ভারতের প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড় রবিবার ভারত মণ্ডপে অনুষ্ঠিত জেলা বিচার বিভাগের জাতীয় সম্মেলনে মুলতুবি মামলা সংক্রান্ত মহাপরিকল্পনার কথা জানিয়েছেন। তিনি বলেন, বিচারাধীন মামলা তিন ধাপে বন্ধ করা হবে। প্রথম ধাপে জেলা পর্যায়ে মামলা পরিচালনার জন্য কমিটি গঠন করা হবে। এসব কমিটি বিচারাধীন মামলা ও রেকর্ডের অবস্থা পরীক্ষা করবে।
দ্বিতীয় ধাপে ১০ থেকে ৩০ বছরের বেশি সময় ধরে বিচারাধীন মামলা নিষ্পত্তি করা হবে। CJI বলেছেন যে তৃতীয় ধাপে, ২০২৫ সালের জানুয়ারী থেকে ২০২৫ সালের জুন পর্যন্ত দশ বছরেরও বেশি সময় ধরে বিচারাধীন মামলাগুলির শুনানি হবে। এর জন্য প্রয়োজন হবে বিভিন্ন ধরনের প্রযুক্তি ও তথ্য ব্যবস্থাপনা।প্রসঙ্গত সম্প্রতি সুপ্রিম কোর্ট প্রথমবারের মতো জাতীয় লোক আদালতের আয়োজন করেছিল। সেখানে এক হাজারের বেশি মামলা নিষ্পত্তি হয়েছে।
সিজেআই আরও বলেন যে আমাদের এই পরিস্থিতি পরিবর্তন করতে হবে আমাদের জেলা আদালতের মাত্র ৬.৭ শতাংশ অবকাঠামো নারী-বান্ধব। বর্তমান সময়ে যখন কোনো কোনো রাজ্যে নিয়োগের ৬০ শতাংশ থেকে ৭০ শতাংশ নারী, এটা কি গ্রহণযোগ্য? আমাদের অগ্রাধিকার আদালতে প্রবেশাধিকার বাড়ানো। এ জন্য আমরা পরিকাঠামো অডিট করব।।
একই সময়ে এই সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী অর্জুন রাম মেঘওয়ারও।তিনি বলেন, আমাদের তারিখের পর তারিখের সংস্কৃতি বদলাতে হবে।তিনি আরও বলেন, যে ভারতকে গণতন্ত্রের মা বলা হয় এবং সুপ্রিম কোর্টের ৭৫তম বার্ষিকী আমাদের জন্য গর্বের বিষয়। উন্নত ভারত গড়তে আমাদের সবার একই লক্ষ্য। তিনি আরও বলেন, একটি ভালো বিচার ব্যবস্থা থাকাও খুবই গুরুত্বপূর্ণ। শুধু তাই নয়, ডেটিংয়ের পুরনো সংস্কৃতি পরিবর্তনের সংকল্প করা আমাদের দায়িত্ব বলেও জানান তিনি।
এই সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী মোদি বলেছিলেন যে নারী ও শিশুদের বিরুদ্ধে অপরাধ বৃদ্ধি একটি গুরুতর উদ্বেগের বিষয়। তিনি জেলা আদালতের বিচারকদের কাছে এই মামলাগুলি যত তাড়াতাড়ি সম্ভব নিষ্পত্তি করার জন্য আবেদন করেছেন, যাতে নারী এবং সমগ্র সমাজের মধ্যে নিরাপত্তা বোধ তৈরি হয়। একই সময়ে, সুপ্রিম কোর্টের ৭৫ বছর পূর্ণ হওয়ায় প্রধানমন্ত্রী মোদী বলেছিলেন যে এটি কেবল একটি প্রতিষ্ঠানের যাত্রা নয়। এটি ভারতের সংবিধান এবং সাংবিধানিক মূল্যবোধের যাত্রা। গণতান্ত্রিক দেশ হিসেবে ভারতের আরও পরিণত হওয়ার এই যাত্রা।
আরও পড়ুন
সময়
অনসূয়া পাঠক: একটি বেসরকারি ব্যাঙ্কের জেনারেল ম্যানেজার সবুজ বোস। রাজারহাট নিউটাউনের একটি বহুতল আবাসনে স্ত্রী ও দুই সন্তান নিয়ে সুখী জীবন তার। কাজের বাইরে উনার নেশা বলতে নামীদামী পুরানো মডেলের হাত ঘড়ি কালেকশন। এই বিষয়ে তাঁর সংগ্রহশালাটি রীতিমতো চমকে দেবার মতো। তিনি যে বিদেশী মডেলের রিস্ট ওয়াচটি সবচেয়ে বেশী ব্যাবহার করেন সেটা হঠাৎই একদিন খারাপ হয়ে যাওয়াতে পার্শ্ববর্তী করিম চাচার ঘড়ির দোকানে তিনি যান। এবং আশ্চর্যজনক ভাবে দোকানের শো কেসে তাঁর নজর আটকে যায় জার্মানি মডেলের একটি পুরানো ঘড়ির দিকে। এই .....বিস্তারিত পড়ুন
পশ্চিমবঙ্গে 'দ্য কেরালা স্টোরি'সিনেমাটির ভাগ্য সুপ্রিম কোর্টের হাতে
উত্তরাপথ: 'দ্য কেরালা স্টোরি' সিনেমাটি পশ্চিমবঙ্গে নিষিদ্ধ হওয়ায় সিনেমাটির সিনেমার নির্মাতারা বাংলার নিষেধাজ্ঞাকে সুপ্রিম কোর্টে চ্যালেঞ্জ করেছিলেন। তাদের দাবী ছিল নিষেধাজ্ঞার ফলে প্রতিদিন তাদের আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হতে হচ্ছে । নির্মাতাদের আবেদনের ভিত্তিতে সুপ্রিম কোর্ট আজ 'দ্য কেরালা স্টোরি' সিনেমাটি পশ্চিমবঙ্গে নিষিদ্ধ হওয়ার পিছনে যুক্তি জানতে চেয়েছে । প্রধান বিচারপতির একটি বেঞ্চ পর্যবেক্ষণ করেছে, যখন এটি কোনও সমস্যা ছাড়াই সারা দেশে চলছে।পশ্চিমবঙ্গের সিনেমাটি কেন নিষিদ্ধ করা উচিত? এটি একই রকম জনসংখ্যার সংমিশ্রণ রয়েছে এম .....বিস্তারিত পড়ুন
কৃষ্ণগহ্বরের "ছায়া" ও "ছবি"
ড. সায়ন বসু: ১৭৮৩ সালে ভূতত্ত্ববিদ জন মিচেল (John Michell) ‘ডার্ক স্টার’ (dark stars) শিরোনামে একটি গবেষণা নিবন্ধ প্রকাশ করেন। তার গবেষণা পত্রের বিষয়বস্তু ছিল "বিপুল পরিমাণ ভর বিশিষ্ট কোন বস্তু যার মহাকর্ষের প্রভাবে আলোক তরঙ্গ পর্যন্ত পালাতে পারে না"। এখান থেকেই মূলত কৃষ্ণগহ্বরের (Black Hole) ধারণা আসে এবং এটি নিয়ে গবেষনা ও অনুসন্ধান শুরু হয়। পরবর্তিতে অবশ্য এটি বিজ্ঞান মহলে একটি অযৌক্তিক তত্ত্ব হিসেবে বেশ অবহেলার স্বীকার হয়। আলোর মত কোন কিছু বেরিয়ে আসতে পারবে না এমন একটি তত্ত্ব বিজ্ঞানীদের কাছে বেশ অযৌক্তিক মনে হয়েছিল। তাই ধীরে ধীরে থেমে যায় কৃষ্ণগহ্বর নিয়ে গবেষনা। .....বিস্তারিত পড়ুন
আগামী ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে কি সলমন খানকেও দেখা যাবে কলকাতায় ?
উত্তরাপথ: একেই বলে রথ দেখা কলা বেচা। এলেন ইস্ট বেঙ্গল ক্লাবের শতবর্ষ উদযাপনের অনুষ্ঠানে যোগ দিতে,আর বাড়তি পাওনা হিসেবে পেয়ে গেলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সাথে একান্ত সাক্ষাতের সুযোগ। কালো টয়োটা এসইউভি ডব্লিউবি০২এএন৬৬৪৯ গাড়িতে করে বিকেল ৪টে ২০ মিনিটে পৌঁছেযান মুখ্যমন্ত্রীর কালীঘাটের বাড়িতে। অবশ্য রাস্তায় উপচে পড়া ভিড়ের জন্য দু'বার দাঁড়াতে হয়েছিল গাড়িতে থাকা সুপারস্টারকে। পুলিশি নিরাপত্তার ঘেরাটোপে মুখ্যমন্ত্রীর বাড়িতে ঢোকে সলমন খান। আগেই নিজের টালির চালার বাড়ির সামনে আটপৌড়ে শাড়িতে অপেক্ষায় .....বিস্তারিত পড়ুন