বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি


ডাইনোসরের কঙ্কালে লুকিয়ে আছে ক্যান্সারের প্রাচীন ইতিহাস!

উত্তরাপথঃ প্রাচীন ইতিহাসে ডাইনোসরের Fossil-এ কি লুকিয়ে আছে আধুনিক চিকিৎসাবিজ্ঞানের ভবিষ্যৎ? হ্যাঁ, ঠিক এমনটাই বলছে সাম্প্রতিক এক গবেষণা। বিজ্ঞানীরা আজ আর শুধু ডাইনোসরের কঙ্কাল খুঁড়ে তাদের দৈর্ঘ্য-মোটা বোঝার চেষ্টা করছেন না, বরং এই প্রাণীদের Fossil-এ জমে থাকা নরম কলার (soft tissue) ভেতর খুঁজে চলেছেন জটিল রোগের উৎস, যেমন ক্যান্সার। ● ডাইনোসরের Fossil-এ মিলল ক্যান্সারের সূত্র! ব্রিটেনের আঙ্গলিয়া রাস্কিন বিশ্ববিদ্যালয় (Anglia Ruskin University) এবং ইম্পেরিয়াল কলেজ লন্ডনের একদল গবেষক সম্প্রতি এমনই এক ব্যতিক্রমী কাজ করে ফেলেছেন। আধুনিক প্যালিওপ্রোটিওমিক (paleoproteomic) প্রযুক্তি ব্যবহার করে তারা কোটি কোটি বছর আগের ডাইনোসরের হাড়ের মধ্যে আবিষ্কার করেছেন লাল রক্তকণিকার মতো দেখতে গঠন এবং প্রোটিনের উপস্থিতি। যে ডাইনোসরের Fossil পরীক্ষা করা হয়েছে, তার নাম Telmatosaurus transylvanicus—একটি ৬৬-৭০ মিলিয়ন বছর আগের উদ্ভিদভোজী ডাইনোসর, যাকে অনেকে "marsh lizard" নামেও ডাকেন। এই Fossil বিশ্লেষণে বিজ্ঞানীরা স্ক্যানিং ইলেকট্রন মাইক্রোস্কোপ ব্যবহার করে এমন কিছু নরম টিস্যুর ছাপ পেয়েছেন, যা দেখে বোঝা যাচ্ছে—ডাইনোসরের শরীরে এক সময় রক্তপ্রবাহ, প্রোটিন, এমনকি রোগ-এর প্রমাণও থাকতে পারে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এসব Fossil যদি সঠিকভাবে সংরক্ষণ করা যায়, তবে ভবিষ্যতের গবেষকরা এগুলোর মধ্যে থেকে ক্যান্সারের প্রাচীন রূপ বুঝতে পারবেন। শুধু তাই নয়, ক্যান্সার কীভাবে বিভিন্ন প্রজাতির জীবজগতে বিস্তার লাভ করেছে এবং কিছু প্রাণী কীভাবে দীর্ঘদিন ধরে এই রোগের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলেছে, তারও গুরুত্বপূর্ণ সূত্র মিলতে পারে। গবেষক প্রফেসর জাস্টিন স্টেববিং জানিয়েছেন—"ডাইনোসরের মতো বড়দেহী প্রাণীরা জীবাশ্ম বিজ্ঞান ও চিকিৎসাবিজ্ঞানের এক মহা পরীক্ষাগার। শুধু হাড় নয়, Fossil-এ থাকা নরম টিস্যু সংরক্ষণ করা হলে ভবিষ্যতের গবেষণায় আরও বিস্ময়কর তথ্য উঠে আসবে।" তিনি আরও বলেন, “হাড়ের মধ্যে থাকা প্রোটিন DNA-র তুলনায় অনেক বেশি টেকসই। তাই এই প্রোটিন বিশ্লেষণ করলেই বোঝা যায় কোনো প্রাণী জীবনে কী ধরনের রোগে আক্রান্ত হতো বা প্রতিরোধ গড়ে তুলত।” একটি পূর্ববর্তী গবেষণায়ও Telmatosaurus-এর Fossil-এ ক্যান্সারের লক্ষণ পাওয়া গেছে, যা প্রমাণ করে .....বিস্তারিত পড়ুন

লকডাউনে চাঁদের তাপমাত্রা হ্রাস: ভারতীয় গবেষণায় চাঞ্চল্যকর আবিষ্কার

উত্তরাপথঃ ২০২০ সালের কোভিড-১৯ লকডাউনের প্রভাব কি শুধু পৃথিবীতেই সীমাবদ্ধ ছিল? বিজ্ঞান বলছে—না।ভারতের বিজ্ঞানীরা সম্প্রতি এক অভিনব ও গভীর তাৎপর্যপূর্ণ আবিষ্কার করেছেন: বিশ্বব্যাপী লকডাউনের ফলে শুধু পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলেই নয়, বরং চাঁদের তাপমাত্রাতেও পরিবর্তন ঘটেছে।এই গবেষণা প্রকাশিত হয়েছে Monthly Notices of the Royal Astronomical Society: Letters-নামক যুক্তরাজ্যের জার্নালে । সেখানে বলা হয়েছে, এপ্রিল-মে ২০২০ সালের কড়া লকডাউনের সময় চাঁদের রাতের তাপমাত্রা ৮ থেকে ১০ কেলভিন পর্যন্ত কমে গিয়েছিল।এই গবেষণা পৃথিবীর পরিবেশ এবং চাঁদের মধ্যে একটি অপ্রত্যাশিত সম্পর্ক উন্মোচন করেছে, যা বিজ্ঞান এবং সমাজের জন্য গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব ফেলতে পারে। গবেষণার বিবরণ ফিজিক্যাল রিসার্চ ল্যাবরেটরি (পিআরএল)- এই গবেষণায় গবেষণার নেতৃত্ব দিয়েছেন ড. কে. দুর্গা প্রসাদ এবং ড. জি. অম্বিলি, যাঁরা ভারতের Physical Research Laboratory (PRL)-এর বিজ্ঞানী। তাঁরা NASA-র Lunar Reconnaissance Orbiter (LRO) থেকে সংগৃহীত তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখেছেন ২০১৭ থেকে ২০২৩ সালের মধ্যে চাঁদের ছয়টি নির্দিষ্ট স্থানে তাঁরা তাপমাত্রার তারতম্য লক্ষ্য করেছেন। ২০২০ সালের সেই সময়ে চাঁদের রাতের তাপমাত্রা উল্লেখযোগ্যভাবে কমে গিয়েছিল—যা অন্য কোনো বছরে দেখা যায়নি।এই সময়ে পৃথিবী থেকে নির্গত বিকিরণ কমে যাওয়া, মানুষের কার্যকলাপ হ্রাস এবং গ্রিনহাউস গ্যাস নির্গমন কমে যাওয়াকে এই তাপমাত্রা হ্রাসের কারণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। গবেষণা অনুসারে, ২০২০ সালে চাঁদের একটি স্থানে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল ৯৬.২ কেলভিন, যেখানে ২০২২ সালে সর্বোচ্চ সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৪৩.৮ কেলভিন। এই তাপমাত্রার পার্থক্য চাঁদের তাপীয় পরিবেশ পৃথিবী-নির্ভর পরিবর্তনের প্রতি সংবেদনশীলতা নির্দেশ করে। বৈজ্ঞানিক তাৎপর্য এই গবেষণা পৃথিবীর পরিবেশ এবং চাঁদের তাপীয় পরিবেশের মধ্যে একটি জটিল সম্পর্ক প্রকাশ করে। বিশেষ করে, পৃথিবী থেকে নির্গত দীর্ঘ তরঙ্গদৈর্ঘ্যের বিকিরণ (ইনফ্রারেড বিকিরণ) চাঁদের পৃষ্ঠের তাপমাত্রাকে প্রভাবিত করে। লকডাউনের সময় পৃথিবীর মানবিক কার্যকলাপ বন্ধ ছিল, শিল্পপ্রতিষ্ঠান বন্ধ, গাড়ি চলাচল কম, বিমান চলাচল বন্ধ—ফলে গ্রিনহাউস গ্যাস এবং আউটগোয়িং ইনফ্রারেড রেডিয়েশন (Outgoing Longwave Radiation) অনেকটাই কমে যায় .....বিস্তারিত পড়ুন

আইনস্টাইনের পারমাণবিক বোমা সম্পর্কিত চিঠি জাপানে নিলামে বিক্রি হল না

উত্তরাপথঃ এক সময়ের পরমাণু যুগের ‘ঈশ্বর’ হিসেবে বিবেচিত আলবার্ট আইনস্টাইনের পারমাণবিক বোমার ভয়াবহ শক্তি এবং তার সৃষ্টিতে তাঁর ভূমিকা নিয়ে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ প্রকাশ্য চিন্তাভাবনা সম্বলিত একটি ঐতিহাসিক চিঠি সম্প্রতি জাপানের একটি নিলামে বিক্রির জন্য তোলা হলেও, শেষ পর্যন্ত তার কোনো ক্রেতা খুঁজে পাওয়া যায়নি। বনহ্যামসের তালিকা অনুযায়ী, এই পাঁচ-অনুচ্ছেদের টাইপ করা চিঠির মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছিল ১০০,০০০ থেকে ১৫০,০০০ মার্কিন ডলার। এই চিঠিটি এক সময়কার জাপানি জনপ্রিয় ম্যাগাজিন Kaijo-তে ১৯৫৩ সালে প্রকাশিত হয়েছিল এবং এটিই ছিল আইনস্টাইনের সবচেয়ে বিশদ ও খোলামেলা প্রতিক্রিয়া তার পরমাণু বোমা সংক্রান্ত ভূমিকা নিয়ে। পারমাণবিক বোমার ছায়ায় আইনস্টাইনের জীবন আইনস্টাইন কখনোই সরাসরি পারমাণবিক বোমা তৈরির কাজে অংশ নেননি, তবে তাঁর পদার্থবিজ্ঞানের বিপ্লবী আবিষ্কারগুলি পারমাণবিক শক্তির প্রযুক্তি উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিল। তিনি জানতেন, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে জয়ী হতে হলে নাজি জার্মানির আগে পারমাণবিক অস্ত্র তৈরির দৌড়ে এগিয়ে থাকতে হবে। এই জরুরি পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে ১৯৩৯ সালে তাঁর সহকর্মী পদার্থবিজ্ঞানী লিও সিলার্ডের লেখা একটি চিঠিতে আইনস্টাইন স্বাক্ষর করেন, যা মার্কিন প্রেসিডেন্ট ফ্র্যাঙ্কলিন ডি. রুজভেল্টের কাছে পাঠানো হয়। চিঠিতে তিনি লিখেছিলেন, “পরিস্থিতির কিছু দিক সতর্কতা এবং প্রয়োজনে প্রশাসনের তরফে দ্রুত পদক্ষেপের দাবি রাখে। তাই আমি এই তথ্য এবং সুপারিশগুলি আপনার নজরে আনাকে আমার কর্তব্য মনে করছি।” এই চিঠি রুজভেল্টকে পারমাণবিক কর্মসূচি অনুমোদনের জন্য প্ররোচিত করেছিল, যার ফল ছয় বছর পর হিরোশিমা এবং নাগাসাকিতে দেখা গিয়েছিল। এই ট্র্যাজিক ফলাফল আইনস্টাইনকে তাঁর জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত তাড়িত করেছিল। ১৯৪৬ সালে টাইম ম্যাগাজিনের প্রচ্ছদে তাঁকে একটি মাশরুম ক্লাউডের সামনে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায়, যার উপরে লেখা ছিল “E=MC²”। পরের বছর নিউজউইক তাঁকে “পারমাণবিক যুগের জনক” হিসেবে আখ্যায়িত করে। তবে আইনস্টাইন বারবার এই অস্ত্র তৈরিতে তাঁর ভূমিকা থেকে নিজেকে দূরে রাখার চেষ্টা করেছিলেন। জাপানের সঙ্গে সম্পর্ক ও কাইজো পত্রিকার প্রশ্ন .....বিস্তারিত পড়ুন

কালো প্লাস্টিক সম্পর্কে সত্য: কেন আপনার এখনই সতর্ক হওয়া উচিত

উত্তরাপথঃআপনি হয়তো রান্নাঘরের স্প্যাটুলা, বাচ্চাদের খেলনা, এমনকি প্যাকেজিং উপকরণের মতো দৈনন্দিন জিনিসপত্রে কালো প্লাস্টিকের ব্যবহার নিয়ে উদ্বেগজনক শিরোনাম দেখেছেন। সাম্প্রতিক এক গবেষণায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে যে এই প্লাস্টিকের মধ্যে থাকা BDE-209 নামক রাসায়নিকটি , গুরুতর স্বাস্থ্য সমস্যা  তৈরি করতে পারে। তবে এখানে উল্লেখযোগ্য বিষয়টি হল: মূল প্রতিবেদনে গবেষকরা একটি গণিত ভুল করেছেন, এবং বিপদটি তারা প্রথমে যতটা ভেবেছিলেন ততটা খারাপ নয়। আসুন জেনে নেওয়া যাক  কি এই রাসায়নিকটি, এটি কি এমন কিছু যা আপনি আপনার বাড়িতে - অথবা আপনার শরীরে চান না। BDE-209 কী? ডেকাব্রোমোডিফেনাইল ইথার, বা BDE-209, একটি অগ্নি প্রতিরোধক রাসায়নিক যা ১৯৭০ এর দশকে ইলেকট্রনিক্স এবং আসবাবপত্রকে কম দাহ্য করার জন্য প্লাস্টিকের সাথে যোগ করা হয়েছিল। বছরের পর বছর ধরে, টিভি, কম্পিউটার এবং রান্নাঘরে ব্যবহৃত প্লাস্টিকের মতো জিনিসপত্রে BDE-209 একটি সাধারণ উপাদান ছিল। সময়ের সাথে সাথে, বিজ্ঞানীরা আবিষ্কার করেছেন যে এটি আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকারক হতে পারে, ক্যান্সার, হরমোন  এবং প্রজনন সমস্যার মতো সমস্যার সাথে যুক্ত হতে পারে। এই ঝুঁকির কারণে, অনেক দেশ যেমন ইউরোপীয় ইউনিয়ন, চীন এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মতো দেশ এটি নিষিদ্ধ করেছে এবং অনেক কোম্পানি এই রাসায়নিকটির পরিবর্তে অন্যান্য রাসায়নিক ব্যবহার শুরু করেছে (যদিও সেগুলি খুব বেশি নিরাপদ নাও হতে পারে) এটি এখনও কোথায় দেখা যাচ্ছে? কিন্তু নিষেধাজ্ঞা থাকা সত্ত্বেও, BDE-209 কে  এখনও আমাদের বাড়িতে প্রবেশ করা থেকে বিরত করা যায়নি। কেমোস্ফিয়ারের অক্টোবর ২০২৪ সংখ্যায় মূলত প্রকাশিত টক্সিক-ফ্রি ফিউচারের গবেষণায় উল্লেখ করা হয়েছে যে, স্প্যাটুলা, শিপিং প্যাকেজিং এবং এমনকি শিশুদের খেলনার মতো সাধারণ পণ্যগুলিতেও এই যৌগ ধারণকারী পুনর্ব্যবহৃত কালো প্লাস্টিকের ক্ষুদ্র পরিমাণ সনাক্ত করা গেছে। .....বিস্তারিত পড়ুন

কিডনি ভালো রাখতে বোনডাক নাট (Bonduc Nut); প্রাচীন জ্ঞানের সাথে বিজ্ঞানের অনন্য সংযোগ

উত্তরাপথঃ সামগ্রিক সুস্থতার জন্য আমাদের অনুসন্ধানে, আধুনিক বিজ্ঞানের দৃষ্টিকোণ থেকে প্রাচীন ভেষজ প্রতিকারগুলি কীভাবে স্বীকৃতি পাচ্ছে তা দেখে অনুপ্রেরণাদায়ক। এরকম একটি উল্লেখযোগ্য আবিষ্কার হল Caesalpinia bonduc ভেষজ, যা Bonduc Nut নামেও পরিচিত, যা শতাব্দীর পর শতাব্দী ধরে ঐতিহ্যবাহী শিক্ষায় - বুদ্ধ শাকামুনির শিক্ষা সহ - সম্মানিত। Caesalpinia bonduc এর প্রাচীনত্ প্রাচীন চিকিৎসা পদ্ধতির অনেক গুণাগুণ আজকের দিনে বিজ্ঞানের আলোয় আবার নতুনভাবে আবিষ্কৃত হচ্ছে। এমনই একটি আশ্চর্যজনক উদাহরণ হলো Caesalpinia bonduc, বা আমাদের পরিচিত বোনডাক নাট। হাজার বছর আগে এই ভেষজটি বুদ্ধ শাক্যমুনির শিক্ষায় উল্লেখিত ছিল। আর আজ আধুনিক গবেষণা বলছে—এই গাছটি আমাদের কিডনি রক্ষা করতে পারে! প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে, এশিয়া এবং আফ্রিকা জুড়ে ঐতিহ্যবাহী চিকিৎসা ব্যবস্থা Caesalpinia bonduc কে তার বিভিন্ন স্বাস্থ্য উপকারিতার জন্য ব্যবহার করে আসছে। এটি Hjam-hbras এর মতো ফর্মুলেশনে বিশিষ্টভাবে উপস্থিত রয়েছে, যা কিডনি স্বাস্থ্য সহ বিভিন্ন শারীরিক ক্রিয়াকলাপকে সমর্থন করে বলে বিশ্বাস করা হয়। তবে, সম্প্রতি পর্যন্ত, এর নির্দিষ্ট প্রভাবের বৈজ্ঞানিক বৈধতা সীমিত ছিল।  কী বলছে আধুনিক বিজ্ঞান? সম্প্রতি প্রফেসর ভূষনার( Bhusnar) ও তাঁর  গবেষকদল একটি গুরুত্বপূর্ণ গবেষণা প্রকাশ করেছেন । এই গবেষণায় তারা হজম-ভ্রাস (Hjam-hbras)নামক তিব্বতীয় ঐতিহ্যবাহী ওষুধের মূল উপাদান বোনডাক নাট-এর কার্যকারিতা পরীক্ষা করেন।তারা নেটওয়ার্ক ফার্মাকোলজি এবং বায়োইনফরমেটিক্স প্রযুক্তির মাধ্যমে আবিষ্কার করেন, এই ভেষজটি কিডনি-সংক্রান্ত গুরুত্বপূর্ণ জিন এবং রাসায়নিক পথের (signaling pathways) সাথে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করে। ফলে এটি কিডনির কোষকে সুরক্ষা দিতে পারে এবং কিডনি রোগ প্রতিরোধে ভূমিকা রাখতে পারে। .....বিস্তারিত পড়ুন

অধ্যাপক জয়ন্ত নারলিকার - আলোর পথযাত্রী

ড. সায়ন বসু*ঃ সালটা সম্ভবত ২০০৯, মাস্টার ডিগ্রীর শেষের দিকে তখন আমি জ্যোতির্বিজ্ঞান (Astrophysics) নিয়ে পড়াশোনা করছি। একদিন লাইব্রেরিতে চোখে পড়লো ‘Introduction to Cosmology’ নামের একটি বই, লেখক J.V. Narlikar। তখন কেনার সামর্থ্য না থাকলেও, জ্যোতির্বিজ্ঞান নিয়ে গবেষণা শুরু করার পর থেকে আজ অব্দি বইটি আমার সঙ্গী। অনেকে অন্যান্য বিখ্যাত বিখ্যাত গবেষকের বইয়ের কথা বললেও ঐ নীল মলাটের বইটির সাথে আমার সম্পর্ক থেকেই গেছে। অধ্যাপক নারলিকারের মৃত্যু সংবাদটি যখন পড়লাম তখনও আশ্চর্যজনকভাবে তাঁরই একটি গবেষণাপত্র পড়ছিলাম যেটি ২০১৫ সালে প্রকাশিত। জয়ন্ত বিষ্ণু নারলিকার এর জন্ম ১৯৩৮ সালের ১৯ জুলাই মহারাষ্ট্রের কোলহাপুরে। তাঁর বাবা ভি.ভি. নারলিকার ছিলেন বেনারাস হিন্দু বিশ্ববিদ্যালয়ের গণিতের বিশিষ্ট অধ্যাপক এবং মা সুমতি নারলিকার ছিলেন সংস্কৃত ভাষার বিশিষ্ট পণ্ডিত। বাবার কাছ থেকেই তিনি পান বিজ্ঞানের প্রতি ভালোবাসা। বেনারসের Central Hindu Boys স্কুল থেকে পাশ করে স্নাতকে ভর্তি হন বেনারস হিন্দু বিশ্ববিদ্যালয়ে। ১৯৫৭ সালে স্নাতক ডিগ্রী পাওয়ার পর নারলিকার পাড়ি দেন ইংল্যান্ড। সেখানে তিনি ভর্তি হন কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীন Fitzwilliam কলেজে। ১৯৫৯ সালে তিনি B.A (Tripos) ডিগ্রী অর্জন করেন গণিতে। ১৯৬০ সালে তিনি অর্জন করেন টাইসন মেডেল যা কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ে জ্যোতির্বিজ্ঞান শাখায় অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ পুরস্কার। কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ে ডক্টরেট ডিগ্রীর সময় তিনি পান Smith প্রাইজ। তিনি গবেষণা করেন বিখ্যাত জ্যোতির্বিজ্ঞানী ফ্রেড হোয়েলের কাছে। ১৯৬৩ সালে তিনি Ph.D. ডিগ্রী অর্জন করেন। ১৯৬৩ সালে ডক্টরেট ডিগ্রী লাভ করার পর তিনি কিংস কলেজে Berry Ramsey Fellow হিসেবে যোগ দেন এবং ১৯৬৪ সালে জ্যোতির্বিজ্ঞানে স্নাতকোত্তর ডিগ্রী লাভ করেন। ১৯৭২ সাল পর্যন্ত তিনি কিংস কলেজে কাজ করেন। ১৯৬৬ সালে অধ্যাপক হোয়েল কেমব্রিজে Institute of Theoretical Astronomy .....বিস্তারিত পড়ুন

বিজ্ঞানীরা বায়ু দূষণের পিছনে লুকানো কারণ আবিষ্কার করেছেন

উত্তরাপথঃগবেষকরা বায়ু দূষণ কীভাবে তৈরি হয় সে সম্পর্কে নতুন তথ্য খুঁজে পেয়েছেন, বিশেষ করে বায়ুতে হাইড্রোকার্বন নামক অণুগুলির উপর পরীক্ষা করে। তারা আলোর সংস্পর্শে এলে এই অণুগুলি কীভাবে আচরণ করে তা পর্যবেক্ষণ করার জন্য উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহার করেছেন, যা আগে কখনও দেখা যায়নি । আলো কীভাবে অণুগুলিকে প্রভাবিত করে বাতাসে হাইড্রোকার্বন যখন সূর্যালোকের সাথে মিথস্ক্রিয়া করে, তখন এটি নাইট্রাস অ্যাসিডের মতো পদার্থ তৈরি করতে পারে, যা ধোঁয়াশা এবং দূষণে অবদান রাখে। এই প্রক্রিয়ার একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ হল অণুর ভিতরে একটি প্রোটন (পরমাণুতে পাওয়া একটি ক্ষুদ্র কণা) দ্রুত স্থানান্তর, যা প্রোটন স্থানান্তর নামে পরিচিত। এটি আরও ভালভাবে বোঝার জন্য, বিজ্ঞানীরা অধ্যয়ন করেছেন যে এই প্রোটন অণুর ভিতরে কীভাবে চলাচল করে। দ্রুত বিস্তারিতভাবে প্রোটনের গতিবিধি পর্যবেক্ষণ একটি অণুর ভিতরে, একটি প্রোটন খুব দ্রুত এক অংশ থেকে অন্য অংশে যেতে পারে। এটি ঘটতে দেখার জন্য, গবেষকরা একটি অতি দ্রুত ইলেকট্রন ক্যামেরা ব্যবহার করেছেন যা মানুষের চুলের চেয়ে ১০,০০০ গুণেরও বেশি ছোট স্কেলে ক্ষুদ্র নড়াচড়া নির্ধারণ করতে পারে। এই বিশেষ ক্যামেরাটি, কম্পিউটার মডেলের সাথে মিলিত হয়ে, বিজ্ঞানীদের দেখতে সাহায্য করেছে যে প্রোটনের নড়াচড়ার পর, অণুগুলিও মোচড় দেয় এবং ঘুরতে থাকে - আলোর দ্বারা উত্তেজিত হওয়ার পরে অণুগুলি কীভাবে শক্তি নির্গত করে এবং স্থির হয় তার দুটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। কেন এটি গুরুত্বপূর্ণ অণুগুলি যখন আলো শোষণ করে, তখন তারা উত্তেজিত হয় এবং তারপরে শান্ত অবস্থায় ফিরে আসে। এই শিথিলকরণ কীভাবে ঘটে তা ঠিক কীভাবে বোঝা যায় তা বিজ্ঞানীদের দূষণকারী কীভাবে তৈরি হয় তা জানতে সাহায্য করে। এই গবেষণায়, বিজ্ঞানীরা একটি প্রধান শিথিলকরণ পথ চিহ্নিত করেছেন: প্রোটন অণুর ভিতরে চলে যায় এবং অণুর কিছু অংশ তাদের স্বাভাবিক আকৃতি থেকে বেরিয়ে আসে। এই আবিষ্কার দূষণের পিছনে রসায়ন সম্পর্কে আরও ভাল ধারণা প্রদান করে। .....বিস্তারিত পড়ুন

12 3 4 5 6 7 8
Scroll to Top