২০২৩ সেরা দশে নেই মেসি, তবে শীর্ষে রোনাল্ডো

উত্তরাপথঃ তেইশকে (২০২৩) বিদায় জানিয়ে এ বার চব্বিশে (২০২৪)পা রাখার পালা। ২০২৩ সালে ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডোই (Cristiano Ronaldo) সেরা। ২০২৩ সালে আর কারা গোলের বন্যা বইয়েছেন ? তালিকায় সেরা দশে নেই আর্জেন্টাইন সুপারস্টার লিওনেল মেসি। কিন্তু সিংহাসনে রয়েছেন পর্তুগিজ সুপারস্টার। চলতি বছরে মাঠে নেমে গোলের বন্যা বইয়ে দিয়েছেন রোনাল্ডো। এক ঝলকে দেখে নিন ২০২৩ সালে সবচেয়ে বেশি গোল করা ১০ ফুটবলার হয়েছেন কারা।

ক্যালেন্ডারে চোখ রাখলেই জ্বলজ্বল করছে আজ, ৩১ ডিসেম্বর। ২০২৩ সালের শেষ দিন। এমন দিনে ফিরে দেখা যাক ২০২৩ সালে সবচেয়ে বেশি গোল করেছেন (Scored the most goals) কোন তারকা ফুটবলাররা।

পরিসংখ্যান বলছে, ২০২৩ সালে সবচেয়ে বেশি গোল করা ফুটবলারদের তালিকায় শীর্ষে পর্তুগিজ সুপারস্টার ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডো। আল নাসের ও দেশের জার্সিতে ২০২৩ সালে তিনি ৫৯টি ম্যাচ খেলেছেন। তাতে করেছেন ৫৪টি গোল।

ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডো, ছবি- X-handle থেকে সংগৃহীত।

২০২৩ সালে সবচেয়ে বেশি গোল করা ফুটবলারদের তালিকায় প্রথম দশে নেই আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ক লিওনেল মেসি। চলতি বছরে ২৪টি গোল করেছেন মেসি।

লিওনেল মেসি, ছবি- X-handle থেকে সংগৃহীত।

ফ্রান্সের তরুণ কিলিয়ান এমবাপে চলতি বছরে সবচেয়ে বেশি গোল করা ফুটবলারদের তালিকায় দুই নম্বরে রয়েছেন। পিএসজি এবং ফ্রান্সের হয়ে ২০২৩ সালে ৫৩টি ম্যাচে ৫২টি গোল করেছেন এমবাপে।

কিলিয়ান এমবাপে, ছবি- X-handle থেকে সংগৃহীত।

ইংল্যান্ডের ক্যাপ্টেন এবং ক্লাব ফুটবলে বায়ার্ন মিউনিখের হয়ে খেলা হ্যারি কেন রয়েছেন এই বছর সবচেয়ে বেশি গোল করা ফুটবলারদের তালিকায় তিনে। হ্যারি কেন এ বছর ৫৭টি ম্যাচে ৫২টি গোল করেছেন।

হ্যারি কেন, ছবি- X-handle থেকে সংগৃহীত।

এই বছর সবচেয়ে বেশি গোল করা ফুটবলারদের তালিকায় চার নম্বরে রয়েছেন নরওয়ের তরুণ তুর্কি আর্লিং হালান্ড। ম্যাঞ্চেস্টার সিটির হয়ে চলতি বছরে তিনি ৬০টি ম্যাচে ৫০টি গোল করেছেন।

আর্লিং হালান্ড, ছবি- X-handle থেকে সংগৃহীত।

আয়ারল্যান্ডের ৩০ বছর বয়সী গার্বান কোহলান রয়েছেন তেইশে সবচেয়ে বেশি গোল করা ফুটবলারদের তালিকায়। ক্যাশমেরে টেকনিক্যালের হয়ে তিনি এ বছরে ২৭টি ম্যাচে ৪১টি গোল করেছেন।

গার্বান কোহলান, ছবি- X-handle থেকে সংগৃহীত।

২৯ বছর বয়সী ডেনিস বোয়াঙ্গা লস অ্যাঞ্জেলিস এফসির হয়ে চলতি বছরে ৫৩টি ম্যাচে ৪০টি গোল করেছেন। তিনি এ বছর সবচেয়ে বেশি গোল করা ফুটবলারদের তালিকায় ছয় নম্বরে রয়েছেন।

ডেনিস বোয়াঙ্গা, ছবি- X-handle থেকে সংগৃহীত।

খবরটি শেয়ার করুণ

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন


Bandna Festival: ছোটনাগপুরের বিস্তীর্ণ অঞ্চল পাঁচ দিন বাঁদনার আমেজে মশগুল থাকে

বলরাম মাহাতোঃ চিরাচরিত রীতি অনুযায়ী কার্তিক অমাবস্যার আগের দিন থেকে মোট পাঁচ দিন ব্যাপী বাঁদনার(Bandna Festival) আমেজে মশগুল থাকে ছোটনাগপুরের বিস্তীর্ণ অঞ্চল। অবশ্য, পরবের শুভ সূচনা হয় তারও কয়েকদিন আগে। আদিবাসী সম্প্রদায়ের সামাজিক শাসন ব্যবস্থার চূড়ামণি হিসাবে গাঁয়ের মাহাতো, লায়া, দেহরি কিম্বা বয়োজ্যেষ্ঠ ব্যক্তি নির্ধারণ করেন- ৩, ৫, ৭ বা ৯ ক’দিন ধরে গবাদি পশুর শিং-এ তেল মাখাবে গৃহস্বামী! রুখামাটির দেশের লোকেরা কোনোকালেই মাছের তেলে মাছ ভাজা তত্ত্বের অনুসারী নয়। তাই তারা গোরুর শিং-এ অন্য তেলের পরিবর্তে কচড়া তেল মাখানোয় বিশ্বাসী। কারণ কচড়া তেল প্রস্তুত করতে গোধনকে খাটাতে হয় না যে! কচড়া তেলের অপ্রতুলতার কারণে বর্তমানে সরষের তেল ব্যবহৃত হলেও, কচড়া তেলের ধারণাটি যে কৃষিজীবী মানুষের গবাদি পশুর প্রতি প্রেমের দ্যোতক, তা বলাই বাহুল্য! এভাবেই রাঢ বঙ্গে গোবর নিকানো উঠোনে হাজির হয়- ঘাওয়া, অমাবস্যা, গরইয়া, বুঢ়ি বাঁদনা ও গুঁড়ি বাঁদনার উৎসবমুখর দিনগুলি। পঞ্চদিবসে তেল দেওয়া, গঠ পূজা, কাঁচি দুয়ারি, জাগান, গহাইল পূজা, চুমান, চউক পুরা, নিমছান, গোরু খুঁটা, কাঁটা কাঢ়া প্রভৃতি ১১টি প্রধান পর্ব সহ মোট ১৬টি লোকাচারের মাধ্যমে উদযাপিত হয় বাঁদনা পরব(Bandna Festival )। .....বিস্তারিত পড়ুন

রাতের ঘামের সমস্যা এবং এ সম্পর্কে আপনি কি করতে পারেন  

উত্তরাপথঃ রাতের ঘামের সমস্যা শরীরের কুলিং সিস্টেমের একটি স্বাভাবিক অংশ, তাপ মুক্তি এবং সর্বোত্তম শরীরের তাপমাত্রা বজায় রাখতে সাহায্য করে।তবে রাতের ঘাম একটি সাধারণ সমস্যা যা বিভিন্ন কারণে হতে পারে।এর  অস্বস্তিকর অনুভূতির জন্য ঘুম ব্যাহত হতে পারে, যার ফলে ক্লান্তি এবং অন্যান্য স্বাস্থ্য সমস্যা হতে পারে। আপনি যদি রাতে অতিরিক্ত ঘাম অনুভব করেন, তাহলে তার অন্তর্নিহিত কারণটি চিহ্নিত করা এবং এটি মোকাবেলার জন্য কিছু ইতিবাচক পদক্ষেপ নেওয়া গুরুত্বপূর্ণ। এখানে রাতের ঘামের কিছু সম্ভাব্য কারণ নিয়ে আলোচনা করা হল।মেনোপজ: যে কেউ, বয়স বা লিঙ্গ নির্বিশেষে, রাতের ঘাম অনুভব করতে পারে। .....বিস্তারিত পড়ুন

ফ্লিম রিভিউ -ওপেনহাইমার

উত্তরাপথ: বিখ্যাত চলচ্চিত্র নির্মাতা ক্রিস্টোফার নোলান দ্বারা পরিচালিত”ওপেনহাইমার” একটি মাস্টারপিস মুভি। ছবিতে জে. রবার্ট ওপেনহেইমার, এক নামকরা পদার্থবিজ্ঞানী, যিনি দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় পারমাণবিক বোমার বিকাশে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন।এই সিনেমায় ওপেনহাইমার এর জটিল জীবনকে বর্ণনা করা হয়েছে। সেই হিসেবে 'ওপেনহাইমার'কে বায়োপিক বলা যেতে পারে।  কারণ এটি একজন মানুষের গল্প। এই ছবির গল্প তিনটি পর্যায়ে বিভক্ত।ছবির শুরুতে পারমাণবিক বোমা তৈরির আবেগের কথা বলা হয়েছে।  যেখানে নায়ক কিছু না ভেবে নিবেদিতপ্রাণভাবে এমন একটি অস্ত্র তৈরিতে নিয়োজিত থাকে যা বিশ্বকে ধ্বংস করতে পারে।  অস্ত্র তৈরি হওয়ার পর দ্বিতীয় পর্যায়ে নায়ক তার কাজের ফলাফল দেখে অপরাধবোধে পূর্ণ হয়।  এবং তৃতীয় পর্যায়টি হল রাজনীতি  যা ওপেনহাইমারকে মোকাবেলা করতে হয়েছে।  পুরো সিনেমাটি রঙিন হলেও রাজনৈতিক অংশ সাদা-কালো রাখা হয়েছে।  এই তিনটি সময়কালে যা কিছু ঘটছে, তা সবই একে অপরের সাথে সংঘর্ষে লিপ্ত। .....বিস্তারিত পড়ুন

সম্পাদকীয়-  রাজনৈতিক সহিংসতা ও আমাদের গণতন্ত্র

সেই দিনগুলো চলে গেছে যখন নেতারা তাদের প্রতিপক্ষকেও সম্মান করতেন। শাসক দলের নেতারা তাদের বিরোধী দলের নেতাদের কথা ধৈর্য সহকারে শুনতেন এবং তাদের সাথে সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রাখতেন।  আজ রাজনীতিতে অসহিষ্ণুতা বাড়ছে।  কেউ কারো কথা শুনতে প্রস্তুত নয়।  আগ্রাসন যেন রাজনীতির অঙ্গ হয়ে গেছে।  রাজনৈতিক কর্মীরা ছোটখাটো বিষয় নিয়ে খুন বা মানুষ মারার মত অবস্থার দিকে ঝুঁকছে। আমাদের দেশে যেন রাজনৈতিক সহিংসতা কিছুতেই শেষ হচ্ছে না।আমাদের দেশে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গার চেয়ে রাজনৈতিক সংঘর্ষে বেশি মানুষ নিহত হচ্ছেন।  ন্যাশনাল ক্রাইম রেকর্ডস ব্যুরো (এনসিআরবি) অনুসারে, ২০১৪ সালে, রাজনৈতিক সহিংসতায় ২৪০০ জন প্রাণ হারিয়েছিল এবং সাম্প্রদায়িক দাঙ্গায় ২০০০ জন মারা গিয়েছিল।  আমরা পৃথিবীর বৃহত্তম গণতন্ত্র হিসেবে আমাদের দেশের গণতন্ত্রের জন্য গর্বিত হতে পারি, কিন্তু এটা সত্য যে আমাদের সিস্টেমে অনেক মৌলিক সমস্যা রয়েছে যা আমাদের গণতন্ত্রের শিকড়কে গ্রাস করছে, যার জন্য সময়মতো সমাধান খুঁজে বের করা প্রয়োজন। .....বিস্তারিত পড়ুন

Scroll to Top