এক নজরে INDIA জোটের মুম্বাই এর বৈঠকের প্রথম দিন

সংগৃহীত-ছবি টুইটার

উত্তরাপথঃ INDIA জোটের বৈঠকে সোনিয়া গান্ধী, রাহুল গান্ধী, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, লালু প্রসাদ যাদব, এম কে স্টালিন, সীতারাম ইয়েচুরি, ডি রাজা, অখিলেশ যাদব, রাম গোপাল যাদব, মেহবুবা মুফতি, মনোজ ঝা এবং রাঘব চাদা সহ বেশ কয়েকজন নেতা বৃহস্পতিবার মুম্বাই পৌঁছেছেন।

২৮ টি রাজনৈতিক দলের প্রায় ৬৩ জন প্রতিনিধি বৈঠকে যোগ দেবেন বলে, জাতীয়তাবাদী কংগ্রেস পার্টি (এনসিপি) সুপ্রিমো শরদ পাওয়ার আগে একটি সংবাদ সম্মেলনে বলেছিলেন।শুক্রবার জোটের সমন্বয় কমিটির একটি বৈঠক হবে এবং সেখানে জোটের জন্য একটি লোগো বাছাই করা বলে খবর।

বৃহস্পতিবার নৈশভোজের পর অনানুষ্ঠানিক বৈঠকে বসে জোটের সদস্যরা।শরদ পাওয়ারের এনসিপি শিবির বিশিষ্ট ব্যক্তিদের জন্য একটি সংবর্ধনার আয়োজন করছে, এবং শিবসেনা (ইউবিটি) লজিস্টিকসের দায়িত্বে রয়েছে। প্রসঙ্গত বিরোধী দল তাদের প্রথম বৈঠকটি জুন মাসে পাটনায় করেছিল এবং তারপরে তারা গত মাসে বেঙ্গালুরুতে আবার জড়ো হয়েছিল

এবার এক নজরে দেখে নেওয়া যাক INDIA জোট সম্পর্কে নেতারা কে কি বললেন- এএপি সাংসদ রাঘব চাড্ডা বলেছেন যে বিজেপি বিরোধীদের জোটে হতবাক।তিনি বলেন, এই জোটের সাফল্যে শাসক দল ভীত। কিন্তু এই জোট ভারতের কোটি কোটি মানুষের, যাকে পরাজিত করা যাবে না।

শিবসেনা (ইউবিটি) নেতা আদিত্য ঠাকরে বলেছেন যে INDIA জোটের লক্ষ্য গণতন্ত্র বাঁচানো।

আরজেডি নেতা মনোজ ঝা বলেছেন যে ভারত জোট ভাঙ্গা দেশকে ঠিক করার জন্য।তিনি বলেন, “এদেশে অনেক কিছু ভেঙে গেছে, স্বপ্ন চুরমার হয়ে গেছে। তা ঠিক করতে, ও দেশের ক্ষত সারাতে এই জোট।”

সিপিআই (এম) নেতা সীতারাম ইয়েচুরি বলেছেন, জোটের প্রতি জনগণের প্রতিক্রিয়া প্রধানমন্ত্রী এবং বিজেপিকে হতাশ করেছে।”

রাষ্ট্রীয় লোকদলের সভাপতি জয়ন্ত চৌধুরী বলেছেন, দেশের এমন একটি যৌথ নেতৃত্বের প্রয়োজন যা তরুণদের এবং সমাজের সকল অংশের চাহিদা এবং আকাঙ্ক্ষার প্রতি প্রতিক্রিয়াশীল। আমাদের এমন একটি সরকার দরকার যা তার সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতার প্রতি সংবেদনশীল হবে।

সিপিআই (এম) নেতা ডি রাজা বলেছেন যে দেশের পরিস্থিতি দাবি করে যে সমস্ত ধর্মনিরপেক্ষ গণতান্ত্রিক দলগুলি একত্রিত হয়ে বিজেপিকে পরাজিত করবে।সেই সাথে তিনি বলেন, আমাদের সংবিধান রক্ষা করতে হবে।

সমাজবাদী পার্টির নেতা রাম গোপাল যাদব বলেছেন: “বিরোধী দলগুলির এই জোট ভারতের আত্মাকে বাঁচাতে হয়েছে। ক্ষমতায় থাকা লোকেরা ভারতের আসল আত্মাকে ধ্বংস করে ভারতকে ধ্বংস করছে। এই জোটের লক্ষ্য হল বিজেপিকে ক্ষমতাচ্যুত করা।

বিদুথালাই চিরুথাইগাল কাচ্চি (ভিসিকে) সভাপতি থিরুমাবলাভান বলেছেন: ” আমরা সাধারণ ন্যূনতম কর্মসূচির বিষয়ে আমাদের পরামর্শ দেব। আমাদের লক্ষ্য হল সংখ্যালঘু, মহিলা, দলিত এবং উপজাতীয় সম্প্রদায়ের অন্তর্ভুক্ত প্রান্তিক শ্রেণির উন্নতি নিশ্চিত করা।”

খবরটি শেয়ার করুণ

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন


সম্পাদকীয়-  রাজনৈতিক সহিংসতা ও আমাদের গণতন্ত্র

সেই দিনগুলো চলে গেছে যখন নেতারা তাদের প্রতিপক্ষকেও সম্মান করতেন। শাসক দলের নেতারা তাদের বিরোধী দলের নেতাদের কথা ধৈর্য সহকারে শুনতেন এবং তাদের সাথে সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রাখতেন।  আজ রাজনীতিতে অসহিষ্ণুতা বাড়ছে।  কেউ কারো কথা শুনতে প্রস্তুত নয়।  আগ্রাসন যেন রাজনীতির অঙ্গ হয়ে গেছে।  রাজনৈতিক কর্মীরা ছোটখাটো বিষয় নিয়ে খুন বা মানুষ মারার মত অবস্থার দিকে ঝুঁকছে। আমাদের দেশে যেন রাজনৈতিক সহিংসতা কিছুতেই শেষ হচ্ছে না।আমাদের দেশে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গার চেয়ে রাজনৈতিক সংঘর্ষে বেশি মানুষ নিহত হচ্ছেন।  ন্যাশনাল ক্রাইম রেকর্ডস ব্যুরো (এনসিআরবি) অনুসারে, ২০১৪ সালে, রাজনৈতিক সহিংসতায় ২৪০০ জন প্রাণ হারিয়েছিল এবং সাম্প্রদায়িক দাঙ্গায় ২০০০ জন মারা গিয়েছিল।  আমরা পৃথিবীর বৃহত্তম গণতন্ত্র হিসেবে আমাদের দেশের গণতন্ত্রের জন্য গর্বিত হতে পারি, কিন্তু এটা সত্য যে আমাদের সিস্টেমে অনেক মৌলিক সমস্যা রয়েছে যা আমাদের গণতন্ত্রের শিকড়কে গ্রাস করছে, যার জন্য সময়মতো সমাধান খুঁজে বের করা প্রয়োজন। .....বিস্তারিত পড়ুন

বিশ্বকাপ ২০২৩: পাকিস্তানকে হারিয়ে Afghanistan এ ঈদের মতো পরিস্থিতি

আইসিসি ওয়ানডে বিশ্বকাপ ২০২৩-এর ২২ তম ম্যাচে আফগানিস্তান পাকিস্তানকে বিশাল ব্যবধানে পরাজিত করেছে। সেই ম্যাচে পাকিস্তানকে ৮ উইকেটে হারিয়ে ইতিহাস সৃষ্টি করে আফগানিস্তান। এই প্রথম ওয়ানডেতে পাকিস্তানকে হারাল আফগানিস্তান আর এই পাকিস্তানকে হারিয়ে আফগানিস্থানে(Afghanistan)এখন ঈদের মতো পরিস্থিতি।এক আফগানিস্থানি সমর্থকের মতে এটি ছিল আমাদের ইতিহাসের একটি বিরল মুহূর্ত যখন পুরো জাতি খুশি ছিল এবং নিজেদের মত করে তারা তাদের এই খুশী উদযাপন করেছেন। এক্স হ্যান্ডেলে এক সমর্থকের মতে, সেদিন উদযাপন ছিল, পার্টি ছিল। এটি ছিল আমাদের ইতিহাসের একটি বিরল মুহূর্ত যখন পুরো জাতি খুশি ছিল এছাড়াও, এটি ছিল ২০২৩ বিশ্বকাপের তৃতীয় বড় আপসেট । টসে জিতে প্রথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেয় বাবর আজমের দল। প্রথমে ব্যাট করে পাকিস্তান দল ২৮২ রান করে। জবাবে আফগানিস্তান দল ২৮৩ রান তাড়া করে ৪৯ ওভারে ২ উইকেট হারিয়ে লক্ষ্য অর্জন করে। এই ম্যাচে হারের পর বেশ ক্ষুব্ধ দেখাচ্ছিল অধিনায়ক বাবর আজমকে। ম্যাচ-পরবর্তী উপস্থাপনার সময়, তিনি দলের ত্রুটিগুলি তালিকাভুক্ত করেছিলেন এবং পরাজয়ের জন্য নিজেদের দায়ী করেছিলেন। .....বিস্তারিত পড়ুন

Roop Kishor Soni: একটি আংটিতে বিশ্বের আটটি আশ্চর্য তুলে ধরেছেন

উত্তরাপথঃ রাজস্থান মানেই ওজনদার রূপার গহনা ,আর তার উপর কারুকাজ। প্রচলিত এই ধারনা ভেঙ্গে আজ রূপোর গহনাকে আধুনিকতার সাথে শিল্পের এক অপূর্ব মেলবন্ধন ঘটিয়েছেন যে ব্যক্তি তিনি হলেন রূপ কিশোরী সোনী(Roop Kishor Soni)।তিনি ২০১৬ সালের ৯ ডিসেম্বর প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখার্জির কাছ থেকে তার অসাধারণ শিল্প কর্মের জন্য জাতীয় পুরুস্কার পান। রাজস্থানের জয়সলমেরের শহরের এই শিল্পী ৩.৮ গ্রাম ওজনের ০.৯ সেমি চওড়া রৌপ্য আংটিতে বিশ্বের আটটি আশ্চর্য খোদাই করেছেন।এই ছোট রূপার আংটিতে শিল্পী তাজমহল, সিডনি অপেরা হাউস, স্ট্যাচু অফ লিবার্টি, চীনের গ্রেট ওয়াল, আইফেল টাওয়ার, বিগ বেন, পিসার হেলানো টাওয়ার এবং মিশরীয় পিরামিডের চিত্র এক সাথে ফুটিয়ে তুলেছেন।এছাড়াও তিনি আরও দুটি পৃথক ডিজাইনের অত্যাশ্চর্য আংটি  তৈরি করেছেন।৮.৬ গ্রাম ওজনের একটি রিংয়ে তিনি সূর্যাস্তের সময় ভারতীয় উট সাফারি সহ ভারতের বিভিন্ন অঞ্চলের বিভিন্ন ভারতীয় বিশেষত্ব ফুটিয়ে তুলেছেন,এবং অন্যটিতে বিভিন্ন হিন্দু দেব-দেবী ছবি এবং মন্দির খোদাই করেছিলেন। শিল্পী বলেছেন যে তিনি তার বাবার কাছ থেকে তার শৈল্পিক দক্ষতা উত্তরাধিকারসূত্রে পেয়েছেন। সেই সাথে তিনি বলেন "আমার বাবাও একজন জাতীয় পুরুস্কার প্রাপ্ত শিল্পী ছিলেন। তিনি আমাকে শিল্পের এই দক্ষতা শিখিয়েছিলেন কারণ তিনি পরবর্তী প্রজন্মের মধ্যে শিল্পের ফর্মটিকে বাঁচিয়ে রাখতে চেয়েছিলেন।" .....বিস্তারিত পড়ুন

সহযাত্রী

দীপা - আর তো এগারো বছর আটমাস বারোদিন চাকরি , তাই না ? অংশু - বাপরে বরাবরই তোমার স্মৃতিশক্তি প্রবল , এতোটা মনে আছে ? দীপা- ঘোরো টো টো করে আর কটা বছর , আফটার রিটায়ার্ড মেন্ট কি করবে ? অংশু - ফার্ম হাউস ,গাছপালা পশুপাখি নিয়ে থাকবো। দীপা- বাঃ উন্নতি হয়েছে। যে অংশুবাবু কখনও একটা ফুলের চারা লাগায়নি সে কিনা ফার্ম হাউস করবে … অংশু - সময়ের সাথে সব বদলায় ম্যাডাম , আচ্ছা তোমার কনুইয়ের নীচে সেই পোড়া দাগটা দেখি তো গেছে কিনা … দীপা- তুমি অনেক রোগা হয়ে গেছো , তা ওজন কত শুনি ? অংশু - সত্তর বাহাত্তর হবে বোধহয় মাপিনি, দীপা - তা কেনো মাপবে ? একটা অগোছালো মানুষ। অংশু - যাক বাবা তাও অপদার্থ শব্দ টা বলোনি। দীপা - ভাবোনা ডিভোর্স হয়েছে বলে সে অধিকার নেই। সমাজ বিজ্ঞানের অধ্যাপক হয়েও আসলে সমাজটাই শেখোনি , আর কি শিখেছো বলো, ঐ ছেলে পড়ানো , সেমিনার আর লেখালেখি। তা ধন্যবাদ তোমার রূপালী ঠৌট উপন্যাস এবছর একাডেমি পেলো , দারুণ লেখো তুমি, আগের চেয়ে অনেক ধার। অংশু- বাঃ তুমি পড়েছো ? দীপা- সব পড়েছি , তোমার রিসেন্ট উপন্যাসের নায়িকা মেঘনা টি কে ? মানে কার আড়ালে কাকে লিখেছো ? অংশু - এও কি বাংলা সাহিত্যের অধ্যাপিকাকে বলে দিতে হবে ? দীপা- বারোটা বছর সময়ের শাসনে অনেক বদলালেও আমি বোধহয় সেই বড্ড সেকেলেই রয়ে গেলাম। অংশু - একা একাই কাটিয়ে দিলে বারো বছর। দীপা- একই প্রশ্ন আমিও করতে পারি। অংশু - আচ্ছা দীপা আজ না হয় শেষবারের মতো বলি, আমার মধ্যে কি ছিলো না বলোতো ? কেনো পারোনি এই বাউন্ডুলে ভবঘুরে মানুষটার সাথে চিরকালের ঘর বাঁধতে ? আমি কি ভালোবাসতে জানি না ? .....বিস্তারিত পড়ুন

Scroll to Top