পূজায় ডিজে বক্সের রমরমায়, ঢাকিদের কেউ ডাকছেনা  

পূজায় ডিজে বক্সের রমরমা ছবি – উত্তরাপথ

উত্তরাপথঃ পূজা চলে এলেও এখনও তেমন বায়না জোটেনি বাংলার ঢাকিদের। মহালয়ার দুই একদিন আগে থাকতেই রাজ্যের বিভিন্ন জেলা থেকে ঢাকিদের দল বাড়তি রোজগারের আশায় কলকাতায় আসেন। এবার ঢাকিদের দল কলকাতা এলেও তারা তেমন একটা কোথাও ডাক পাচ্ছে না বলে তাদের অভিযোগ ।সে সাথে তাদের দাবী পূজায় ডিজে বক্সের রমরমায়, ঢাকিদের কেউ তেমন ডাকছেনা ।

ঢাকিদের দাবি, প্রতি বছরই পূজোতে ক্রমশ কদর কমছে ঢাকিদের। আগের মত ষষ্ঠী থেকে দশমী পর্যন্ত চরম ব্যস্ততাও আর নেই। অত্যাধুনিক বাদ্যযন্ত্র, ডিজের বক্সের দাপটে ঢাকিদের কদর ক্রমশ কমছে বলে তারা জানিয়েছে। পূজো মানেই ঢাকের আওয়াজ।এইসময় তাদের ব্যস্ততা থাকে চরম পর্যায়ে। পূজো এলেই তাদের চাহিদা পাড়ায় পাড়ায়। কিন্তু এই জীবিকায় এখন আর কেউ আসতে চান না। কারণ, অত্যাধুনিক যুগে সবকিছুর সঙ্গে তাল মিলিয়ে বেড়েছে অত্যাধুনিক ডিজে বক্স থেকে রকমারি যন্ত্রপাতির চাহিদা তারফলে ঐতিহ্যবাহী ঢাকি দের কেউ ডাকছে না এবং পূজার সময়ও এদের ঘর থাকছে অন্ধকার।

এই ব্যাপারে শিয়ালদা স্টেশনে অপেক্ষারত ঢাকিদের দাবি পূজো চলে এলেও পূজায় ডিজে বক্সের রমরমায় এখনও তেমন বায়না জোটেনি। বালুরঘাট শহরের সুকান্ত কলোনী এলাকায় বেশ কিছু ঢাকি স্থানীয় বাজারে বরাত না পেয়ে কলকাতা এসেছে বাড়তি রোজগারের আশায়,কিন্তু কলকাতাতে এসেও সেই একই অবস্থ বরাত নেই।তাদের বক্তব্য সারা বছর তারা স্থানীয় স্তরে ঢাক বাজিয়ে রোজগার করে। পূজাতে বাড়তি উপার্জনের আশায় কলকাতায় আসা।মালদার এক ঢাকির বক্তব্য,লকডাউনের জন্য পর পর দুই বছর আমরা তেমন কোনও কাজ পায়নি।গত বছর আমরা কিছু গ্রাহক পেলেও এবছর বাজার খুব খারাপ।

সারা রাজ্যে ৪০,০০০ টিরও বেশি দুর্গাপূজা ক্লাব রয়েছে। রাজ্যে উৎসবের প্রস্তুতি শুরু হয় তিন-চার মাস আগে থেকে। দুর্গাপূজার এই প্রস্তুতির সাথে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ ভাবে যুক্ত থাকে কমপক্ষে দুই-তিন লক্ষ লোক যা রাজ্যের অর্থনীতিতে এক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।দুর্গাপূজার সময় রাজ্যে ভারত সহ বিদেশ থেকে এক বিশাল সংখ্যক পর্যটকের আগমন ঘটে এই রাজ্যে।উৎসবকে কেন্দ্র করে বিস্তৃত সজ্জা, শৈল্পিক ভাস্কর্য এবং বিশাল শোভাযাত্রা পর্যটকদের আকর্ষণ করে ।পর্যটকদের এই বিশাল আগমন পশ্চিমবঙ্গের পর্যটন শিল্পকে উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি করে।সেইসাথে হোটেল, গেস্টহাউস, রেস্তোরাঁ এবং পরিবহন পরিষেবাগুলিরও চাহিদা বৃদ্ধি পায়,যা রাজ্যের রাজস্ব বৃদ্ধি সহ কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি করে।

খবরটি শেয়ার করুণ

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন


সম্পাদকীয়

এ যেন বহুদিন পর বিজেপির চেনা ছন্দের পতন। হিমাচল প্রদেশের পর কর্ণাটক কংগ্রেস নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে বিজেপির বিজয়রথকে থামিয়ে দিল ।২০১৮ পর থেকে লাগাতার হারতে থাকা একটি দল আবার ২০২৪ সাধারণ নির্বাচনে প্রাসঙ্গিক হয়ে গেল । ২২৪ সদস্যের কর্ণাটক বিধানসভায় সরকার গঠন করতে গেলে প্রয়োজন ১১৩টি আসন সেখানে কংগ্রেস একাই পেয়েছে ১৩৬টি আসন, বিজেপি পেয়েছে ৬৫ টি এবং প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী দেবগৌড়ার জেডিএস পেয়েছে ১৯টি এবং অন্যান্য ৪ টি আসন পেয়েছে। যা গতবারের তুলনায় বিজেপির ৩৯ টি আসন কমেছে এবং কংগ্রেসের বেড়েছে ৫৭টি আসন এবং জেডিএসের কমেছে ১৮ টি আসন।   কর্ণাটকে কংগ্রেসের এই সাফল্য কি রাজ্যে কংগ্রেসের শক্তিশালী সংগঠনের ফল না কি কর্ণাটকের আগের ক্ষমতাশীল বিজেপি সরকারের বিরুদ্ধে মানুষের ক্ষোভ । কর্ণাটকে কংগ্রেসে অনেক বড় নেতা রয়েছে।  প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি শিবকুমার দক্ষ সংগঠক। আগের মুখ্যমন্ত্রী সিদ্ধারামাইয়ার ব্যাপক জনভিত্তি রয়েছে।  ভোটের আগে বিজেপির প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী জগদীশ শেট্টার এবং উপমুখ্যমন্ত্রী সাভাড়ি কংগ্রেসে যোগ দিয়ে নির্বাচনে লড়েছেন। অন্যদিকে বিজেপির প্রচারের সবচেয়ে বড় মুখ ছিলেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। বিজেপির প্রচারে সব নেতারাই মোদীর নাম করেই ভোট চেয়েছিলেন কিন্তু শেষ রক্ষা হল না ।কর্ণাটকের বিজেপি সরকারের ব্যাপক দুর্নীতি সেই সাথে কংগ্রেসের লাগাতার প্রচার যা প্রতিষ্ঠান বিরোধিতার সুরকে আরও তীব্র করেছে। তাই শুধুমাত্র মোদী ম্যাজিকের উপর ভর করে নির্বাচন জেতা যে  আর বিজেপির পক্ষে সম্ভব নয় কর্ণাটকের জনগণ চোখে হাত দিয়ে তাই দেখিয়ে দিল। .....বিস্তারিত পড়ুন

ওসাকা ক্যাসেল – ঐতিহাসিক এক দুর্গ ভ্রমণ

ঋতুপর্ণা চক্রবর্তী, টোকিও, জাপান: কেল্লা বা দুর্গ এই নাম শুনলেই কল্পনায় ঐতিহাসিক ঘটনায় মোড়া রোমাঞ্চকর এক ভ্রমণক্ষেত্রের দৃশ্য ভেসে ওঠে। জাপানে এমন শতাধিক দুর্গ আছে যার সৌন্দর্য আজও যেমন বিমুগ্ধকর ঠিক তেমনি তার অতীতের সাদা কালো দিনের গল্প দর্শনার্থীকে অবাক করে। প্রাচীনকাল থেকেই জাপানে দুর্গ তৈরি হয়ে আসছে, তবে ইতিহাস বলছে দেশের রাজনৈতিক টানাপড়েন ও গৃহ যুদ্ধের কারণে ১৫ শতকের গোড়া থেকে দুর্গের বিশেষ প্রয়োজন দেখা দেয়। সামন্ত যুগে, জাপান বেশ কিছু ছোট ছোট স্বাধীন রাষ্ট্রে বিভক্ত ছিল, যারা একে অপরের বিরুদ্ধে প্রায়ই যুদ্ধ ঘোষণা করত এবং .....বিস্তারিত পড়ুন

Scroll to Top