আন্তর্জাতিক


মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রধান শহরগুলি ধীরে ধীরে ডুবে যাচ্ছে

উত্তরাপথঃ ডেনভার থেকে ডিসি পর্যন্ত, ভূগর্ভস্থ জলস্তর নামার  কারণে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অনেক বড় শহর ধীরে ধীরে ডুবে যাচ্ছে। সাম্প্রতিক একটি গবেষণায় দেখা গেছে যে ২৮টি বৃহত্তম শহর প্রতি বছর প্রায় দুই থেকে দশ মিলিমিটার (প্রায় ০.০৭ থেকে ০.৩৯ ইঞ্চি) ডুবে যাচ্ছে। এর মূল কারণ হল ভূগর্ভস্থ জলের অত্যধিক অপসারণ, যা চাহিদা বৃদ্ধির সাথে সাথে পানীয় জল এবং কৃষিকাজের জন্য ব্যবহৃত হচ্ছে। এই গবেষণাটি ৮ মে নেচার সিটিস জার্নালে প্রকাশিত হয়ে্ছে। যদিও প্রতি বছর এক ইঞ্চিরও কম ভূমি ডুবে যাওয়া ছোট মনে হতে পারে, তবে এটি ভবিষ্যতে গুরুতর সমস্যার কারণ হতে পারে। যখন ভূমি স্থানান্তরিত হয়, তখন এটি ভবন, রাস্তা, সেতু এবং বাঁধের ক্ষতি করতে পারে। উদাহরণস্বরূপ, আটলান্টিক উপকূল বরাবর, কিছু এলাকা প্রতি বছর পাঁচ মিলিমিটার পর্যন্ত ডুবে যাচ্ছে। বিজ্ঞানীরা এই শহরগুলিতে ভূগর্ভস্থ জলের বিস্তারিত মানচিত্র তৈরি করতে বিশেষ স্যাটেলাইট রাডার প্রযুক্তি ব্যবহার করেছেন। তারা নিউ ইয়র্ক, ডালাস এবং সিয়াটলের মতো জায়গাগুলি দেখেছেন, যেখানে প্রায় ৩৪ মিলিয়ন মানুষ বাস করে - মার্কিন জনসংখ্যার প্রায় ১২%। গবেষণায় জড়িত বিজ্ঞানী মানুচেহর শিরজাইয়ের মতে, এই স্যাটেলাইট প্রযুক্তি মহাকাশ থেকে পৃথিবীর "ক্যাট স্ক্যান" এর মতো। এটি নগর পরিকল্পনাকারীদের মাটি ঠিক কোথায় সরছে তা দেখতে সাহায্য করে যাতে তারা মেরামত, জোনিং এবং বন্যা প্রতিরোধের পরিকল্পনা করতে পারে। গবেষণায় যা পাওয়া গেছে অধ্যয়নে দেখা গেছে মার্কিন যুক্ত রাষ্ট্রের  ২৮টি শহরে, কমপক্ষে ২০% ভূমি ডুবে যাচ্ছে। ২৫টি শহরে, কমপক্ষে ৬৫% এলাকা ডুবে যাচ্ছে। নিউ ইয়র্ক, শিকাগো, সিয়াটল, ডেনভার, কলম্বাস, ডালাস, হিউস্টন এবং অন্যান্য শহরগুলি প্রতি বছর প্রায় দুই মিলিমিটার ডুবে যাচ্ছে। টেক্সাসের কিছু শহর, বিশেষ করে হিউস্টনে এই পরিমাণ আরও বেশী - নির্দিষ্ট কিছু জায়গায় প্রতি বছর ১০ মিলিমিটার পর্যন্ত। গবেষণায় আরও উল্লেখ করা হয়েছে যে হিউস্টনের ভূগর্ভস্থ জলের স্তর বিভিন্ন এলাকায় অনেক ওঠানামা করে, যা বাড়িগুলিতে এবং রাস্তায় ফাটল সৃষ্টি করতে পারে, এমনকি ভূমি ডুবে যাওয়ার ঘটনা তাৎক্ষণিকভাবে দৃশ্যমান না হলেও। ভূমি ডুবে যাওয়ার সাথে সাথে, কখনও কখনও দেয়ালে, দরজা এবং জানালার চারপাশে ফাটল দেখা যায়।এর ফলে দরজা এবং জানালা যা সঠিকভাবে বন্ধ হয় না।সেই সাথে বাঁকা বা অসম রাস্তা এবং ফুটপাত। ইউটিলিটি খুঁটি বা বেড়া কাত  হওয়া ,সেই সাথে স্বাভাবিক বৃষ্টিপাতের সময় বন্যা বৃদ্ধি পায় কারণ নিষ্কাশন ব্যবস্থা ক্ষতিগ্রস্ত হয়। .....বিস্তারিত পড়ুন

সাহারার ধুলোকণা: আটলান্টিকের ওপারেও প্রাণের সঞ্চার

উত্তরাপথঃ বিশাল সাহারা মরুভূমি থেকে প্রতি বছর যে পরিমাণ ধুলোর মেঘ উড়ে যায়, তা শুধু মরুভূমির চিহ্ন নয়, বরং পৃথিবীর অন্য প্রান্তে প্রাণের সঞ্চার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। সম্প্রতি এক আন্তর্জাতিক গবেষণায় দেখা গেছে, এই ধুলোর মেঘ আটলান্টিক মহাসাগর পেরিয়ে অ্যামাজন বনাঞ্চল পর্যন্ত পৌঁছে জীববৈচিত্র্য টিকিয়ে রাখতে সাহায্য করে। আয়রন বা লোহা উদ্ভিদ ও প্রাণীর জন্য অত্যন্ত দরকারি একটি পুষ্টি উপাদান। আটলান্টিক মহাসাগরের অনেক অঞ্চলে এই আয়রনের মূল উৎস হলো সাহারা মরুভূমি। তবে আয়রন সব জায়গায় একরকম কাজ করে না – এর কিছু রূপ জীবের শরীরে সহজে শোষিত হয়, আবার কিছু রূপ হয় নিষ্ক্রিয়। গবেষণার পেছনের গল্প ফ্লোরিডা স্টেট ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক জেরেমি ওউয়েন্স বলেন, “আগের গবেষণাগুলো সাধারণত মোট কতটা আয়রন আছে তা দেখতো। আমরা এবার খেয়াল করেছি, কতটা আয়রন আসলেই সাগরের জীবেরা ব্যবহার করতে পারে।” গবেষকরা আটলান্টিক মহাসাগরের তলদেশ থেকে বিভিন্ন নমুনা সংগ্রহ করেছেন – কেউ কেউ মরক্কোর উপকূল থেকে ২০০ কিমি দূরে, আবার কেউ কেউ ফ্লোরিডা উপকূল থেকে ৫০০ কিমি দূরের জায়গা থেকে। এই নমুনাগুলো ছিল প্রায় ১,২০,০০০ বছরের পুরনো, এবং সেগুলোর মধ্যে ছিল নানা ধরনের আয়রনের খনিজ – যেমন গোয়েথাইট, ম্যাগনেটাইট, পাইরাইট ইত্যাদি। কি দেখা গেল গবেষণায়? আফ্রিকার কাছের নমুনাগুলোতে বেশি পরিমাণে ‘বায়োরিঅ্যাকটিভ’ আয়রন পাওয়া গেছে – অর্থাৎ এমন আয়রন যা জীবরা সহজে শোষণ করতে পারে। কিন্তু যত দূরে গেছে, তত এই আয়রনের পরিমাণ কমে গেছে। কারণ, আয়রনের অনেকটাই সাগরের জীবেরা আগেই ব্যবহার করে ফেলে। তবে গবেষণায় একটা চমকপ্রদ তথ্যও মিলেছে। সাহারা থেকে যত দূরে ধুলো যায়, বাতাসে সূর্যরশ্মি আর রাসায়নিক প্রক্রিয়ায় সেই ধুলোর মধ্যে থাকা আয়রন ধীরে ধীরে আরও বেশি সহজপাচ্য হয়ে ওঠে। এর ফলে, দূরবর্তী জায়গার সামুদ্রিক শৈবাল বা ফাইটোপ্ল্যাঙ্কটন এগুলো শোষণ করে জীবন চালাতে পারে। .....বিস্তারিত পড়ুন

ফ্লোরিডার সৈকতে ৩১ মিলিয়ন টন শেওলার দুর্গন্ধ!

উত্তরাপথঃ সতর্কতা! এই গ্রীষ্মে ফ্লোরিডার সৈকতগুলো হতে পারে একেবারে দুর্গন্ধময়। কারণ ফিরে এসেছে সেই কুখ্যাত সর্গাসাম শেওলা – আর এবার এসেছে রেকর্ড পরিমাণে, প্রায় ৩১ মিলিয়ন টন! সর্গাসাম কি জিনিস? সর্গাসাম হলো এক ধরনের বাদামি রঙের বড় শেওলা, যা ভেসে থাকে সাগরের জলে। এটি অন্যান্য শেওলার মতো তলায় নয়, বরং জলের ওপরে দ্বীপের মতো ভেসে বেড়ায়। এর পাতার মতো অংশ, শাখা-প্রশাখা এবং ছোট গোলাকার ফোলানো গাঁঠ থাকে, যেগুলো গ্যাসে ভরা থাকে। এগুলোই শেওলাকে জলের ওপর ভেসে থাকতে সাহায্য করে, অনেকটা লাইফ জ্যাকেটের মতো। এই শেওলা কিন্তু সব সময় খারাপ নয়। এটি বিভিন্ন সামুদ্রিক প্রাণীর জন্য খাবার ও আশ্রয়স্থল হিসেবে কাজ করে। মাছ, কাঁকড়া, চিংড়ি, সামুদ্রিক কচ্ছপ—এদের অনেকেই সর্গাসামকে ঘিরেই জীবন কাটায়। এমনকি কিছু মাছ সারাজীবন এই শেওলার ভেসে থাকা বলয়ের আশপাশেই থাকে। মানুষের জন্য কতটা বিপজ্জনক? সমস্যা শুরু হয় যখন এই শেওলা সৈকতে এসে পচতে শুরু করে। তখন এটি থেকে হাইড্রোজেন সালফাইড গ্যাস বের হয়—যার গন্ধ একেবারে পচা ডিমের মতো। সাধারণভাবে, খোলা জায়গায় এই গন্ধে বড় কোনো ক্ষতি হয় না। কিন্তু বদ্ধ জায়গায় শ্বাস নিলে চোখ, নাক, গলা জ্বালা করতে পারে। যাদের হাঁপানি বা শ্বাসকষ্টের সমস্যা আছে, তাদের জন্য এটি বেশ বিপজ্জনক হতে পারে। এছাড়া, এই পচা শেওলার মধ্যে জেলিফিশ ও বিভিন্ন অর্গানিজমও থাকতে পারে, যেগুলোতে গায়ে র‍্যাশ বা চুলকানি হতে পারে। যারা সর্গাসাম পরিষ্কার করার কাজ করছেন, তাদের গ্লাভস, বুটস এবং গ্যাস ফিল্টার মাস্ক ব্যবহার করা উচিত। ২০২৫ সালে শ্যাওলার পরিমাণ কেন এত বড়? .....বিস্তারিত পড়ুন

কাশ্মীরে ভয়াবহ হামলার পর ভারতীয়দের ভিসা স্থগিত করেছে পাকিস্তান

উত্তরাপথঃ ভারত-শাসিত কাশ্মীরে জঙ্গি হামলায় ২৬ জন পর্যটক নিহত হওয়ার পর উত্তেজনা বেড়ে যাওয়ার পর পাকিস্তানও  ভারতের বিরুদ্ধে সমান পদক্ষেপ নিয়েছে।ইসলামাবাদ তাৎক্ষণিকভাবে  ভারতীয় নাগরিকদের দেওয়া সমস্ত ভিসা স্থগিত করেছে, পাশাপাশি প্রতিবেশীর কিছু কূটনীতিককে বহিষ্কার করেছে এবং ভারতীয় বিমানের জন্য তার আকাশসীমা বন্ধ করে দিয়েছে। ভারতীয় পুলিশ হামলার পিছনে চার সন্দেহভাজন বন্দুকধারীর মধ্যে তিনজনের নাম প্রকাশ করেছে, জানিয়েছে যে দুজন পাকিস্তানি নাগরিক এবং তৃতীয়জন স্থানীয় কাশ্মীরি। পাকিস্তান গুলি চালানোর ঘটনায় ভারতের দাবী অস্বীকার করেছে।প্রসঙ্গত পহেলগামের কাছে মঙ্গলবারের হামলায়  একদল বন্দুকধারী পর্যটকদের উপর গুলি চালায় তাতে ২৬ জন ভারতীয় পর্যটকের মৃত্যু হয়।এরপর ভারত-শাসিত কাশ্মীরের পুলিশ জানিয়েছে নাম প্রকাশ করা তিন সন্দেহভাজনই পাকিস্তান-ভিত্তিক জঙ্গি গোষ্ঠী লস্কর-ই-তৈয়বা (এলইটি) এর সদস্য। অন্যদিকে পাকিস্তানের জাতীয় নিরাপত্তা কমিটির এক বিবৃতিতে পহেলগাম হামলার সাথে পাকিস্তানের সম্পর্ক স্থাপনের প্রচেষ্টাকে বাতিল করে বলা হয়েছে,তাদের বক্তব্য  কোনও বিশ্বাসযোগ্য তদন্ত বা যাচাইযোগ্য প্রমাণ পাওয়া যায়নি।এর আগে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন যে "ভারত প্রতিটি সন্ত্রাসী এবং তাদের সমর্থকদের চিহ্নিত করবে, তাদের ট্র্যাক করবে এবং শাস্তি দেবে এবং আমরা পৃথিবীর শেষ প্রান্ত পর্যন্ত তাদের তাড়া করব।"তিনি বলেছিলেন যে "হত্যার পিছনে থাকা সন্ত্রাসীরা এবং তাদের সমর্থকরা তাদের কল্পনার চেয়েও বড় শাস্তি পাবে"।এছাড়াও "আমাদের শত্রুরা দেশের আত্মার উপর আক্রমণ করার সাহস করেছে... সন্ত্রাসবাদ ভারতের আত্মাকে কখনও ভেঙে ফেলবে না।" বুধবার সন্ধ্যায় দিল্লি কাশ্মীরে হত্যাকাণ্ডের আলোকে ইসলামাবাদের বিরুদ্ধে কূটনৈতিক পদক্ষেপের ঘোষণা দিয়েছে - যার মধ্যে একটি ছিল দুই দেশের মধ্যে আটারি-ওয়াঘা সীমান্ত অবিলম্বে বন্ধ করে দেওয়া।ভারত "তাৎক্ষণিকভাবে" পাকিস্তানি নাগরিকদের ভিসা পরিষেবাও বাতিল করেছে। প্রতিক্রিয়ায় পাকিস্তান ভারতের সিন্ধু জল চুক্তি স্থগিতের সিদ্ধান্তও প্রত্যাখ্যান করেছে - যা প্রতিবেশীদের মধ্যে ছয় দশকের পুরনো পানি বণ্টন চুক্তি - এবং আরও বলেছে যে জল বন্ধ বা ভিন্ন দিকে সরানোর যেকোনো প্রচেষ্টা "যুদ্ধের আইন" হিসেবে বিবেচিত হবে। .....বিস্তারিত পড়ুন

হামলার পর আশা ও ভয় নিয়ে আবার স্বাভাবিকের পথে কাশ্মীর

উত্তরাপথঃ কাশ্মীরের পাহালগামে এক ভয়াবহ হামলার এক সপ্তাহ পর আবার স্বাভাবিকের পথে কাশ্মীর। গত মঙ্গলবার, বেশ কিছু  পর্যটক,  পাহালগাম থেকে প্রায় ৩ মাইল (৫ কিলোমিটার) দূরে "ভারতের সুইজারল্যান্ড" নামে পরিচিত  বৈসরন দেখতে এসেছিল ,সেইসময় ২৬ জন পর্যটকের মৃত্যু এই শহরটিকে কার্যত শান্ত ও জনশূন্য করে দেয় । যদিও প্রধান রাস্তাগুলি এখনও বেশিরভাগই খালি। দোকানপাট বন্ধ এবং হোটেলগুলিতে ভিড় নেই। তবে, জীবনের লক্ষণ আবার দেখা দিতে শুরু করেছে। সাম্প্রতিক বছরগুলিতে এই আক্রমণটি সবচেয়ে ভয়াবহ ছিল ।এই জঙ্গিহানা ভারতের মানুষের মধ্যে ক্ষোভ বাড়িয়েছে।তারপর থেকে, ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে উত্তেজনা বেড়েচলেছে। উভয় দেশই কাশ্মীরকে নিজেদের বলে দাবী  করছে এবং তারা একে অপরের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবার কথাও বলছে। ভারত সামরিক শক্তি ব্যবহার করে প্রতিক্রিয়া জানাবে কিনা তা স্পষ্ট নয়। সরকার নিরাপত্তা পরিস্থিতি পরীক্ষা করছে এবং জঙ্গিদের সন্ধান করছে। কাশ্মীরের অনেক পর্যটন স্থান এখনও বন্ধ রয়েছে। ১৯৮৯ সাল থেকে কাশ্মীরে সহিংসতা সাধারণ ঘটনা, যার মধ্যে রয়েছে নিরাপত্তা বাহিনী এবং বেসামরিক নাগরিকদের উপর আক্রমণ। অনেক বিপদ সত্ত্বেও, কাশ্মীরে ভ্রমণকারী পর্যটকরা স্থানীয় অর্থনীতির একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। এখন অনেকেই আশঙ্কা করছেন যে এই আক্রমণ পর্যটনের উপর নির্ভরশীল স্থানীয় মানুষের জীবিকা স্থায়ীভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে। মুম্বাইয়ের একজন পর্যটক অক্ষয় সোলাঙ্কি বলেছেন যে হামলার পর পর্যটকদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। তবে, তিনি এবং অন্যরা থাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন কারণ বাড়ি ফেরার বিমানগুলি খুব ব্যয়বহুল ছিল সেই সময়। কিছু পর্যটক বলেছেন যে স্থানীয় মানুষ এবং নিরাপত্তা বাহিনী তাদের আশ্বস্ত করেছে। কাশ্মীরের এক শাল বিক্রেতা রাফি আহমেদ এর কথায় ,তারা উদ্বিগ্ন যে পর্যটকরা আসা বন্ধ করলে তাদের ব্যবসা এবং ভবিষ্যতের ক্ষতি হবে। হামলার কয়েকদিন পরে বলিউড অভিনেতা অতুল কুলকার্নি পাহেলগাম সফর করেছিলেন .....বিস্তারিত পড়ুন

স্পেস টয়লেট সমস্যা সমাধান করতে নাসা আপনাকে ৩ মিলিয়ন ডলার দেবে 

উত্তরাপথঃ নাসা বিশ্বের বিভিন্ন উদ্ভাবকদের জন্য একটি নতুন চ্যালেঞ্জ শুরু করেছে, যেখানে তারা অর্থ দিচ্ছে যারা কৌশল তৈরি করতে পারবেন যা স্পেসে মানুষের আবর্জনা পুনর্ব্যবহার করতে সাহায্য করবে।  Luna Recycle Challenge নামে এই প্রতিযোগিতা আমন্ত্রণ জানাচ্ছে উদ্ভাবকদের। যারা দীর্ঘ দিন ধরে স্পেসে যাত্রা, এমনকি মঙ্গল বা চাঁদে যাওয়ার সময়ে নভোচারীদের মালপত্র ও ইউরিন (মূত্র) পুনঃব্যবহার করার টেকনোলজি তৈরি করতে পারবেন।  নাসা বলেছে, "আমরা দায়িত্বশীলভাবে মহাকাশের অনুসন্ধান চালাতে চাই। ভবিষ্যত মহাকাশ মিশনের জন্য, আমাদের ভাবতে হবে কিভাবে ময়লা কমানো যায়, সেই সঙ্গে এটাও ভাবতে হবে কিভাবে এই আবর্জনা সংরক্ষণ, প্রক্রিয়াজাতকরণ ও পুনর্ব্যবহার করা যাবে, যাতে কম বা কোনও ময়লা পৃথিবীর কাছে ফেরত না দিতে হয়।"  দীর্ঘমেয়াদী সমাধান  এই প্রতিযোগিতা দুই ধাপে হয়, যেখানে মূলত ডিজাইন এবং পুনর্ব্যবহার সমাধানের উপর মনোযোগ দেয়া হবে, যাতে   মহাকাশে আর বেশি আবর্জনা না জমা হয়।  উদাহরণস্বরূপ, ১৯৬৯ সালের অ্যাপোলো ১১ এর অভিযানের পরে চাঁদে থাকা মানুষজনের ৯৬টি ব্যাগ আবর্জনা এখনও মোটামুটি চাঁদে রয়ে গেছে। এগুলি মিশনের সময় রকেটের জন্য জায়গা খালি করতে ফেলে দেওয়া হয়েছিল।  যদি নতুন কোনও প্রযুক্তি আবর্জনা নিষ্পত্তির জন্য তৈরি হয়, সেটা ভবিষ্যতের মহাকাশ যাত্রায় ব্যবহার করা হবে।    নাসা এখন প্রথম ধাপের প্রস্তাবনাগুলি দেখছে, কোনগুলো পরবর্তী পর্যায়ে যাবে তা নির্ধারণ করতে।  নাসার Luna Recycle Challenge এর শেষ দিন হলো ২০২৫ সালের ৩১ মার্চ  এবং নির্বাচিত উদ্ভাবকদের নাম মে, ২০২৫ এ ঘোষণা করা হবে। .....বিস্তারিত পড়ুন

সম্পর্ক ও জ্বালানি নিরাপত্তা উন্নত করার লক্ষ্যে কাতারের আমির শেখ তামিমের ভারত সফর

উত্তরাপথঃ কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল-থানি একটি গুরুত্বপূর্ণ সময়ে ভারত সফর করলেন। একদিকে ভারত যখন তার জ্বালানি নিরাপত্তা উন্নত করতে এবং পশ্চিম এশিয়ার দেশগুলির সাথে সম্পর্ক জোরদার করতে চাইছে, বিশেষ করে এই অঞ্চলে চলমান সংঘাতের কারণে। এই অংশীদারিত্বের বিষয়টি তুলে ধরে মাত্র নয় মাসের মধ্যে, ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস. জয়শঙ্কর তিনবার কাতার সফর করেছেন। ১৮ ফেব্রুয়ারি, ভারত এবং কাতার ঘোষণা করেছে যে তারা তাদের সম্পর্ককে "কৌশলগত অংশীদারিত্ব"-তে উন্নীত করবে। তারা আগামী পাঁচ বছরে তাদের বাণিজ্য ১৪ বিলিয়ন ডলার থেকে ২৮ বিলিয়ন ডলারে দ্বিগুণ করার এবং ভারতে কাতারের ১০ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ সহজতর করার পরিকল্পনা করছে। এই সফরের সময়, উভয় দেশ অর্থনৈতিক সহযোগিতা, যুব বিষয়ক এবং দ্বৈত কর পরিহারের মতো ক্ষেত্রে দুটি চুক্তি এবং পাঁচটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করেছে। প্রধানমন্ত্রী মোদী উপসাগরীয় দেশগুলির নেতাদের সাথে ব্যক্তিগত সংযোগ গড়ে তোলার জন্য কঠোর পরিশ্রম করেছেন। আমিরের সফর এবং সম্পাদিত চুক্তিগুলি দেখায় যে কাতার ভারতের জন্য কতটা গুরুত্বপূর্ণ, বিশেষ করে তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (LNG) এর প্রধান সরবরাহকারী হিসেবে। বর্তমানে ভারত তার LNG সরবরাহের প্রায় অর্ধেক কাতার থেকে পায়। ২০২৪ সালের ফেব্রুয়ারিতে, কাতারএনার্জি এবং ভারতের পেট্রোনেট LNG একটি গুরুত্বপূর্ণ LNG সরবরাহ চুক্তি স্বাক্ষর করে যা ২০ বছর ধরে চলবে। উপরন্তু, কাতার বিভিন্ন আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক সংঘাতের ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ মধ্যস্থতাকারী, যার মধ্যে রয়েছে ইসরায়েল ও হামাসের পরিস্থিতি, সেইসাথে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও তালেবানের মধ্যে আলোচনা। কাতারে ৮০০,০০০ এরও বেশি ভারতীয় বসবাস এবং কাজ করে, যা তাদেরকে দেশের বৃহত্তম প্রবাসী গোষ্ঠীতে পরিণত করে। তারা নির্মাণ, স্বাস্থ্যসেবা এবং পরিষেবার মতো ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য অবদান রাখে, যা কাতারকে পশ্চিম এশিয়ায় ভারতের সম্প্রদায়ের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ করে তোলে। ২০২২ সালের আগস্টে কূটনৈতিক সম্পর্ক চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হয়েছিল যখন গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগে কাতারে আটজন প্রাক্তন ভারতীয় নৌবাহিনীর কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। .....বিস্তারিত পড়ুন

12 3 4 5 6 7 8
Scroll to Top