উত্তরাপথঃ বাংলাদেশ ও ইলিশ এই দুটি নাম একে অপরের পরিপূরক মনে হলেও বাস্তব কিন্তু বলছে অন্য কথা। সূত্র মাধ্যমে পাওয়া খবরে জানা যাচ্ছে প্রকৃতির অপার দান হলেও শিকার থেকে শুরু করে বাজারজাত হওয়া পর্যন্ত ব্যয় বৃদ্ধির কারণেই বাড়ছে বাংলাদেশে ইলিশের দাম। এর সঙ্গে মধ্যস্বত্বভোগীদের লাভের অঙ্ক যোগ হয়ে তা চলে যাচ্ছে ধরাছোঁয়ার বাইরে।পরিস্থিতি এমন যে গরিব তো দূর থাক মধ্যবিত্তের পাতেও এখন আর জুটছে না ইলিশ। বুধবার বরিশালের পাইকারি বাজারে এক কেজি সাইজের ইলিশ বিক্রি হয় ৬০ হাজার টাকা মন দরে। ৪২ কেজিতে মন হিসাবে প্রতি কেজির দাম পড়ে প্রায় সাড়ে ১৪শ টাকা। খুচরা বাজারে গিয়ে যা বিক্রি হয় ১৬ থেকে ১৮শ টাকা। যে কারণে জাতীয় এই মাছ এখন শুধু বিত্তশালীদের খাদ্যে পরিণত হয়েছে।
গত বছরও এক কেজি আকারের বাংলাদেশে ইলিশের দাম ছিল প্রতি মন ৪২ থেকে ৪৫ হাজার। এ বছর সেই দাম দাঁড়িয়েছে ৬০ হাজারে। কেন অত্যধিক দাম বৃদ্ধি- জানতে চাইলে বরগুনা জেলা মৎস্য ব্যবসায়ীদের বক্তব্য, ‘এটা ঠিক যে বাংলাদেশ ইলিশের জন্য বিখ্যাত।তবে সেই ইলিশ ঘরে তুলতে যে খরচ পড়ে সেটা ইলিশ বেচেই তুলতে হয়। সবাই ইলিশের দাম নিয়ে অভিযোগ করছেন, ভেতরের বিষয়গুলো তো কেউ খতিয়ে দেখছেন না। মোটামুটি আকারের একটি মাছ ধরা ট্রলার বানাতে খরচ হয় ৩৫-৪০ লাখ টাকা। ১৪-১৫ জন মাঝি মাল্লা নিয়ে এই ট্রলার সাগরে মাছ ধরতে গেলে তেল সহ অন্যান্য খরচ মিলিয়ে আড়াই থেকে ৩ লাখ টাকা খরচ হয় মালিকের। সেই সঙ্গে যোগ হয় দাদন বাবদ মাঝি মাল্লাদের নেওয়া ৩ লাখ টাকা। আর সব ট্রিপে যে মাছ মেলে তাও কিন্তু নয়। অনেক সময় ফিরতে হয় শূন্য হাতে। তখন পুরো টাকাটাই লোকসান।’
বরিশাল ইলিশ মোকামের আর এক ব্যবসায়ীর মতে, ‘আগে ডিজেল কিনতাম ৬০ টাকা দরে। এখন তা ১০৯ টাকা। একই হারে বেড়েছে মবিলের দাম। চাল-ডালসহ অন্যসব পণ্যের দামও বাড়তি। যে কারণে আগের তুলনায় বেড়েছে সাগরে ট্রলার পাঠানোর খরচ। ৩ লাখ টাকা খরচ করে একটি ট্রলার সাগরে গিয়ে যদি ২০ মন ইলিশ পায় তাহলে কত টাকায় বিক্রি করলে খরচ উঠবে? ধরা পড়া সব ইলিশ তো আর কেজি সাইজের হয় না। আর আমাদের যাবতীয় খরচ এই মাছ বিক্রি করে তুলতে হয় ।
স্থানীয় আর এক ব্যবসায়ীর মতে, ব্যয় বৃদ্ধি সত্ত্বেও আরও খানিকটা কম দামে বেচা যেত ইলিশ। কিন্তু মধ্যস্বত্বভোগীদের দাপটে সম্ভব হয় না।নদীতে যারা ইলিশ ধরেন তারা সারা দিনে পান ৮-১০টি ইলিশ। এর সাথে থাকে যোগ হয় আড়তদারের লাভ।সব মিলিয়ে আকাশে ওঠে ইলিশের দাম।
তবে যেটা দেখার বাংলাদেশে এই বর্ধিত ইলিশের দামের প্রভাব আমাদের রাজ্যের বাজারে কতটা পড়ে।
আরও পড়ুন
Vitamin-D: ভিটামিন ডি’র সেবন হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি কমায়
উত্তরাপথ: হার্ট অ্যাটাক এবং স্ট্রোক সহ কার্ডিওভাসকুলার রোগগুলি বর্তমানে বিশ্বব্যাপী মৃত্যুর একটি প্রধান কারণ।সম্প্রতি একটি ক্লিনিকাল ট্রায়ালে দেখা গেছে যে ভিটামিন ডি সম্পূরকগুলি ৬০ বছরের বেশি বয়সী লোকেদের হার্ট অ্যাটাক সহ যে কোনও বড় ধরনের কার্ডিওভাসকুলার অ্যাটাকের ঝুঁকি কমাতে পারে৷ গবেষণায় দেখা গেছে ভিটামিন ডি প্রায়ই "সানশাইন ভিটামিন" হিসাবে পরিচিত। এটি গ্রহণকারীদের মধ্যে স্ট্রোক সহ কার্ডিওভাসকুলার রোগ ৯% হ্রাস পেয়েছে । যা ২৮ জুন দ্য বিএমজে দ্বারা প্রকাশিত একটি ক্লিনিকাল ট্রায়ালে এই তথ্য প্রকাশিত হয়েছে। .....বিস্তারিত পড়ুন
নতুন DA র হার ঘোষণা কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মীদের জন্য
উত্তরাপথ: ডিএ হল ডিয়ারনেস অ্যালাওয়েন্স বা মহার্ঘ্য ভাতা। মূল্যস্ফীতির কারণে কর্মচারীদের অর্থনৈতিক অবস্থার ভারসাম্য বজায় রাখতে বা সামঞ্জস্য করতে অতিরিক্ত আর্থিক সাহায্যের আকারে ডিএ দেয় সরকার। এটি কর্মচারীর মূল বেতনের একটি নির্দিষ্ট শতাংশ বেতনের সঙ্গে যোগ করে দেওয়া হয়। সাধারণত, সরকার প্রতি ছয় মাসে (জানুয়ারি ও জুলাই মাসে) কর্মচারীদের মহার্ঘ ভাতা বৃদ্ধির ঘোষণা করে। কোন বছরে মহার্ঘ ভাতা কত শতাংশ বাড়বে তা নির্ধারণ করতে সর্বভারতীয় উপভোক্তা মূল্য সূচকের সাহায্য নেওয়া হয়। .....বিস্তারিত পড়ুন
৩৭০ ধারার সিদ্ধান্ত কি SC-এ বাতিল হতে পারে ?
উত্তরাপথ: ৩৭০ ধারা নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের সিদ্ধান্তকে সুপ্রিম কোর্টে চ্যালেঞ্জ করা হয়েছে। দেশের সবচেয়ে বড় আদালত আগামী ২ আগস্ট থেকে এ বিষয়ে নিয়মিত শুনানি করবে। প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড় সহ ৫ বিচারপতির বেঞ্চ উভয় পক্ষের যুক্তি শুনবে। এ বিষয়ে যুক্তিতর্ক শুনানি শেষে চূড়ান্ত রায় ঘোষণার কথা রয়েছে। এখন প্রশ্ন হঠাৎ কেন ৪ বছর পর সুপ্রিম কোর্টে ৩৭০ ধারা নিয়ে শুনানি হচ্ছে, পিটিশনকারীদের যুক্তি কী .....বিস্তারিত পড়ুন
তৃণমূলের রাজ্যসভা প্রার্থী
উত্তরাপথ: রাজ্যসভার প্রার্থী অবশেষে ঘোষণা করল শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস।আগামী ২৪ জুলাই রাজ্যসভা নির্বাচন। আজ ৬ প্রার্থীর নাম ঘোষণা করে দিলো দল । এরা হলেন সুখেন্দুশেখর রায়,ডেরেক ও’ব্রায়েনও দোলা সেন।এরা গত রাজ্যসভা নির্বাচনেও প্রার্থী হয়েছিলেন। এই ৩ জন যে পুনরায় টিকিট পাবেন তা নিয়ে কোন দ্বিমত ছিল না । জল্পনা চলছিল বাকি ৩ টি আসনে তৃণমূল কাদের পাঠাবে সেই নিয়ে। বাকি ৩ টি আসনের জন্য প্রার্থী করা হয়েছে সমিরুল ইসলাম, প্রকাশ চিক বরাইক এবং সাকেত গোখলেকে। তৃণমূল কংগ্রেস শান্তা ছেত্রী এবং সুস্মিতা দেবের জায়গায় .....বিস্তারিত পড়ুন