Diabetes Treatment: রক্তে শর্করা স্থিতিশীল করতে ডালিয়া ফুলের নির্যাস কার্যকর

উত্তরাপথঃ ডায়াবেটিস নিয়ে গবেষণার ক্ষেত্রে একটি উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হয়েছে।সম্প্রতি গবেষণায় ওটাগো বিশ্ববিদ্যালয়ের (University of Otago)নেতৃত্বে বিজ্ঞানীরা ক্লিনিকাল ট্রায়ালের মাধ্যমে আবিষ্কার করেছে যে ডালিয়া ফুলের পাপড়ির নির্যাস ডায়াবেটিসে আক্রান্ত ব্যক্তিদের রক্তে শর্করা স্থিতিশীল করতে সাহায্য করতে পারে।

সেন্টার ফর নিউরোএন্ডোক্রিনোলজির একজন সহযোগী অধ্যাপক আলেকজান্ডার টুপসের( Alexander Tups) নির্দেশনায়, দলটি খুঁজে পেয়েছে যে, উদ্ভিদের একটি অণু, যা মস্তিষ্কে কাজ করে এবং রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রন করার জন্য শরীরের ক্ষমতাকে শক্তিশালী করে।প্রসঙ্গত ডায়াবেটিস হল একটি দীর্ঘস্থায়ী বিপাকীয় ব্যাধি যা অপর্যাপ্ত ইনসুলিন উৎপাদনের কারণে রক্তে শর্করার মাত্রা অত্যাধিক বেড়ে যায়। এটি বিশ্বব্যাপী লক্ষ লক্ষ মানুষকে প্রভাবিত করে চলেছে এবং অনিয়ন্ত্রিত থাকলে গুরুতর শারীরিক জটিলতা হতে পারে।

পরবর্তী কালে Alexander Tups এর গবেষকদলটি ডালিয়া ফুল থেকে বায়োঅ্যাকটিভ যৌগগুলি বের করেন এবং রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণের উপর এর প্রভাব মূল্যায়নের জন্য পরীক্ষাগারে পরীক্ষা করেন। ফলাফল উল্লেখযোগ্য ছিল. ডালিয়া ফুলের নির্যাসে রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা স্থিতিশীল করার এক অসাধারণ ক্ষমতা রয়েছে।  

এরপর গবেষকদলটি Aotearoa-এর প্রাপ্তবয়স্ক জনসংখ্যার উপর একটি সমীক্ষা চালায়,তাতে দেখা যায় যে জনসংখ্যার প্রায় ২৫ শতাংশের প্রিডায়াবেটিস রয়েছে । প্রিডায়াবেটিস হল এমন একটি অবস্থা যেখানে রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা সামান্য বেড়ে যায়, যা নির্দেশ করে যে একজন ব্যক্তির টাইপ 2 ডায়াবেটিস হওয়ার ঝুঁকি রয়েছে।এরপর কোনও রকম চিকিৎসা না হলে এদের প্রায় ৭০ শতাংশ মানুষ পরবর্তী জীবনে টাইপ 2 ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হয়।

 প্রিডায়াবেটিস বা টাইপ 2 ডায়াবেটিসে আক্রান্ত অংশগ্রহণকারীদের উপর একটি এলোমেলো নিয়ন্ত্রিত ক্রস-ওভার ক্লিনিকাল ট্রায়ালে, গবেষকরা দেখেন যে ডালিয়ার নির্যাস,মস্তিষ্কে হরমোন ইনসুলিনের সংবেদনশীলতা উন্নত করতে এবং রক্তে শর্করার নিয়ন্ত্রনে যথেষ্ট সহায়ক।

২০১৫ সালে শুরু হওয়া এই গবেষণাটি দীর্ঘ আট বছর ধরে চলার পর বিজ্ঞানীরা ডালিয়া ফুলের মধ্যে  এমন তিনটি যৌগ খুঁজে পান যা রক্তে শর্করার মাত্রা শর্করার মাত্রা স্থিতিশীল করার ও নিয়ন্ত্রণের সহায়ক । প্রযুক্তিটি ইতিমধ্যে পেটেন্ট করা হয়েছে কিন্তু তা ব্যাপক ভাবে জনসাধারণের ব্যবহারে আনার জন্য গবেষক দল ওটাগো ইনোভেশন লিমিটেড (OIL) বিভিন্ন স্টেকহোল্ডারদের সাথে কাজ করছে বাজারে এই প্রাকৃতিক ডালিয়া-এক্সট্রাক্ট সাপ্লিমেন্ট আনার লক্ষ্যে,যা রক্তে শর্করা এবং ইনসুলিনের মাত্রা স্থিতিশীল রাখবে।

খবরটি শেয়ার করুণ

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন


সম্পাদকীয়

এ যেন বহুদিন পর বিজেপির চেনা ছন্দের পতন। হিমাচল প্রদেশের পর কর্ণাটক কংগ্রেস নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে বিজেপির বিজয়রথকে থামিয়ে দিল ।২০১৮ পর থেকে লাগাতার হারতে থাকা একটি দল আবার ২০২৪ সাধারণ নির্বাচনে প্রাসঙ্গিক হয়ে গেল । ২২৪ সদস্যের কর্ণাটক বিধানসভায় সরকার গঠন করতে গেলে প্রয়োজন ১১৩টি আসন সেখানে কংগ্রেস একাই পেয়েছে ১৩৬টি আসন, বিজেপি পেয়েছে ৬৫ টি এবং প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী দেবগৌড়ার জেডিএস পেয়েছে ১৯টি এবং অন্যান্য ৪ টি আসন পেয়েছে। যা গতবারের তুলনায় বিজেপির ৩৯ টি আসন কমেছে এবং কংগ্রেসের বেড়েছে ৫৭টি আসন এবং জেডিএসের কমেছে ১৮ টি আসন।   কর্ণাটকে কংগ্রেসের এই সাফল্য কি রাজ্যে কংগ্রেসের শক্তিশালী সংগঠনের ফল না কি কর্ণাটকের আগের ক্ষমতাশীল বিজেপি সরকারের বিরুদ্ধে মানুষের ক্ষোভ । কর্ণাটকে কংগ্রেসে অনেক বড় নেতা রয়েছে।  প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি শিবকুমার দক্ষ সংগঠক। আগের মুখ্যমন্ত্রী সিদ্ধারামাইয়ার ব্যাপক জনভিত্তি রয়েছে।  ভোটের আগে বিজেপির প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী জগদীশ শেট্টার এবং উপমুখ্যমন্ত্রী সাভাড়ি কংগ্রেসে যোগ দিয়ে নির্বাচনে লড়েছেন। অন্যদিকে বিজেপির প্রচারের সবচেয়ে বড় মুখ ছিলেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। বিজেপির প্রচারে সব নেতারাই মোদীর নাম করেই ভোট চেয়েছিলেন কিন্তু শেষ রক্ষা হল না ।কর্ণাটকের বিজেপি সরকারের ব্যাপক দুর্নীতি সেই সাথে কংগ্রেসের লাগাতার প্রচার যা প্রতিষ্ঠান বিরোধিতার সুরকে আরও তীব্র করেছে। তাই শুধুমাত্র মোদী ম্যাজিকের উপর ভর করে নির্বাচন জেতা যে  আর বিজেপির পক্ষে সম্ভব নয় কর্ণাটকের জনগণ চোখে হাত দিয়ে তাই দেখিয়ে দিল। .....বিস্তারিত পড়ুন

স্বপ্নপূরণ না হলেও জ্যাভিলিনে সোনা জিতলেন নীরজ

উত্তরাপথ: দোহায় ডায়মন্ড লিগে জ্যাভিলিনে সোনা জিতলেন নীরজ চোপড়া কিন্তু তার জ্যাবলিনে ৯০ মিটার দূরত্ব অতিক্রম করার স্বপ্নপূরণ হল না । দোহায় তার জ্যাভিলিন থামল ৮৮.৬৭ মিটার দূরত্ব অতিক্রম করে। গতবছরও এই লিগে প্রথম পদক জিতেছিলেন নীরজ। দোহার সুহেম বিন হামাদ স্টেডিয়ামে প্রথমবার জ্যাভলিন ছুড়েই চমক দেন নীরজ। প্রথমবারেই তার জ্যাভলিন চলে যায় ৮৮.৬৭ মিটার। ২০২২ সালে জুরিখের ডায়মন্ড লিগে সফলতা হয়েছিলেন নীরজ এবং টোকিও অলিম্পিকে সোনা জিতেছিলেন তিনি। তার লক্ষ্য ছিল ৯০ মিটারের গণ্ডি পেরনোর কিন্তুসেই লক্ষ্য .....বিস্তারিত পড়ুন

Scroll to Top