শুরু হয়ে গেছে বাংলাদেশে ওয়ানডে বিশ্বকাপের অনলাইন টিকিট বিক্রি

উত্তরাপথঃ বছর ভারতের মাটিতে বসতে যাচ্ছে ওয়ানডে বিশ্বকাপের ১৩ তম আসর। আগামী ৫ অক্টোবর থেকে ১৯ নভেম্বর পর্যন্ত চলবে এই মেগা টুর্নামেন্ট। আহমেদাবাদের নরেন্দ্র মোদী স্টেডিয়ামে ফাইনাল ম্যাচসহ ভারতের মোট ১০টি শহরে হবে বিশ্বকাপের ম্যাচগুলো। ইতিমধ্যে বিশ্বকাপের সূচি প্রকাশ করেছে আইসিসি। সম্প্রতি এই মেগা ইভেন্টের টিকিট মূল্যও প্রকাশ করা হয়েছে। 
যেহেতু প্রতিবেশি দেশ ভারতে বিশ্বকাপের মঞ্চ, সেহেতু বাংলাদেশি ক্রিকেট প্রেমিদের মাঠে যেয়ে খেলা দেখার বাড়তি আগ্রহ রয়েছে। আর তাই মেগা ইভেন্টগুলোর টিকিট সংগ্রহ করতে অনলাইন মাধ্যমকে বেঁছে নিয়েছে বাংলাদেশের ক্রিকেটপ্রেমীরা। তবে এবার তারা বাংলাদেশ থেকেই অনলাইন টিকিট কেনার সুযোগ পাচ্ছেন।অনুষ্ঠিত হতে চলা বিশ্বকাপের টিকিটের দায়িত্ব পেয়েছে ‘ডিসকাভারি ট্যুরস অ্যান্ড লজিস্টিক’ নামের এক প্রতিষ্টান। এই প্রতিষ্ঠানটির মাধ্যমে মিলবে বিভিন্ন ভেন্যুর তথ্য এবং যাতাযাতের সমস্ত দরকারি পরামর্শ।এই টিকিট বিক্রির টাকা থেকে রাজস্ব পাবে বাংলাদেশ সরকারও।
আইসিসি এবং স্থানীয় আয়োজকদের নির্ধারিত মূল্যে মিলছে টিকেট। পাওয়া যাচ্ছে ৫ ক্যাটাগরিতে। সবচেয়ে কম মূল্য বাংলাদেশি টাকায় ১৮ হাজার ৭৫০ । আর সবচেয়ে বেশি দাম ১ লাখ ৪৬ হাজার ২৫০ টাকা। তবে ম্যাচ আর ক্যাটাগরি ভেদে টিকেটের মূল্য ভিন্ন‌।বাংলাদেশের সব ম্যাচসহ ভারত-পাকিস্তান এমনকি সেমিফাইনাল এবং ফাইনালের টিকেটও এখনই কেটে রাখা যাচ্ছে‌। সব টিকেট ৫ ক্যাটাগরিতে মিললেও এখন ভারত-পাকিস্তান ম্যাচের টিকেট মিলছে চার ক্যাটাগরিতে। কারণ এই ম্যাচের একটি ক্যাটাগরির টিকেট এরই মধ্যে শেষ হয়ে গেছে।
ভারতে বিশ্বকাপের টিকিট বিক্রি নিয়ে ডিসকভারি ট্যুরস অ্যান্ড লজিস্টিক-এর সিইও জহিরুল রোমান বলেন, ‘ডিসকভারি ট্যুরস অ্যান্ড লজিস্টিক সব সময় পর্যটনে উদ্ভাবনী পণ্য ও সেবা নিয়ে আসার প্রচেষ্টায় থাকে। তাই, সাম্প্রতিক সময়ে আমরা ক্রীড়া পর্যটনের উত্থানে সফলভাবে অবদান রাখছি। ফিফা বিশ্বকাপ ২০২২ এর অফিসিয়াল আতিথেয়তা অংশীদার হিসাবে আমাদের মানসম্পন্ন পরিষেবা এবং পারফরম্যান্সের ধারাবাহিকতায়, এই বছর, আইসিসি আসন্ন পুরুষ ক্রিকেট বিশ্বকাপের জন্য অফিসিয়াল ট্রাভেল এজেন্ট নিযুক্ত করেছে।’ তিনি আরও উল্লেখ করেছেন, ‘ইতিমধ্যে টিকেট বিক্রি শুরু হয়েছে এবং আমরা বিশেষ করে বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের ম্যাচের জন্য দারুণ সাড়া পাচ্ছি।’ 

প্রসঙ্গত ক্রিকেট বিশ্বকাপে বাংলাদেশের দলে থাকছেন না তামিম ইকবাল, মঙ্গলবার (২৬ সেপ্টেম্বর দিনভর চলে এই গুঞ্জন। ঘোষিত দলে শেষ পর্যন্ত নেই সেরা এই ওপেনারের নাম। কেন বাদ দেয়া হলো তাকে, এ নিয়ে দল ঘোষণার পরই মুখ খুলেছেন প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদীন নান্নু।তিনি বলেছেন, ইনজুরির কারণে তামিম ইকবালকে বিশ্বকাপ দলে রাখা হয়নি। তামিম ইকবালের অনেকদিন ধরেই ইনজুরি নিয়ে সমস্যায় আছে। নিউজিল্যান্ড সিরিজের পর সবকিছু বিবেচনা করে সবাই আলোচনা করেই এ সিদ্ধান্ত নেয়।

খবরটি শেয়ার করুণ

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন


World Children's Day: সত্যিই কি ‘বিশ্ব শিশু দিবস´পালনের কোনও যৌক্তিকতা আছে ?

প্রীতি গুপ্তাঃ হাতে গোনা আর মাত্র কয়েকটি দিন তারপর ১৪ নভেম্বর আমাদের দেশ সহ সারা বিশ্বজুড়ে  পালন করা হবে ‘বিশ্ব শিশু দিবস´(World Children's Day)।এই দিনটি শিশুদের মঙ্গলের জন্য, তাদের ভবিষ্যতের জন্য একটি অনুকূল বিশ্ব তৈরি করার প্রচেষ্টার একটি দিন।কিন্তু প্রশ্ন,সত্যি কি হাজার হাজার কোটি টাকা খরচ করে সারা বিশ্ব জুড়ে শিশু দিবস পালন করার কোনও যৌক্তিকতা আছে? আদৌ কি এর কোনও লাভ আমরা আমাদের প্রান্তিক স্তরের শিশুদের কাছে পৌঁছে দিতে পেরেছি ? সম্প্রতি কাজের প্রয়োজনে রাজস্থানের উদয়পুর শহরে আসা। আমরা সবাই জানি উদয়পুর বিখ্যাত তার হ্রদের কারণে । এখানকার স্থানীয় থেকে পর্যটক সকলেই এই সুন্দর হ্রদগুলির আকর্ষণে বারবার ছুঁটে যায়। ‘ফতে সাহেব লেক’ রাজস্থানের উদয়পুরের এক বিখ্যাত পর্যটক স্থল।এখানে বহু মানুষ সকাল- বিকেল এই লেকের চার ধারে হাঁটাহাঁটি করতে বেরিয়ে পড়ে। সেভাবেই দুই দিন আগে বিকেলে হঠাৎ করে বেরিয়ে পড়লাম ‘ফতে সাহেব লেকের ধারে হাঁটার উদ্দেশ্য নিয়ে। হাঁটার মাঝখানে হঠাৎ করে একটি বাচ্চাছেলে আওয়াজ করে ডাকছে ,বললাম কিছু বলবি? সে বলল একটু দাঁড়াতে। ও ছুটে গিয়ে হাতে করে কয়েকটি বেলুন নিয়ে এসে হাজির । সে বারবার বেলুন কেনার অনুরোধ জানাতে লাগল। হাতে অন্য কাজের চাপ নেই অনেকটা অবসর সময় তাই আমি অনেকটা সাংবাদিক সুলভ মন নিয়ে বললাম ঠিক আছে আমি তোর বেলুন নেব ,কিন্তু তার আগে আমি  তোকে যা বলব তার তার ঠিক ঠিক উত্তর দিতে হবে। সে খুশী খুশী রাজি হয়ে গেল । .....বিস্তারিত পড়ুন

ফ্লিম রিভিউ -ওপেনহাইমার

উত্তরাপথ: বিখ্যাত চলচ্চিত্র নির্মাতা ক্রিস্টোফার নোলান দ্বারা পরিচালিত”ওপেনহাইমার” একটি মাস্টারপিস মুভি। ছবিতে জে. রবার্ট ওপেনহেইমার, এক নামকরা পদার্থবিজ্ঞানী, যিনি দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় পারমাণবিক বোমার বিকাশে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন।এই সিনেমায় ওপেনহাইমার এর জটিল জীবনকে বর্ণনা করা হয়েছে। সেই হিসেবে 'ওপেনহাইমার'কে বায়োপিক বলা যেতে পারে।  কারণ এটি একজন মানুষের গল্প। এই ছবির গল্প তিনটি পর্যায়ে বিভক্ত।ছবির শুরুতে পারমাণবিক বোমা তৈরির আবেগের কথা বলা হয়েছে।  যেখানে নায়ক কিছু না ভেবে নিবেদিতপ্রাণভাবে এমন একটি অস্ত্র তৈরিতে নিয়োজিত থাকে যা বিশ্বকে ধ্বংস করতে পারে।  অস্ত্র তৈরি হওয়ার পর দ্বিতীয় পর্যায়ে নায়ক তার কাজের ফলাফল দেখে অপরাধবোধে পূর্ণ হয়।  এবং তৃতীয় পর্যায়টি হল রাজনীতি  যা ওপেনহাইমারকে মোকাবেলা করতে হয়েছে।  পুরো সিনেমাটি রঙিন হলেও রাজনৈতিক অংশ সাদা-কালো রাখা হয়েছে।  এই তিনটি সময়কালে যা কিছু ঘটছে, তা সবই একে অপরের সাথে সংঘর্ষে লিপ্ত। .....বিস্তারিত পড়ুন

Karar Oi Lauh Kapat: কাজী নজরুলের এই গানকে ঘিরে  বিতর্কে এ আর রহমান

উত্তরাপথঃ বিতর্কে 'পিপ্পা' ছবির সঙ্গীত পরিচালক অস্কারজয়ী সুরকার এ আর রহমান।সম্প্রতি কবি কাজী নজরুল ইসলামের পরিবার একটি হিন্দি ছবিতে কবির জনপ্রিয় গান 'করার ঐ লৌহ কাপাত...' (Karar Oi Lauh Kapat )।কিন্তু এ আর রহমানের সঙ্গীত পরিচালনায় ওই গানটি যেভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে তাতে আপত্তি জানিয়েছে নজরুল পরিবার।বিতর্কের পর যে চুক্তির আওতায় ওই গানটি ছবিতে ব্যবহার করা হয়েছে তা প্রকাশ্যে আনার দাবি তুলেছে কবির পরিবার।'পিপ্পা' শিরোনামের হিন্দি চলচ্চিত্রটি যেখানে (Karar Oi Lauh Kapat )গানটি ব্যবহার করা হয়েছে তা বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে অংশ নেওয়া একজন ভারতীয় সেনা সৈনিককে কেন্দ্র করে একটি সত্য ঘটনা অবলম্বনে নির্মিত। ছবির সঙ্গীত পরিচালক অস্কারজয়ী সুরকার এ আর রহমান। গানের কথা ঠিক রেখেও সুর পাল্টানোর অভিযোগে ভারত ও বাংলাদেশে বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে।কবির পরিবারের অভিযোগ, গানটি ব্যবহারের অনুমতি দিলেও সুর পরিবর্তনের অনুমতি দেওয়া হয়নি।পরিবারের সদস্যরাও ছবিটি থেকে গানটি বাদ দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন। .....বিস্তারিত পড়ুন

সম্পাদকীয়-  রাজনৈতিক সহিংসতা ও আমাদের গণতন্ত্র

সেই দিনগুলো চলে গেছে যখন নেতারা তাদের প্রতিপক্ষকেও সম্মান করতেন। শাসক দলের নেতারা তাদের বিরোধী দলের নেতাদের কথা ধৈর্য সহকারে শুনতেন এবং তাদের সাথে সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রাখতেন।  আজ রাজনীতিতে অসহিষ্ণুতা বাড়ছে।  কেউ কারো কথা শুনতে প্রস্তুত নয়।  আগ্রাসন যেন রাজনীতির অঙ্গ হয়ে গেছে।  রাজনৈতিক কর্মীরা ছোটখাটো বিষয় নিয়ে খুন বা মানুষ মারার মত অবস্থার দিকে ঝুঁকছে। আমাদের দেশে যেন রাজনৈতিক সহিংসতা কিছুতেই শেষ হচ্ছে না।আমাদের দেশে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গার চেয়ে রাজনৈতিক সংঘর্ষে বেশি মানুষ নিহত হচ্ছেন।  ন্যাশনাল ক্রাইম রেকর্ডস ব্যুরো (এনসিআরবি) অনুসারে, ২০১৪ সালে, রাজনৈতিক সহিংসতায় ২৪০০ জন প্রাণ হারিয়েছিল এবং সাম্প্রদায়িক দাঙ্গায় ২০০০ জন মারা গিয়েছিল।  আমরা পৃথিবীর বৃহত্তম গণতন্ত্র হিসেবে আমাদের দেশের গণতন্ত্রের জন্য গর্বিত হতে পারি, কিন্তু এটা সত্য যে আমাদের সিস্টেমে অনেক মৌলিক সমস্যা রয়েছে যা আমাদের গণতন্ত্রের শিকড়কে গ্রাস করছে, যার জন্য সময়মতো সমাধান খুঁজে বের করা প্রয়োজন। .....বিস্তারিত পড়ুন

Scroll to Top