দ্বিতীয় পাতা


২০২৪ সি বি এস সি উচ্চ মাধ্যমিকপরীক্ষারফলাফলে মেয়েদের বড় চমক

উত্তরাপথঃ২০২৪ সালের উচ্চমাধ্যমিক বোর্ড (সি বি এস সি)পরীক্ষার ফলাফল বলছে এক নতুন কথা। এবার মেয়েরা প্রমাণ করে দিয়েছে, বিজ্ঞান আর কেবল ‘ছেলেদের বিষয়’ নয়। শিক্ষা মন্ত্রকের প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, এ বছর ২৭.২৪ লক্ষ ছাত্রী বিজ্ঞান বিভাগে পাশ করেছে। গত এক দশকের মধ্যে প্রথমবার এমন ঘটনা ঘটল। এই পরিবর্তন শুধু একখানা সংখ্যাই নয়, এটি এক বিশাল সামাজিক বদলের ইঙ্গিত। ২০১০ সালে বিজ্ঞান বিভাগে পাশ করা ছাত্রীর সংখ্যা ছিল মোট শিক্ষার্থীর মাত্র ৩৮.২ শতাংশ। ২০২৩ সালের মধ্যে তা বেড়ে দাঁড়ায় ৪৫.৫ শতাংশে। আর ২০২৪ সালে মেয়েরা যেন সেই ধারাকেই ছাপিয়ে গেল—একেবারে চূড়ায় উঠে এল। বিজ্ঞান বিভাগে মেয়েদের অগ্রগতি: রাজ্যভিত্তিক নজর তামিলনাড়ুতে এ বছর বিজ্ঞান বিভাগে মেয়েদের পাশের হার ৯৬.৩৫ শতাংশ—অসাধারণ। ঝাড়খণ্ড, বিহার এবং ওড়িশার মতো রাজ্যেও ছেলেদের চেয়ে এগিয়ে মেয়েরা। এই সাফল্যের পেছনে রয়েছে কিছু গুরুত্বপূর্ণ সরকারী প্রকল্প—যেমন ‘বিজ্ঞান জ্যোতি স্কলারশিপ স্কিম’, যা আর্থিকভাবে পিছিয়ে পড়া মেয়েদের বিজ্ঞান শিক্ষায় উৎসাহ জোগায়। এছাড়া CBSE-র ‘উদান প্রকল্প’ মেয়েদের ইঞ্জিনিয়ারিং ও মেডিকেল প্রবেশিকা পরীক্ষার জন্য মেন্টরিং এবং আর্থিক সহায়তা দেয়। উচ্চশিক্ষাতেও মেয়েরা এগিয়ে ভারত সরকারের "All India Survey on Higher Education 2021-22" অনুসারে, বিজ্ঞান বিভাগে এখন উচ্চশিক্ষার (UG, PG, MPhil, PhD) মোট ৫২.১ শতাংশ ছাত্রছাত্রীই মহিলা। শুধু স্নাতক স্তরে ৫১ শতাংশের বেশি ছাত্রী বিজ্ঞান বিভাগে পড়ছে। মেডিসিনে ছেলেমেয়ে সমান সংখ্যায় আছে, আর ইঞ্জিনিয়ারিং ও টেকনোলজিতেও মেয়েদের সংখ্যা উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে। পরিবর্তনের বাস্তবতা এই সংখ্যাগুলি আশা জাগায়, কিন্তু বাস্তব চ্যালেঞ্জগুলো অস্বীকার করা যায় না।বিশেষ করে গ্রামীণ ও দরিদ্র পরিবারে জন্ম নেওয়া মেয়েরা এখনো নানা প্রতিবন্ধকতার মুখে পড়ে— এখনও আমাদের গ্রামের স্কুলগুলিতে ল্যাব বা সরঞ্জামের অভাব, একান্ত পড়াশোনার জায়গার অভাব, এমনকি স্কুলে পড়াশোনা চালিয়ে যাওয়ার অধিকারও অনিশ্চিত। এই সাফল্য যেন অর্ধেক পথেই থেমে না যায়, তার জন্য চাই— আরও বেশি সরকারি ও বেসরকারি বিনিয়োগ নিরাপদ আবাসন ও পড়াশোনার পরিবেশ অভিজ্ঞ শিক্ষকদের দ্বারা মেন্টরিং মেয়েদের জন্য বিশেষ কর্মসংস্থানের সুযোগ বিজ্ঞান নিয়ে মেয়েদের এই এগিয়ে আসা নিঃসন্দেহে একটি বিপ্লবের সূচনা। একটি দেশের অর্ধেক জনগণ যদি বিজ্ঞান শিক্ষায় অংশগ্রহণ করে, তবে সেই দেশের জ্ঞান-অর্থনীতির ভবিষ্যৎ যে উজ্জ্বল হবে, তা বলাই বাহুল্য। .....বিস্তারিত পড়ুন

সহানুভূতির পাঠ: বাংলার স্কুলগুলিকে রাস্তার কুকুরদের খাওয়ানো ও টিকা দেওয়ার নির্দেশ

উত্তরাপথঃ বাংলার স্কুলগুলি এখন শুধু ছাত্রছাত্রীদের জন্য পুষ্টিকর খাবারই নয়, স্কুলের আশপাশের রাস্তার কুকুরদের পেটও ভরাবে। রাজ্য সরকার সমস্ত সরকারি ও সরকারি সাহায্যপ্রাপ্ত স্কুলকে নির্দেশ দিয়েছে, একজন কর্মী নিয়োগ করে দুপুরে এই প্রাণীদের খাওয়ানোর ব্যবস্থা করতে এবং তাদের টিকা দেওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে। এই উদ্যোগ ছাত্রছাত্রীদের মনে সহানুভূতির বীজ বপন করবে এবং প্রাণীদের প্রতি যত্নশীল হওয়ার শিক্ষা দেবে, এমনটাই বিশ্বাস রাজ্য সরকারের। গত সপ্তাহে সমগ্র শিক্ষা মিশনের জারি করা এই নির্দেশে বলা হয়েছে, কুকুরদের নির্বীজন ও টিকাকরণের জন্য জেলা স্তরে পশু সম্পদ উন্নয়ন দপ্তরের সঙ্গে সমন্বয় স্থাপন করতে হবে। এই উদ্যোগের পিছনে প্রেরণা এসেছে প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী মানেকা গান্ধীর এপ্রিল মাসে বাংলা সরকারকে লেখা একটি চিঠি থেকে, যেখানে তিনি স্কুলে মানুষ ও রাস্তার কুকুরদের মধ্যে বন্ধন গড়ে তোলার উদ্যোগের পরামর্শ দিয়েছিলেন। স্কুল শিক্ষা দপ্তরের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, “এই ধরনের অভ্যাস ছাত্রছাত্রীদের রাস্তার প্রাণীদের প্রতি যত্নশীল হতে শেখায়। অনেক সময় ছাত্রছাত্রীরা কুকুরদের উত্ত্যক্ত করে, ফলে শিশু বা প্রাণীদের আঘাত লাগতে পারে। যখন তারা শিক্ষক ও স্কুলের কর্মীদের রাস্তার কুকুরদের যত্ন নিতে দেখবে, তখন তাদের মনে প্রাণীদের প্রতি সংবেদনশীলতা জাগবে। এই অভ্যাস তাদের আরও ভালো মানুষ হতে সাহায্য করবে।” অনেক স্কুল প্রধান এই নির্দেশকে স্বাগত জানিয়েছেন। কেউ কেউ বলেছেন, তাদের প্রতিষ্ঠান ইতিমধ্যেই এই দিকে পদক্ষেপ নিয়েছে। এই ব্যাপারে ইতিমধ্যে বিভিন্ন স্কুলের শিক্ষকরা নিয়মিত স্কুলের বাইরে রাস্তার কুকুর ও বিড়ালদের যত্ন নিতে শুরু করেছেন। তাদের খাওয়ানোর পাশাপাশি, গরমের সময় তাদের জন্য জলের ব্যবস্থাও করা হচ্ছে।সেই সাথে স্কুলের দেওয়ালে প্রাণীদের প্রতি সদয় হওয়ার বার্তা লিখে সচেতনতা বাড়ানোর চেষ্টা করছে বিভিন্ন স্কুল। তবে, কিছু স্কুল প্রধান সীমিত সম্পদের কারণে প্রতিদিন কুকুরদের খাওয়ানোর জন্য একজন কর্মী নিয়োগের বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। উত্তর কলকাতার একটি স্কুলের প্রধান শিক্ষক বলেন, “সম্প্রতি কুকুরের কামড় নিয়ে সচেতনতার নির্দেশ জারি হয়েছিল। এখন এই নির্দেশ ছাত্রছাত্রীদের রাস্তার কুকুরের সঙ্গে বন্ধন গড়তে বলছে। সচেতনতা বাড়ানো সম্ভব হলেও, সীমিত সময়ে এটি বাস্তবায়ন করা চ্যালেঞ্জিং। সরকার যদি এই ধরনের উদ্যোগ চালাতে চায়, তবে একাধিক কর্মশালা ও কর্মসূচির আয়োজন করা উচিত।” .....বিস্তারিত পড়ুন

গাছপালা এখন আপনাকে বলতে পারবে কখন তারা চাপে থাকে

উত্তরাপথঃ কল্পনা করুন, আপনার গাছপালা কি কথা বলতে পারে এবং অসুস্থ বোধ করলে আপনাকে বলতে পারে। আচ্ছা, এখন তারা পারে, একটি নতুন পরিধেয় ডিভাইসের জন্য ধন্যবাদ যা তাদের স্বাস্থ্য পর্যবেক্ষণ করতে সাহায্য করে। এই সহজ কিন্তু চতুর ডিভাইসটি উদ্ভিদের চাপের প্রাথমিক লক্ষণগুলি সনাক্ত করতে পারে, যাতে আপনি খুব দেরি হওয়ার আগেই পদক্ষেপ নিতে পারেন। এই নতুন ডিভাইসটি কী? আমেরিকান কেমিক্যাল সোসাইটির গবেষকরা একটি ছোট, কাঁটাযুক্ত, বহনযোগ্য সেন্সর তৈরি করেছেন যা একটি গাছের পাতার সাথে সংযুক্ত থাকে। এটি দেখতে কিছুটা ছোট, কাঁটাযুক্ত স্টিকারের মতো। সেন্সরটি একটি বিশেষ জেল দিয়ে লেপা নমনীয় বেসের উপর ছোট প্লাস্টিকের সূঁচ দিয়ে তৈরি। এই জেল হাইড্রোজেন পারক্সাইড নামক একটি রাসায়নিক অনুভব করতে পারে, যা গাছপালা খরা, ঠান্ডা, পোকামাকড় বা রোগের মতো জিনিসের চাপে থাকলে উৎপন্ন হয়। এটি কীভাবে কাজ করে? যখন একটি উদ্ভিদ চাপে থাকে, তখন এটি হাইড্রোজেন পারক্সাইড নির্গত করে। সেন্সরের মাইক্রোনিডলগুলি উদ্ভিদের ক্ষতি না করেই এই রাসায়নিকের সামান্য পরিমাণও সনাক্ত করতে পারে। যদি হাইড্রোজেন পারক্সাইড উপস্থিত থাকে, তাহলে সেন্সরটি একটি ক্ষুদ্র বৈদ্যুতিক সংকেত তৈরি করে। এই সংকেতটি সহজেই এবং দ্রুত পড়া যায়, সাধারণত এক মিনিটেরও কম সময়ে। পুরো প্রক্রিয়াটি সস্তা - প্রতি পরীক্ষায় এক ডলারেরও কম খরচ হয় - এবং সেন্সরগুলি একাধিকবার পুনঃব্যবহার করা যেতে পারে। এটি কেন গুরুত্বপূর্ণ? অতীতে, চাষীদের পাতা বাদামী হয়ে যাওয়া বা কুঁচকে যাওয়ার মতো দৃশ্যমান লক্ষণগুলি খুঁজতে হত, যা ইতিমধ্যেই অনেক দেরি হয়ে গেলে ঘটতে পারে। কখনও কখনও, তাদের পাতা থেকে নমুনা নিতে হত, যা গাছের ক্ষতি করতে পারে। নতুন সেন্সরটি একটি প্রাথমিক সতর্কতা ব্যবস্থা প্রদান করে - দৃশ্যমান ক্ষতি হওয়ার আগে চাষীরা তাদের গাছের স্বাস্থ্য জানাতে পারবে। গবেষকরা তামাক এবং সয়াবিন গাছের উপর এই সেন্সরগুলি পরীক্ষা করেছিলেন। সেন্সরগুলি ব্যাকটেরিয়ার সংস্পর্শে আসা গাছগুলিতে দ্রুত চাপ সনাক্ত করে, যা দেখায় যে তারা কার্যকরভাবে কাজ করতে সক্ষম। এই ডিভাইসটি সমস্যাগুলি প্রাথমিকভাবে সনাক্ত করতে সাহায্য করে, যাতে কৃষক এবং উদ্যানপালকরা তাদের গাছপালা বাঁচাতে দ্রুত পদক্ষেপ নিতে পারে। বড় চিত্রটি কী? এই প্রযুক্তি কৃষিতে স্মার্ট সরঞ্জাম ব্যবহারের দিকে একটি বৃহত্তর প্রবণতার অংশ। এই ধরণের সেন্সর ছাড়াও, .....বিস্তারিত পড়ুন

অতিরিক্ত লবণ খাওয়ার সাথে কি বিষণ্ণতার সম্পর্ক আছে?

উত্তরাপথঃ একটি নতুন গবেষণায় দেখা গেছে যে প্রচুর পরিমাণে  লবণাক্ত খাবার খাওয়া মানসিক  বিষণ্ণতার কারণ হতে পারে। গবেষকরা আবিষ্কার করেছেন যে অতিরিক্ত লবণ খাওয়ার ফলে শরীরে IL-17A নামক প্রোটিনের মাত্রা বাড়ে, যা মানুষের মধ্যে বিষণ্ণতার অন্যতম কারন হতে পারে। নানজিং মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান বিজ্ঞানী ডঃ জিয়াওজুন চেন বলেছেন, “এই গবেষণায় দেখা গেছে যে আমাদের খাদ্যতালিকায় লবণ কমানো বিষণ্ণতার মতো মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যা প্রতিরোধে সাহায্য করতে পারে। এটি IL-17A-এর উপর নির্ভর করে একটি নতুন চিকিৎসার দরজা খুলে দিয়েছে।” তাঁর আশা  গবেষণার এই ফলাফলগুলি আমাদের কতটা লবণ খাওয়া উচিত তা নিয়ে আরও গবেষণা শুরু করবে। গবেষকরা আরও দেখেছেন যে গামা-ডেল্টা টি কোষ (বা γδT কোষ) নামক একটি বিশেষ ধরণের রোগ প্রতিরোধক কোষ এক্ষেত্রে একটি বড় ভূমিকা পালন করেছে। গবেষকরা ইঁদুরের উপর এই পরীক্ষাটি করার সময় দেখেছেন  উচ্চ লবণযুক্ত খাবার খাওয়া ইঁদুরের ক্ষেত্রে, এই কোষগুলি IL-17A প্রোটিনের প্রায় ৪০% তৈরি করে। বিজ্ঞানীরা যখন এই কোষগুলি অপসারণ করেন, তখন ইঁদুরগুলিতে বিষণ্ণতার লক্ষণ কম দেখা যায়, যা ভবিষ্যতে বিষণ্ণতার চিকিৎসা বা প্রতিরোধের একটি নতুন উপায়ের ইঙ্গিত দেয়। লবণ গ্রহণ এবং স্বাস্থ্য ঝুঁকি পশ্চিমের দেশগুলির অনেক মানুষ প্রচুর পরিমাণে লবণ খায়, বিশেষ করে ফাস্ট ফুড থেকে এই লবণ আসে। অন্যদিকে  কখনও কখনও এই খাবারগুলিতে বাড়িতে তৈরি খাবার খাওয়ার চেয়ে ১০০ গুণ বেশি লবণ থাকে। যদিও আমরা ইতিমধ্যেই জানি যে অতিরিক্ত লবণ হৃদপিণ্ড, কিডনি এবং রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থার ক্ষতি করতে পারে, বিজ্ঞানীরা আবিষ্কার করছেন যে এটি আমাদের মস্তিষ্ক এবং মেজাজকেও প্রভাবিত করতে পারে। বিষণ্ণতা একটি প্রধান স্বাস্থ্য সমস্যা, যা তাদের জীবনের কোনও না কোনও সময়ে প্রতি ৫ থেকে ৬ জনের মধ্যে ১ জনকে প্রভাবিত করে। এটি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে মানুষের মৃত্যুর অন্যতম প্রধান কারণ। লোকেরা দীর্ঘদিন ধরে সন্দেহ করে আসছে যে লবণাক্ত খাবার খাওয়া সমস্যার অংশ হতে পারে, কিন্তু এখন পর্যন্ত, বিষয়টি স্পষ্ট ছিল না। সাম্প্রতিক গবেষণায়, পাঁচ সপ্তাহ ধরে ইঁদুরদের নিয়মিত খাবার অথবা উচ্চ লবণযুক্ত খাবার খাওয়ানো হয়েছিল। লবণাক্ত খাবারে থাকা ইঁদুরগুলি বেশী নিষ্ক্রিয় বোধ করার লক্ষণ দেখিয়েছিল – যা মানুষের মধ্যে বিষণ্ণতার সমান। এটি দেখায় যে লবণ কেবল হৃদয় এবং কিডনিকেই প্রভাবিত করে না - এটি মস্তিষ্ককেও প্রভাবিত করতে পারে। .....বিস্তারিত পড়ুন

বিড়ালরা কি সত্যিই শসা ভয় পায় ?

উত্তরাপথঃ আপনি সম্ভবত সোশ্যাল মিডিয়ায় এমন ভিডিও দেখেছেন যেখানে দেখা যাচ্ছে বিড়ালরা শসা দেখে ভয় পাচ্ছে। এই ক্লিপগুলিতে, একটি শান্ত বিড়াল বসে খাচ্ছে, তারপর হঠাৎ তার পিছনে একটি শসা দেখতে পায়। তারপর সেই বেড়ালটি  বাতাসে লাফিয়ে ওঠে বা হতবাক হয়ে যায়, অবাক বা ভীত দেখায়। অনেকেই ভাবছেন, "কেন বিড়ালরা এইভাবে প্রতিক্রিয়া দেখায়? শসা কি তাদের কাছে সত্যিই ভয়ঙ্কর?" কেউ কেউ মনে করেন কারণ শসা দেখতে সাপের মতো, যা বন্য বিড়ালদের জন্য বিপজ্জনক হতে পারে। কিন্তু ক্যাটেনা জোন্স, যিনি পশুর আচরণ সম্পর্কে অনেক কিছু জানেন ,তিনি এ বিষয়ে এতটা নিশ্চিত নন। জোন্স ব্যাখ্যা করেন, "এটি একটি সহজাত প্রবৃত্তি হতে পারে। বিড়ালরা শসাকে সাপের সাথে গুলিয়ে ফেলতে পারে কারণ তাদের পূর্বপুরুষরা সাপ খেয়েছিল। কিন্তু আমি অনেক বছর ধরে বিড়ালদের সাথে কাজ করেছি, এবং সত্যি বলতে, তারা সাধারণত শসা বা অনুরূপ জিনিস সম্পর্কে চিন্তা করে না।" তিনি একটি বিড়ালের শসা, গাজর এবং একটি ক্যান্ডি বার শুঁকানোর একটি ভিডিওও দেখিয়েছিলেন। বিড়ালরা আসলে গাজর বা ক্যান্ডি নিয়ে চিন্তিত ছিল না - শসাই ছিল বড় প্রতিক্রিয়ার কারণ। আমরা একটা জিনিস জানি যে বিড়ালরা স্বাভাবিকভাবেই সতর্ক কারণ তারা শিকারী প্রাণী। বন্য অঞ্চলে, তারা সবসময় বিপদের জন্য সতর্ক থাকে। জোন্স বলেন, "তাদের বিশ্রাম নিতে এবং খেতে যথেষ্ট নিরাপদ বোধ করতে কিছুটা সময় লাগে, বিশেষ করে যদি তারা নতুন বা খোলা জায়গায় থাকে। একবার তারা বুঝতে পারে যে খারাপ কিছু ঘটছে না, তারা শান্ত হয়ে যায়।" এর মানে হল যে ভিডিওগুলিতে বিড়ালদের হঠাৎ শসা দেখার পরে লাফিয়ে বা পালিয়ে যাওয়ার দৃশ্য দেখানো হয়েছে যেখানে প্রায়শই তারা অপরিচিত এবং ভীতিকর কিছুতে প্রতিক্রিয়া দেখায়। কল্পনা করুন যদি আপনি স্নান করছেন এবং হঠাৎ একটি বিশাল মাকড়সা দেখতে পান - তাহলে আপনিও চমকে যাবেন। জোন্স বলেন, "শসা কেবল একটি বড়, অন্ধকার বস্তু যা বিড়ালের কাছে অপ্রত্যাশিতভাবে উপস্থিত হয়। এটি তাদের ভয় দেখায় কারণ তারা স্বাভাবিকভাবেই সতর্ক এবং অবাক হতে পছন্দ করে না।" বিড়ালের আচরণ বিশেষজ্ঞ জেন এহরলিচও ভাবছেন যে ক্যামেরার বাইরে এমন কিছু ঘটছে যা বিড়ালদের ভয় দেখিয়ে থাকতে পারে। হয়তো কোনও শব্দ বা নড়াচড়া বিড়ালটিকে সেভাবে প্রতিক্রিয়া দেখাতে বাধ্য করেছে। উভয় বিশেষজ্ঞই একমত যে বিড়ালদের প্রতিক্রিয়া দেখায় যে তারা খুব চাপে আছে। সাধারণত, যখন বিড়ালরা ভয় পায়, তখন তারা তাদের পশম ফুলিয়ে, পিঠ বাঁকিয়ে .....বিস্তারিত পড়ুন

ভারত কি সত্যিই সিন্ধু নদীর জল পাকিস্তানে যাওয়া বন্ধ করতে পারবে?

উত্তরাপথঃ ভারত দুই দেশের মধ্যে একটি গুরুত্বপূর্ণ জল বণ্টন চুক্তি স্থগিত করার পর অনেকের মনে এই প্রশ্নটি ঘুরপাক খাচ্ছে ভারত কি সত্যিই সিন্ধু নদী এবং এর উপনদীগুলির জল পাকিস্তানে যাওয়া বন্ধ করতে পারবে? ১৯৬০ সালের সিন্ধু জল চুক্তি নামে পরিচিত এই চুক্তিটি সিন্ধু অববাহিকার ছয়টি নদীর জল নিয়ন্ত্রণ করে। মঙ্গলবার ভারত-নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরে এক মারাত্মক হামলার পর ভারত এই চুক্তি স্থগিত করে।সীমান্তের ওপারে পাকিস্তান সন্ত্রাসবাদকে সমর্থন করে এমন অভিযোগের প্রতিক্রিয়ায় ভারতের এই চুক্তি স্থগিত করার পদক্ষেপ। পাকিস্তান এই অভিযোগ অস্বীকার করে। পাকিস্তান সতর্ক করে দিয়েছে যে জল প্রবাহ বন্ধ করাকে যুদ্ধের মতো কাজ হিসেবে দেখা যেতে পারে। এই চুক্তি ভারতকে পূর্বে অবস্থিত রাভি, বিয়াস এবং শতদ্রু নদীর উপর নিয়ন্ত্রণ দেয়। পশ্চিমে সিন্ধু, ঝিলাম এবং চেনাব নদীর বেশিরভাগ জল পাকিস্তান নিয়ন্ত্রণ করে, যার ফলে পাকিস্তান এই নদীগুলির প্রায় ৮০% জল পায়। পাকিস্তান প্রায়শই ভারতের সাথে জল প্রকল্প নিয়ে দ্বিমত পোষণ করে, বলে যে তারা নদীর প্রবাহ হ্রাস করে এবং চুক্তি ভঙ্গ করে। পাকিস্তানের বেশিরভাগ কৃষিকাজ এবং জলবিদ্যুৎ এই নদীগুলির জলের উপর নির্ভর করে।ভারত সেচ, পানীয় জল এবং বিদ্যুতের মতো নতুন চাহিদা পূরণের জন্য চুক্তি পরিবর্তন করার জন্য অনুরোধ করে আসছে, বিশেষ করে জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে সম্প্রতি, উভয় দেশই এই বিষয়গুলি নিয়ে আদালতে গেছে, বিশ্বব্যাংক মধ্যস্থতাকারী হিসেবে কাজ করছে। তবে, এই প্রথমবারের মতো ভারত আনুষ্ঠানিকভাবে জল বণ্টন বন্ধ করে দেবার কথা বলেছে, যা উজানের দেশ হিসেবে তাদের সুবিধা দিয়েছে। এর অর্থ কী? ভারত কি পাকিস্তানে জল দেওয়া বন্ধ করতে পারে? বিশেষজ্ঞরা বলছেন যে যখন নদীগুলি প্রচুর পরিমাণে প্রবাহিত হয় তখন ভারতের পক্ষে এই প্রচুর পরিমাণ জলকে আটকে রাখা প্রায় অসম্ভব। ভারতে এই জল নিয়ন্ত্রণ  করতে হলে প্রয়োজন বড় জলাধার এবং বিস্তৃত খালের প্রসঙ্গত এই দুট্রির অভাব রয়েছে ভারতের।ভারতের বেশিরভাগ জলবিদ্যুৎ কেন্দ্র সংরক্ষিত জল ব্যবহার না করে প্রবাহিত জল ব্যবহার করে। এই কেন্দ্রগুলি নদীর মধ্য দিয়ে প্রাকৃতিকভাবে প্রবাহিত জল ব্যবহার করে বিদ্যুৎ উৎপাদন করে। .....বিস্তারিত পড়ুন

প্যাসিফিক স্যামনের দুর্দশা: বেঁচে থাকার লড়াই

উত্তরাপথঃ প্রশান্ত মহাসাগরীয় স্যামন এমন একটি মাছ যা অনেকেই জানেন এবং ভালোবাসেন। তারা ডিম পাড়ার জন্য উজানে সাঁতার কাটার জন্য বিখ্যাত, যাকে বলা হয় স্পনিং। এই মাছগুলি প্রশান্ত মহাসাগরে বাস করে এবং বংশবৃদ্ধির জন্য নদী ও স্রোতে ভ্রমণ করে। তবে, আজ, প্রশান্ত মহাসাগরীয় স্যামন সমস্যায় পড়েছে। তারা তাদের বেঁচে থাকার জন্য লড়াই করছে এবং অনেক বিশেষজ্ঞ আশঙ্কা করছেন যে পরিস্থিতি পরিবর্তন না হলে তারা অদৃশ্য হয়ে যেতে পারে কী কী সমস্যা হচ্ছে? ১. পরিবেশের পরিবর্তন পৃথিবীর তাপমাত্রা বাড়ছে। এর ফলে নদীর জল গরম হয়ে যাচ্ছে। স্যামনের জন্য ঠান্ডা জল দরকার। গরম জলে তারা ভালোভাবে বাঁচতে পারে না। এছাড়া, বরফ গলার কারণে সমুদ্রের জলের ধরনও বদলে যাচ্ছে। এটা তাদের খাবার খুঁজে পেতে সমস্যা তৈরি করছে। ২. নদীতে বাঁধ মানুষ বিদ্যুৎ বা জল সরবরাহের জন্য নদীতে অনেক বাঁধ তৈরি করেছে। এই বাঁধের কারণে স্যামন তাদের জন্মস্থানে ফিরতে পারছে না। ফলে তারা ডিম পাড়তে পারছে না, আর তাদের সংখ্যা কমে যাচ্ছে। ৩. মাছ ধরার সমস্যা অনেক মানুষ স্যামন মাছ ধরে। কিন্তু বেশি মাছ ধরার কারণে তাদের সংখ্যা দ্রুত কমে যাচ্ছে। এটা তাদের বংশ বাড়ানোর জন্য বড়  সমস্যা। ৪. দূষণ নদী ও সমুদ্রে দূষণ বাড়ছে। কারখানার বর্জ্য, প্লাস্টিক আর রাসায়নিক পদার্থ জলে মিশে যাচ্ছে। এই দূষিত জল স্যামনের জন্য ক্ষতিকর। এতে তাদের শরীর খারাপ হয়, এমনকি মারাও যায়। কেন স্যামন গুরুত্বপূর্ণ? স্যামন শুধু সুন্দর মাছ নয়, এরা পরিবেশের জন্যও গুরুত্বপূর্ণ। তারা সমুদ্র থেকে নদীতে  খাবার বয়ে আনে। এই খাবার অন্য প্রাণী, যেমন ভাল্লুক, পাখি আর ছোট মাছের জন্য উপকারী। স্যামন না থাকলে এই প্রাণীদেরও সমস্যা হবে। এছাড়া, অনেক মানুষ স্যামন মাছ খায়। এটি তাদের খাদ্যের একটি বড় অংশ। আমরা কী করতে পারি? স্যামনকে বাঁচাতে আমাদের সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে। এখানে কিছু সহজ উপায় দেওয়া হলো: নদী পরিষ্কার রাখা: আমরা নদীতে ময়লা ফেলব না। প্লাস্টিক বা ক্ষতিকর জিনিস জলে ফেলা বন্ধ করতে হবে। মাছ ধরা নিয়ন্ত্রণ করা: সরকারের উচিত মাছ ধরার পরিমাণ কমানো। এতে স্যামনের সংখ্যা বাড়তে পারে। বাঁধে সাহায্য করা: বাঁধে এমন ব্যবস্থা করা যেতে পারে, যাতে স্যামন সহজে নদীতে যেতে পারে। সচেতনতা বাড়ানো: আমরা সবাই মিলে মানুষকে স্যামনের গুরুত্ব বোঝাতে পারি। .....বিস্তারিত পড়ুন

12 3 4 5 6 7 8
Scroll to Top