

উত্তরাপথঃ স্বাস্থ্যকর্মীর মারে মৃত্যু হল রোগীর। এই ঘটনায় পুরুলিয়া দেবেন মাহাতোর সরকারি মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে হইচই পড়ে গেছে। অভিযুক্ত স্বাস্থ্যকর্মী সুকান্ত নন্দীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। মৃত মহিলার নাম সবিতা সিং সর্দার। ৪৫ বছরের ওই মহিলার বাড়ি পুরুলিয়ার মানবাজার থানার কদমা গ্রামে। বিয়ের পর বাপের বাড়িতেই বাবা মা, স্বামী ও দুই সন্তানের সঙ্গে থাকতেন।
কয়েকদিন আগে সবিতার জন্ডিস ধরা পড়ে। ক্রমশ অসুস্থ হয়ে পড়ায় রবিবার পুরুলিয়া মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হন সবিতা। অভিযোগ, সোমবার দুপুরে হাসপাতালের অস্থায়ী স্বাস্থ্যকর্মী সুকান্ত নন্দী তাঁর ডিউটি শেষ হওয়ার পরে মহিলা ওয়ার্ডে এসেছিল। অভিযোগ, সেই সময় জনজাতি সম্প্রদায়ের ওই মহিলাকে সুকান্ত বেধড়ক মারধর করে। হাসপাতালের অন্যান্য রোগীরা ও তাঁর পরিবারের লোকজন বাধা দিলে ওই স্বাস্থ্যকর্মী বলে, ‘মহিলার ভূত ছাড়াচ্ছি’। মারাত্মক জখম হন ওই মহিলা। রাতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয়।
মৃতের পরিবার থানায় গিয়ে ওই স্বাস্থ্যকর্মীর বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ জানায়। এরপরে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে পুলিশ। মঙ্গলবার পুরুলিয়া জেলা আদালতে তোলা হলে ২ দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেন বিচারক। অভিযুক্তের কঠোর শাস্তির দাবি জানিয়েছেন মৃত মহিলার পরিবারের সদস্যরা ।
তবে এই ঘটনা নিয়ে রোগীদের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। পুরুলিয়া মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের সুপার ও ভাইস প্রিন্সিপাল সুকমল বিষয়ী বলেন, “এই ঘটনা অনভিপ্রেত।” তিনি জানিয়েছেন, ‘ওই কর্মী ভিজিটিং আওয়ারে রঙ মেখে মহিলা ওয়ার্ডে ঢুকেছিল। সেখানে গিয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন এক রোগী সবিতা সিং সর্দারকে মারধর করে বলে শুনেছি। কর্তব্যরত নার্সরা বাধা দিলেও সে শোনেনি। পরে সেখান থেকে অভিযুক্ত চলে যায়। রাতে ওই রোগিণীর মৃত্যু হয়। কিন্তু ঠিক কী কারণে ওই রোগিণীর মৃত্যু হয়েছে সে বিষয়ে ময়নাতদন্তের পরই জানা যাবে।‘
আরও পড়ুন
ফ্লিম রিভিউ -ওপেনহাইমার
উত্তরাপথ: বিখ্যাত চলচ্চিত্র নির্মাতা ক্রিস্টোফার নোলান দ্বারা পরিচালিত”ওপেনহাইমার” একটি মাস্টারপিস মুভি। ছবিতে জে. রবার্ট ওপেনহেইমার, এক নামকরা পদার্থবিজ্ঞানী, যিনি দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় পারমাণবিক বোমার বিকাশে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন।এই সিনেমায় ওপেনহাইমার এর জটিল জীবনকে বর্ণনা করা হয়েছে। সেই হিসেবে 'ওপেনহাইমার'কে বায়োপিক বলা যেতে পারে। কারণ এটি একজন মানুষের গল্প। এই ছবির গল্প তিনটি পর্যায়ে বিভক্ত।ছবির শুরুতে পারমাণবিক বোমা তৈরির আবেগের কথা বলা হয়েছে। যেখানে নায়ক কিছু না ভেবে নিবেদিতপ্রাণভাবে এমন একটি অস্ত্র তৈরিতে নিয়োজিত থাকে যা বিশ্বকে ধ্বংস করতে পারে। অস্ত্র তৈরি হওয়ার পর দ্বিতীয় পর্যায়ে নায়ক তার কাজের ফলাফল দেখে অপরাধবোধে পূর্ণ হয়। এবং তৃতীয় পর্যায়টি হল রাজনীতি যা ওপেনহাইমারকে মোকাবেলা করতে হয়েছে। পুরো সিনেমাটি রঙিন হলেও রাজনৈতিক অংশ সাদা-কালো রাখা হয়েছে। এই তিনটি সময়কালে যা কিছু ঘটছে, তা সবই একে অপরের সাথে সংঘর্ষে লিপ্ত। .....বিস্তারিত পড়ুন
NASA Carbon Emission: পৃথিবী কার্বন ডাই অক্সাইড শোষণ করার চেয়ে বেশি নির্গত করছে
উত্তরাপথঃ কার্বন নির্গমন (NASA Carbon Emission) সম্পর্কে নাসার সর্বশেষ আবিষ্কার পৃথিবীর জন্য এক সতর্কতা সংকেত। মহাকাশ সংস্থার মতে, পৃথিবী কার্বন ডাই অক্সাইড শোষণ করার চেয়ে বেশি নির্গত করছে, যার ফলে গ্রিনহাউস গ্যাসের বায়ুমণ্ডলীয় ঘনত্ব উল্লেখযোগ্য বৃদ্ধি পাচ্ছে। NASA এর এই আবিষ্কারটি জলবায়ু পরিবর্তনের জন্য একটি উল্লেখযোগ্য কারণ হিসাবে দেখা যেতে পারে, সেইসাথে কার্বন নিঃসরণ কমানোর জন্য জরুরি পদক্ষেপের প্রয়োজনীয়তার উপর আলোকপাত করেছে।নাসার সর্বশেষ গবেষণায় যে তথ্য উঠে এসেছে তাতে পৃথিবীর মহাসাগর এবং ভূমি-ভিত্তিক বাস্তুতন্ত্র আগের চেয়ে কম কার্বন ডাই অক্সাইড শোষণ করছে। গবেষণায় দেখা গেছে যে গত এক দশকে ভূমি এবং মহাসাগর দ্বারা শোষিত কার্বন ডাই অক্সাইডের পরিমাণ ৫% হ্রাস পেয়েছে, যার ফলে গ্যাসের বায়ুমণ্ডলীয় ঘনত্ব বৃদ্ধি পেয়েছে। .....বিস্তারিত পড়ুন
রাতের ঘামের সমস্যা এবং এ সম্পর্কে আপনি কি করতে পারেন
উত্তরাপথঃ রাতের ঘামের সমস্যা শরীরের কুলিং সিস্টেমের একটি স্বাভাবিক অংশ, তাপ মুক্তি এবং সর্বোত্তম শরীরের তাপমাত্রা বজায় রাখতে সাহায্য করে।তবে রাতের ঘাম একটি সাধারণ সমস্যা যা বিভিন্ন কারণে হতে পারে।এর অস্বস্তিকর অনুভূতির জন্য ঘুম ব্যাহত হতে পারে, যার ফলে ক্লান্তি এবং অন্যান্য স্বাস্থ্য সমস্যা হতে পারে। আপনি যদি রাতে অতিরিক্ত ঘাম অনুভব করেন, তাহলে তার অন্তর্নিহিত কারণটি চিহ্নিত করা এবং এটি মোকাবেলার জন্য কিছু ইতিবাচক পদক্ষেপ নেওয়া গুরুত্বপূর্ণ। এখানে রাতের ঘামের কিছু সম্ভাব্য কারণ নিয়ে আলোচনা করা হল।মেনোপজ: যে কেউ, বয়স বা লিঙ্গ নির্বিশেষে, রাতের ঘাম অনুভব করতে পারে। .....বিস্তারিত পড়ুন
প্রাপ্তবয়স্কদের স্মৃতিশক্তি এবং চিন্তাভাবনা হ্রাস সমস্যার সমাধানের ক্ষেত্রে প্রোবায়োটিক
উত্তরাপথঃ সারা বিশ্বের জনসংখ্যার বয়স বৃদ্ধির সাথে স্মৃতিশক্তি এবং চিন্তাভাবনা হ্রাস এবং ডিমেনশিয়ার মতো নিউরোডিজেনারেটিভ রোগের প্রকোপ বাড়ছে৷ তাদের এই সমস্যাগুলি যে কেবল তাদের একার সমস্যা তা নয় ,এটি ধীরে ধীরে পুরো পারিবারিক সমস্যার আকার নেয়।সম্প্রতি বয়স্ক প্রাপ্তবয়স্কদের মধ্যে মস্তিষ্কের কার্যকারিতাকে পুনরুদ্ধার করার জন্য গবেষকদের মধ্যে কার্যকর কৌশল খোঁজার আগ্রহ বাড়ছে।বর্তমানে বেশীরভাগ গবেষক মস্তিস্কের স্বাস্থ্য উদ্ধারের ক্ষেত্রে প্রোবায়োটিকের সম্ভাব্য ভূমিকা নিয়ে গবেষণা করছেন । এখন খুব স্বাভাবিকভাবেই একটি প্রশ্ন আসে প্রোবায়োটিক কি? কেনই বা গবেষকরা মস্তিস্কের স্বাস্থ্য উদ্ধারের ক্ষেত্রে প্রোবায়োটিকের ভূমিকা নিয়ে গবেষণা করছেন । .....বিস্তারিত পড়ুন