Bhajan Lal Sharma: প্রথমবারের বিধায়ক থেকে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী পড়ুন ভজন লালের অজানা গল্প

Bhajan Lal Sharma রাজস্থানের নতুন মুখ্যমন্ত্রী

প্রীতি গুপ্তা,রাজস্থানঃ রাজস্থানের নতুন মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে যখন বসুন্ধরা রাজের নাম বিভিন্ন মিডিয়াতে উঠে আসছিল সেই সময় রাজস্থানের রাজনীতিতে নতুন চমক দিল বিজেপি।এবার রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী হলেন এমন একজন ব্যক্তি যাকে মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে কোনও নিউজ চ্যানেল থেকে শুরু করে দলের সদস্যরা কেউই আশা করেননি।হ্যাঁ তিনি হলেন  ভজন লাল শর্মা (Bhajan Lal Sharma )রাজস্থানের নতুন মুখ্যমন্ত্রী ।তিনি সাঙ্গানার আসন থেকে নির্বাচনে জিতে প্রথমবারের জন্য তিনি বিধায়ক হন। তিনি কংগ্রেসের পুষ্পেন্দ্র ভরদ্বাজকে ৪৮০৮১ ভোটে পরাজিত করেন।সদ্য নির্বাচিত বিধায়কদের দলের বৈঠকের আগে অনুষ্ঠিত ফটো সেশনে তিনি চতুর্থ সারিতে বসেছিলেন। কিছুক্ষণ পর রাজ্যের নতুন মুখ্যমন্ত্রীর জন্য তাঁর নাম ঘোষণা করে বিজেপি।

ভজন লাল শর্মা(Bhajan Lal Sharma) সংঘের পটভূমি থেকে আসা এক সাধারণ নেতা। তিনি দীর্ঘদিন ধরে সংঘের সঙ্গে যুক্ত দলেও তার ভালো দখল আছে।ভজন লাল শর্মার বয়স ৫৫ বছর। তিনি একজন স্নাতকোত্তর। শর্মা মূলত ভরতপুরের বাসিন্দা। তবে জয়পুর জেলার সাংনার বিধানসভা আসন থেকে দল তাকে প্রথমবার টিকিট দিয়েছিল এবং যেখান থেকে জিতে তিনি বিধায়ক হয়েছেন।

ভজন সাল শর্মা(Bhajan Lal Sharma) দশ বছর ধরে বিজেপির রাজ্য সাধারণ সম্পাদক ছিলেন।এর আগে ২০০৩ সালে, তিনি ভরতপুরের নাবাই আসন থেকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসাবে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন, কিন্তু ছয় হাজার ভোটে পরাজিত হতে হয়েছিল।এরপর ২০১৮ সালে, শর্মা বিজেপির কাছে টিকিট চেয়েছিলেন, কিন্তু দল তার দাবি উপেক্ষা করে।

ভজনলাল শর্মা ৩৪ বছর ধরে রাজনীতিতে সক্রিয় রয়েছেন। এছাড়াও তিনি কৃষি ও খনিজ সরবরাহ ব্যবসার সাথে যুক্ত। তিনি ভরতপুরের আটারি গ্রামের বাসিন্দা। ভজনলাল শর্মা প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষা লাভ করেন নাদবাইতে। এই সময়ে তিনি অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদের সংস্পর্শে আসেন এবং এটি রাজনীতিতে প্রবেশের পথ হয়ে ওঠে।

প্রাথমিক যুগে, ভজন লাল শর্মা নাদবাইতে অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদ ইউনিটের সক্রিয় কর্মী ছিলেন। এরপর তাকে ইউনিট সভাপতি নাদবাই, ইউনিট প্রধান নাদবাই করা হয়। ধীরে ধীরে শর্মাকে ভরতপুরের সহ-জেলা সমন্বয়কারী এবং তারপর ভরতপুর সহ-জেলা প্রধান করা হয়।

ভজনলাল শর্মা(Bhajan Lal Sharma) ১৯৯০ সালে ABVP-এর কাশ্মীর মার্চেও সক্রিয় ছিলেন। প্রায় ১০০ কর্মী নিয়ে তিনি উধমপুরে মিছিল করেন এবং তারপর গ্রেফতার হন। ১৯৯২ সালে, শ্রী রামও জন্মভূমি আন্দোলনের সময় জেলে গিয়েছিলেন।১৯৯১-৯২ সালে ভারতীয় জনতা যুব মোর্চার দায়িত্ব পান। তিনি ২৭ বছর বয়সে প্রথমবার সরপঞ্চ হন এবং তারপরে টানা দুই মেয়াদে সরপঞ্চ ছিলেন। একসময় তাঁকে পঞ্চায়েত কমিটির সদস্যও করা হয়।

এরপর তাকে ভারতীয় জনতা যুব মোর্চা মন্ডলের সভাপতি নাদবাই,জেলা মন্ত্রী বিজেওয়াইএম,জেলা সহ-সভাপতি BJYM,জেলা সাধারণ সম্পাদক BJYM ,জেলা সভাপতি BJYM (তিন বার),ভরতপুর জেলা মন্ত্রী বিজেপি,ভরতপুর জেলা সাধারণ সম্পাদক বিজেপি ,ভরতপুর জেলা সভাপতি ভরতপুর ,রাজ্য সহ-সভাপতি বিজেপি এবং সবশেষে বিজেপির রাজ্য সাধারণ সম্পাদক করা হয়।

বিধানসভা দলের বৈঠকের আগে একটি গ্রুপ ফটো সেশন অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় ভজনলাল শর্মা শেষ সারিতে বসেছিলেন। যেখানে দ্বিতীয় সারিতে বসেছিলেন দিয়া কুমারী ও প্রেমচাঁদ বৈরওয়া। বিধানসভার স্পিকার করা হয় বাসুদেব দেবনানিকে তিনি প্রথম সারিতে বসেছিলেন।অন্যদিকে প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংয়ের পাশের চেয়ারে বসেছিলেন বসুন্ধরা রাজে।

খবরটি শেয়ার করুণ

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন


World’s most polluted cities: নয়াদিল্লি, মুম্বাই এবং কলকাতা বিশ্বের সবচেয়ে দূষিত শহরের তালিকায়

উত্তরাপথঃ দিওয়ালি উদযাপনের একদিন পর জাতীয় রাজধানী নয়াদিল্লি, মুম্বাই এবং কলকাতা বিশ্বের সবচেয়ে দূষিত শহরের (World’s most polluted cities) তালিকায় উঠে এসেছে।সোমবার, অর্থাৎ দীপাবলির পরের দিন এই শহরগুলির বায়ুর গুণমান উল্লেখযোগ্য মাত্রায় খারাপ হয়েছে।বায়ুর গুনমান খারাপ হওয়ার পেছনে মাত্রাতিরিক্ত আতশবাজি জ্বালানোকে দায়ী করা হয়েছে। আমাদের বিশ্বের সবচেয়ে দূষিত শহরের (World’s most polluted cities) তালিকায় যথারীতি প্রথম স্থান দখল করেছে ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লি। দীপাবলির পরের দিন এটির AQI (এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স) পরিসংখ্যান ছিল ৪০৭। নভেম্বরের শুরু থেকে, দিল্লিতে AQI পরিসংখ্যান খারাপ হয়েছে।  সুইস গ্রুপ আইকিউএয়ার শহরের বাতাসকে "বিপজ্জনক" বিভাগে রেখেছে।ভারতের আর্থিক রাজধানী মুম্বাই বিশ্বের সবচেয়ে দূষিত শহরের তালিকায়(World’s most polluted cities), ১৫৭ এর AQI সহ ষষ্ঠ স্থানে রয়েছে। কলকাতা ১৫৪ এর AQI সহ সপ্তম স্থানে রয়েছে। .....বিস্তারিত পড়ুন

NASA Carbon Emission: পৃথিবী কার্বন ডাই অক্সাইড শোষণ করার চেয়ে বেশি নির্গত করছে

উত্তরাপথঃ কার্বন নির্গমন (NASA Carbon Emission) সম্পর্কে নাসার সর্বশেষ আবিষ্কার পৃথিবীর জন্য এক সতর্কতা সংকেত। মহাকাশ সংস্থার মতে, পৃথিবী কার্বন ডাই অক্সাইড শোষণ করার চেয়ে বেশি নির্গত করছে, যার ফলে গ্রিনহাউস গ্যাসের বায়ুমণ্ডলীয় ঘনত্ব উল্লেখযোগ্য বৃদ্ধি পাচ্ছে। NASA এর এই আবিষ্কারটি জলবায়ু পরিবর্তনের জন্য একটি উল্লেখযোগ্য কারণ হিসাবে দেখা যেতে পারে, সেইসাথে কার্বন নিঃসরণ কমানোর জন্য জরুরি পদক্ষেপের প্রয়োজনীয়তার উপর আলোকপাত করেছে।নাসার সর্বশেষ গবেষণায় যে তথ্য উঠে এসেছে তাতে পৃথিবীর মহাসাগর এবং ভূমি-ভিত্তিক বাস্তুতন্ত্র আগের চেয়ে কম কার্বন ডাই অক্সাইড শোষণ করছে। গবেষণায় দেখা গেছে যে গত এক দশকে ভূমি এবং মহাসাগর দ্বারা শোষিত কার্বন ডাই অক্সাইডের পরিমাণ ৫% হ্রাস পেয়েছে, যার ফলে গ্যাসের বায়ুমণ্ডলীয় ঘনত্ব বৃদ্ধি পেয়েছে। .....বিস্তারিত পড়ুন

সম্পাদকীয়-  রাজনৈতিক সহিংসতা ও আমাদের গণতন্ত্র

সেই দিনগুলো চলে গেছে যখন নেতারা তাদের প্রতিপক্ষকেও সম্মান করতেন। শাসক দলের নেতারা তাদের বিরোধী দলের নেতাদের কথা ধৈর্য সহকারে শুনতেন এবং তাদের সাথে সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রাখতেন।  আজ রাজনীতিতে অসহিষ্ণুতা বাড়ছে।  কেউ কারো কথা শুনতে প্রস্তুত নয়।  আগ্রাসন যেন রাজনীতির অঙ্গ হয়ে গেছে।  রাজনৈতিক কর্মীরা ছোটখাটো বিষয় নিয়ে খুন বা মানুষ মারার মত অবস্থার দিকে ঝুঁকছে। আমাদের দেশে যেন রাজনৈতিক সহিংসতা কিছুতেই শেষ হচ্ছে না।আমাদের দেশে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গার চেয়ে রাজনৈতিক সংঘর্ষে বেশি মানুষ নিহত হচ্ছেন।  ন্যাশনাল ক্রাইম রেকর্ডস ব্যুরো (এনসিআরবি) অনুসারে, ২০১৪ সালে, রাজনৈতিক সহিংসতায় ২৪০০ জন প্রাণ হারিয়েছিল এবং সাম্প্রদায়িক দাঙ্গায় ২০০০ জন মারা গিয়েছিল।  আমরা পৃথিবীর বৃহত্তম গণতন্ত্র হিসেবে আমাদের দেশের গণতন্ত্রের জন্য গর্বিত হতে পারি, কিন্তু এটা সত্য যে আমাদের সিস্টেমে অনেক মৌলিক সমস্যা রয়েছে যা আমাদের গণতন্ত্রের শিকড়কে গ্রাস করছে, যার জন্য সময়মতো সমাধান খুঁজে বের করা প্রয়োজন। .....বিস্তারিত পড়ুন

Fructose: নতুন গবেষণায় ফ্রুক্টোজকে স্থূলতার কারণ বলা হয়েছে

উত্তরাপথঃ একটি সাম্প্রতিক গবেষণায় জোরালো প্রমাণ দেওয়া হয়েছে যে ফ্রুক্টোজ (Fructose), সাধারণত প্রক্রিয়াজাত খাবার এবং পানীয়গুলিতে থাকা এক ধরনের চিনি, যা স্থূলতার প্রাথমিক চালক। বছরের পর বছর ধরে, পুষ্টি বিশেষজ্ঞরা , পাশ্চাত্য খাদ্যে, স্থূলতার মূল কারণ নিয়ে বিতর্ক করেছেন, কেউ কেউ অত্যধিক ক্যালোরি গ্রহণের দিকে ইঙ্গিত করেছেন, অন্যরা কার্বোহাইড্রেট বা চর্বি জাতীয় খাবারকে দায়ী করেছেন। Obesity জার্নালে সাম্প্রতিক একটি গবেষণাপত্রে ফ্রুক্টোজকে স্থূলতার প্রকৃত চালক হিসাবে বর্ণনা করা হয়েছে।The University of Colorado Anschutz Medical Campus এর Dr. Richard Johnson এবং তার দলের মতে, ফ্রুক্টোজ হল একটি সাধারণ চিনি যা ফল এবং মধুর প্রাথমিক পুষ্টি। .....বিস্তারিত পড়ুন

Scroll to Top