দ্বিতীয় পাতা


"শিশুকালের খাবারে যত্ন, বড় হয়ে সুস্থতার গ্যারান্টি"

উত্তরাপথঃ আমরা সবাই জানি, সোডা, আইসক্রিম, ক্যান্ডি বা মিষ্টি খাবারগুলোর মূল আকর্ষণ হলো চিনি। স্বাদের জন্য এটি অপরিহার্য হলেও, অতিরিক্ত চিনি খাওয়া শরীরের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর হতে পারে। বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে যে অতিরিক্ত চিনি খাওয়ার সাথে টাইপ-২ ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ, স্থূলতা এবং হৃদরোগের মতো সমস্যার গভীর সম্পর্ক রয়েছে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় (১৯৪০ থেকে ১৯৫৩ পর্যন্ত) ব্রিটেনে নানা খাবারের পাশাপাশি চিনির উপরও রেশন চালু ছিল। সেপ্টেম্বর ১৯৫৩ সালে এই রেশন শেষ হওয়ার পর বাজারে হঠাৎ করেই চিনিযুক্ত খাবারের পরিমাণ বেড়ে যায়। গবেষকরা লক্ষ্য করেছেন, যুদ্ধের সময় জন্ম নেওয়া এবং শৈশবে সীমিত চিনি খাওয়া প্রজন্ম বড় হয়ে পরবর্তী জীবনে তুলনামূলকভাবে সুস্থ থেকেছেন। বিশেষত, যারা জন্মের পর প্রথম দুই বছরে চিনি কম খেয়েছেন, তাদের মধ্যে টাইপ-২ ডায়াবেটিস ও উচ্চ রক্তচাপের ঝুঁকি উল্লেখযোগ্যভাবে কম পাওয়া গেছে। শিশুরা জীবনের প্রথম কয়েক বছরে যে ধরনের খাবার খায়, তা ভবিষ্যতের স্বাস্থ্যের ভিত্তি তৈরি করে। যখন শরীরের হরমোন, অঙ্গপ্রত্যঙ্গ এবং বিপাকীয় প্রক্রিয়া গড়ে উঠছে, তখন অতিরিক্ত চিনি গ্রহণ শরীরে চর্বি জমতে সহায়তা করে এবং ইনসুলিন প্রতিরোধ গড়ে তোলে। এর ফলস্বরূপ প্রাপ্তবয়স্ক বয়সে ডায়াবেটিস বা উচ্চ রক্তচাপ দ্রুত দেখা দেয়। ভারতে আজ শিশুদের মধ্যে চিনি খাওয়ার প্রবণতা অত্যন্ত বেশি। উৎসবের মিষ্টি, ফাস্ট ফুড, প্যাকেটজাত জুস এবং কোমল পানীয় শিশুর দৈনন্দিন খাদ্যের অংশ হয়ে দাঁড়িয়েছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্য অনুযায়ী, ভারতে শিশুদের স্থূলতা ও ডায়াবেটিসের ঝুঁকি দ্রুত বাড়ছে। এর বড় কারণ হলো অতিরিক্ত চিনি গ্রহণ। সমাধান ১। শিশুদের ছোট থেকেই ফল, শাকসবজি ও স্বাস্থ্যকর খাবারের প্রতি অভ্যাস গড়ে তোলা। ২। কোমল পানীয় ও কৃত্রিম জুসের পরিবর্তে বাড়িতে তৈরি লেবুর শরবত বা ডাবের জল .....বিস্তারিত পড়ুন

আমাদের প্রোটিন কতটা দরকার? বিশেষজ্ঞদের সহজ ব্যাখ্যা

উত্তরাপথঃ আজকাল প্রোটিন নিয়ে চারদিকে হইচই—সুপারমার্কেটের তাক থেকে শুরু করে সোশ্যাল মিডিয়া, সর্বত্র "হাই-প্রোটিন" খাবারের ছড়াছড়ি। কিন্তু প্রশ্ন হলো, আসলেই কতটা প্রোটিন আমাদের শরীরের দরকার? বেশি খেলে উপকার হবে নাকি উল্টো ক্ষতি? চলুন জেনে নেওয়া যাক— প্রোটিন কী আর কেন দরকার? প্রোটিন হলো আমাদের শরীরের জন্য অপরিহার্য একটি পুষ্টি উপাদান। কার্বোহাইড্রেট ও ফ্যাট যেখানে মূলত শক্তির জোগান দেয়, প্রোটিন কাজ করে শরীর গঠনে— নতুন টিস্যু তৈরি ও ক্ষত সারাতে সাহায্য করে হরমোন, এনজাইম ও নানা গুরুত্বপূর্ণ অণু তৈরি করে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় আমাদের শরীর নিজে কিছু অ্যামাইনো অ্যাসিড তৈরি করতে পারে, কিন্তু এটি অবশ্যই খাবার থেকে পেতে হয়। তাই প্রতিদিনের খাবারে প্রোটিন থাকা জরুরি। কতটা প্রোটিন যথেষ্ট? সাধারণভাবে দিনে শরীরের ওজন প্রতি কেজিতে ০.৮ গ্রাম প্রোটিন দরকার। যেমন, ৬৫ কেজি ওজনের একজন নারীর প্রয়োজন প্রায় ৫২ গ্রাম প্রোটিন। তবে এটাই ন্যূনতম পরিমাণ। বয়স্ক মানুষ, ক্রীড়াবিদ, গর্ভবতী বা দুগ্ধদানকারী মা— তাদের আরও বেশি প্রোটিনের দরকার হয় (প্রতি কেজিতে ১.২–২ গ্রাম পর্যন্ত)। বেশি প্রোটিন খেলে ক্ষতি হয় কি? সাধারণভাবে সুস্থ মানুষের জন্য অতিরিক্ত প্রোটিন ক্ষতিকর নয়। কিডনির ক্ষতি, ক্যান্সার বা হাড় দুর্বল হয়ে যাওয়ার মতো ভয় পাওয়ার কিছু নেই। তবে একেবারে সীমাহীন খাওয়াও লাভজনক নয়। কখন প্রোটিন খাবেন? অনেকে মনে করেন ব্যায়ামের পর ৪৫ মিনিটের মধ্যেই প্রোটিন না খেলে মাংসপেশি নষ্ট হয়ে যাবে। আসলে এটা ভুল ধারণা। ব্যায়ামের পর কমপক্ষে ২৪ ঘণ্টা পর্যন্ত শরীর প্রোটিন শোষণ ও ব্যবহার করতে পারে। তাই দিনে মোট কতটা প্রোটিন খাচ্ছেন, সেটাই আসল কথা। প্রোটিনের সেরা উৎস কী? প্রাণিজ উৎস: মাংস, মাছ, ডিম, দুধ উদ্ভিজ্জ উৎস: ডাল, সয়াবিন, বাদাম, বীজ, শস্যদানা .....বিস্তারিত পড়ুন

মহালয়া হল পিতৃপক্ষের সমাপ্তি এবং দেবীপক্ষের সূচনা

প্রীতি গুপ্তাঃ মহালয়া সনাতন ধর্মে একটি অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ দিন, যা নবরাত্রির ঠিক পূর্বে পালিত হয়। এই দিনটি দেবী দুর্গার পৃথিবীতে আগমনের প্রতীক হিসেবে বিবেচিত হয়। হিন্দু পৌরাণিক বিশ্বাস অনুসারে, মহালয়ার দিনে মা দুর্গা স্বর্গলোক থেকে পৃথিবীতে আসেন এবং তাঁর পূজার মাধ্যমে ভক্তরা তাঁকে স্বাগত জানান। এই দিনটি শুধুমাত্র ধর্মীয় দৃষ্টিকোণ থেকে নয়, বাঙালি সংস্কৃতির ক্ষেত্রেও বিশেষ গুরুত্ব বহন করে। মহালয়া হল পিতৃপক্ষের সমাপ্তি এবং দেবীপক্ষের সূচনা। পিতৃপক্ষের শেষ দিনে পিতৃপুরুষদের উদ্দেশ্যে তর্পণ করা হয়, এবং এরপর শুরু হয় দেবী দুর্গার আরাধনার প্রস্তুতি। পুরাণ অনুসারে, মহালয়ার দিনে দেবী দুর্গা মর্ত্যলোকে আগমন করেন এবং তাঁর পূজার মাধ্যমে ভক্তরা তাঁর কৃপা লাভের জন্য প্রার্থনা করেন। এই দিনে দেবীকে আনুষ্ঠানিকভাবে পূজা করা হয় এবং বিশেষ মন্ত্র ও আচার-অনুষ্ঠানের মাধ্যমে তাঁর আগমন উদযাপিত হয়। বাঙালির কাছে মহালয়া শুধু একটি ধর্মীয় উৎসব নয়, এটি দুর্গাপূজার প্রস্তুতির আনুষ্ঠানিক সূচনা। এই দিনে ভোরবেলা বাঙালি পরিবারগুলোতে রেডিও বা টেলিভিশনে বীরেন্দ্র কৃষ্ণ ভদ্রের অমর কণ্ঠে "মহিষাসুরমর্দিনী" শ্রবণের রীতি প্রচলিত। এই অনুষ্ঠানটি বাঙালির হৃদয়ে এক অমোঘ স্থান দখল করে আছে। দেবী দুর্গার মহিমা ও তাঁর মহিষাসুর বধের কাহিনী এই অনুষ্ঠানের মাধ্যমে প্রাণবন্ত হয়ে ওঠে। মহালয়ার এই দিনটি বাঙালির মনে দুর্গাপূজার উৎসাহ ও উদ্দীপনা জাগিয়ে তোলে। পূজার মণ্ডপ তৈরি, প্রতিমা নির্মাণ, এবং উৎসবের প্রস্তুতি এই সময় থেকেই শুরু হয়। এটি একটি সময় যখন পরিবারের সদস্যরা একত্রিত হয়, এবং সমাজে একতা ও ভ্রাতৃত্ববোধ জাগ্রত হয়। মহালয়ার দিনে অনেকে পবিত্র নদীতে স্নান করে পিতৃপুরুষদের উদ্দেশ্যে তর্পণ করেন। এছাড়াও, মন্দিরে বা বাড়িতে দেবী দুর্গার পূজার জন্য বিশেষ প্রস্তুতি নেওয়া হয়। কোথাও কোথাও এই দিনে বিশেষ হোম বা পূজার আয়োজন করা হয়। .....বিস্তারিত পড়ুন

পার্কিনসন সম্পর্কিত ডিমেনশিয়ার চিকিৎসায়:কাশির ওষুধ 'অ্যামব্রোক্সল'-এর বিস্ময়কর সাফল্য

উত্তরাপথঃ আমরা জানি, ডিমেনশিয়া একটি ভয়ঙ্কর ও অপ্রতিরোধ্য রোগ, যা মস্তিষ্কের কোষ ধ্বংস করে স্মৃতি এবং চিন্তাশক্তি ধীরে ধীরে নষ্ট করে দেয়। আর যদি এই রোগ পার্কিনসনের সঙ্গে যুক্ত হয়, তাহলে রোগীর অবস্থা আরও করুণ হয়। কিন্তু সম্প্রতি একটি গবেষণায় দেখা গেছে, সাধারণ কাশির ওষুধ 'অ্যামব্রোক্সল' এই পার্কিনসন-সম্পর্কিত ডিমেনশিয়ার ধ্বংসাত্মক প্রভাবকে থামাতে পারে — এবং এই খবর চিকিৎসাবিজ্ঞানে এক নতুন আশার আলো উন্মোচন করেছে। কানাডার লন্ডনের Lawson Health Research Institute-এর একদল গবেষক, JAMA Neurology পত্রিকায় প্রকাশিত একটি বছরব্যাপী ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালে, পার্কিনসনের সঙ্গে ডিমেনশিয়ায় আক্রান্ত ৫৫ জন রোগীর উপর পরীক্ষা চালান। তাঁদের দু’টি ভাগে ভাগ করা হয় — একদলকে প্রতিদিন অ্যামব্রোক্সল ও অন্যদলকে প্লেসেবো (ভুয়া ওষুধ) দেওয়া হয়। ফলাফল চমকে দেওয়ার মতো: অ্যামব্রোক্সল সুরক্ষিত, সহনীয় এবং কার্যকরভাবে মস্তিষ্কে পৌঁছায়। যাঁরা অ্যামব্রোক্সল নিয়েছেন, তাঁদের মানসিক ও স্মৃতিশক্তি স্থিতিশীল থাকে, কিন্তু প্লেসেবো নেওয়া রোগীদের ,মধ্যে অবস্থার অবনতি দেখা যায়। বিশেষ এক ধরনের উচ্চঝুঁকির জিন (GBA1) থাকা রোগীদের মধ্যে অ্যামব্রোক্সল ব্যবহারে স্মৃতিশক্তিতে উন্নতি দেখা যায়। মস্তিষ্কের কোষ ক্ষয় হওয়ার একটি চিহ্ন (GFAP) প্লেসেবো গ্রুপে বেড়েছে, অথচ অ্যামব্রোক্সল গ্রুপে স্থির থেকেছে —  যা এটা দেখায়, অ্যামব্রোক্সল হয়তো মস্তিষ্কের কোষকে রক্ষা করতে পারে। অ্যামব্রোক্সল আসলে একটি পুরনো ও বহুল ব্যবহৃত কাশির সিরাপ, যা ইউরোপে বহু বছর ধরে ব্যবহৃত হচ্ছে শ্বাসতন্ত্রের সমস্যার চিকিৎসায়। কিন্তু এর আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ ক্ষমতা রয়েছে — এটি GCase নামক একটি গুরুত্বপূর্ণ এনজাইমকে সক্রিয় করতে সাহায্য করে। এই এনজাইমটি GBA1 নামক জিন দ্বারা তৈরি হয় এবং পার্কিনসন রোগে সাধারণত এর মাত্রা কম থাকে। যখন GCase সঠিকভাবে কাজ না করে, তখন মস্তিষ্কে টক্সিক পদার্থ জমতে থাকে, যা কোষ ধ্বংস করে দেয়। অ্যামব্রোক্সল এই এনজাইমকে সক্রিয় করে সেই কোষ-ধ্বংসের প্রক্রিয়া থামাতে পারে। এই গবেষণার প্রধান গবেষক, স্নায়ুবিজ্ঞানী ড. স্টিফেন পাস্টারনাক বলেন, “আমরা কেবল রোগের লক্ষণ কমাতে নয়, বরং রোগের গতিপথই বদলাতে চেয়েছিলাম। এই গবেষণার প্রাথমিক ফল অত্যন্ত আশাব্যঞ্জক এবং আরও বড় পরিসরের গবেষণার ভিত্তি গড়ে তুলেছে।” .....বিস্তারিত পড়ুন

সকালে বসে কাজের সময় ঘুম পায়? কিন্তু কেন?

উত্তরাপথঃ সকালে কাজে বসার সময় ঘুমিয়ে পড়া একটি সাধারণ সমস্যা, যা অনেকের উৎপাদনশীলতা এবং মানসিক স্বাস্থ্যের উপর প্রভাব ফেলে। এই নিবন্ধে, আমরা এই সমস্যার পিছনে থাকা বিজ্ঞানীয় কারণগুলো বিশ্লেষণ করব এবং সমাধানের জন্য বৈজ্ঞানিকভাবে সমর্থিত পরামর্শ দেব। আমরা ঘুমের চক্র, জৈবিক ঘড়ি, জীবনযাত্রার প্রভাব, ঘুমের ব্যাধি, চিকিৎসা সংক্রান্ত অবস্থা, এবং কাজ সংক্রান্ত কারণগুলো নিয়ে আলোচনা করব। ঘুমের চক্র এবং জৈবিক ঘড়ি মানুষের শরীর একটি সার্কাডিয়ান রিদম বা জৈবিক ঘড়ি দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয়, যা প্রায় ২৪ ঘণ্টার চক্রে কাজ করে। এই ঘড়ি আমাদের ঘুম এবং জেগে থাকার সময় নিয়ন্ত্রণ করে। গবেষণা বলছে, সকালে ঘুমিয়ে পড়ার একটি প্রধান কারণ হতে পারে এই সার্কাডিয়ান রিদমের সাথে আমাদের জীবনযাত্রার অমিল। উদাহরণ হিসেবে, শিফট কাজ বা অসমান ঘুমের সময়সূচী এই চক্রকে ব্যাহত করতে পারে, যা সকালে ক্লান্তি সৃষ্টি করতে পারে। এটি বিশেষ করে শিফট কাজকারীদের মধ্যে সাধারণ এক সমস্যা, যেখানে তাদের ঘুমের প্যাটার্ন বিঘ্নিত হয়। ঘুমের বিভিন্ন পর্যায়, যেমন REM (র‍্যাপিড আই মুভমেন্ট) এবং নন-REM ঘুম, আমাদের মানসিক এবং শারীরিক সতেজতার জন্য গুরুত্বপূর্ণ। অপর্যাপ্ত ঘুম বা ব্যাহত ঘুমের চক্র এই পর্যায়গুলোকে প্রভাবিত করে, যা সকালে ঘুমের ভাব সৃষ্টি করতে পারে। জীবনযাত্রার প্রভাব জীবনযাত্রার কিছু অভ্যাস সকালের ঘুমের ভাবকে আরও বাড়িয়ে তুলতে পারে। নিচের তালিকায় কিছু গুরুত্বপূর্ণ কারণ দেওয়া হল। কারণ বিস্তারিত অনিয়মিত ঘুমের সময়সূচী প্রতিদিন ভিন্ন সময়ে ঘুমানো এবং জাগা জৈবিক ঘড়িকে বিঘ্নিত করে। অতিরিক্ত স্ক্রিন টাইম রাতে নীল আলো মেলাটোনিন উৎপাদন বাধাগ্রস্ত করে, যা ঘুমের জন্য গুরুত্বপূর্ণ (Chang et al., 2015, https://www.pnas.org/doi/10.1073/pnas.1418490112). অপুষ্টিকর খাদ্যাভ্যাস অতিরিক্ত ক্যাফেইন বা চিনি শরীরের শক্তির মাত্রাকে অস্থির করে। শারীরিক নিষ্ক্রিয়তা ব্যায়ামের অভাবে শরীরে অক্সিজেন সরবরাহ কমে, যা ক্লান্তি সৃষ্টি করে। ঘুমের ব্যাধি এবং চিকিৎসা সংক্রান্ত অবস্থা কিছু ঘুমের ব্যাধি এবং চিকিৎসা সংক্রান্ত অবস্থা সকালে ঘুমের ভাব সৃষ্টি করতে পারে। নিচের তালিকায় কিছু উদাহরণ রয়েছে: ঘুমের ব্যাধি এবং চিকিৎসা সংক্রান্ত অবস্থা কিছু ঘুমের ব্যাধি এবং চিকিৎসা সংক্রান্ত অবস্থা সকালে ঘুমের ভাব সৃষ্টি করতে পারে। নিচের তালিকায় কিছু উদাহরণ রয়েছে: ঘুমাপনা (স্লিপ অ্যাপনিয়া) রাতে শ্বাসরোধের কারণে ঘুম বিঘ্নিত হয়, যা দিনের বেলায় ক্লান্তি সৃষ্টি করে (Medical News Today, 2024, .....বিস্তারিত পড়ুন

মানব পাচনতন্ত্রে কীটনাশকের ক্ষতি মোকাবিলায় নতুন গবেষণা

উত্তরাপথঃ একটি সাম্প্রতিক গবেষণায় উঠে এসেছে, কীটনাশকের ক্ষতিকর প্রভাব মোকাবিলায় প্রোবায়োটিক চিকিৎসার সম্ভাবনা। আমেরিকার ওহাইও স্টেট বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানীরা গবেষণায় দেখিয়েছেন, কিছু নির্দিষ্ট প্রজাতির অন্ত্রের উপকারী ব্যাকটেরিয়া কীভাবে মানব পাচনতন্ত্রের উপর কীটনাশকের প্রভাব মোকাবিলায় কাজ করে এবং শরীরকে বিষক্রিয়ার হাত থেকে রক্ষা করতে সাহায্য করে। গবেষকরা দেখেছেন যে, কীটনাশকের সংস্পর্শে মানবদেহের অন্ত্রে থাকা নির্দিষ্ট ব্যাকটেরিয়া কীভাবে প্রতিক্রিয়া জানায়। গবেষকরা ১৮টি বহুল ব্যবহৃত কৃষিজ কীটনাশক ও ১৭টি মানব অন্ত্রের ব্যাকটেরিয়া প্রজাতির ওপর ল্যাবরেটরি ও পশু পরীক্ষায় প্রভাব বিশ্লেষণ করেন। ফলাফলে দেখা গেছে, বেশিরভাগ কীটনাশক ব্যাকটেরিয়ার স্বাভাবিক বৃদ্ধি ব্যাহত করে, পুষ্টি শোষণ প্রক্রিয়ায় গোলযোগ সৃষ্টি করে এবং কিছু ক্ষেত্রে ব্যাকটেরিয়া কোষে জমা হতে শুরু করে।এই আণবিক মিথস্ক্রিয়ার বিস্তারিত তথ্য সংবলিত একটি "অ্যাটলাস" তৈরি করা হয়েছে, যা ভবিষ্যৎ রোগ প্রক্রিয়া এবং সম্ভাব্য চিকিৎসা গবেষণায় সহায়ক হবে। ইঁদুরের উপর পরীক্ষায় দেখা গেছে, নির্দিষ্ট ধরনের পাচনতন্ত্রের ব্যাকটেরিয়া কীটনাশকের বিষাক্ত প্রভাব কমাতে সাহায্য করে, বিশেষ করে প্রদাহ হ্রাস করে। এই আবিষ্কার কীটনাশকের সংস্পর্শে আসার ফলে স্বাস্থ্য ঝুঁকি মোকাবিলায় প্রোবায়োটিক থেরাপির সম্ভাবনার ইঙ্গিত দেয়। কীটনাশক ডিটক্সিফিকেশনে পাচনতন্ত্রের ব্যাকটেরিয়ার ভূমিকা সম্পর্কে গবেষণার প্রধান লেখক ওহাইও স্টেট ইউনিভার্সিটির হিউম্যান সায়েন্সের সহযোগী অধ্যাপক জিয়াংজিয়াং ঝু বলেন, "আমরা কীটনাশক বা পরিবেশ দূষণকারী পদার্থ মানব স্বাস্থ্যের উপর কীভাবে প্রভাব ফেলে তা আরও গভীরভাবে বুঝতে পেরেছি। আমরা এমন কিছু ব্যাকটেরিয়া চিহ্নিত করেছি যা কীটনাশককে ভেঙে ফেলতে, অপসারণ করতে বা জৈবিক সিস্টেম থেকে পরিষ্কার করতে পারে। এটি ভবিষ্যতে খাদ্য ও জলের মাধ্যমে শরীরে প্রবেশ করা বিষাক্ত পদার্থ পরিষ্কারে সহায়ক হতে পারে।" গবেষণাটি সম্প্রতি নেচার কমিউনিকেশনস-এ প্রকাশিত হয়েছে।গবেষকরা ১৮টি কৃষিতে ব্যবহৃত কীটনাশক এবং ১৭টি পাচনতন্ত্রের ব্যাকটেরিয়া প্রজাতির মধ্যে মিথস্ক্রিয়া পরীক্ষা করেছেন। এই ব্যাকটেরিয়াগুলো মানব পাচনতন্ত্রে সাধারণত পাওয়া চারটি প্রধান গ্রুপের প্রতিনিধিত্ব করে এবং স্বাস্থ্য বজায় রাখতে বা রোগের কারণ হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। পরীক্ষায় ব্যবহৃত কীটনাশকের মধ্যে রয়েছে ডিডিটি, অ্যাট্রাজিন, পারমেথ্রিন .....বিস্তারিত পড়ুন

সমুদ্রতট থেকে শহরের নদী পর্যন্ত কমছে প্লাস্টিক ব্যাগের আবর্জনা

উত্তরাপথঃ প্লাস্টিক দূষণ আজকের দিনে আমাদের পরিবেশের সবচেয়ে বিপজ্জনক ও বাড়তে থাকা হুমকিগুলোর একটি। বন্যপ্রাণীর দেহে আটকে পড়া থেকে শুরু করে আমাদের শরীরেও মাইক্রোপ্লাস্টিক ঢুকে পড়ছে—এ দৃশ্যই প্রমাণ করে, একবার ব্যবহারযোগ্য প্লাস্টিকের প্রতি আমাদের নির্ভরতাই এখন বড় বিপর্যয়ের কারণ। কিন্তু যখন প্লাস্টিক সর্বত্র, তখন আসলে সমাধানটা কী?এই প্রশ্নের উত্তরে আশার আলো দেখিয়েছে একটি নতুন গবেষণা। ১৯ জুন Science জার্নালে প্রকাশিত গবেষণাটি জানাচ্ছে, আমেরিকার বিভিন্ন রাজ্য ও শহরে প্লাস্টিক ব্যাগ নিষিদ্ধ করার পর প্লাস্টিক ব্যাগের আবর্জনা উল্লেখযোগ্য হারে কমেছে সমুদ্রতট, নদী ও হ্রদে। ২০১৬ থেকে ২০২৩ সালের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রে ৪৫,০০০টির বেশি উপকূল পরিষ্কার অভিযানের তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, যেখানে ব্যাগ নিষেধাজ্ঞা বা ফি আরোপ ছিল, সেখানে ব্যাগ-সম্পর্কিত বর্জ্য ২৫% থেকে ৪৭% পর্যন্ত কমেছে।MIT-এর পরিবেশ অর্থনীতিবিদ ও গবেষণার সহলেখক আনা প্যাপ বলেন, “এই গবেষণার মূল ফলাফল হলো—প্লাস্টিক ব্যাগ নিষেধাজ্ঞা পরিবেশে এর আবর্জনা সীমিত করতে কার্যকর। যদিও পুরোপুরি নির্মূল নয়।”আগেও কিছু গবেষণায় প্রমাণ হয়েছে যে নিষেধাজ্ঞা ও কর ভোক্তাদের অভ্যাস বদলায়, ফলে দোকানে কম প্লাস্টিক ব্যাগ বিতরণ হয়। তবে পরিবেশগত প্রভাব নিয়ে এতদিন পর্যন্ত বিস্তৃত পরিসরে পরিসংখ্যানভিত্তিক বিশ্লেষণ ছিল না। নতুন এই গবেষণাই প্রথমবার এত বড় আকারে জাতীয় স্তরে এর প্রভাবকে মূল্যায়ন করল। গবেষণার সহলেখক কিম্বারলি ওরেমাস জানান, এত ভিন্ন ভিন্ন নীতিমালা ও ভৌগলিক বৈচিত্র্যের মধ্যে থেকেও স্পষ্ট ফলাফল পাওয়া বিস্ময়কর। কিছু এলাকায় আংশিক নিষেধাজ্ঞা জারি ছিল, যেখানে ভারী প্লাস্টিক ব্যাগ চালু ছিল—সেখানে প্রভাব তুলনামূলকভাবে কম। পুরোপুরি নিষেধাজ্ঞা বা কর আরোপ ছিল সবচেয়ে কার্যকর। রাজ্য-ভিত্তিক নিষেধাজ্ঞা ছিল শহরভিত্তিক নিষেধাজ্ঞার তুলনায় বেশি প্রভাবশালী।তাঁরা নিয়ন্ত্রণমূলক নানা বিশ্লেষণ চালিয়ে নিশ্চিত হয়েছেন যে, আশেপাশের এলাকায় “স্পিলওভার ইফেক্ট” বা নিষিদ্ধ এলাকার বাইরে অতিরিক্ত ব্যাগ ব্যবহারের প্রবণতাও ছিল না। এমনকি, কয়েক বছরের ব্যবধানে কোনো “রিবাউন্ড ইফেক্ট” বা ব্যবহারের পুনরুত্থানও দেখা যায়নি। গবেষণায় আরও দেখা যায়, যেখানে নিষেধাজ্ঞা জারি ছিল, সেখানে বন্যপ্রাণীর ফাঁসানোর ঘটনাও কম হয়েছে। যদিও পরিসংখ্যান যথেষ্ট নয়, তবে গবেষকরা এটিকে “ইঙ্গিতপূর্ণ ফলাফল” হিসেবে দেখছেন।তবে একটা বড় সতর্কবার্তাও দিচ্ছে গবেষণা—নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও ২০১৬ থেকে ২০২৩ পর্যন্ত বেশিরভাগ এলাকাতেই প্লাস্টিক .....বিস্তারিত পড়ুন

12 3 4 5 6 7 8
Scroll to Top