উত্তরাপথ
ছবি সৌজন্যে:টুইটার
জাপানে ইন্টারন্যাশনাল ইউএফও ল্যাব, অজানা উড়ন্ত বস্তুর তদন্তের জন্য নিবেদিত একটি সংস্থা। তাঁরা সম্প্রতি ছয়টি ফটোগ্রাফ এবং ভিডিও প্রকাশ করেছে যা গ্রুপটি বিশ্বাস করে যে সত্যিকারের ইউএফও থাকার সম্ভাবনা রয়েছে ।
ফুকুশিমা শহর ভিত্তিক সংস্থা শনিবার ফুকুশিমার ইউএফও ফুরাই-কান হলে বিশ্ব ইউএফও দিবস বা বিশ্ব ইউএফও দিবসে এই ঘোষণা করে। ২৪ জুনকে ইউএফও দিবস বলা হয় কারণ সেই দিনটিতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে প্রথম UFO প্রত্যক্ষ করা গিয়েছিল।
গ্রুপটি বলেছে যে তারা গত এক বছরে জাপান এবং বিদেশের লোকদের কাছ থেকে প্রাপ্ত মোট ৪৯৪টি প্রতিবেদন পরীক্ষা করেছে।প্রাপ্ত প্রতিবেদনের বেশিরভাগ ছবি ড্রোন, পাখি, আলোর প্রতিফলন, বিমান এবং পোকামাকড়ের বলে মনে হয়েছে কোনও ছবিকে ইউএফও হিসাবে তাদের মনে হয়নি।
তবে সম্প্রতি দলটি তথ্যের স্বাধীনতা আইনের অনুরোধের মাধ্যমে কয়েকটি ছবি পেয়েছে এবং তাদের ওয়েবসাইটে জনসাধারণের জন্য তা প্রকাশ করেছে। চিত্রগুলি অজানা উড়ন্ত বস্তুর একটি পরিসীমা দেখায়, যার মধ্যে একটি সাদা বস্তু যা উচ্চ গতিতে ভ্রমণ করছে বলে মনে হয়, আলো সহ একটি ডিস্ক-আকৃতির বস্তু এবং তিনটি আলো সহ একটি ত্রিভুজাকার বস্তু। জাপানী নৌবাহিনীর ফাইটার জেটগুলির নিয়মিত প্রশিক্ষণ অনুশীলনের সময় তাদের ইনফ্রারেড ক্যামেরা দ্বারা বস্তুগুলির ছবি তোলা হয়েছিল।
যদিও জাপান ইউএপি ডিসক্লোজার নেটওয়ার্ক বিশ্বাস করে যে ছবিগুলি “সম্ভাব্য ইউএফও”র। তবে তারা সতর্ক করেছে যে ছবিগুলির সত্যতা নির্ধারণের জন্য আরও গবেষণা প্রয়োজন। গোষ্ঠীটি জাপান সরকারকে তাদের ইউএফও তদন্ত সম্পর্কে আরও তথ্য প্রকাশের আহ্বান জানিয়েছে। প্রকাশিত এই ছবিগুলি UFO উৎসাহী এবং গবেষকদের মধ্যে আগ্রহের জন্ম দিয়েছে, যারা বিশ্বজুড়ে UFO দেখার বিষয়ে আরও তথ্য প্রকাশের আহ্বান জানাচ্ছে। তবে ছবিগুলি একটি প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে যে পৃথিবীতে এখনও অনেক রহস্য রয়েছে যা এখনও ব্যাখ্যা করা যায়নি।
আরও পড়ুন
বেতন, মাসে ৩০,০০০ আর সম্পত্তির মালিকানা ৭ কোটির বেশী
উত্তরাপথ: এ এক দুর্নীতির অনন্য নজির যা পশ্চিমবঙ্গের রাজনীতিবিদদের দুর্নীতি কে লজ্জায় ফেলবে । দুর্নীতির এই অভিযোগটি উঠেছে মধ্যপ্রদেশ পুলিশ হাউজিং কর্পোরেশনের সহকারী প্রকৌশলী ইনচার্জ হেমা মীনার বিরুদ্ধে।মধ্যপ্রদেশের সরকারি কর্মকর্তা দুর্নীতিবিরোধী অভিযানের পর হেমা মীনা প্রচার মাধ্যমের নজরে আসে । এখন প্রশ্ন কে এই হেমা মীনা ? মধ্যপ্রদেশ পুলিশ হাউজিং কর্পোরেশনের চুক্তির ভিত্তিতে নিয়োজিত সহকারী প্রকৌশলী ইনচার্জ যিনি মাসে ৩০,০০০ টাকা আয় করেন । দুর্নীতিবিরোধী অভিযানে তার বাড়ি থেকে সাতটি বিলাসবহুল গাড়ি, ২০,০০০ বর্গফুট .....বিস্তারিত পড়ুন
বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের রায়ের বিরুদ্ধে রাস্তায় শিলিগুড়ির প্রাথমিক শিক্ষকরা
উত্তরাপথ: ৩৬ হাজার প্রাথমিক শিক্ষকের চাকরি বাতিল করে দেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। তার প্রতিবাদে শনিবার শিলিগুড়িতে পথে নেমে বিক্ষোভ শুরু করেন শিলিগুড়ির প্রাথমিক শিক্ষকরা। ২০১৪ সালের টেট পরীক্ষার ভিত্তিতে ২০১৬ সালে নিযুক্ত হয়েছিলেন ৪২ হাজার ৫০০ শিক্ষক। এই নিয়োগে ইন্টারভিউতে ব্যাপক দুর্নীতির অভিযোগ ওঠে। এমনকি নিয়োগ পরীক্ষায় অ্যাপটিটিউড টেস্টও নেওয়া হয়নি বলে ইন্টারভিউয়াররাই বিচারপতির কাছে সাক্ষ্য দিয়ে জানিয়েছেন। তার ভিত্তিতে ৩৬ হাজার প্রাথমিক শিক্ষকের চাকরি বাতিল করে দেন কলকাতা .....বিস্তারিত পড়ুন
ইউক্রেনে পিছু হটছে রাশিয়ান বাহিনী, দাবী অস্বীকার রাশিয়ার
উত্তরাপথ: সম্প্রতি রাশিয়ার কয়েকটি সামরিক দল দাবি করে, পূর্ব ইউক্রেন অঞ্চলে সামনের দিকে অগ্রসর হচ্ছে ইউক্রেন সেনারা এবং এর বিপরীতে পিছু হটছে রাশিয়ান বাহিনী। তবে এমন দাবি অস্বীকার করেছে রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়। রাশিয়ান সামরিক ব্লগাররা জানায়, ইউক্রেন সেনাবাহিনীর দল পূর্ব ইউক্রেনের দিকে অগ্রসর হচ্ছে। পাশাপাশি রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের বেসরকারি সেনা দল ওয়াগনার গ্রুপের প্রধান জানিয়েছেন, রাশিয়ান সৈন্যরা বাখমুতের আশেপাশে তাদের অবস্থান ত্যাগ করছে। .....বিস্তারিত পড়ুন
সম্পাদকীয়
এ যেন বহুদিন পর বিজেপির চেনা ছন্দের পতন। হিমাচল প্রদেশের পর কর্ণাটক কংগ্রেস নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে বিজেপির বিজয়রথকে থামিয়ে দিল ।২০১৮ পর থেকে লাগাতার হারতে থাকা একটি দল আবার ২০২৪ সাধারণ নির্বাচনে প্রাসঙ্গিক হয়ে গেল । ২২৪ সদস্যের কর্ণাটক বিধানসভায় সরকার গঠন করতে গেলে প্রয়োজন ১১৩টি আসন সেখানে কংগ্রেস একাই পেয়েছে ১৩৬টি আসন, বিজেপি পেয়েছে ৬৫ টি এবং প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী দেবগৌড়ার জেডিএস পেয়েছে ১৯টি এবং অন্যান্য ৪ টি আসন পেয়েছে। যা গতবারের তুলনায় বিজেপির ৩৯ টি আসন কমেছে এবং কংগ্রেসের বেড়েছে ৫৭টি আসন এবং জেডিএসের কমেছে ১৮ টি আসন। কর্ণাটকে কংগ্রেসের এই সাফল্য কি রাজ্যে কংগ্রেসের শক্তিশালী সংগঠনের ফল না কি কর্ণাটকের আগের ক্ষমতাশীল বিজেপি সরকারের বিরুদ্ধে মানুষের ক্ষোভ । কর্ণাটকে কংগ্রেসে অনেক বড় নেতা রয়েছে। প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি শিবকুমার দক্ষ সংগঠক। আগের মুখ্যমন্ত্রী সিদ্ধারামাইয়ার ব্যাপক জনভিত্তি রয়েছে। ভোটের আগে বিজেপির প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী জগদীশ শেট্টার এবং উপমুখ্যমন্ত্রী সাভাড়ি কংগ্রেসে যোগ দিয়ে নির্বাচনে লড়েছেন। অন্যদিকে বিজেপির প্রচারের সবচেয়ে বড় মুখ ছিলেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। বিজেপির প্রচারে সব নেতারাই মোদীর নাম করেই ভোট চেয়েছিলেন কিন্তু শেষ রক্ষা হল না ।কর্ণাটকের বিজেপি সরকারের ব্যাপক দুর্নীতি সেই সাথে কংগ্রেসের লাগাতার প্রচার যা প্রতিষ্ঠান বিরোধিতার সুরকে আরও তীব্র করেছে। তাই শুধুমাত্র মোদী ম্যাজিকের উপর ভর করে নির্বাচন জেতা যে আর বিজেপির পক্ষে সম্ভব নয় কর্ণাটকের জনগণ চোখে হাত দিয়ে তাই দেখিয়ে দিল। .....বিস্তারিত পড়ুন