![](https://uttarapath.com/oogokoab/2024/01/image-90.png)
![](https://uttarapath.com/oogokoab/2024/01/image-90.png)
উত্তরাপথঃ সাম্প্রতিক বছরগুলিতে, অ্যাক্টিভিটি ট্র্যাকারগুলি (activity tracker) পরিধানযোগ্য ডিভাইস হিসাবে ব্যাপক জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে যা আমাদের শারীরিক কার্যকলাপের বিভিন্ন দিক পর্যবেক্ষণ করে শরীরের বর্তমান ফিটনেস সম্পর্কে একটি সাধারণ ধারনা দেয়। এই ডিভাইসগুলি, উন্নত সেন্সর এবং অ্যালগরিদম দিয়ে সজ্জিত যা একজন ব্যক্তিকে তাদের ফিটনেস অর্জনে সাহায্য করে।
তবে আপনি যদি ২০২৪ সালে নতুন বছরের শুরু থেকে নিজেকে আরও ফিট রাখার জন্য একটি অ্যাক্টিভিটি ট্র্যাকারে বিনিয়োগ করার কথা ভাবেন সেক্ষেত্রে কয়েটি বিষয় আপনার বিবেচনা করা দরকার সত্যি কি অ্যাক্টিভিটি ট্র্যাকার আপনার ফিটনেসকে কাঙ্ক্ষিত স্তরে পৌঁছাতে সাহায্য করতে পারবে? এই ট্রাকারের সুবিধা কি?একটি অ্যাক্টিভিটি ট্র্যাকার কেন আপনার জন্য অত্যন্ত প্রয়োজন?
অ্যাক্টিভিটি ট্র্যাকারগুলির (activity tracker) একটি প্রাথমিক সুবিধা হল এটি আমাদের দৈনন্দিন শারীরিক ক্রিয়াকলাপ নিরীক্ষণ এবং ট্র্যাক করার ক্ষমতা। এই ডিভাইসগুলি সঠিকভাবে আমাদের করা বিভিন্ন কাজের হিসেব দেয়।এটি আমরা কতটা দূরত্ব চলেছি তার যেমন হিসেব দেয় সেই সাথে আমাদের সারা দিনে কতটা ক্যালোরি পুড়েছে, হার্টের হার এবং এমনকি ঘুমের ধরণগুলিও সঠিকভাবে পরিমাপ করতে পারে। রিয়েল-টাইম ডেটা প্রদান করে, অ্যাক্টিভিটি ট্র্যাকার ব্যবহারকারীদের নির্দিষ্ট লক্ষ্য নির্ধারণ করতে এবং সেগুলি অর্জনের দিকে তাদের অগ্রগতি বুঝতে সাহায্য করে। অ্যাক্টিভিটি ট্র্যাকারের মাধ্যমে প্রতিদিনের প্রাপ্ত এই ডেটা একজন ব্যক্তির কাছে অত্যন্ত অনুপ্রেরণাদায়ক হতে পারে, কারণ এটি একজন ব্যক্তিকে তার প্রচেষ্টাকে বুঝতে এবং সেই মত তার রুটিনে প্রয়োজনীয় সংশোধন করতে সাহায্য করে।
বেশিরভাগ লোকেরই সারা দিনে তারা কতটা ক্যালোরি ব্যবহার করেছে সেই সম্পর্কে কোনও স্পষ্ট ধারনা থাকে না ,ফলে এক দিনে তারা কতটা ক্যালোরি ব্যায় করেছে তা নির্ণয় করতে ভুল হয়ে যায়। একবার যখন লোকেরা সচেতনভাবে তারা কতটা কাজ করেছে তা ট্র্যাক রাখা শুরু করে, তখন তারা বুঝতে পারে যে তারা যা ভেবেছিল তার চেয়ে কম ক্যালোরি খরচ করেছে যা তাদের আরও সক্রিয় হতে অনুপ্রাণিত করে।আপনি অ্যাক্টিভিটি ট্র্যাকার ছাড়াই স্ব-নিরীক্ষণ করতে পারেন কিন্তু এই পদ্ধতিটি দীর্ঘমেয়াদে চালিয়ে যাওয়া কঠিন।
যদিও অ্যাক্টিভিটি ট্র্যাকারের অনেক সুবিধা রয়েছে, কিন্তু সেই সঙ্গে এর সীমাবদ্ধতা স্বীকার করা অপরিহার্য। এই ডিভাইসগুলি সঠিক ডেটা ইনপুটের উপর নির্ভর করে আপনার পরবর্তী পদক্ষেপ ,কিন্তু অনেক ক্ষেত্রে এই অ্যাক্টিভিটি ট্র্যাকারগুলি সঠিক পরিমাপ দেয় না। গবেষণায় দেখানো হয়েছে যে সবচেয়ে জনপ্রিয় ব্র্যান্ডের অ্যাক্টিভিটি ট্র্যাকারগুলি সাধারণত নির্ভরযোগ্য হয়। এটি সঠিকভাবে আমাদের কার্যকলাপ ট্র্যাক করতে পারে।কিন্তু অ্যাক্টিভিটি ট্র্যাকারকে কখনও পেশাদার চিকিৎসা পরামর্শের বিকল্প হিসেবে দেখা উচিত নয়।
অ্যাক্টিভিটি ট্র্যাকার (activity tracker) ব্যক্তিকে তাদের ফিটনেস অর্জনে সাহায্য করার জন্য মূল্যবান হাতিয়ার হতে পারে। এটি একদিকে যেমন শারীরিক ক্রিয়াকলাপকে উৎসাহিত করে অন্যদিকে এটি স্বাস্থ্যের অবস্থা পর্যবেক্ষণ করে একটি স্বাস্থ্যকর জীবনধারা বজায় রাখতে সাহায্য করে। তবে, এটি মনে রাখা গুরুত্বপূর্ণ যে কার্যকলাপ ট্র্যাকারগুলি সুস্থ্য জীবন বাজায় রাখতে সহায়ক,কিন্তু সুস্থতার গ্যারান্টি নয়। আপনার ফিটনেস রুটিন বা জীবনযাত্রায় কোনো উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন করার আগে স্বাস্থ্যসেবা পেশাদারদের সাথে পরামর্শ করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। পরিশেষে, ফিটনেস অর্জনের জন্য শৃঙ্খলা এবং একটি সামগ্রিক পদ্ধতির প্রয়োজন যা কেবলমাত্র শারীরিক কার্যকলাপ ট্র্যাক করার মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকে না।
আরও পড়ুন
মহারানী পদ্মাবতী এবং জোহরের ঐতিহ্য: সাহস ও আত্মত্যাগের এক গল্প
উত্তরাপথঃ ভারতের ইতিহাসে, এমন অনেক গল্প রয়েছে যা সময়কে অতিক্রম করে আমাদের সম্মিলিত চেতনায় এক অমোঘ চিহ্ন রেখে যায়। তেমনই একটি গল্প মহারানী পদ্মাবতী ও জোহরের ঐতিহ্য। সাহস, সম্মান এবং ত্যাগের এই গল্প প্রজন্মের পর প্রজন্মকে অনুপ্রাণিত করেছে এবং আমাদের কল্পনাকে মুগ্ধ করে চলেছে।ভারতীয় ইতিহাসের পাতায় অত্যন্ত সুন্দরী ও সাহসী মহারানী পদ্মাবতী'র উল্লেখ আছে। রানী পদ্মাবতী রানী পদ্মিনী নামেও পরিচিত। রানী পদ্মাবতীর পিতা ছিলেন সিংহল প্রদেশের (শ্রীলঙ্কা) রাজা গন্ধর্বসেন।ইতিহাসে রানী পদ্মিনী তার ব্যতিক্রমী সৌন্দর্য, বুদ্ধিমত্তা এবং বীরত্বের জন্য পরিচিত হলেও, তিনি করুণা এবং শক্তির প্রতীক হিসেবেও পরিচিত ছিলেন। দিল্লির শক্তিশালী শাসক আলাউদ্দিন খিলজি তার অতুলনীয় সৌন্দর্যের কথা শুনে তাকে অধিকার করার সংকল্প করেছিলেন। .....বিস্তারিত পড়ুন
ব্যয় বৃদ্ধির কারণে বাড়ছে বাংলাদেশে ইলিশের দাম, প্রভাব রাজ্যেও
উত্তরাপথঃ বাংলাদেশ ও ইলিশ এই দুটি নাম একে অপরের পরিপূরক মনে হলেও বাস্তব কিন্তু বলছে অন্য কথা। সূত্র মাধ্যমে পাওয়া খবরে জানা যাচ্ছে প্রকৃতির অপার দান হলেও শিকার থেকে শুরু করে বাজারজাত হওয়া পর্যন্ত ব্যয় বৃদ্ধির কারণেই বাড়ছে বাংলাদেশে ইলিশের দাম। এর সঙ্গে মধ্যস্বত্বভোগীদের লাভের অঙ্ক যোগ হয়ে তা চলে যাচ্ছে ধরাছোঁয়ার বাইরে।পরিস্থিতি এমন যে গরিব তো দূর থাক মধ্যবিত্তের পাতেও এখন আর জুটছে না ইলিশ। বুধবার বরিশালের পাইকারি বাজারে এক কেজি সাইজের ইলিশ বিক্রি হয় ৬০ হাজার টাকা মন দরে। ৪২ কেজিতে মন হিসাবে প্রতি কেজির দাম পড়ে প্রায় সাড়ে ১৪শ টাকা। খুচরা বাজারে গিয়ে যা বিক্রি হয় ১৬ থেকে ১৮শ টাকা। যে কারণে জাতীয় এই মাছ এখন শুধু বিত্তশালীদের খাদ্যে পরিণত হয়েছে। .....বিস্তারিত পড়ুন
সম্পাদকীয়
বিশ্ব উস্নায়ন এবং তাকে কেন্দ্র করে জলবায়ু পরিবর্তন একবিংশ শতাব্দীর অন্যতম বড় চ্যালেঞ্জ। এটি ধীরে ধীরে একাধিক উপায়ে মানব সমাজকে ব্যাপকভাবে প্রভাবিত করছে এবং অদূর ভবিষ্যতে এটি প্রায় অনিয়ন্ত্রিত হয়ে যাবে বলে মনে করা হচ্ছে।ইতিমধ্যে এটি আমাদের পরিবেশ, অর্থনীতি এবং আমাদের জীবন যাত্রার উপর ব্যাপক ভাবে প্রভাব দেখাতে শুরু করেছে ।সদ্য হয়ে যাওয়া হিমাচল প্রদেশের বন্যা আমাদের সামনে বেশ কিছু প্রশ্ন তুলে দিল । এবছর হিমাচল প্রদেশে বর্ষাকালে রেকর্ড পরিমাণে বৃষ্টিপাত হয়েছে ,যা বিগত কয়েক বছরের তুলনায় বহু গুণ বেশী। ভারতের আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, হিমাচল প্রদেশে ১ জুলাই থেকে ১২ জুলাই পর্যন্ত গড় বৃষ্টিপাত হয়েছে ২৪৯.৬ মিমি যা স্বাভাবিক গড় ৭৬.৬ মিমি থেকে প্রায় ৭০% বেশী .....বিস্তারিত পড়ুন
চাকরি ছাড়ার পর ফেরত দিতে হলো অফিসে খাওয়া চায়ের দাম
উত্তরাপথঃ চা কে আমরা যতই বলি স্ট্রিট ফুড বলি না কেন আসলে এটি এমন একটি পানীয় যা বিশ্ব অর্থনীতির বিশ্বায়নকে চালিত করেছিল। দীর্ঘক্ষণ কাজ করার ফলে কর্মীদের মধ্যে ক্লান্তি কিংবা বিরক্তি কাজ করে, তা কাটাতেই প্রায় প্রতিটি সরকারি-বেসরকারি অফিসেই কম বেশি চা-কফি খাওয়ার সুযোগ থাকে। কিন্তু একটি প্রতিষ্ঠানের চাকরি ছাড়ার পর দুই কর্মীকে অফিসে যত কাপ চা খেয়েছেন, তার বিল পরিশোধ করতে হয়েছে। এই বিরল কাণ্ড ঘটেছে চীনে।ঘটনা চীনের আনহুই প্রদেশের। সেখানে দুই কর্মী চাকরি ছেড়েছিলেন। খুবই স্বাভাবিক ঘটনা, আমরা অনেকেই চাকরি ছেড়ে থাকি। কিন্তু পরের ধাপে যা ঘটলো, তা কোনভাবেই স্বাভাবিক নয়। .....বিস্তারিত পড়ুন