সাহিত্য ও শিল্প


ছোট গল্প -অন্যমন……..
মৈত্রেয়ী চৌধুরীঃ সঞ্চিতা বাড়ির অমতেই বিয়ে করছে সঞ্জীবকে। পরিবারের মূল আপত্তি বাঙাল পরিবারে বিয়ে দেওয়া নিয়ে, কারণ উনারা ঘটি। সঞ্চিতা কারো কথার কর্ণপাত না করেই বলা ভালো বাড়ির অমতেই রেজিস্ট্রি করে বিয়ে করলো সঞ্জীবকে। সাবলম্বী মেয়ে সঞ্চিতা,সরকারী উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ের বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষিকা সে। পরিবারের সন্মানের কথা চিন্তা করেই তার বাবা চরম অনিচ্ছা থাকা সত্ত্বেও সামাজিক রীতি মেনে বিয়ে দিলেন। শুধু হলো সঞ্চিতা সঞ্জীবের দাম্পত্য জীবন। বিয়ের আগেও সঞ্চিতা দেখেছে যে কিছু একটা সাজগোজের সামগ্রী বা ড্রেস বা উপহারের কিছু কিনলেই সঞ্জীব একটু বিরক্তি প্রকাশ করতো তবে খুব একটা অমল দিতো না সঞ্চিতা, তবে এই নিয়ে দুটোর মধ্যে একটু টক মিষ্টি মনমালিন্য ও হতো, তবে ঐ পর্যন্তই। বিবাহের পর আজ তাদের জীবনের প্রথম দিন। দুজনের মনে অনেক আশা, আনন্দ। .....বিস্তারিত পড়ুন


রক্তের সম্পর্ক
অসীম পাঠকঃ নিঃসন্তান মিস্টার এন্ড মিসেস কাঞ্জিলাল দম্পতি প্রচন্ড মনোকষ্টে দিন অতিবাহিত করেন। সব থাকার মধ্যেও একটা অপ্রাপ্তির যন্ত্রনা, একরাশ শূণ্যতা। দিন যাপন আর প্রাণ ধারণের গ্লানি। কতো দিন আর কতোকাল এভাবে মন্দিরে পীরের দরগায় নার্সিং হোমে , চিকিৎসার জন্য বাইরের স্টেটে ছোটাছুটি করবেন, সব তো দেখলেন ডাক্তার , ভগবান কেও পারলো না। অবশেষে তাঁরা হোমে গেলেন মন পরিপূর্ণ সায় না দিলেও নিজেদের ভবিষ্যতের কথা ভেবে একটা তিন বছরের বাচ্চা দত্তক নিলেন। অফিসিয়ালি কাগজপত্র সব রেডি করে ক্যাশ পেমেন্ট করে বাচ্চাকে বাড়ি আনলেন। নাম রাখলেন অরিজিৎ। খুশী না এলেও কাঞ্জিলাল পরিবারে কিছুটা স্বস্তি এলো। কার না কার রক্ত বইছে এর শরীরে। মাঝে মাঝে একরাশ বিরক্তি ঘৃণা অবজ্ঞা নিয়েই তাঁরা যেনো দায়িত্ব টুকু পালন করতেন ,দুধের সাধ ঘোলে মেটানো আর কি। অরিজিৎকে নিয়ে স্বামী .....বিস্তারিত পড়ুন


গুরুশিখর, মাউন্ট আবু: একটি আধ্যাত্মিক এবং দর্শনীয় বিস্ময়
উত্তরাপথঃ আজ আমরা চলে এসেছি রাজস্থানের আরাবল্লী রেঞ্জে অবস্থিত, পাহাড়ী শহর মাউন্ট আবুতে।আর পাঁচটা পাহাড়ী শহরের মত এই শহরটি তার অত্যাশ্চর্য প্রাকৃতিক দৃশ্য, মনোরম জলবায়ু এবং সাংস্কৃতিক সমৃদ্ধির জন্য পরিচিত। মরুভূমি রাজ্যের এই পাহাড়ী শহরের অন্যতম আকর্ষণের কেন্দ্র বিন্দু হল গুরুশিখর,এটি আরাবল্লী রেঞ্জের সর্বোচ্চ বিন্দুতে অবস্থিত একটি উল্লেখযোগ্য তীর্থস্থান। গুরুশিখর, প্রায়শই গুরু শিখর নামে পরিচিত, আজও বহু ভ্রমণকারী আধ্যাত্মিকতা, প্রাকৃতিক সৌন্দর্য এবং অ্যাডভেঞ্চারের এক অপূর্ব স্বাদ পেতে এই স্থানে আসেন।গুরুশিখর তার আধ্যাত্মিক এবং ঐতিহাসিক তাৎপর্যের জন্য বিখ্যাত। "গুরুশিখর" নামটি হিন্দিতে বলা হলেও বাংলায় এটিকে 'গুরুর শিখর'বলা হয়। এটি হিন্দুধর্মের একটি গুরুত্বপূর্ণ অবতার ভগবান দত্তাত্রেয়কে সমর্পণ করা হয়েছে। .....বিস্তারিত পড়ুন


তারাশঙ্করের হাত ধরে ভারতে আসতে পারতো সাহিত্যের দ্বিতীয় নোবেল
উত্তরাপথঃ সুইডিশ নোবেল কমিটি ২০২২ সালে একটি গুরুত্বপূর্ণ ঘোষণা করেন ,তারা ২০২২ সালের নোবেল প্রাপকদের নাম প্রকাশ করার পাশাপাশি ১৯৭২ সালে নোবেল পুরস্কারের জন্য যাদের নাম মনোনীত করা হয়েছিল সেই তালিকা প্রকাশ করেন।আর সেই তালিকাতেই দেখা যাচ্ছে নোবেল পদকের জন্য মনোনীতদের তালিকায় নাম ছিল সাহিত্যিক তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায়ের। যদি সেই সময় তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায় নোবেল পদকের জন্য মনোনীত হতেন তাহলে এই সাহিত্যিকের হাত ধরেই ভারতে আসতে পারতো কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের পর সাহিত্যের দ্বিতীয় নোবেল।তবে তালিকায় মনোনয়ন পাওয়াটাও আমাদের কাছে সম্মানের। .....বিস্তারিত পড়ুন


মাতৃ রূপে দেবীর আগমন বার্তা দিকে দিকে.................
মৈত্রেয়ী চৌধুরী: ”মা দেবী সর্বভূতেষু মাতৃরূপেণ সংস্থিতা/নমস্তস্যৈ নমস্তস্যৈ নমস্তস্যৈ নমো নমঃ’’। মাতৃ রূপে দেবীর আগমন বার্তা দিকে দিকে ছড়িয়ে দিতে শরৎ কালে নীলাকাশে পেঁজা তুলোর মতো মেঘগুলো মুক্ত বিহঙ্গের মত আকাশের একপ্রান্ত থেকে আরেক প্রান্তে ছুটে বেড়ায়। আবার শরৎ মানে তো বৃষ্টি, প্লাবন তাই বর্ষার জলসিক্ত প্রকৃতি সবুজ সতেজতার সাজে সজ্জিত হয়ে দেবীর প্রতিক্ষায় ব্রতী হয়। পাখির ঝাঁক, পাল তোলা নৌকা , পুকুর আর বিলের জলে শাপলা, পদ্ম, ধানের শীষে হালকা শিশির তাতে রামধেনু রঙের প্রতিফলন, গাঢ় নীল আকাশে সোনাঝরা রোদ, ভোরের শিউলি ফুল সব কিছুই মা দুর্গার আগমনের পূর্ব থেকে দীর্ঘ দাবদাহের পর নবরূপে সজ্জিত হয়। প্রকৃতির এই সাজের সাথে সামঞ্জস্য রেখে মৃৎশিল্পী থেকে বস্ত্র বিপণী ও নানা ধরনের ছোট থেকে বড় শপিং মল গুলি ও বিভিন্ন সামগ্রীর পসরা সাজিয়ে বসেন। সর্বত্র সাজসাজ রব। মা আসছেন তাঁর পুত্র কন্যা সহ, মা কে স্বাগত জানাতে প্যান্ডেলে প্যান্ডেলে নব জোয়ারের প্রচেষ্টা শুরু হয়। শরতের শুরুতেই বাড়িতে বাড়িতে শুরু হয় ঘর পরিষ্কারের রেওয়াজ। সম্পূর্ণ বাড়িকে পরিস্কার করা, রঙ করা ও পরিপাটি রূপ দিয়ে নূতনত্বের ছোঁয়া। .....বিস্তারিত পড়ুন


পুরুলিয়ার জয়পুর রাজবাড়ীর সোনার দুর্গা-পূজার এক অনন্য ঐতিহ্য
বলরাম মাহাতোঃ পুরুলিয়ার জয়পুর রাজবাড়ীর দুর্গাপূজা আর পাঁচটা পুজোর থেকে আলাদা (Golden Durga) ৷ কারণ প্রাচীন আমলের এই পুজোর সাথে জড়িত রয়েছে ওরঙ্গজেব থেকে রাজা জয় সিংহের নাম । সালটা ঠিক ১৬৬৬ সাল ওই সময় দিল্লির সুলতান ওরঙ্গজেব চালু করেছে জিজিয়া কর, ধর্ম রক্ষার জন্য রাজা জয় সিং স্ব-পরিবারে পালিয়ে আসেন পুরুলিয়া। পুরুলিয়ায় তখন বাস মুন্ডাদের। তাদের সর্দার খামার মুন্ডাকে হত্যা করে এই এলাকা দখল করলেন রাজা জয় সিং নাম হলো জয়পুর আবার অনেকে এটিকে গড় জয়পুরও বলে। মুন্ডারা খাঁরাকে তরবারি হিসেবে পূজো করতো। তারপর সেই খাঁরাটিকে নিয়ে জয় সিংহ সেই খাঁরাটিকে কলাবৌ হিসেবে পূজা করতে শুরু করেন। পরিবারের সদস্য প্রশান্ত সিংহ দেব বললেন এভাবেই দীর্ঘদিন ধরে পূজো হতো। .....বিস্তারিত পড়ুন


ছোটগল্প- গ্যালারি
অসীম পাঠকঃ মুম্বাই টাটা মেমোরিয়াল হসপিটালের একশো একচল্লিশ নম্বর বেডে শুয়ে আকাশের দৃষ্টি শরতের নীল আকাশে থমকে। পেঁজা তুলোর মত সাদা মেঘ , গিনি সোনার মত রোদ ছড়িয়ে পড়ছে দিক থেকে দিগন্তে। মাঝে মাঝে হঠাৎ বৃষ্টি। জানালার পাশ থেকে পুরো আকাশটা দেখা যায়না , তবুও যেটুকু চোখে পড়ে ঝাঁ চকচকে অভিজাত ফিল্ম সিটির এই স্বপ্নের শহরে সে আজ সুন্দর পৃথিবীর অসুস্থ ঠিকানায় বন্দী। তার মানসপটে ভেসে ওঠে অতিক্রান্ত সময়ের ছবি।প্রত্যন্ত গ্রামের বনেদী বাড়ির ছেলে আকাশ , স্বপ্ন ছিলো বাবার মতো সেও অধ্যাপক হবে আর লিখবে সমাজের পরিবর্তনের কথা। একজন সাকসেসফুল রাইটার হবে। একদিন হয়তো তার লেখা গল্প নিয়ে চলচ্চিত্র হবে। দুনিয়া জোড়া নাম হবে । কিন্তু বিধি বুঝি বাম। বিশ্ব বিদ্যালয়ের গন্ডি পেরিয়ে বি এড ট্রেনিং শেষ করে কোলকাতার একটা কোচিং সেন্টারে ভর্তি হয়ে যখন সে নিজেকে তৈরী করছে প্রতিযোগিতা মূলক পরীক্ষার জন্য , তখনই প্রায় অসুস্থ বোধ করতে লাগলো। .....বিস্তারিত পড়ুন