সংগৃহীত-ছবি টুইটার
উত্তরাপথঃ ডুরান্ড কাপের কোয়ার্টার ফাইনালে মুম্বই সিটি-কে হারিয়ে দেওয়ার পরে যুবভারতীতে উদযাপনের এক দৃশ্য দেখা গিয়েছে। গোলের পরে সতীর্থদের সাথে কামিন্সকেও একই ভাবে মুখে হাত দিয়ে উদযাপন করতে দেখা যায় । তাঁর সতীর্থদের সম্পর্কে কামিন্স বলছেন, ”একদল ভাল ছেলের মাঝে এসে পড়লে ওদের সঙ্গে মানিয়ে নেওয়াটা সহজ হয়। দলে অনেক বিদেশি আছে আর দু’জন অস্ট্রেলিয়ান, দিমি আর ব্র্যান্ডন। মানিয়ে নেওয়া সহজ। হুগো ফরাসিতে কথা বলে। আমিও একটু-আধটু ফরাসি বলতে পারি। হুগোর সঙ্গে আমি ফরাসিতেই কথা বলার চেষ্টা করি। আমরা একসঙ্গে গলফও খেলি। আর রয়েছে আমার সতীর্থ স্ট্রাইকার, আরমান্দো।”
মুম্বইয়ের বিরুদ্ধে হেডে গোল করার পর সোশ্যাল মিডিয়ায় আনোয়ার আলির নাম দেওয়া হয়েছে, আনোয়ার ‘এয়ার’ আলি। দলের রক্ষণভাগের খেলোয়াড় সম্পর্কে কামিন্স বলছেন, ”মাচিন্দ্রা এফসি-র বিরুদ্ধে একাই দু’টো গোল করল আনোয়ার। ওর খেলা দেখে আমি মুগ্ধ। সব সময়ে বলের সঙ্গে সঙ্গে থাকে আনোয়ার। আনোয়ারকে দেখলে আমার সের্জিও র্যামোসের কথা মনে পড়ে যায়! আমি ওকে বলেওছি, তুমি ভারতের সের্জিও র্যামোস।”
কাতার বিশ্বকাপে লিওনেল মেসির সঙ্গে সাক্ষাৎ হয় কামিন্সের। একসঙ্গে ছবিও তোলেন। যদিও আর্জেন্টিনার বিরুদ্ধে ম্যাচে নামেননি কামিন্স। বিশ্বসেরা ফুটবলার মেসি প্রসঙ্গে কামিন্স বলছেন, ”মেসিকে বলেছিলাম, তুমিই সর্বকালের সেরা। ফুটবলের জন্য যা করেছ, তার প্রশংসা করতেই হবে। ওকে আমি জড়িয়ে ধরি এবং শুভেচ্ছা জানাই বিশ্বকাপ যেন জিততে পারে। মেসি সেটাই করে দেখিয়েছে। ওর সঙ্গে দেখা হওয়াটা স্বপ্নের মতো।”
কামিন্স কলকাতায় প্রথম যেদিন আসেন , সেদিন রাত তিনটে নাগাদ কয়েকশো সমর্থক তাঁকে অভ্যর্থনা জানাতে বিমানবন্দরে হাজির হন। যা দেখার পরে অবাক হয়ে যান কামিন্স স্বয়ং। সেই অভিজ্ঞতা নিয়ে কামিন্স বলছেন, ”আমার তখন জেটল্যাগ ছিল। এতটা আশা করিনি। যদিও আগেই শুনেছি এখানকার সমর্থকরা খুব আবেগপ্রবণ। যতটুকু খোঁজখবর নিয়েছিলাম, তাতে ভেবেছিলাম দু-তিনজন হয়তো আসবেন। কিন্তু ভোর তিনটে-চারটের সময়ে দেখি এক ঝাঁক মানুষ হাজির। সত্যি আমিই চমকে গিয়েছিলাম। আমাকে স্বাগত জানাতে এত মানুষ! তখনই বুঝতে পারি, এখানকার ফুটবলপ্রেমীরা কতটা আবেগপ্রবণ। সত্যি বলতে, এর আগে আমার সঙ্গে এমন কখনও হয়নি।”
সমর্থকদের উদ্দেশে কামিন্সের বার্তা, “আমরা প্রতিটা ট্রফি জিততে চাই এবং সেই জন্য নিজেদের উজাড় করে দেব। আমাদের শুধু চাই তোমাদের সমর্থন, জানি তোমরা আমাদের তা দেবে।
আরও পড়ুন
রাতের ঘামের সমস্যা এবং এ সম্পর্কে আপনি কি করতে পারেন
উত্তরাপথঃ রাতের ঘামের সমস্যা শরীরের কুলিং সিস্টেমের একটি স্বাভাবিক অংশ, তাপ মুক্তি এবং সর্বোত্তম শরীরের তাপমাত্রা বজায় রাখতে সাহায্য করে।তবে রাতের ঘাম একটি সাধারণ সমস্যা যা বিভিন্ন কারণে হতে পারে।এর অস্বস্তিকর অনুভূতির জন্য ঘুম ব্যাহত হতে পারে, যার ফলে ক্লান্তি এবং অন্যান্য স্বাস্থ্য সমস্যা হতে পারে। আপনি যদি রাতে অতিরিক্ত ঘাম অনুভব করেন, তাহলে তার অন্তর্নিহিত কারণটি চিহ্নিত করা এবং এটি মোকাবেলার জন্য কিছু ইতিবাচক পদক্ষেপ নেওয়া গুরুত্বপূর্ণ। এখানে রাতের ঘামের কিছু সম্ভাব্য কারণ নিয়ে আলোচনা করা হল।মেনোপজ: যে কেউ, বয়স বা লিঙ্গ নির্বিশেষে, রাতের ঘাম অনুভব করতে পারে। .....বিস্তারিত পড়ুন
সেলফির উচ্চ রেটিং কি আপনাকে আরওপাতলা হতে উৎসাহিত করছে ?
উত্তরাপথঃ সাম্প্রতিক একটি গবেষণায় দেখা গেছে যে সেলফি তোলা এবং নিজেকে পাতলা হিসাবে দেখানোর মধ্যে একটি সম্পর্ক থাকতে পারে। যুক্তরাজ্যের ইয়র্ক সেন্ট জন ইউনিভার্সিটির রুথ নাইট এবং ইউনিভার্সিটি অফ ইয়র্কের ক্যাথরিন প্রেস্টন সম্প্রতি PLOS ONE জার্নালে তাদের ফলাফল প্রকাশ করেছেন।সেখানে সেলফির উচ্চ রেটিং এবং আমাদের শরীরের গঠনের মধ্যে যোগসূত্র খোঁজার চেষ্টা করা হয়েছে। বর্তমান সোশ্যাল মিডিয়ায় সেলফি হল এক জনপ্রিয় ছবি দেওয়ার ধরন। যিনি সেলফি তোলেন তিনি ক্যামেরাকে তাদের শরীর থেকে দূরে রেখে নিজেই নিজের ছবি তোলে। আগের গবেষণায় বলা হয়েছে সেলফিগুলি দেখার ফলে ছবির বিষয়গুলি সম্পর্কে দর্শকদের সিদ্ধান্ত প্রভাবিত হতে পারে। .....বিস্তারিত পড়ুন
ওজন হ্রাস (weight loss) মস্তিষ্কের বার্ধক্যের লক্ষণগুলিকে ধীর করে
উত্তরাপথঃ এপ্রিলে প্রকাশিত একটি সমীক্ষা অনুসারে, শাকসবজি, সামুদ্রিক খাবার এবং গোটা শস্য সমৃদ্ধ একটি ভূমধ্যসাগরীয় খাদ্য খাওয়া - এমনকি শুধুমাত্র খাদ্যের নির্দেশিকা অনুসরণ করে ওজন হ্রাস (weight loss)মস্তিষ্কের বার্ধক্যের লক্ষণগুলিকে ধীর করে বলে মনে করা হয়।সাম্প্রতি ডিউক ইউনিভার্সিটি স্কুল অফ মেডিসিনের বিজ্ঞানীদের দ্বারা পরিচালিত, একটি গবেষণায় দেখা গেছে যে ওজন হ্রাস মস্তিষ্কে বার্ধক্য প্রক্রিয়াকে ৯ মাস পর্যন্ত ধীর করে (aging process) দিতে পারে। গবেষণায় ৬০ থেকে ৭৮ বছর বয়সের মধ্যে ৪৭ জন অংশগ্রহণকারীকে জড়িত করা হয়েছিল, যাদের প্রত্যেকেরই ওজন বেশি বা স্থূল ছিল এবং তাদের অনিয়ন্ত্রিত খাদ্যগ্রহণ ছিল। তাদের এলোমেলোভাবে একটি ক্যালোরি-সীমাবদ্ধ গ্রুপ বা একটি নিয়ন্ত্রণ গ্রুপে বরাদ্দ করা হয়েছিল।ক্যালোরি-সীমাবদ্ধতা গোষ্ঠীর সদস্যদের একটি খাদ্য পরিকল্পনা অনুসরণ করে, যার লক্ষ্য ছিল তাদের আনুমানিক প্রয়োজনের চেয়ে ১০ – ১৫% কম ক্যালোরি গ্রহণ করা। অন্যদিকে, নিয়ন্ত্রণ গ্রুপ তাদের খাদ্য পরিবর্তন করেনি .....বিস্তারিত পড়ুন
সম্পাদকীয়- রাজনৈতিক সহিংসতা ও আমাদের গণতন্ত্র
সেই দিনগুলো চলে গেছে যখন নেতারা তাদের প্রতিপক্ষকেও সম্মান করতেন। শাসক দলের নেতারা তাদের বিরোধী দলের নেতাদের কথা ধৈর্য সহকারে শুনতেন এবং তাদের সাথে সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রাখতেন। আজ রাজনীতিতে অসহিষ্ণুতা বাড়ছে। কেউ কারো কথা শুনতে প্রস্তুত নয়। আগ্রাসন যেন রাজনীতির অঙ্গ হয়ে গেছে। রাজনৈতিক কর্মীরা ছোটখাটো বিষয় নিয়ে খুন বা মানুষ মারার মত অবস্থার দিকে ঝুঁকছে। আমাদের দেশে যেন রাজনৈতিক সহিংসতা কিছুতেই শেষ হচ্ছে না।আমাদের দেশে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গার চেয়ে রাজনৈতিক সংঘর্ষে বেশি মানুষ নিহত হচ্ছেন। ন্যাশনাল ক্রাইম রেকর্ডস ব্যুরো (এনসিআরবি) অনুসারে, ২০১৪ সালে, রাজনৈতিক সহিংসতায় ২৪০০ জন প্রাণ হারিয়েছিল এবং সাম্প্রদায়িক দাঙ্গায় ২০০০ জন মারা গিয়েছিল। আমরা পৃথিবীর বৃহত্তম গণতন্ত্র হিসেবে আমাদের দেশের গণতন্ত্রের জন্য গর্বিত হতে পারি, কিন্তু এটা সত্য যে আমাদের সিস্টেমে অনেক মৌলিক সমস্যা রয়েছে যা আমাদের গণতন্ত্রের শিকড়কে গ্রাস করছে, যার জন্য সময়মতো সমাধান খুঁজে বের করা প্রয়োজন। .....বিস্তারিত পড়ুন