পশ্চিমবঙ্গের ২০২৩ পঞ্চায়েত নির্বাচন কি পৃথক হতে চলেছে ?

উত্তরাপথ

পশ্চিমবঙ্গের ২০২৩ এর পঞ্চায়েত নির্বাচন কি ২০১৮ পঞ্চায়েত নির্বাচন থেকে পৃথক হতে চলেছে ? পঞ্চায়েত রাজনীতিতে বিরোধী দলগুলির অবস্থানের উপর নির্ভর করবে পঞ্চায়েত নির্বাচনের গতিপ্রকৃতি । রাজ্য নির্বাচন কমিশনের দেওয়া তথ্য অনুয়ায়ী পশ্চিমবঙ্গে ৮ জুলাই নির্ধারিত ত্রি-স্তরীয় পঞ্চায়েত নির্বাচনে প্রায় ৭৪,০০০ আসনের জন্য মোট ২.৩৬.৪৬৪ টি মনোনয়ন দাখিল করা হয়েছে।

সর্ব শেষ পাওয়া তথ্য অনুসারে ক্ষমতাসীন তৃণমূল কংগ্রেস ৮৫,৮১৭ টি মনোনয়ন জমা দিয়েছে এবং বিজেপি ৫৬,৩২১ প্রার্থী নিয়ে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে  সিপিআই(এম) মনোনীত প্রার্থীরা ৪৮,৬৪৬টি আসনে মনোনয়ন জমা দিয়েছেন, তারপরে কংগ্রেস ১৭,৭৫০ স্বতন্ত্র ১৬,২৯৩, ফরোয়ার্ড ব্লক ১,৫৯৫ এবং অন্যান্য ১০,০৪২ আসনে প্রার্থী দিয়েছে।

মোট মনোনয়নের মধ্যে, ৪,৯৩২ টি  জেলা পরিষদের জন্য এবং ৩৫,৪৪৫ টি পঞ্চায়েত সমিতিগুলির জন্য দাখিল করা হয়েছে গ্রাম পঞ্চায়েতের জন্য মোট ১,৯৬,০৮৭ টি  মনোনয়ন দাখিল করা হয়েছে,বলে খবর।

প্রায় ৫.৬৭ কোটি ভোটার জেলা পরিষদ, পঞ্চায়েত সমিতি এবং গ্রাম পঞ্চায়েতে তাদের প্রতিনিধি বাছাই করার জন্য তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবে। রাজ্য নির্বাচন কমিশনের দেওয়া পরিসংখ্যান অনুসারে, টিএমসি কোনও বিরোধিতা ছাড়াই মোট ৭৩,৮৮৭ টির মধ্যে প্রায় ৭০০০টি (৯.৪৭%) আসন পেয়েছে। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে তৃণমূল একা বিনা প্রতিদ্বন্দ্বীতায় ৩৪ শতাংশ আসন পেয়েছিল। এবারের নির্বাচনে, তারা মোট ৬৩,২৯৯ গ্রাম পঞ্চায়েত আসনের মধ্যে ৬,২৩৮ (৯.৭%), ৯.৭৩০ টি পঞ্চায়েত সমিতির আসনের মধ্যে ৭৫৯ টি (৭.৮%) এবং ৯২৮ টি (০.৮৬%) জেলা পরিষদের আসনের মধ্যে কোনও প্রতিদ্বন্দ্বী ছাড়াই জিতেছে।

খবরটি শেয়ার করুণ

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন


 সম্পাদকীয়

পশ্চিমবঙ্গের ছোট-বড় যে কোনও নির্বাচন মানেই রাজনৈতিক হিংসা । সদ্য অনুষ্ঠিত পঞ্চায়েত নির্বাচনও তার ব্যতিক্রম নয়।রাজনৈতিক হিংসা যাতে না হয় নির্বাচনে তার জন্য যাবতীয় উদ্যোগ গ্রহণ করার পরও হিংসা অব্যাহত থাকল, সারা রাজ্যজুরে ঘটল তেরোটি মৃত্যুর ঘটনা ।পঞ্চায়েত নির্বাচনকে কেন্দ্র করে  ঘট হিংসা রাজ্যের গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া সহ নাগরিকদের ভোটাধিকার নিয়ে আমাদের সামনে প্রশ্ন তুলে দিয়েছে। আমাদের রাজ্যে চলতে থাকা রাজনৈতিক হিংসার পেছনে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ একাধিক কারণ থাকলেও বেকারত্ব সহ দুর্বল গ্রামীন অর্থনীতি এর প্রধান কারণ । দুর্বল গ্রামীন অর্থনীতির কারণে বেশীরভাগ গ্রামীন এলাকার মানুষদের অর্থনৈতিক উপার্জনের সুযোগ খুব কম। বিশেষত স্বল্প শিক্ষিত সেই সব মানুষদের যারা না পায় সরকারি চাকুরি না পারে ঠিকা শ্রমিকের কাজ করতে, গ্রামীন অর্থনীতিতে বিশাল সংখ্যক মানুষ এই শ্রেনীর অন্তর্গত .....বিস্তারিত পড়ুন

Scroll to Top