পৌরাণিক গল্প: দর্শন মাত্রই উপেক্ষা করা উচিত নয় ………

মৈত্রেয়ী চৌধুরী

প্রাচীন কালে গাধি নামে এক রাজা ছিলেন। তাঁর একমাত্র কন্যা ছিলেন সত্যবতী।  সত্যবতীর সৌন্দর্যের চর্চা সর্বত্র প্রচলিত ছিল।সত্যবতী নিষ্ঠা সহকারে দেবতাদের পুজা করতেন। প্রত্যেকদিন ফুল তোলার জন্য সখীদের সঙ্গে অরণ্যে গমন করতেন। একদিন সখীদের সাথে অরণ্যে সত্যবতীকে ঋচিক নামে কোনোএক ভৃগু কুলের মুনি প্রথম তাকে দেখলেন। তাঁর সৌন্দর্য মুনিকে এতোটাই আকৃষ্ট করলো যে ঋচিক মুনি স্বয়ং রাজা গাধির নিকট  রাজকন্যা সত্যবতীর সঙ্গে পরিণয় বন্ধনে আবদ্ধ হওয়ার ইচ্ছা পোষণ করেন। মুনির এই  কথায় রাজা বিস্মিত । মুনিকে কন্যা দানে রাজা অনিচ্ছুক।

 তিনি চিন্তা করলেন— ইনি মুনি, অরণ্যবাসী। রাজকন্যা আমার সন্তান, সে কিভাবে অরণ্যে এই মুনির সাথে জীবন অতিবাহিত করবে? কিন্তু মুনির এই প্রার্থনা সরাসরি তিরস্কার করাও সম্ভব নয়।  বাইরে থেকে দেখে মুনিকে অত্যন্ত সাধারণ বলেই মনে হচ্ছে। অতএব এমন এক কার্য করার কথা বলা যাক,যা তাঁর পক্ষে সম্ভব নয়।

এইভাবে রাজা মুনিকে বললেন—- আমাদের কুশ বংশে একটি বিশিষ্ট বরপরীক্ষা রীতি প্রচলিত আছে। যে একসাথে কৃষ্ণকর্ণ বিশিষ্ট এক হাজার ঘোরা এনে দিতে পারবে ন, একমাত্র তাঁর সাথে ই আমি কন্যার বিয়ে দিতে পারবো।

মুনি রাজার ইচ্ছে বুঝতে পারলেন। তিনি বরুণদেবকে প্রসন্ন করার  জন্য কঠোর তপস্যায় রত হলেন। তপস্যায় সন্তুষ্ট বরুণদেব ঋচীকের সম্মুখীন হলেন।

ঋচীক মুনি পুরুস্কার স্বরূপ এক হাজার কৃষ্ণকর্ণ বিশিষ্ট ঘোড়া প্রার্থনা করলেন।বরুণদেব তাই দান করলেন।  মুনি অশ্বগুলো সহ রাজার নিকট উপস্থিত হলেন। রাজা নিজ বচনে আবদ্ধ হয়ে বাধ্য হলেন  মুনির সাথে নিজ পুত্রীর যথাযোগ্য নিয়ম পূর্বক বিবাহ কার্য সম্পন্ন করতে।

রাজপ্রাসাদে পালিতা কন্যা আশ্রমে কিভাবে থাকবে? রাজা সে কথা ভেবে ব্যাকুল হলে মুনি বলেন, স্বামীর স্থান কন্যার শ্রেষ্ঠ স্থান। রাজা আপনি চিন্তা করবেন না, আপনার সন্তানের কোনো অসুবিধা হবে না।ল খুলছে বৃহস্পতিবার, পঞ্চায়েত ভোটে সহযোগিতার জন্য প্রধানশিক্ষকদের চিঠি

গরমের ছুটি শেষ। বৃহস্পতিবার খুলে যাচ্ছে রাজ্যের সব সরকারি স্কুল। স্কুল খোলার আগে জেলা শিক্ষা আধিকারিক (ডিআই)-দের পাঠানো বিজ্ঞপ্তির একটি অংশ নিয়ে আপত্তি তুলেছে বিভিন্ন তৃণমূল বিরোধী শিক্ষক সংগঠন। বিজ্ঞপ্তির ওই অংশে প্রধানশিক্ষকদের অনুরোধ করা হয়েছে পঞ্চায়েত ভোটে সহযোগিতা করার জন্য। সরকারপন্থী শিক্ষক সংগঠন অবশ্য এতে আপত্তির কিছু দেখছে না।

২ মে থেকে শুরু হয়েছিল গরমের ছুটি। গত সপ্তাহে স্কুল খোলার বিজ্ঞপ্তি জারি করে রাজ্য শিক্ষা দফতর। খোলার আগে স্কুলকে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করে রাখা, মিড ডে মিল পরিষেবা চালুর প্রস্তুতি-সহ বিভিন্ন নির্দেশ বা পরামর্শ ছিল সেই বিজ্ঞপ্তিতে। সেই বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের পর পরই রাজ্যে পঞ্চায়েত ভোট ঘোষণা হয়। তার পর, জেলা শিক্ষা আধিকারিকদের দফতর থেকে আর একটি নির্দেশমালা পাঠানো হয় স্কুলের প্রধানশিক্ষকদের। সেখানে স্কুল খোলা সংক্রান্ত একগুচ্ছ নির্দেশের শেষে, প্রধানশিক্ষকদের অনুরোধ করা হয়েছে ২০২৩ সালের পঞ্চায়েত ভোটের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে সহযোগিতা করতে।

খবরটি শেয়ার করুণ

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন


কানারা ব্যাঙ্কের উপর ২.৯২ কোটি জরিমানা করল আরবিআই

উত্তরাপথ: সম্প্রতি ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাঙ্ক বিভিন্ন নিয়ম লঙ্ঘনের জন্য কানারা ব্যাঙ্কের উপর ২.৯২ কোটি টাকা জরিমানা করেছে। ২০২০ সালের জুলাই মাসে আরবিআই দ্বারা ব্যাঙ্কের একটি স্ক্রুটিনি করা হয়েছিল,তাতে যাচাই-বাছাইয়ের পরে, আরবিআই দেখতে পেয়েছে যে ব্যাঙ্ক ফ্লোটিং রেট খুচরা ঋণ এবং এমএসএমই-কে ঋণের সুদকে একটি বাহ্যিক বেঞ্চমার্কের সাথে সংযুক্ত করতে কানারা ব্যাঙ্ক ব্যর্থ হয়েছে এবং ২০২০-২১ আর্থিক বছরে অনুমোদিত ও পুনর্নবীকরণকৃত ফ্লোটিং রেট রুপি ঋণের সুদকে তার প্রান্তিক খরচের সাথে সংযুক্ত করতে ব্যর্থ হয়েছে।আরবিআই বলেছে, অযোগ্য সংস্থার নামে বেশ .....বিস্তারিত পড়ুন

৩৬ হাজার প্রাথমিক শিক্ষকের চাকরি বাতিল: হাইকোর্ট ও পর্ষদের টানাপড়েন অব্যাহত   

উত্তরাপথ: সম্প্রতি কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের প্রাথমিকের ৩৬ হাজার শিক্ষকের চাকরি বাতিলের নির্দেশ দিয়েছে আর তাই নিয়ে শুরু হয়েছে যুক্তি ও পাল্টা যুক্তির খেলা। বিচারপতির বক্তব্য পশ্চিমবঙ্গের এই প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক নিয়োগের সময় এই শিক্ষকেরা অপ্রশিক্ষিত ছিলেন আর এই 'অপ্রশিক্ষিত প্রাথমিক শিক্ষকদের' নিয়োগ করা হয়েছিল পশ্চিমবঙ্গের সরকারী পৃষ্ঠপোষকতা এবং সাহায্যপ্রাপ্ত বিদ্যালয়ে। এই পদ্ধতির ত্রুটির কারণে এই শিক্ষকদের নিয়োগ বাতিল করা হল। .....বিস্তারিত পড়ুন

সম্পাদকীয়

এ যেন বহুদিন পর বিজেপির চেনা ছন্দের পতন। হিমাচল প্রদেশের পর কর্ণাটক কংগ্রেস নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে বিজেপির বিজয়রথকে থামিয়ে দিল ।২০১৮ পর থেকে লাগাতার হারতে থাকা একটি দল আবার ২০২৪ সাধারণ নির্বাচনে প্রাসঙ্গিক হয়ে গেল । ২২৪ সদস্যের কর্ণাটক বিধানসভায় সরকার গঠন করতে গেলে প্রয়োজন ১১৩টি আসন সেখানে কংগ্রেস একাই পেয়েছে ১৩৬টি আসন, বিজেপি পেয়েছে ৬৫ টি এবং প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী দেবগৌড়ার জেডিএস পেয়েছে ১৯টি এবং অন্যান্য ৪ টি আসন পেয়েছে। যা গতবারের তুলনায় বিজেপির ৩৯ টি আসন কমেছে এবং কংগ্রেসের বেড়েছে ৫৭টি আসন এবং জেডিএসের কমেছে ১৮ টি আসন।   কর্ণাটকে কংগ্রেসের এই সাফল্য কি রাজ্যে কংগ্রেসের শক্তিশালী সংগঠনের ফল না কি কর্ণাটকের আগের ক্ষমতাশীল বিজেপি সরকারের বিরুদ্ধে মানুষের ক্ষোভ । কর্ণাটকে কংগ্রেসে অনেক বড় নেতা রয়েছে।  প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি শিবকুমার দক্ষ সংগঠক। আগের মুখ্যমন্ত্রী সিদ্ধারামাইয়ার ব্যাপক জনভিত্তি রয়েছে।  ভোটের আগে বিজেপির প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী জগদীশ শেট্টার এবং উপমুখ্যমন্ত্রী সাভাড়ি কংগ্রেসে যোগ দিয়ে নির্বাচনে লড়েছেন। অন্যদিকে বিজেপির প্রচারের সবচেয়ে বড় মুখ ছিলেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। বিজেপির প্রচারে সব নেতারাই মোদীর নাম করেই ভোট চেয়েছিলেন কিন্তু শেষ রক্ষা হল না ।কর্ণাটকের বিজেপি সরকারের ব্যাপক দুর্নীতি সেই সাথে কংগ্রেসের লাগাতার প্রচার যা প্রতিষ্ঠান বিরোধিতার সুরকে আরও তীব্র করেছে। তাই শুধুমাত্র মোদী ম্যাজিকের উপর ভর করে নির্বাচন জেতা যে  আর বিজেপির পক্ষে সম্ভব নয় কর্ণাটকের জনগণ চোখে হাত দিয়ে তাই দেখিয়ে দিল। .....বিস্তারিত পড়ুন

Scroll to Top