সংগৃহীত-ছবি টুইটার
উত্তরাপথঃ শতাব্দীপ্রাচীন অভিজ্ঞতা এবং ম্যাচের শেষ মিনিট পর্যন্ত নাছোড় মনোভাবই ইস্ট বেঙ্গলকে পৌঁছে দিল ডুরান্ড কাপের(Durand Cup) ফাইনালে। রবিবার তাদের প্রতিপক্ষ কে তা ঠিক হবে বৃহস্পতিবার। সেদিন অপর সেমি-ফাইনালে মুখোমুখি মোহন বাগান ও এফসি গোয়া।মঙ্গলবার সন্ধ্যায় যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে নর্থইস্ট ইউনাইটেডের ঝড় থামিয়ে জ্বলে উঠল মশাল। প্রমাণিত হল, ইস্ট বেঙ্গল সবসময় অপ্রতিরোধ্য ।
গত কয়েক বছর যথেষ্ট বিবর্ণ কেটেছে ইস্ট বেঙ্গলের। কিন্তু এবার Durand Cup এ তারা কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে ঘুরে দাঁড়ানোর শপথ নিয়েছে। ফাইনালে ওঠার পথে লাল-হলুদ জার্সির ঔজ্জ্বল্যে ম্লান মোহন বাগান, পাঞ্জাব এফসি, গোকুলাম ও নর্থইস্ট। এদিন পেনাল্টি শ্যুট-আউটে নন্দর শট জাল কাঁপাতেই গ্যালারির রং লাল-হলুদ। পরিসংখ্যান বলছে, ১৯ বছর পর ডুরান্ড কাপ জয়ের হাতছানি ইস্ট বেঙ্গলের সামনে।
বিকেল থেকেই প্রায় পতাকা ও ব্যানারে যুবভারতী প্রায় মুড়িয়ে দিয়েছিলেন হাজার হাজার ইস্ট বেঙ্গল সমর্থক। তবে শুরুটা ভালো হয়নি। গোকুলাম ম্যাচের উইনিং কম্বিনেশনে বদল এনেছিলেন কোচ কুয়াদ্রাত। একটি করে হলুদ কার্ড দেখা বোরহা ও শৌভিককে ডাগ-আউটে রেখেই প্রথম একাদশ সাজিয়েছিলেন স্প্যানিশ কোচ। সিদ্ধান্তের যৌক্তিকতা নিয়ে প্রশ্ন উঠতেই পারে। প্রথমার্ধে ছন্নছাড়া ইস্ট বেঙ্গলের বিরুদ্ধে দাপিয়ে বেড়াল নর্থইস্ট। অনভ্যস্ত পজিশনে খাবি খেলেন নিশু কুমার। পাশাপাশি উইং প্লে’ও ব্যর্থ। পারদো আর ক্রেসপো চেষ্টা বিপক্ষ রক্ষণ ভাঙার জন্য যথেষ্ট ছিল না। বরং ২২ মিনিটে কাঙ্ক্ষিত লিড পেল নর্থইস্ট। ফাল্গুনী সিংয়ের নীচু ক্রসে শরীর ছুড়ে দুরন্ত হেডে লক্ষ্যভেদ মিগুয়েলের (১-০)। ঘাড়ের কাছে মার্কার লালচুংনুঙ্গা কার্যত দর্শকের ভূমিকায়।
বিরতির পর জোড়া বদল আনলেন কোচ কুয়াদ্রাত। শৌভিক আর বোরহা খেলাটা ধরার মুখেই আবার আঘাত নর্থইস্টের। তুবড়ির মতো জ্বলে উঠলেন সেই ফাল্গুনী সিং। ডানদিক থেকে কাট করে বক্সে ঢুকে নিষ্প্রভ মন্দারকে টপকে দুরন্ত ফিনিশ তাঁর (২-০)। গোয়ানিজ লেফট ব্যাক পুরো ফিট নন। চনমনে পাহাড়িদের আটকাতে তাঁর জিভ বেরিয়ে গেল। দু’গোলে পিছিয়ে থাকা স্প্যানিশ বস এবার শেষ চাল দিলেন। জর্ডন এলসের পরিবর্তে ক্লেটন সিলভাকে নামিয়ে অল আউট আক্রমণের পথে হাঁটেন তিনি। ৭৭ মিনিটে ব্রাজিলিয়ানের পাস ধরেই ব্যবধান কমাল ইস্ট বেঙ্গল। বক্সের গোড়ায় বল পেয়ে প্লেস করেছিলেন মহেশ। বিপক্ষ ফুটবলার দীনেশের পায়ে লেগে বল জালে জড়ায় (২-১)। শেষলগ্নে ওই গোলটাই টনিকের কাজ করল। উইং ধরে নন্দরা দৌড় শুরু করতেই প্রবল চাপে পড়ল বিপক্ষের রক্ষণ।
মাঠে হাজির সমর্থকদের চিৎকার ক্রমশ চাপ বাড়াল বিপক্ষ রক্ষণে। সংযোজিত সময়ের প্রায় শেষ মুহূর্তে সমতা ফেরালেন নন্দ (২-২)। ক্লেটনের ছোট্ট ক্রস থেকে লক্ষ্যভেদ ডার্বির নায়কের। তার আগে দ্বিতীয় হলুদ কার্ড দেখে মাঠ ছেড়েছেন নর্থইস্টের মিগুয়েল। ডুরান্ড কাপের নিয়ম অনুযায়ী, ৯০ মিনিটের পরই টাই-ব্রেকার। নেই অতিরিক্ত সময়। এই পর্বে ইস্ট বেঙ্গলের হয়ে জাল কাঁপাতে ভুল হয়নি যথাক্রমে ক্লেটন, ক্রেসপো, বোরহা, মহেশ ও নন্দর। উল্টোদিকে, পার্থিবের শট লাল-হলুদ গোলরক্ষক প্রভসুখন গিল প্রথমে আটকালেও নিয়মভঙ্গের জন্য রেফারি আবার শট নেওয়ার সিদ্ধান্ত জানান। কিন্তু তাঁর দ্বিতীয় শট ক্রসবারে ধাক্কা খায়। তবে নর্থইস্টের হয়ে এই পর্বে লক্ষ্যভেদে সফল যথাক্রমে ইবসন মেলো, গানি ও প্রজ্ঞানের।
আরও পড়ুন
Roop Kishor Soni: একটি আংটিতে বিশ্বের আটটি আশ্চর্য তুলে ধরেছেন
উত্তরাপথঃ রাজস্থান মানেই ওজনদার রূপার গহনা ,আর তার উপর কারুকাজ। প্রচলিত এই ধারনা ভেঙ্গে আজ রূপোর গহনাকে আধুনিকতার সাথে শিল্পের এক অপূর্ব মেলবন্ধন ঘটিয়েছেন যে ব্যক্তি তিনি হলেন রূপ কিশোরী সোনী(Roop Kishor Soni)।তিনি ২০১৬ সালের ৯ ডিসেম্বর প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখার্জির কাছ থেকে তার অসাধারণ শিল্প কর্মের জন্য জাতীয় পুরুস্কার পান। রাজস্থানের জয়সলমেরের শহরের এই শিল্পী ৩.৮ গ্রাম ওজনের ০.৯ সেমি চওড়া রৌপ্য আংটিতে বিশ্বের আটটি আশ্চর্য খোদাই করেছেন।এই ছোট রূপার আংটিতে শিল্পী তাজমহল, সিডনি অপেরা হাউস, স্ট্যাচু অফ লিবার্টি, চীনের গ্রেট ওয়াল, আইফেল টাওয়ার, বিগ বেন, পিসার হেলানো টাওয়ার এবং মিশরীয় পিরামিডের চিত্র এক সাথে ফুটিয়ে তুলেছেন।এছাড়াও তিনি আরও দুটি পৃথক ডিজাইনের অত্যাশ্চর্য আংটি তৈরি করেছেন।৮.৬ গ্রাম ওজনের একটি রিংয়ে তিনি সূর্যাস্তের সময় ভারতীয় উট সাফারি সহ ভারতের বিভিন্ন অঞ্চলের বিভিন্ন ভারতীয় বিশেষত্ব ফুটিয়ে তুলেছেন,এবং অন্যটিতে বিভিন্ন হিন্দু দেব-দেবী ছবি এবং মন্দির খোদাই করেছিলেন। শিল্পী বলেছেন যে তিনি তার বাবার কাছ থেকে তার শৈল্পিক দক্ষতা উত্তরাধিকারসূত্রে পেয়েছেন। সেই সাথে তিনি বলেন "আমার বাবাও একজন জাতীয় পুরুস্কার প্রাপ্ত শিল্পী ছিলেন। তিনি আমাকে শিল্পের এই দক্ষতা শিখিয়েছিলেন কারণ তিনি পরবর্তী প্রজন্মের মধ্যে শিল্পের ফর্মটিকে বাঁচিয়ে রাখতে চেয়েছিলেন।" .....বিস্তারিত পড়ুন
Fried rice syndrome: আগের দিনের রান্না করা ভাত খেলে হতে পারে এই বিশেষ অসুখটি
উত্তরাপথঃ আপনার কি বাসী ভাত বা পান্তা খাওয়ার অভ্যেস আছে? সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়া তোলপাড় ফ্রাইড রাইস সিনড্রোম (Fried rice syndrome) নিয়ে আমরা প্রায়ই অবশিষ্ট খাবার গরম করে আবার খাই। কিন্তু জানেন কি এই অভ্যাস আপনাকে অসুস্থ করে তুলতে পারে। অনেক সময় পর আগের রান্না করা ভাত খাওয়ার ফলে পেট সংক্রান্ত সমস্যা হয়। কেউ কেউ মনে করেন যে খাবার পুনরায় গরম করলে এতে উপস্থিত ব্যাকটেরিয়া মারা যায়, কিন্তু তা নয়। যে খাবারেই স্টার্চ থাকে না কেন, এতে উপস্থিত টক্সিন তাপ প্রতিরোধী। অর্থাৎ খাবার গরম করার পরও ব্যাকটেরিয়া নষ্ট হয় না। ফ্রাইড রাইস সিনড্রোম নামে এই সমস্যা সম্পর্কিত একটি অবস্থা রয়েছে। আজ আমরা এই ফ্রাইড রাইস সিনড্রোম অবস্থার লক্ষণ, কারণ এবং প্রতিকার নিয়ে আলোচনা করব। ভাত রান্না করার পর, যখন অবশিষ্ট ভাত কয়েক ঘন্টা বা সারারাত ঘরের তাপমাত্রায় রেখে দেওয়া হয় এবং তাতে ব্যাকটেরিয়া জন্মাতে শুরু করে, তখন এই অবস্থার নাম দেওয়া হয়েছে ফ্রাইড রাইস সিনড্রোম। .....বিস্তারিত পড়ুন
প্রশান্ত মহাসাগর অঞ্চলে একটি নতুন দ্বীপের জন্ম হয়েছে
উত্তরাপথঃ হঠাৎ করেই একটি নতুন দ্বীপের জন্ম হয়েছে।২০২৩ এর ৩০ অক্টোবর প্রশান্ত মহাসাগর অঞ্চলে একটি মৃত আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাত একটি নতুন দ্বীপের জন্ম দিয়েছে। বিস্ফোরণের পর জাপানের ওগাসাওয়ারা দ্বীপ চেইনের কাছে বিশাল বিশাল পাথরের টুকরো দেখা গেছে। এ বিষয়ে জাপানি গবেষক বলেন, গত মাসে প্রশান্ত মহাসাগর জলের নিচে আগ্নেয়গিরির বিস্ফোরণের পর টোকিও থেকে প্রায় ১২০০ কিলোমিটার দক্ষিণে ইওটো দ্বীপের কাছে একটি ছোট নতুন দ্বীপের উদ্ভব হয়েছে।টোকিও বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূমিকম্প গবেষণা ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক ফুকাশি মায়েনো জানিয়েছেন যে নতুন দ্বীপ, এখনও যার নাম নেই প্রশান্ত মহাসাগরের ইওটো দ্বীপ থেকে ১ কিলোমিটার দূরে ১০০ মিটার ব্যাসের একটি পাথুরে দ্বীপে একটি phreatomagmatic বিস্ফোরণ ঘটেছে। টোকিও থেকে প্রায় ১২০০ কিলোমিটার দক্ষিণে বিস্ফোরণটি দেখা গেছে। ভূপৃষ্ঠের নীচে জলের সাথে লাল গরম ম্যাগমা সংঘর্ষের কারণে প্রতি কয়েক মিনিটে বিস্ফোরণ ঘটে।গত ২১ অক্টোবর, ২০২৩-এ অগ্ন্যুৎপাত শুরু হয়েছিল, যা আগে ইও জিমা নামে পরিচিত ছিল এবং এটি দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের অন্যতম রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের স্থান ছিল। প্রায় ১০ দিন ধরে অগ্ন্যুৎপাত চলার পর, আগ্নেয়গিরির উপাদান অগভীর সমুদ্রতলের উপর জমা হয় এবং প্রায় ১৬০ ফুট পর্যন্ত উচ্চতায় বড় বড় পাথরের আকারে সমুদ্র পৃষ্ঠের উপরে উঠে আসে। .....বিস্তারিত পড়ুন
সম্পাদকীয়- রাজনৈতিক সহিংসতা ও আমাদের গণতন্ত্র
সেই দিনগুলো চলে গেছে যখন নেতারা তাদের প্রতিপক্ষকেও সম্মান করতেন। শাসক দলের নেতারা তাদের বিরোধী দলের নেতাদের কথা ধৈর্য সহকারে শুনতেন এবং তাদের সাথে সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রাখতেন। আজ রাজনীতিতে অসহিষ্ণুতা বাড়ছে। কেউ কারো কথা শুনতে প্রস্তুত নয়। আগ্রাসন যেন রাজনীতির অঙ্গ হয়ে গেছে। রাজনৈতিক কর্মীরা ছোটখাটো বিষয় নিয়ে খুন বা মানুষ মারার মত অবস্থার দিকে ঝুঁকছে। আমাদের দেশে যেন রাজনৈতিক সহিংসতা কিছুতেই শেষ হচ্ছে না।আমাদের দেশে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গার চেয়ে রাজনৈতিক সংঘর্ষে বেশি মানুষ নিহত হচ্ছেন। ন্যাশনাল ক্রাইম রেকর্ডস ব্যুরো (এনসিআরবি) অনুসারে, ২০১৪ সালে, রাজনৈতিক সহিংসতায় ২৪০০ জন প্রাণ হারিয়েছিল এবং সাম্প্রদায়িক দাঙ্গায় ২০০০ জন মারা গিয়েছিল। আমরা পৃথিবীর বৃহত্তম গণতন্ত্র হিসেবে আমাদের দেশের গণতন্ত্রের জন্য গর্বিত হতে পারি, কিন্তু এটা সত্য যে আমাদের সিস্টেমে অনেক মৌলিক সমস্যা রয়েছে যা আমাদের গণতন্ত্রের শিকড়কে গ্রাস করছে, যার জন্য সময়মতো সমাধান খুঁজে বের করা প্রয়োজন। .....বিস্তারিত পড়ুন