

উত্তরাপথঃ ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনকে গতি দেওয়ার জন্য, বিজেপি পশ্চিমবঙ্গের জন্য তার নির্বাচন পরিচালনা কমিটি (BJP Election Committee West Bengal)ঘোষণা করেছে। অমিত শাহ যখন রাজ্য সফরে, এমন সময়ে এই বড় ঘোষণা করল দল।এর আগে রাজ্য বিজেপি ২০২২ সালে লোকসভা নির্বাচনের কথা মাথায় রেখে একটি কমিটি গঠন করেছিল,এবার সেই কমিটি ভেঙে দিয়ে তার জায়গায় ১৪ সদস্যের একটি কোর কমিটি এবং ১৫ সদস্যের একটি নির্বাচন কমিটি গঠন করল বিজেপি। সবচেয়ে আশ্চর্যের বিষয় হল নতুন কোর কমিটিতে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের নাম রয়েছে।শোনা যাচ্ছে অমিত শাহ নিজে এবার সম্পূর্ণভাবে পশ্চিমবঙ্গের ৪২টি আসনের দিকে নজর দেবেন।
রাজ্য বিজেপির নতুন নির্বাচনী কমিটির (BJP Election Committee West Bengal )সদস্যদের মধ্যে রয়েছেন অমিত শাহ এবং জেপি নাড্ডা সহ রাজ্য দলের সভাপতি সুকান্ত মজুমদার, বিরোধীদলীয় নেতা শুভেন্দু অধিকারী, রাহুল সিনহা, আশা লাকড়া, সতীশ ধন, মঙ্গল পান্ডে, অমিত মালভিয়া, লকেট চ্যাটার্জি, দিলীপ ঘোষ, অমিতাভ চক্রবর্তী । এ ছাড়া ৫ জন সাধারণ সম্পাদক হলেন লকেট চ্যাটার্জি, অগ্নি মিত্র পাল, জগন্নাথ চ্যাটার্জি, যতর্ময় সিং মাহাত এবং দীপক বর্মণ।প্রসঙ্গত রাজ্য বিজেপি ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে ১৮টি আসন জিতেছিল।এবার পশ্চিমবঙ্গ বিজেপি ২০২৪ সালের নির্বাচনে আসন সংখ্যা বাড়াতে চায়।তাই শোনা যাচ্ছে পশ্চিমবঙ্গের রাজ্য নেতাদের উপর আর ভরসা না রেখে, পশ্চিমবঙ্গের মিশন এখন বিশেষভাবে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ পরিচালনা করবেন যাতে দলটি সেখানে টিএমসির চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করতে পারে। তাই রাজ্যের নতুন কোর কমিটির সঙ্গে নতুন নির্বাচন পরিচালনা কমিটি গঠন করেছে বিজেপি।
অন্যদিকে, অমিত শাহের কলকাতায় আগমনকে কেন্দ্র করে সুকান্ত মজুমদারের বিরুদ্ধে বিক্ষোভের হুঁশিয়ারি দিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। তৃণমূল কংগ্রেস তার এক্স হ্যান্ডেলে লিখেছে, বাংলায় বিজেপি নেতাদের নিয়মিত আগমন শুরু হয়েছে। অমিত শাহের সফর স্বামী বিবেকানন্দকে প্রকাশ্যে অপমান করার পরে সুকান্ত মজুমদারের দ্বারা ক্ষতি নিয়ন্ত্রণের একটি নিরর্থক অনুশীলন ছাড়া আর কিছুই নয়।
টিএমসি লিখেছে , অমিত শাহকে স্পষ্ট করতে হবে যে তার দল বাংলার সাংস্কৃতিক প্রতীকগুলির প্রতি এমন অবমাননাকর মন্তব্য সমর্থন করে কিনা।জনগণ উত্তর চায়। টিএমসি বলেছে যে স্বামী বিবেকানন্দ মনে করতেন যে গীতার শিক্ষাগুলি বোঝার এবং বাস্তবায়নের জন্য শারীরিক শক্তি একটি পূর্বশর্ত। সুকান্ত মজুমদারের স্বামীজিকে “নিরক্ষর বামপন্থী” হিসাবে বর্ণনা করা শুধুমাত্র অজ্ঞতাই প্রতিফলিত করে না বরং এটি বিকৃত ও অপমান করার একটি ইচ্ছাকৃত প্রচেষ্টা।
আরও পড়ুন
প্রাপ্তবয়স্কদের স্মৃতিশক্তি এবং চিন্তাভাবনা হ্রাস সমস্যার সমাধানের ক্ষেত্রে প্রোবায়োটিক
উত্তরাপথঃ সারা বিশ্বের জনসংখ্যার বয়স বৃদ্ধির সাথে স্মৃতিশক্তি এবং চিন্তাভাবনা হ্রাস এবং ডিমেনশিয়ার মতো নিউরোডিজেনারেটিভ রোগের প্রকোপ বাড়ছে৷ তাদের এই সমস্যাগুলি যে কেবল তাদের একার সমস্যা তা নয় ,এটি ধীরে ধীরে পুরো পারিবারিক সমস্যার আকার নেয়।সম্প্রতি বয়স্ক প্রাপ্তবয়স্কদের মধ্যে মস্তিষ্কের কার্যকারিতাকে পুনরুদ্ধার করার জন্য গবেষকদের মধ্যে কার্যকর কৌশল খোঁজার আগ্রহ বাড়ছে।বর্তমানে বেশীরভাগ গবেষক মস্তিস্কের স্বাস্থ্য উদ্ধারের ক্ষেত্রে প্রোবায়োটিকের সম্ভাব্য ভূমিকা নিয়ে গবেষণা করছেন । এখন খুব স্বাভাবিকভাবেই একটি প্রশ্ন আসে প্রোবায়োটিক কি? কেনই বা গবেষকরা মস্তিস্কের স্বাস্থ্য উদ্ধারের ক্ষেত্রে প্রোবায়োটিকের ভূমিকা নিয়ে গবেষণা করছেন । .....বিস্তারিত পড়ুন
Bandna Festival: ছোটনাগপুরের বিস্তীর্ণ অঞ্চল পাঁচ দিন বাঁদনার আমেজে মশগুল থাকে
বলরাম মাহাতোঃ চিরাচরিত রীতি অনুযায়ী কার্তিক অমাবস্যার আগের দিন থেকে মোট পাঁচ দিন ব্যাপী বাঁদনার(Bandna Festival) আমেজে মশগুল থাকে ছোটনাগপুরের বিস্তীর্ণ অঞ্চল। অবশ্য, পরবের শুভ সূচনা হয় তারও কয়েকদিন আগে। আদিবাসী সম্প্রদায়ের সামাজিক শাসন ব্যবস্থার চূড়ামণি হিসাবে গাঁয়ের মাহাতো, লায়া, দেহরি কিম্বা বয়োজ্যেষ্ঠ ব্যক্তি নির্ধারণ করেন- ৩, ৫, ৭ বা ৯ ক’দিন ধরে গবাদি পশুর শিং-এ তেল মাখাবে গৃহস্বামী! রুখামাটির দেশের লোকেরা কোনোকালেই মাছের তেলে মাছ ভাজা তত্ত্বের অনুসারী নয়। তাই তারা গোরুর শিং-এ অন্য তেলের পরিবর্তে কচড়া তেল মাখানোয় বিশ্বাসী। কারণ কচড়া তেল প্রস্তুত করতে গোধনকে খাটাতে হয় না যে! কচড়া তেলের অপ্রতুলতার কারণে বর্তমানে সরষের তেল ব্যবহৃত হলেও, কচড়া তেলের ধারণাটি যে কৃষিজীবী মানুষের গবাদি পশুর প্রতি প্রেমের দ্যোতক, তা বলাই বাহুল্য! এভাবেই রাঢ বঙ্গে গোবর নিকানো উঠোনে হাজির হয়- ঘাওয়া, অমাবস্যা, গরইয়া, বুঢ়ি বাঁদনা ও গুঁড়ি বাঁদনার উৎসবমুখর দিনগুলি। পঞ্চদিবসে তেল দেওয়া, গঠ পূজা, কাঁচি দুয়ারি, জাগান, গহাইল পূজা, চুমান, চউক পুরা, নিমছান, গোরু খুঁটা, কাঁটা কাঢ়া প্রভৃতি ১১টি প্রধান পর্ব সহ মোট ১৬টি লোকাচারের মাধ্যমে উদযাপিত হয় বাঁদনা পরব(Bandna Festival )। .....বিস্তারিত পড়ুন
World’s most polluted cities: নয়াদিল্লি, মুম্বাই এবং কলকাতা বিশ্বের সবচেয়ে দূষিত শহরের তালিকায়
উত্তরাপথঃ দিওয়ালি উদযাপনের একদিন পর জাতীয় রাজধানী নয়াদিল্লি, মুম্বাই এবং কলকাতা বিশ্বের সবচেয়ে দূষিত শহরের (World’s most polluted cities) তালিকায় উঠে এসেছে।সোমবার, অর্থাৎ দীপাবলির পরের দিন এই শহরগুলির বায়ুর গুণমান উল্লেখযোগ্য মাত্রায় খারাপ হয়েছে।বায়ুর গুনমান খারাপ হওয়ার পেছনে মাত্রাতিরিক্ত আতশবাজি জ্বালানোকে দায়ী করা হয়েছে। আমাদের বিশ্বের সবচেয়ে দূষিত শহরের (World’s most polluted cities) তালিকায় যথারীতি প্রথম স্থান দখল করেছে ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লি। দীপাবলির পরের দিন এটির AQI (এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স) পরিসংখ্যান ছিল ৪০৭। নভেম্বরের শুরু থেকে, দিল্লিতে AQI পরিসংখ্যান খারাপ হয়েছে। সুইস গ্রুপ আইকিউএয়ার শহরের বাতাসকে "বিপজ্জনক" বিভাগে রেখেছে।ভারতের আর্থিক রাজধানী মুম্বাই বিশ্বের সবচেয়ে দূষিত শহরের তালিকায়(World’s most polluted cities), ১৫৭ এর AQI সহ ষষ্ঠ স্থানে রয়েছে। কলকাতা ১৫৪ এর AQI সহ সপ্তম স্থানে রয়েছে। .....বিস্তারিত পড়ুন
দীপাবলির সময় কেন পটকা ফোটানো নিষেধাজ্ঞা কার্যকর করা যায় না ?
উত্তরাপথঃ দীপাবলির পরের দিন, যখন কেন্দ্রীয় দূষণ নিয়ন্ত্রণ বোর্ড (CPCB) শহরের বায়ু মানের সূচকের তালিকা প্রকাশ করে,তখন দেখা যায় রাজধানী দিল্লি বিশ্বের শীর্ষ ১০টি দূষিত শহরের প্রথমেই রয়েছে। CPCB-এর মতে, ১২ নভেম্বর বিকেল ৪ টায় দিল্লির বায়ু মানের সূচক ছিল ২১৮ যা ভোরের দিকে বেড়ে ৪০৭ এ পৌঁছায় । ৪০০ – ৫০০ AQI এর স্তর সুস্থ ব্যক্তিদের প্রভাবিত করে। দীপাবলির সারা রাত, লোকেরা পটকা ফাটিয়ে দীপাবলি উদযাপন করে। ১৩ নভেম্বর বিকেল ৪ টায় কেন্দ্রীয় দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ আবার তথ্য প্রকাশ করে এই তালিকায়, দিল্লির গড় বায়ু মানের সূচক ছিল ৩৫৮ যা 'খুব খারাপ' বিভাগে পড়ে। বায়ু দূষণের এই পরিস্থিতি শুধু দিল্লিতেই সীমাবদ্ধ ছিল না। নয়ডার বায়ু মানের সূচক ১৮৯ থেকে ৩৬৩ এ এবং রোহতক, হরিয়ানার ১৩৭ থেকে বেড়ে ৩৮৩ হয়েছে। দীপাবলির দুই দিন দিল্লি ,নয়ডা ,কলকাতা, মুম্বাই সহ দেশের অন্যান্য শহরেও একই অবস্থা বিরাজ করছে। এই দিনগুলিতে মানুষ বিষাক্ত বাতাসে শ্বাস নিতে বাধ্য হয়েছে। ২০১৮ সালে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে জাতীয় রাজধানী দিল্লি এবং নয়ডায় সবুজ পটকা ছাড়া যে কোনও ধরণের আতশবাজি ফাটান সম্পূর্ণ রূপে নিষিদ্ধ। আদালত সবুজ পটকা পোড়ানোর সময়ও নির্ধারণ করে দিয়েছে রাত ৮টা থেকে ১০টা। এমন পরিস্থিতিতে প্রশ্ন উঠছে সুপ্রিম কোর্টের এই আদেশের মানে কী? আদালতের এই আদেশ কি এখন প্রত্যাহার করা উচিত? পুলিশ কেন এই আদেশ কার্যকর করতে পারছে না? এর জন্য কি পুলিশ দায়ী নাকি সরকারের উদাসীনতা রয়েছে এর পেছনে? .....বিস্তারিত পড়ুন