনিজ রয়েছে যেমন স্বাস্থ্যকর চর্বি, খনিজ, ভিটামিন সি, ই, কে, প্রোটিন, কার্বোহাইড্রেট, আয়রন, ফসফরাস, ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড, পটাসিয়াম, জিঙ্ক ইত্যাদি। এতে ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড বেশি পরিমাণে রয়েছে যা মস্তিষ্কের স্বাস্থ্য এবং বিকাশের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। শুধু তাই নয়, তিসি বীজে রয়েছে ফাইবার, যা ওজন কমাতে সাহায্য করে। এর ঔষধি গুণের কথা বললে, এর মধ্যে রয়েছে অ্যান্টিফাঙ্গাল, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, অ্যান্টিটিউমার, অ্যান্টিডায়াবেটিক ইত্যাদি বৈশিষ্ট্য। এতে উপস্থিত এই সমস্ত গুণাগুণ আমাদের অনেক বিপজ্জনক রোগ থেকে রক্ষা করে। এর বীজ এবং তেল নিয়মিত সেবন করলে আপনি ক্যান্সার, টিউমার, ডায়াবেটিস, ছত্রাক সংক্রমণ, উচ্চ রক্তচাপ, উচ্চ কোলেস্টেরল মাত্রা, উচ্চ রক্তে শর্করার মতো সমস্যাগুলি এড়াতে পারেন।
তিসি বীজ স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী, তবে এর অতিরিক্ত সেবনের কারণে আমাদের কিছু শারীরিক সমস্যাও হতে পারে। তিসি বীজ অত্যধিক খাওয়ার ফলে সৃষ্ট প্রধান অসুবিধাগুলি হল –
তিসি বীজ অত্যধিক সেবনের কারণে, আমাদের হজমের সমস্যা হতে পারে ।তিসিতে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার থাকায় এটি কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা দূর করে, তবে এটি অতিরিক্ত পরিমাণে খেলে ডায়রিয়া বা লুজ মোশনও হতে পারে। তিসি বীজে উপস্থিত রেচক পেটের সমস্যা যেমন ডায়রিয়া, বুকজ্বালা, বদহজমের জন্ম দিতে পারে। আপনি যদি চান যে আপনার কোন সমস্যা না হয়, তাহলে আপনি এটি কাঁচা, ভাজা তিসির বীজ বা রোস্টেড ফ্ল্যাক্স সিডের গুঁড়ো করে জল দিয়ে খেতে পারেন।আপনি যদি অতিরিক্ত পরিমাণে ফ্ল্যাক্সসিড খান, তাহলে রক্ত জমাট বাঁধার প্রক্রিয়া ধীর হতে পারে ।ফ্ল্যাক্সসিড রক্ত জমাট বাঁধার প্রক্রিয়া কমায়। এমন অবস্থায় কাটা স্থানে রক্ত প্রবাহিত হলে দ্রুত প্রবাহ বন্ধ হয় না।যারা ইতিমধ্যে রক্ত পাতলা করার ওষুধ সেবন করছেন তাদের একেবারেই খাওয়া উচিত নয়।
আরও পড়ুন
Electoral Bond এর গোপনীয়তা সরিয়ে রাজনৈতিক দলগুলিকে, জানাতে হবে প্রাপ্ত অনুদানের পরিমাণ
উত্তরাপথঃ বুধবার, নির্বাচনী বন্ড (Electoral Bond)প্রকল্পের আইনি বৈধতাকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে আবেদনের শুনানি হয়। শীর্ষ আদালত তার মন্তব্যে বলেছে, 'নির্বাচনী বন্ডগুলি রাজনৈতিক দলগুলিকে বেনামী অর্থ প্রদান করে, কারণ তাদের কেনাকাটা সম্পর্কিত রেকর্ডগুলি স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার কাছে উপলব্ধ যা শুধুমাত্র তদন্তকারী সংস্থাগুলি অ্যাক্সেস করতে পারে৷ এর আগে নির্বাচনী বন্ড’ (Electoral Bond) সংক্রান্ত মামলায় সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court) কেন্দ্র দাবি করেছিল, রাজনৈতিক দলগুলির আয়ের উৎস জানার অধিকার নেই জনতার।এবার সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে তৎপর হল নির্বাচন কমিশন (Election Commission of India)।বুধবার বিকেল ৫টার মধ্যে যাবতীয় হিসেব জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে কমিশনের তরফে।নির্বাচনী বন্ডের (Electoral Bond)মামলায় কেন্দ্রের আর্জি সত্বেও সুপ্রিম কোর্ট রাজনৈতিক দলগুলিকে আয়ের উৎস জানাতে বলেছিল। আদলত নির্দেশ দিয়েছিল, গত ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত কোন রাজনৈতিক দল কত অনুদান মিলেছে, সেই তথ্য বন্ধ খামে জানাতে হবে।এর আগেও নির্বাচনী বন্ডের বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে একাধিক মামলা হয়েছে শীর্ষ আদালতে। মামলাকারীরা অভিযোগ করেছিলেন, রাজনৈতিক দলগুলি এই নির্বাচনী বন্ডের মাধ্যমে অবৈধ অর্থ বিদেশ থেকে পেতে পারে এর ফলে গণতন্ত্র ধ্বংস হবে। যদিও কোনও রাজনৈতিক দলই এই দাবি মানতে চায়নি। ৩ অক্টোবর মামলার শুনানিতে প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়ের নেতৃত্বাধীন পাঁচ বিচারপতির বেঞ্চ নির্দেশ দেয়, আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে সব তথ্য দিতে হবে নির্বাচন কমিশনকে। এই রায়ের পরেই তৎপর হল কমিশন। .....বিস্তারিত পড়ুন
ফ্লিম রিভিউ -ওপেনহাইমার
উত্তরাপথ: বিখ্যাত চলচ্চিত্র নির্মাতা ক্রিস্টোফার নোলান দ্বারা পরিচালিত”ওপেনহাইমার” একটি মাস্টারপিস মুভি। ছবিতে জে. রবার্ট ওপেনহেইমার, এক নামকরা পদার্থবিজ্ঞানী, যিনি দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় পারমাণবিক বোমার বিকাশে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন।এই সিনেমায় ওপেনহাইমার এর জটিল জীবনকে বর্ণনা করা হয়েছে। সেই হিসেবে 'ওপেনহাইমার'কে বায়োপিক বলা যেতে পারে। কারণ এটি একজন মানুষের গল্প। এই ছবির গল্প তিনটি পর্যায়ে বিভক্ত।ছবির শুরুতে পারমাণবিক বোমা তৈরির আবেগের কথা বলা হয়েছে। যেখানে নায়ক কিছু না ভেবে নিবেদিতপ্রাণভাবে এমন একটি অস্ত্র তৈরিতে নিয়োজিত থাকে যা বিশ্বকে ধ্বংস করতে পারে। অস্ত্র তৈরি হওয়ার পর দ্বিতীয় পর্যায়ে নায়ক তার কাজের ফলাফল দেখে অপরাধবোধে পূর্ণ হয়। এবং তৃতীয় পর্যায়টি হল রাজনীতি যা ওপেনহাইমারকে মোকাবেলা করতে হয়েছে। পুরো সিনেমাটি রঙিন হলেও রাজনৈতিক অংশ সাদা-কালো রাখা হয়েছে। এই তিনটি সময়কালে যা কিছু ঘটছে, তা সবই একে অপরের সাথে সংঘর্ষে লিপ্ত। .....বিস্তারিত পড়ুন
সেলফির উচ্চ রেটিং কি আপনাকে আরওপাতলা হতে উৎসাহিত করছে ?
উত্তরাপথঃ সাম্প্রতিক একটি গবেষণায় দেখা গেছে যে সেলফি তোলা এবং নিজেকে পাতলা হিসাবে দেখানোর মধ্যে একটি সম্পর্ক থাকতে পারে। যুক্তরাজ্যের ইয়র্ক সেন্ট জন ইউনিভার্সিটির রুথ নাইট এবং ইউনিভার্সিটি অফ ইয়র্কের ক্যাথরিন প্রেস্টন সম্প্রতি PLOS ONE জার্নালে তাদের ফলাফল প্রকাশ করেছেন।সেখানে সেলফির উচ্চ রেটিং এবং আমাদের শরীরের গঠনের মধ্যে যোগসূত্র খোঁজার চেষ্টা করা হয়েছে। বর্তমান সোশ্যাল মিডিয়ায় সেলফি হল এক জনপ্রিয় ছবি দেওয়ার ধরন। যিনি সেলফি তোলেন তিনি ক্যামেরাকে তাদের শরীর থেকে দূরে রেখে নিজেই নিজের ছবি তোলে। আগের গবেষণায় বলা হয়েছে সেলফিগুলি দেখার ফলে ছবির বিষয়গুলি সম্পর্কে দর্শকদের সিদ্ধান্ত প্রভাবিত হতে পারে। .....বিস্তারিত পড়ুন
Karar Oi Lauh Kapat: কাজী নজরুলের এই গানকে ঘিরে বিতর্কে এ আর রহমান
উত্তরাপথঃ বিতর্কে 'পিপ্পা' ছবির সঙ্গীত পরিচালক অস্কারজয়ী সুরকার এ আর রহমান।সম্প্রতি কবি কাজী নজরুল ইসলামের পরিবার একটি হিন্দি ছবিতে কবির জনপ্রিয় গান 'করার ঐ লৌহ কাপাত...' (Karar Oi Lauh Kapat )।কিন্তু এ আর রহমানের সঙ্গীত পরিচালনায় ওই গানটি যেভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে তাতে আপত্তি জানিয়েছে নজরুল পরিবার।বিতর্কের পর যে চুক্তির আওতায় ওই গানটি ছবিতে ব্যবহার করা হয়েছে তা প্রকাশ্যে আনার দাবি তুলেছে কবির পরিবার।'পিপ্পা' শিরোনামের হিন্দি চলচ্চিত্রটি যেখানে (Karar Oi Lauh Kapat )গানটি ব্যবহার করা হয়েছে তা বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে অংশ নেওয়া একজন ভারতীয় সেনা সৈনিককে কেন্দ্র করে একটি সত্য ঘটনা অবলম্বনে নির্মিত। ছবির সঙ্গীত পরিচালক অস্কারজয়ী সুরকার এ আর রহমান। গানের কথা ঠিক রেখেও সুর পাল্টানোর অভিযোগে ভারত ও বাংলাদেশে বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে।কবির পরিবারের অভিযোগ, গানটি ব্যবহারের অনুমতি দিলেও সুর পরিবর্তনের অনুমতি দেওয়া হয়নি।পরিবারের সদস্যরাও ছবিটি থেকে গানটি বাদ দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন। .....বিস্তারিত পড়ুন