ড. নিমাইকৃষ্ণ মাহাতো


প্রবাদে ব্যঙ্গ আসে মূলত স্বভাব সংশোধনের প্রয়োজনে। অনেক সময় সমাজ সমালোচনা ব্যঙ্গাত্মক প্রবাদের উদ্দেশ্য হয়। মানভূমের কৃষক সমাজেও এই ধরনের ব্যঙ্গাত্মক প্রবাদ লক্ষ্য করা যায়। যেমন –
বাপের কালে নাইকো চাষ,
ধানকে বলে দুর্বা ঘাস।
এখানে কৃষিকাজ সম্পর্কে অনভিজ্ঞ ব্যক্তিদের চরম ব্যঙ্গ করে বলা হয়েছে যে, তারা কৃষিজ ফসলের অন্যতম প্রধান ধান গাছকেও দুর্বা ঘাস বলে মনে করে। প্রবাদটিতে ঘুরিয়ে বলা হয়েছে যে, কৃষকেরাই কৃষিসংক্রান্ত বিষয়গুলি ভালোভাবে বুঝতে পারে এবং কৃষিকাজ দক্ষতার সঙ্গে সম্পন্ন করতে পারে।
প্রবাদটির বাস্তব সমাজজীবনে প্রাসঙ্গিকতা
বাস্তব সমাজজীবনে দেখা যায়, অনেক ব্যক্তি আছেন যাঁরা যে বিষয়ে অনভিজ্ঞ সেই বিষয়ে এমন কিছু বলেন বা ধারণা পোষণ করেন যা মূল বিষয় থেকে সম্পূর্ণ ভিন্ন। অনভিজ্ঞ ব্যক্তিদের সংশ্লিষ্ট বিষয়ে মন্তব্য করতে যাওয়া বা মতামত দেওয়ার প্রবণতাকে আলোচ্য প্রবাদটিতে তীব্র ব্যঙ্গ করা হয়েছে।
শ্রাবণে জ্বরে অঘ্রানে ঘরে,
সে পুত হয়ে কেনে না মরে।
শব্দার্থ : ঘরে – এখানে ‘ঘরে’ বলতে নিষ্কর্মা হয়ে বাড়িতে বসে থাকাকে বোঝানো হয়েছে।
পুত – পুত্র । এখানে ‘পুত’ বলতে মূলত চাষিকে বোঝানো হয়েছে।
ব্যাখ্যা : কৃষকদের জীবন জীবিকায় শ্রাবণ ও অগ্রহায়ণ মাস অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ সময়। পুরুলিয়া জেলা ও তৎসংলগ্ন অঞ্চলে ধান চাষ হিসাবে মূলত আমন ধানের চাষই করা হয়। এই আমন ধান রোপণের উৎকৃষ্ট সময় হলো শ্রাবণ মাস। তাই, শ্রাবণ মাসে কোন চাষি যদি শারীরিক অসুস্থতার কারণে বা কোন অজুহাতে ঘরে বসে অলস নিষ্কর্মার জীবন যাপন করে তাহলে তার চাষের কাজে বিঘ্ন ঘটে এবং আগামী দিনগুলি ফসল প্রাপ্তির অভাবে হেতু কষ্টকর হয়ে ওঠে।
অনুরূপভাবে, অগ্রহায়ণ মাসে আমন ধান কাটার সময় কোন চাষি যদি ফসল কাটার কাজে নিযুক্ত না থেকে বাড়িতে অলসভাবে জীবন কাটায়, তাহলে সেই চাষির জীবনও অভাব ও দারিদ্র্যের আঘাতে জর্জরিত হয়। তখন যেন তার বেঁচে থাকাই নিরর্থক হয়ে যায়। সেই পরিস্থিতিতে, এরকম অলস চাষির বেঁচে থাকার নৈতিক অধিকারও যেন থাকে না।
আলোচ্য প্রবাদটির প্রাসঙ্গিকতা কৃষক সমাজের মধ্যেই গভীরভাবে দেখা যায়। কঠিন কৃষকজীবনে অবসর খুব কম। তাই, নির্দয় হলেও এই সত্য মেনে নেওয়া দরকার যে কাজের সময় ঘরে বসে থাকার চেয়ে মৃত্যুই শ্রেয়।
শুবার সময় রুবার কথা ,
কোন ক্ষেতটা হবেক কাদা ?
শব্দার্থ : শুবার সময় – ‘শুবার সময়’ বলতে এখানে রাত্রিতে ঘুমোবার সময়কে বোঝানো হয়েছে। রুবার – রোপণ করার।
ব্যাখ্যা : কৃষিকাজে সঠিক সময়ে সঠিক পরিকল্পনা ও ভাবনা-চিন্তার বিশেষ প্রয়োজন হয়। কৃষকেরা অনুকূল সময়ে এই ভাবনাচিন্তা বা পরিকল্পনা করেন। কৃষিকাজ দিনের বেলা হয়। চাষিরা সারাদিন পরিশ্রম করে ক্লান্ত হয়ে পড়ে। তাই, রাত্রিতে ঘুমোবার সময় তারা দ্রুত ঘুমে আচ্ছন্ন হয়ে পড়ে। সুতরাং, ঘুমোবার সময় পরবর্তী দিনের চাষের কাজের পরিকল্পনা করা চাষির কাছে কখনোই অনুকূল সময় নয়। বরং এই আলোচনা তার কাছে সেই সময় নিরর্থক।
সুতরাং আলোচ্য প্রবাদটিতে পরোক্ষভাবে বলা হয়েছে চাষের কাজে সঠিক সময়ে সঠিক পরিকল্পনা প্রয়োজন। কৃষকের বাস্তব জীবনে সময় পরিকল্পনাকে আলোচ্য প্রবাদে সুন্দরভাবে তুলে ধরা হয়েছে। এই বিশ্বাসে বিশ্বাসী কৃষকেরা শ্রমের ক্লান্তি মেটানোর সময় বা ঘুমের সময় ব্যাঘাত ঘটবে না। এতে পরবর্তী দিনের জন্য কৃষক শারীরিক ক্ষমতাকে সম্পূর্ণভাবে অর্জন করতে পারে।
বাপের কালে চাষ নাই, বেনামুড়ে জিহুড় ।
শব্দার্থ : জিহুড় – মূলত পুরুলিয়া জেলা ও তৎসংলগ্ন অঞ্চলের কৃষক সমাজে আশ্বিন মাসের সংক্রান্তির দিনটিকে ‘ জিহুড় ‘ বলা হয়। ধান গাছকে আসন্ন প্রসবা লক্ষ্মী মনে করে কৃষকেরা ওই দিন ‘স্বাদ অন্ন’ অনুষ্ঠান করে থাকে।
ব্যাখ্যা : কৃষক সমাজে ধান গাছকে লক্ষ্মী স্বরূপা বলে গণ্য করা হয় । আশ্বিন মাসের শেষ দিকে ধান গাছে ( আমন ধান ) থোড় (ধানের শীষ ) আসতে শুরু করে। মূলত পুরুলিয়া জেলা ও তৎসংলগ্ন অঞ্চলের কৃষক সমাজে আশ্বিন মাসের সংক্রান্তির দিনটিকে জিহুড় বলা হয়। ওই দিন এই অঞ্চলের কৃষকেরা ধান গাছকে আসন্ন প্রসবা লক্ষ্মী মনে করে বিশেষ আচার অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে স্বাদ-ভক্ষণ করায়। জিহুড় হলো এখানকার কৃষক সমাজে প্রচলিত একটি গুরুত্বপূর্ণ কৃষিকেন্দ্রিক আচার অনুষ্ঠান।
কিন্তু যাদের চাষবাস নেই তাদের কাছে জিহুড়ের আচার-অনুষ্ঠান গুরুত্বহীন। আলোচ্য প্রবাদটিতে কিছুটা ব্যঙ্গাত্মক ভঙ্গিতেই বলা হয়েছে যাদের চাষবাস নেই তারা যেন ধান গাছের পরিবর্তে বেনা ঘাসের উপরেই জিহুড়ের অনুষ্ঠান করেন অর্থাৎ তাদের কাছে জিহুড়ের অনুষ্ঠান যে নিরর্থক- সে কথায় এখানে বলা হয়েছে।
সমাজে ব্রাহ্মণ শ্রেণীকে তার কৃষিকাজে অনভিজ্ঞতা ও কুড়েমির জন্য প্রবাদে ব্যঙ্গ করা হয়েছে। যেমন –
ক ) বামুন চাষা, বতর নাশা।
( শব্দার্থ : বতর – অনুকূল অবস্থা, সুযোগ )
খ ) বামুন ঘরের আঁইড়া গরু ।
এই প্রবাদ গুলিতে যেমন একদিকে বামুন চাষার অলস ও শ্রমবিমুখ জীবনযাপনকে ব্যঙ্গবিদ্ধ করা হয়েছে, অন্যদিকে তেমনি বামুন চাষার আঁইড়া গরুর নিষ্কর্মা জীবনের কথাও তুলে ধরা হয়েছে। এইভাবে সমাজের কোন বিশেষ শ্রেণী সম্পর্কে একটি বিশেষ ধারণা কৃষক সমাজের মধ্যে গড়ে ওঠে।
এই ধরনের ব্যঙ্গাত্মক প্রবাদগুলি কাউকে ব্যক্তিগত আক্রমণের জন্য রচিত হয়নি। এগুলি প্রচলিত হয়েছে মূলত সমাজ সংশোধনের জন্য এবং ব্যক্তি চরিত্রের স্বভাব সংশোধনের জন্য। এখানেই এগুলির গুরুত্ব।
এই লেখকের অন্যান্য প্রবন্ধ: লিরন মাসে (বৈশাখ ও জ্যৈষ্ঠ মাস) মানভূমের লোক- পার্বণ, মানভূমে প্রচলিত কৃষিপদ্ধতি সংক্রান্ত প্রবাদ, মানভূমে প্রচলিত রাত কহনি ।
আরও পড়ুন
সহযাত্রী
দীপা - আর তো এগারো বছর আটমাস বারোদিন চাকরি , তাই না ? অংশু - বাপরে বরাবরই তোমার স্মৃতিশক্তি প্রবল , এতোটা মনে আছে ? দীপা- ঘোরো টো টো করে আর কটা বছর , আফটার রিটায়ার্ড মেন্ট কি করবে ? অংশু - ফার্ম হাউস ,গাছপালা পশুপাখি নিয়ে থাকবো। দীপা- বাঃ উন্নতি হয়েছে। যে অংশুবাবু কখনও একটা ফুলের চারা লাগায়নি সে কিনা ফার্ম হাউস করবে … অংশু - সময়ের সাথে সব বদলায় ম্যাডাম , আচ্ছা তোমার কনুইয়ের নীচে সেই পোড়া দাগটা দেখি তো গেছে কিনা … দীপা- তুমি অনেক রোগা হয়ে গেছো , তা ওজন কত শুনি ? অংশু - সত্তর বাহাত্তর হবে বোধহয় মাপিনি, দীপা - তা কেনো মাপবে ? একটা অগোছালো মানুষ। অংশু - যাক বাবা তাও অপদার্থ শব্দ টা বলোনি। দীপা - ভাবোনা ডিভোর্স হয়েছে বলে সে অধিকার নেই। সমাজ বিজ্ঞানের অধ্যাপক হয়েও আসলে সমাজটাই শেখোনি , আর কি শিখেছো বলো, ঐ ছেলে পড়ানো , সেমিনার আর লেখালেখি। তা ধন্যবাদ তোমার রূপালী ঠৌট উপন্যাস এবছর একাডেমি পেলো , দারুণ লেখো তুমি, আগের চেয়ে অনেক ধার। অংশু- বাঃ তুমি পড়েছো ? দীপা- সব পড়েছি , তোমার রিসেন্ট উপন্যাসের নায়িকা মেঘনা টি কে ? মানে কার আড়ালে কাকে লিখেছো ? অংশু - এও কি বাংলা সাহিত্যের অধ্যাপিকাকে বলে দিতে হবে ? দীপা- বারোটা বছর সময়ের শাসনে অনেক বদলালেও আমি বোধহয় সেই বড্ড সেকেলেই রয়ে গেলাম। অংশু - একা একাই কাটিয়ে দিলে বারো বছর। দীপা- একই প্রশ্ন আমিও করতে পারি। অংশু - আচ্ছা দীপা আজ না হয় শেষবারের মতো বলি, আমার মধ্যে কি ছিলো না বলোতো ? কেনো পারোনি এই বাউন্ডুলে ভবঘুরে মানুষটার সাথে চিরকালের ঘর বাঁধতে ? আমি কি ভালোবাসতে জানি না ? .....বিস্তারিত পড়ুন
Fructose: নতুন গবেষণায় ফ্রুক্টোজকে স্থূলতার কারণ বলা হয়েছে
উত্তরাপথঃ একটি সাম্প্রতিক গবেষণায় জোরালো প্রমাণ দেওয়া হয়েছে যে ফ্রুক্টোজ (Fructose), সাধারণত প্রক্রিয়াজাত খাবার এবং পানীয়গুলিতে থাকা এক ধরনের চিনি, যা স্থূলতার প্রাথমিক চালক। বছরের পর বছর ধরে, পুষ্টি বিশেষজ্ঞরা , পাশ্চাত্য খাদ্যে, স্থূলতার মূল কারণ নিয়ে বিতর্ক করেছেন, কেউ কেউ অত্যধিক ক্যালোরি গ্রহণের দিকে ইঙ্গিত করেছেন, অন্যরা কার্বোহাইড্রেট বা চর্বি জাতীয় খাবারকে দায়ী করেছেন। Obesity জার্নালে সাম্প্রতিক একটি গবেষণাপত্রে ফ্রুক্টোজকে স্থূলতার প্রকৃত চালক হিসাবে বর্ণনা করা হয়েছে।The University of Colorado Anschutz Medical Campus এর Dr. Richard Johnson এবং তার দলের মতে, ফ্রুক্টোজ হল একটি সাধারণ চিনি যা ফল এবং মধুর প্রাথমিক পুষ্টি। .....বিস্তারিত পড়ুন
Vijay Stambh : চিতোরগড় দুর্গে বিজয় স্তম্ভ হিন্দু – মুসলিম সহাবস্থানের প্রতীক
উত্তরাপথঃ খ্রিস্টীয় ৭ম শতাব্দীতে মৌর্য রাজবংশ কর্তৃক স্থাপিত চিতোরগড় দুর্গ সাহস ও আত্মত্যাগের প্রতীক হিসেবে আজও দাঁড়িয়ে আছে। এই দুর্গ তার বিশাল কাঠামো, রাজপ্রাসাদ, একাধিক সুদৃশ্য মন্দির সহ সুন্দর জলাশয়ের জন্য বিখ্যাত।৭০০-একর এলাকা জুড়ে বিস্তৃত, এই দুর্গটিতে প্রায় ৬৫টি ঐতিহাসিক স্থাপত্য নিদর্শন রয়েছে যা রাজপুত এবং ইসলামিক স্থাপত্য শৈলীর সূক্ষ্মতার প্রমান দেয়। বিজয় স্তম্ভ (Vijay Stambh)) হল এই দুর্গে অবস্থিত,সবচেয়ে মনোমুগ্ধকর কাঠামো।এই আশ্চর্য-অনুপ্রেরণামূলক স্তম্ভটি কেবল তার উচ্চতার জন্য বিখ্যাত নয়,এটি রাজপুতদের অদম্য সাহস এবং অধ্যবসায়ের গল্পও বলে যা চিতোরগড় দুর্গেরই সমার্থক হয়ে উঠেছে।বিজয় স্তম্ভ (Vijay Stambh), নাম থেকে বোঝা যায়, বিজয়ের প্রতীক। প্রাচীনকালে যে কোনো যুদ্ধ অভিযানের সাফল্যের পর সেই বিজয়কে স্মরণীয় করে রাখতে রাজারা মন্দির, স্তূপ, স্মৃতিস্তম্ভ ও স্তম্ভ নির্মাণ করতেন। ৯ তলা এই বিজয় স্তম্ভটি ১৯৪০ থেকে ১৪৪৮ সালের মধ্যে মহারানা কুম্ভ দ্বারা নির্মিত হয়েছিল। .....বিস্তারিত পড়ুন
Bandna Festival: ছোটনাগপুরের বিস্তীর্ণ অঞ্চল পাঁচ দিন বাঁদনার আমেজে মশগুল থাকে
বলরাম মাহাতোঃ চিরাচরিত রীতি অনুযায়ী কার্তিক অমাবস্যার আগের দিন থেকে মোট পাঁচ দিন ব্যাপী বাঁদনার(Bandna Festival) আমেজে মশগুল থাকে ছোটনাগপুরের বিস্তীর্ণ অঞ্চল। অবশ্য, পরবের শুভ সূচনা হয় তারও কয়েকদিন আগে। আদিবাসী সম্প্রদায়ের সামাজিক শাসন ব্যবস্থার চূড়ামণি হিসাবে গাঁয়ের মাহাতো, লায়া, দেহরি কিম্বা বয়োজ্যেষ্ঠ ব্যক্তি নির্ধারণ করেন- ৩, ৫, ৭ বা ৯ ক’দিন ধরে গবাদি পশুর শিং-এ তেল মাখাবে গৃহস্বামী! রুখামাটির দেশের লোকেরা কোনোকালেই মাছের তেলে মাছ ভাজা তত্ত্বের অনুসারী নয়। তাই তারা গোরুর শিং-এ অন্য তেলের পরিবর্তে কচড়া তেল মাখানোয় বিশ্বাসী। কারণ কচড়া তেল প্রস্তুত করতে গোধনকে খাটাতে হয় না যে! কচড়া তেলের অপ্রতুলতার কারণে বর্তমানে সরষের তেল ব্যবহৃত হলেও, কচড়া তেলের ধারণাটি যে কৃষিজীবী মানুষের গবাদি পশুর প্রতি প্রেমের দ্যোতক, তা বলাই বাহুল্য! এভাবেই রাঢ বঙ্গে গোবর নিকানো উঠোনে হাজির হয়- ঘাওয়া, অমাবস্যা, গরইয়া, বুঢ়ি বাঁদনা ও গুঁড়ি বাঁদনার উৎসবমুখর দিনগুলি। পঞ্চদিবসে তেল দেওয়া, গঠ পূজা, কাঁচি দুয়ারি, জাগান, গহাইল পূজা, চুমান, চউক পুরা, নিমছান, গোরু খুঁটা, কাঁটা কাঢ়া প্রভৃতি ১১টি প্রধান পর্ব সহ মোট ১৬টি লোকাচারের মাধ্যমে উদযাপিত হয় বাঁদনা পরব(Bandna Festival )। .....বিস্তারিত পড়ুন