

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের পরেই কোচ রাহুল দ্রাবিড়ের সঙ্গে চুক্তি শেষ হয়ে যাবে ভারতীয় দলের। নতুন করে তিনি আর চুক্তি করতে চাইছেন না বলেই জানা যাচ্ছে। ইতিমধ্যেই নতুন কোচের জন্য বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে বিসিসিআই। যার শেষ তারিখ ২৭ মে। ভিভিএস লক্ষণ থেকে স্টিফেন ফ্লেমিং অনেকের নাম ভাসতে থাকলেও, বিসিসিআইয়ের প্রথম পছন্দ গৌতম গম্ভীর বলেই শোনা যাচ্ছে। টানা তিন বছর আইপিএলে মেন্টর হিসাবে কাজ করে প্রত্যেকবার প্লে অফে দলকে নিয়ে গিয়েছেন গম্ভীর। তাই জাতীয় দলের (Indian Cricket Team) কোচ হিসাবেও তাঁকে এগিয়ে রাখছেন অনেকেই।
গৌতম গম্ভীর ভারতীয় দলের কোচ হতে ইচ্ছুক কিন্তু এর জন্য বিসিসিআইয়ের সামনে একটি শর্ত রেখেছেন।এক প্রতিবেদন অনুসারে, গম্ভীর তখনই কোচ পদের জন্য আবেদন জমা দেবেন যখন বিসিসিআই বর্তমান কোচ রাহুল দ্রাবিড়ের পরিবর্ত হিসাবে তাঁকে নিয়োগ করার নিশ্চয়তা দেবে, তাহলেই বোর্ডের কাছে আবেদনপত্র জমা দেবেন দুবারের বিশ্বকাপজয়ী তারকা।অন্যদিকে বিসিসিআইও গম্ভীরকে কোচ করতে আগ্রহী বলে জানা যাচ্ছে।প্রসঙ্গত গম্ভীরের মেন্টরশিপে, লখনউ সুপার জায়ান্টস দল তার প্রথম আইপিএল মরসুম ২০২২-এ কোয়ালিফায়ারে জায়গা করে নিয়েছিল। একই সময়ে, এই মরসুমে গম্ভীর কেকেআরের মেন্টর এবং তিনি দলকে ফাইনালে নিয়ে গেছেন। এমতাবস্থায়, গম্ভীর তার কোচিং সামর্থ্যের দক্ষতা দেখিয়েছেন গোটা বিশ্বকে।
অন্যদিকে একটি রিপোর্ট অনুসারে, এটাও দাবি করা হয়েছে যে চেন্নাইয়ের কিছু বিসিসিআই কর্মকর্তা ফাইনালের দিন কোচের বিষয়ে গম্ভীরের সাথেও আলোচনা করতে পারেন। বিসিসিআই ২৮ মে পর্যন্ত কোচের জন্য আবেদন করার সময়সীমা বেঁধে দিয়েছে।এছাড়াও, রিপোর্টে আরও বলা হয়েছে যে গম্ভীর এই বিষয়ে কেকেআর দলের মালিক শাহরুখের সাথে কথা বলেননি, যতক্ষণ না বিসিসিআই তাকে কোচের বিষয়ে স্পষ্ট বক্তব্য দেয়, ততক্ষণ তিনি কেকেআরের মালিকের সাথে কথা বলতে যাচ্ছেন না।
অন্যদিকে, বিসিসিআই সেক্রেটারি জয় শাহ স্পষ্ট করেছেন যে এই পোস্টের জন্য ভারতীয় বোর্ড বা তাদের তরফে কোনও অস্ট্রেলিয়ানকে যোগাযোগ করা হয়নি এবং মিডিয়াতে যে প্রতিবেদনগুলি চলছে তা ভুল। জয় শাহ শুক্রবার একটি বিবৃতি জারি করে স্পষ্ট করে বলেছেন যে এই গুজবের কোন সত্যতা নেই। BCCI পুরুষদের ক্রিকেট দলের জন্য একজন নতুন প্রধান কোচ খুঁজছে, কারণ রাহুল দ্রাবিড়ের মেয়াদ ২০২৪ সালের T20 বিশ্বকাপের পরে শেষ হবে। বোর্ড অফ কন্ট্রোল ফর ক্রিকেট ইন ইন্ডিয়া (বিসিসিআই) ১৩ মে সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে ভারতীয় পুরুষ দলের নতুন প্রধান কোচের জন্য আবেদনগুলি আমন্ত্রণ জানিয়েছিল, যার সময়সীমা ২৭ মে নির্ধারণ করা হয়েছে। ভারতের পরবর্তী প্রধান কোচের নিয়োগ কাল হবে ১ জুলাই, ২০২৪ থেকে ৩১ ডিসেম্বর, ২০২৭ পর্যন্ত।
প্রসঙ্গত অস্ট্রেলিয়ার প্রাক্তন অধিনায়ক রিকি পন্টিং, যিনি দিল্লি ক্যাপিটালসের প্রধান কোচ হিসাবে আইপিএল ২০২৪ শেষ করছেন। তিনি বলেছিলেন যে সম্প্রতি ভারতের পরবর্তী প্রধান কোচ হিসাবে রাহুল দ্রাবিড়ের পরিবর্তে তার সাথে যোগাযোগ করা হয়েছে। পন্টিং আইসিসিকে বলেছিলেন, “আইপিএল চলাকালীন কিছু ছোট ব্যক্তিগত কথোপকথন হয়েছিল, শুধুমাত্র আমার আগ্রহ এবং আমি তা করব কিনা তা বোঝার জন্য।”
আরও পড়ুন
PAN-Aadhar link: কেন্দ্র সরকার ১১.৫ কোটি প্যান কার্ডকে নিষ্ক্রিয় করেছে
উত্তরাপথ : আধারের সাথে প্যান কার্ড লিঙ্ক (PAN-Aadhar link)করার সময়সীমা শেষ হওয়ার পরে কেন্দ্রীয় সরকার ১১.৫ কোটি প্যান কার্ড নিষ্ক্রিয় করেছে৷ আপনি যদি এখনও প্যান কার্ডের সাথে আধার কার্ড লিঙ্ক না করে থাকেন, তাহলে আপনি সরকারের এই কঠোর পদক্ষেপের আওতায় এসেছেন। আপনি যদি আপনার আধার কার্ডকে প্যানের সাথে লিঙ্ক করতে চান তবে আপনি জরিমানা দিয়ে এটি সক্রিয় করতে পারেন। কেন্দ্র সরকার ১১.৫ কোটি প্যান কার্ডকে আধারের সাথে লিঙ্ক না করার কারণে নিষ্ক্রিয় করেছে। একটি আরটিআই-এর জবাবে, সেন্ট্রাল বোর্ড অফ ডাইরেক্ট ট্যাক্সেস জানিয়েছে যে আধার কার্ডের সাথে প্যান কার্ড লিঙ্ক (PAN-Aadhar link) করার সময়সীমা ৩০ জুন শেষ হয়েছে। যারা নির্ধারিত সময়ের মধ্যে আধার কার্ড এবং প্যান কার্ড লিঙ্ক করেননি তাদের বিরুদ্ধে এই ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। দেশে ৭০ কোটি প্যান কার্ড বর্তমানে ভারতে প্যান কার্ডের সংখ্যা ৭০.২ কোটিতে পৌঁছেছে। এর মধ্যে প্রায় ৫৭.২৫ কোটি মানুষ আধারের সাথে প্যান কার্ড লিঙ্ক করেছেন। .....বিস্তারিত পড়ুন
সম্পাদকীয়- রাজনৈতিক সহিংসতা ও আমাদের গণতন্ত্র
সেই দিনগুলো চলে গেছে যখন নেতারা তাদের প্রতিপক্ষকেও সম্মান করতেন। শাসক দলের নেতারা তাদের বিরোধী দলের নেতাদের কথা ধৈর্য সহকারে শুনতেন এবং তাদের সাথে সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রাখতেন। আজ রাজনীতিতে অসহিষ্ণুতা বাড়ছে। কেউ কারো কথা শুনতে প্রস্তুত নয়। আগ্রাসন যেন রাজনীতির অঙ্গ হয়ে গেছে। রাজনৈতিক কর্মীরা ছোটখাটো বিষয় নিয়ে খুন বা মানুষ মারার মত অবস্থার দিকে ঝুঁকছে। আমাদের দেশে যেন রাজনৈতিক সহিংসতা কিছুতেই শেষ হচ্ছে না।আমাদের দেশে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গার চেয়ে রাজনৈতিক সংঘর্ষে বেশি মানুষ নিহত হচ্ছেন। ন্যাশনাল ক্রাইম রেকর্ডস ব্যুরো (এনসিআরবি) অনুসারে, ২০১৪ সালে, রাজনৈতিক সহিংসতায় ২৪০০ জন প্রাণ হারিয়েছিল এবং সাম্প্রদায়িক দাঙ্গায় ২০০০ জন মারা গিয়েছিল। আমরা পৃথিবীর বৃহত্তম গণতন্ত্র হিসেবে আমাদের দেশের গণতন্ত্রের জন্য গর্বিত হতে পারি, কিন্তু এটা সত্য যে আমাদের সিস্টেমে অনেক মৌলিক সমস্যা রয়েছে যা আমাদের গণতন্ত্রের শিকড়কে গ্রাস করছে, যার জন্য সময়মতো সমাধান খুঁজে বের করা প্রয়োজন। .....বিস্তারিত পড়ুন
Bandna Festival: ছোটনাগপুরের বিস্তীর্ণ অঞ্চল পাঁচ দিন বাঁদনার আমেজে মশগুল থাকে
বলরাম মাহাতোঃ চিরাচরিত রীতি অনুযায়ী কার্তিক অমাবস্যার আগের দিন থেকে মোট পাঁচ দিন ব্যাপী বাঁদনার(Bandna Festival) আমেজে মশগুল থাকে ছোটনাগপুরের বিস্তীর্ণ অঞ্চল। অবশ্য, পরবের শুভ সূচনা হয় তারও কয়েকদিন আগে। আদিবাসী সম্প্রদায়ের সামাজিক শাসন ব্যবস্থার চূড়ামণি হিসাবে গাঁয়ের মাহাতো, লায়া, দেহরি কিম্বা বয়োজ্যেষ্ঠ ব্যক্তি নির্ধারণ করেন- ৩, ৫, ৭ বা ৯ ক’দিন ধরে গবাদি পশুর শিং-এ তেল মাখাবে গৃহস্বামী! রুখামাটির দেশের লোকেরা কোনোকালেই মাছের তেলে মাছ ভাজা তত্ত্বের অনুসারী নয়। তাই তারা গোরুর শিং-এ অন্য তেলের পরিবর্তে কচড়া তেল মাখানোয় বিশ্বাসী। কারণ কচড়া তেল প্রস্তুত করতে গোধনকে খাটাতে হয় না যে! কচড়া তেলের অপ্রতুলতার কারণে বর্তমানে সরষের তেল ব্যবহৃত হলেও, কচড়া তেলের ধারণাটি যে কৃষিজীবী মানুষের গবাদি পশুর প্রতি প্রেমের দ্যোতক, তা বলাই বাহুল্য! এভাবেই রাঢ বঙ্গে গোবর নিকানো উঠোনে হাজির হয়- ঘাওয়া, অমাবস্যা, গরইয়া, বুঢ়ি বাঁদনা ও গুঁড়ি বাঁদনার উৎসবমুখর দিনগুলি। পঞ্চদিবসে তেল দেওয়া, গঠ পূজা, কাঁচি দুয়ারি, জাগান, গহাইল পূজা, চুমান, চউক পুরা, নিমছান, গোরু খুঁটা, কাঁটা কাঢ়া প্রভৃতি ১১টি প্রধান পর্ব সহ মোট ১৬টি লোকাচারের মাধ্যমে উদযাপিত হয় বাঁদনা পরব(Bandna Festival )। .....বিস্তারিত পড়ুন
সহযাত্রী
দীপা - আর তো এগারো বছর আটমাস বারোদিন চাকরি , তাই না ? অংশু - বাপরে বরাবরই তোমার স্মৃতিশক্তি প্রবল , এতোটা মনে আছে ? দীপা- ঘোরো টো টো করে আর কটা বছর , আফটার রিটায়ার্ড মেন্ট কি করবে ? অংশু - ফার্ম হাউস ,গাছপালা পশুপাখি নিয়ে থাকবো। দীপা- বাঃ উন্নতি হয়েছে। যে অংশুবাবু কখনও একটা ফুলের চারা লাগায়নি সে কিনা ফার্ম হাউস করবে … অংশু - সময়ের সাথে সব বদলায় ম্যাডাম , আচ্ছা তোমার কনুইয়ের নীচে সেই পোড়া দাগটা দেখি তো গেছে কিনা … দীপা- তুমি অনেক রোগা হয়ে গেছো , তা ওজন কত শুনি ? অংশু - সত্তর বাহাত্তর হবে বোধহয় মাপিনি, দীপা - তা কেনো মাপবে ? একটা অগোছালো মানুষ। অংশু - যাক বাবা তাও অপদার্থ শব্দ টা বলোনি। দীপা - ভাবোনা ডিভোর্স হয়েছে বলে সে অধিকার নেই। সমাজ বিজ্ঞানের অধ্যাপক হয়েও আসলে সমাজটাই শেখোনি , আর কি শিখেছো বলো, ঐ ছেলে পড়ানো , সেমিনার আর লেখালেখি। তা ধন্যবাদ তোমার রূপালী ঠৌট উপন্যাস এবছর একাডেমি পেলো , দারুণ লেখো তুমি, আগের চেয়ে অনেক ধার। অংশু- বাঃ তুমি পড়েছো ? দীপা- সব পড়েছি , তোমার রিসেন্ট উপন্যাসের নায়িকা মেঘনা টি কে ? মানে কার আড়ালে কাকে লিখেছো ? অংশু - এও কি বাংলা সাহিত্যের অধ্যাপিকাকে বলে দিতে হবে ? দীপা- বারোটা বছর সময়ের শাসনে অনেক বদলালেও আমি বোধহয় সেই বড্ড সেকেলেই রয়ে গেলাম। অংশু - একা একাই কাটিয়ে দিলে বারো বছর। দীপা- একই প্রশ্ন আমিও করতে পারি। অংশু - আচ্ছা দীপা আজ না হয় শেষবারের মতো বলি, আমার মধ্যে কি ছিলো না বলোতো ? কেনো পারোনি এই বাউন্ডুলে ভবঘুরে মানুষটার সাথে চিরকালের ঘর বাঁধতে ? আমি কি ভালোবাসতে জানি না ? .....বিস্তারিত পড়ুন