উত্তরাপথঃ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিভাগের একটি প্রকল্পের আওতায় আঁধি গ্রামে এই পরিবর্তন করা হচ্ছে।জয়পুর থেকে ৫০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত আন্ধি গ্রাম।আগামী তিন বছরে এই গ্রাম শূন্য বর্জ্য হয়ে যাবে বলে মনে করা হচ্ছে ।আন্ধি গ্রামের এই সম্পূর্ণ রূপান্তরটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিভাগের একটি প্রকল্পের অধীনে করা হচ্ছে। এই প্রকল্পটি সবুজ প্রযুক্তির হস্তক্ষেপ ব্যবহার করে আন্ধি গ্রামকে জিরো ওয়েস্ট মডেলে রূপান্তরিত করার কাজ চলছে । এই প্রকল্পটি ২১ মার্চ ২০২২ এ শুরু হয়েছে, প্রকল্প পরিচালক বলেন, এ গ্রামের অবস্থা আগে খুবই খারাপ ছিল।আগে এই গ্রামের লোকেদের কঠিন বর্জ্য আলাদা করার কোনও ধারনা ছিল না ।সেই সময় তারা ঘর থেকে বেরিয়ে আসা ধূসর জল ব্যবহার করে গম চাষ করত।পরে এই গম তারা শহরে বিক্রি করত।এই গম খেলে রোগ হতে পারে।এ বিষয়ে তাদের কোনো সচেতনতা ছিলনা।এরপর যখন এই গ্রামে শূন্য বর্জ্য প্রকল্প শুরুর কথা ঘোষণা করা হয় তখন প্রকল্প শুরুর আগে এখানকার মাটি ও জল পরীক্ষা করা হয়।তাতে দেখা গেছে ধূসর জলে. কোলাই, সালমোনেলা ব্যাকটেরিয়া এবং প্যাথোজেন মানদণ্ডের চেয়ে বেশি রয়েছে। এগুলো জলের সাহায্য মাটিতে চলে যাচ্ছে।এগুলোর কারণে আগে টাইফয়েড, হেপাটাইটিস, অ্যালার্জি এবং অন্যান্য রোগ হত।এই গ্রামের বয়স্ক মানুষদের মধ্যেও ত্বকে অ্যালার্জি ও হাঁটুর ব্যথার সমস্যা লক্ষ্য করা গেছে।অ্যালার্জির কারণে আগে বেশিরভাগ শিশুর মুখ লাল ছিল।আগে ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে এখানে অনেকের মৃত্যু হয়েছে।
কিন্তু এখন ধীরে ধীরে এগুলো সব ইতিহাস হতে চলেছে ।খুব দ্রুত এটি হবে রাজস্থানের প্রথম গ্রাম, যেখানে কঠিন বর্জ্য এবং ধূসর জল একসঙ্গে শোধন করা হবে।বাড়ির পাশাপাশি, হাসপাতালের বর্জ্য জলও শোধন করে পুনরায় ব্যবহার করা হবে। এ জন্য বাহ্যিক শক্তির পরিবর্তে সবুজ শক্তি ব্যবহার করে এসটিপি প্লান্ট স্থাপন করা হবে।এমনকি ক্যানা ইন্ডিকা প্ল্যান্টের মাধ্যমেও জল ফিল্টার করা হবে। এলপিজির বদলে বায়োগ্যাস থেকে তৈরি হবে মিড-ডে মিল।
বাড়িঘর ও হাসপাতাল থেকে নির্গত ধূসর জল ফিল্টার করার জন্য তৈরি করা হবে জলাভূমি।এই জলাভুমির ঢালে বেড তৈরি করে ক্যানা ইন্ডিকা গাছ লাগানো হবে।এগুলো দিয়ে শত শত লিটার জল ফিল্টার করা যাবে। এছাড়াও পুনর্ব্যবহারযোগ্য বর্জ্যগুলিকে আলাদা করে কম্পোস তৈরির কৌশলগুলির মাধ্যমে চাষের জন্য সার তৈরি করা হবে । প্লাস্টিক বর্জ্যকে পুনর্ব্যবহারযোগ্য করতে এগুলিকে আবার প্রক্রিয়াকরণ করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে ।বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিভাগের অধীনে হওয়া এই প্রকল্প কেবল ল্যান্ডফিলগুলিতে বর্জ্যের পরিমাণ হ্রাস করেনি বরং গ্রামের জন্য মূল্যবান সম্পদও তৈরি করেছে।
আরও পড়ুন
নজরুল গবেষক কল্যাণী কাজী মৃত্যু
উত্তরাপথ: বিশিষ্ট নজরুলগীতি শিল্পী কল্যাণী কাজী শুক্রবার ভোরে কলকাতার পি জি হসপিটালে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন। বার্ধক্য জনিত কারণে ৮৮ বছর বয়সে তিনি প্রয়াত হন।কাজী নজরুল ইসলামের পুত্র কাজী অনিরুদ্ধের সহধর্মিনী এবং নজরুল গবেষক কল্যাণী কাজী।সমাজের বিভিন্ন স্তরের লোক তার মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন। শিল্পী কল্যাণী কাজীর মৃত্যুতে শোকবার্তা প্রকাশ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শোকবার্তায় তিনি লিখেছেন, .....বিস্তারিত পড়ুন
নাসার দুই মহাকাশ বিজ্ঞানী "Astronaut Hall of fame -এ অন্তর্ভুক্ত হল
উত্তরাপথ: দুই সুপরিচিত, প্রবীণ NASA মহাকাশচারী রয় ডি. ব্রিজেস জুনিয়র এবং সেনেটর মার্ক ই. কেলিকে ফ্লোরিডার কেনেডি স্পেস সেন্টারে মার্কিন মহাকাশচারী ৬ মে ২০২৩ হল অফ ফেমে (AHOF) অন্তর্ভুক্ত হল, যার ফলে মোট সদস্য সংখ্যা ১০৭ পৌঁছল। উভয় মহাকাশচারীই ৬০ দিনের সম্মিলিত মহাকাশে NASA এর অনুসন্ধান এবং আবিষ্কারের মিশনে উল্লেখযোগ্য অবদান রেখেছেন। রয় ডি. ব্রিজস জুনিয়র জর্জিয়ার আটলান্টায় জন্মগ্রহণ করেছিলেন, কিন্তু জর্জিয়ার গেইনসভিলে বড় হয়েছেন। .....বিস্তারিত পড়ুন
মানুষে মানুষে ঐক্য কীভাবে সম্ভব
দিলীপ গায়েন: হিন্দু,মুসলমান,ব্রাহ্মণ,তফসিলি।সকলেই মানুষ।কিন্তু এদের মধ্যে যে ব্যবধান তা হলো ধর্ম ও সাংস্কৃতিক। এই ব্যবধান মুছতে পারলে একাকার হওয়া সম্ভব। যারা বলছে আর্থিক সমতা প্রতিষ্ঠা হলে ব্যবধান মুছে যাবে, তাদের কথাটি বোধ হয় সঠিক নয়।তার প্রমাণ গরিব ও শ্রমিক শ্রেণীর মধ্যে আর্থিক ব্যবধান নেই। অথচ জাতিভেদ রয়ে গেছে। তেমনি কিছু ব্যতিক্রমী ঘটনা ব্যতীত ধনী ও শিক্ষিত সমাজে আর্থিক সচ্ছলতা থাকলেও জাতিভেদ রয়ে গেছে। একমাত্র হাসপাতালে বা চিকিৎসা ব্যবস্থায় জাতিভেদ নেই।কারণ সেখানে তো প্রচলিত ধর্মজাত প্রভেদ বা পরিচয় নেই। আছে মেডিসিন, যা সম্পূর্ণ বিজ্ঞান। কারোর ধর্ম বা জাত দেখে প্রেসক্রিপশন হয় কি? এখানে মানুষের একমাত্র এবং শেষ পরিচয় সে মানুষ। .....বিস্তারিত পড়ুন
প্রয়াত "কালবেলা"-র স্রষ্টা সাহিত্যিক সমরেশ মজুমদার
উত্তরাপথ: সাহিত্য একাডেমি পুরুষ্কার প্রাপ্ত প্রখ্যাত সাহিত্যিক সমরেশ মজুমদার কলকাতার এক বেসরকারী হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৭৯ বছর।বেশ কিছুদিন ধরে তিনি ফুসফুস ও শ্বাসনালীর সংক্রামণের কারনে তিনি হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন। ১৯৪২ সালে উত্তরবঙ্গের গয়েরকাটায় জন্ম এই বিখ্যাত লেখকের।ষাটের দশকের গোড়ায় তিনি কলকাতায় এসেছিলেন। ভর্তি হয়েছিলেন স্কটিশ চার্চ কলেজের বাংলা (সাম্মানিক) স্নাতক বিভাগে৷ এর পর স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করেন কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে। সমরেশ মজুমদারের উল্লেখযোগ্য .....বিস্তারিত পড়ুন