প্রথম পাতা


Demonic Black Holes: রাক্ষুসে ব্ল্যাক হোল
ড. সায়ন বসু: "ছিল রুমাল, হয়ে গেলো বেড়াল"- এত বছর ধরে যাকে ভেবে আসা হয়েছিল একটি সাধারণ তারা সেই কিনা অবশেষে চিহ্নিত হলো এক রাক্ষুসে ব্ল্যাক হোল হিসেবে ! পৃথিবী থেকে প্রায় ১২ বিলিয়ন আলোকবর্ষ দূরে অবস্থিত একটি রাক্ষুসে ব্ল্যাক হোলের সন্ধান দিয়েছেন ৮ জ্যোতির্বিজ্ঞানীর একটি দল| গবেষণাপত্রটি এবছর নেচার অ্যাস্ট্রোনমির ১৯শে ফেব্রুয়ারীর সংখ্যায় প্রকাশিত হয়েছে| এই গবেষণাটির পুরোভাগে আছেন অস্ট্রেলিয়ান ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির অ্যাসোসিয়েট প্রফেসর Christian Wolf | তাদের দাবি অনুযায়ী J0529-4351 হলো এখনও অব্দি এই মহাবিশ্বের মধ্যে খুঁজে পাওয়া সব থেকে উজ্বলতম বস্তু| গবেষকরা এও দাবি করেছেন যে এই ব্ল্যাক হোলটি তৈরী হয়েছে বিগ ব্যাং-এর মাত্র ১.৫ বিলিয়ন বছর পরে| জ্যোতির্বিজ্ঞানের সময়কাল হিসেবে অনুযায়ী বলাই যায় যে এটি এখনও "তরুণ" অবস্থায় আছে! মজার কথা এই যে, ১৯৮০ সালে European Southern Observatory এই J0529-4351-কে চিহ্নিত করে কিন্তু অতি উজ্জ্বলতার কারণে এটিকে সেসময় একটি তারা হিসেবে মনে করা হয়| জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা ইতিমধ্যে .....বিস্তারিত পড়ুন


জয়পুরের মিউজিয়ামে ২৩০০ বছরের পুরনো মমি দেখলে মনে হবে যেন মারা গেছে একটু আগে
গার্গী আগরওয়ালা মাহাতোঃ আপনি কি জানেন শুধু মিশরের পিরামিডে নয় হাজার হাজার বছরের পুরনো মমি আমাদের দেশেও রয়েছে।আমি কোনও চলচ্চিত্র, বই বা ম্যাগাজিনে থাকা মমির কথা বলছিনা এখানে আমি জয়পুরের বিখ্যাত অ্যালবার্ট মিউজিয়ামে থাকা মমির কথা বলছি। এটি একটি মহিলার মমি এবং এর বয়স সম্ভবত ২৩৪০ বছর।এই মমির সংরক্ষণের যাবতীয় দায়িত্ব মিশরীয় বিশেষজ্ঞদের। কয়েক বছর আগে এই মমির অবস্থা পরীক্ষা করার জন্য মিশরীয় বিশেষজ্ঞদের ডাকা হয়েছিল। আলবার্ট মিউজিয়াম থেকে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, মিশরের প্রাচীন শহর প্যানোপোলিসে খননকালে এই মমিটি পাওয়া গেছে। যে মহিলার এই মমি তার নাম 'টুটু'। কথিত আছে, সে সময় মিশরে খেম নামে এক দেবতার পূজা করা হতো। এই মহিলা সেই দেবতার পুরোহিতদের পরিবারের সদস্য ছিলেন।এরপর ১৮৮০ সালে ব্রিটিশ সরকার মিশর থেকে এই মহিলার মমি ভারতে নিয়ে আসে। তারপর থেকে এটি জয়পুরের অ্যালবার্ট মিউজিয়ামে সংরক্ষিত আছে। প্রতি বছর বহু পর্যটক শুধুমাত্র এই মমিটি দেখতে এখানে আসেন। তাদের মধ্যে বহু বিদেশি পর্যটকও রয়েছে। আপনি জেনে খুশি হবেন যে এই রকম একটি মমি গুজরাটের ভাদোদরা মিউজিয়ামেও রয়েছে। .....বিস্তারিত পড়ুন


আমরা কীভাবে ডিপ-ফ্রাইং খাবার থেকে চর্বির পরিমাণ কমাতে পারি?
উত্তরাপথঃ ডিপ-ফ্রাইং সারা বিশ্বে জনপ্রিয় রান্নার পদ্ধতি যা বিভিন্ন খাবারে একটি অনন্য স্বাদ এবং সুন্দরতা প্রদান করে। ডিপ-ফ্রাইং খাবার গ্রহনের এর সময় অত্যধিক তেল গ্রহণ আমাদের শরীরে ক্যালরির পরিমাণ বৃদ্ধিতে অবদান রাখে এবং সম্ভাব্য স্বাস্থ্য ঝুঁকি তৈরি করে।মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নর্থ ক্যারোলিনা এগ্রিকালচার অ্যান্ড টেকনিক্যাল স্টেট ইউনিভার্সিটির সহযোগী অধ্যাপক ডঃ রেজা তাহেরগোরাবি (Dr Reza Tahergorabi )মতে বেশী চর্বিযুক্ত ভাজা খাবার শুধুমাত্র ওজন বৃদ্ধি এবং স্থূলতায় অবদান রাখে তা নয় এটি সামগ্রিক স্বাস্থ্য সমস্যার সাথেও জড়িত। ওয়ার্ল্ড ওবেসিটি ফেডারেশনের মতে, এটি অনুমান করা হচ্ছে যে ২০৩৫ সালের মধ্যে,৪ বিলিয়নেরও বেশি মানুষ -অর্থাৎ বিশ্বের জনসংখ্যার অর্ধেকেরও বেশি মানুষ স্থূলতার সমস্যায় আক্রান্ত হবে। বিশ্বব্যাপী স্থূলতার হারের এই উদ্বেগজনক বৃদ্ধির বিরুদ্ধে লড়াই করতে সাহায্য করার জন্য, ডঃ রেজা তাহেরগোরাবি ও তার দল এক উদ্ভাবনী সমাধান তৈরি করছেন। তারা ডিপ-ফ্রাইং এর এক নতুন মাধ্যম হিসেবে খাবারের উপরের আবরণ থেকে শুরু করে অলিওজেল(oleogel) ভিত্তিক ফ্রাইং মাধ্যম পর্যন্ত অন্বেষণ করছেন। .....বিস্তারিত পড়ুন


ইকিগাই (Ikigai) দীর্ঘ এবং সুখী জীবনের জাপানি রহস্য
উত্তরাপথঃ জাপানের ওগিমি(Ogimi) গ্রামটি স্থানীয় ভাবে "দীর্ঘায়ুর গ্রাম"বা “village of longevity.”নামে পরিচিত। জাপানের, সর্বশেষ গণনার একটি পরিসংখ্যান অনুসারে, ওগিমির ৩,০০০ গ্রামবাসীর মধ্যে ১৫ জনই শতবর্ষী। ১৭১ জনের বয়স ৯০ এর ঘরে। বর্তমানে জাপানে, ১০০ বা তার বেশি বয়সী ৭০,০০০ এরও বেশি লোক রয়েছে যা বর্তমান সময়ের পরিপ্রেক্ষিতে এক চমকপ্রদ পরিসংখ্যান। জাপানিদের এই দীর্ঘ জীবনের রহস্য কি ? সেই ব্যাপারে ওঠে এল এক চমকপ্রদ তথ্য "ইকিগাই" (Ikigai) এর কথা। এক কথায় ইকিগাই (Ikigai) হল জাপানে সুখী জীবনের জন্য একটি গাইড নীতি ।জাপানের মানুষদের তাদের জীবনে ভারসাম্য, অর্থ এবং দীর্ঘায়ু খোঁজার জন্য "ইকিগাই" এর এই প্রাচীন দর্শনটি বিশ্বব্যাপী মনোযোগ আকর্ষণ করেছে। ইকিগাই লাইফস্টাইল আমাদের সকলের দীর্ঘ জীবনের জন্য এক মূল্যবান শিক্ষা এতে কোনো সন্দেহ নেই।আপনার জীবনধারা ওগামির((Ogimi) ) শতবর্ষীদের থেকে যে আলাদা হবে সন্দেহ নাই। আপনি সম্ভবত কাজ করেন, একটি শহরে থাকেন, অনেক দায়িত্ব আছে, আর্থিক চাপ, সম্পর্কের সমস্যা এবং আপনার মনে অনেক কিছু রয়েছে ইত্যাদি। আপনার জন্য "ইকিগাই" এর ১০টি নিয়ম গ্রহণ করা কঠিন হতে পারে, তবে কিছু নিয়ম মেনে চলা খুব সহজ। .....বিস্তারিত পড়ুন


প্রয়াত প্রফেসর অ্যালেন জে. বার্ড : ইলেক্ট্রোকেমিস্ট্রির জগতের এক অন্যতম পথিকৃৎ
উত্তরাপথঃ ইলেক্ট্রোকেমিস্ট্রির (Electrochemistry) জগতে একজন আগ্রগামী অধ্যাপক ছিলেন অ্যালেন জে বার্ড (Professor Allen J.Bard )। তিনি ১১ ফেব্রুয়ারী, ২০২৪-এ টেক্সাসের অস্টিনে ৯০ বছর বয়সে মারা যান। উনার মৃত্যুতে আমরা গভীরভাবে শোকাহত। ইলেক্ট্রোকেমিস্ট্রি হল ভৌত রসায়নের একটি শাখা যা অধ্যয়ন করে যে কীভাবে রাসায়নিক প্রক্রিয়াগুলি ইলেকট্রনকে সরাতে পারে। ইলেকট্রনের এই গতিবিধিকে বিদ্যুৎ বলে। এটি রাসায়নিক এবং বৈদ্যুতিক শক্তির মধ্যে রূপান্তর অধ্যয়ন করে এবং শক্তি সঞ্চয়স্থান, সেন্সর এবং ক্ষয় প্রতিরোধের মতো ক্ষেত্রগুলিতে এর অসংখ্য প্রয়োগ রয়েছে।প্রফেসর অ্যালেন জে. বার্ড ১৯৩৩ সালে নিউ ইয়র্ক সিটিতে জন্মগ্রহণ করেন, বার্ড তার পিএইচডি করার আগে নিউইয়র্কের সিটি কলেজে স্নাতক হন। ১৯৫৫ সালে হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে। তারপর তিনি অস্টিনের টেক্সাস বিশ্ববিদ্যালয়ে যোগদান করেন, যেখানে তিনি তার পুরো কর্মজীবন কাটিয়েছেন। ইলেক্ট্রোকেমিস্ট্রিতে বার্ডের উল্লেখযোগ্য প্রভাব ছয় দশকেরও বেশি সময় ধরে অব্যাহত রয়েছে। তিনি ১০০০টিরও বেশি প্রকাশনা,৩০ টি পেটেন্ট এবং ক্লাসিক পাঠ্যপুস্তকে ইলেক্ট্রোকেমিক্যাল মেথডস লিখেছেন। .....বিস্তারিত পড়ুন


চীনা গুপ্তচর বলে সন্দেহ করা পায়রাকে ৮ মাস বন্দী রাখার পর মুক্ত করা হয়েছ
উত্তরাপথঃ চীনা গুপ্তচর বৃত্তির সন্দেহে মুম্বাইয়ে বন্দি একটি পায়রা অবশেষে মুক্তি পেল। ২০২৩ সালের মে থেকে তাকে মুম্বাইয়ের একটি ভেটেরিনারি হাসপাতালে রাখা হয়েছিল। বাই সাকারবাই দিনশ পেটিট হাসপাতাল ফর অ্যানিম্যালস কবুতর ছেড়ে দেওয়ার দাবি জানিয়েছে। ৩০ জানুয়ারি তাকে খোলা আকাশে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। এই পায়রাটিকে ২০২৩ সালের মে মাসে মুম্বাইয়ের RCF (ন্যাশনাল কেমিক্যাল অ্যান্ড ফার্টিলাইজার) থানা, চেম্বুরের পিয়ার পাউ জেটি থেকে ধরা হয়েছিল। পায়রাটিরর এক পায়ে তামার আংটি এবং অন্যটিতে অ্যালুমিনিয়ামের আংটি ছিল। ডানার নিচে চাইনিজ লিপিতে কিছু লেখা ছিল।আরসিএফ ভেবেছিল এটি চীনের পাঠানো গুপ্তচর পায়রা। এর পরে আরসিএফ একটি মামলা নথিভুক্ত করে এবং পায়রাটির সম্পর্কে তদন্ত শুরু করে। এই সময়ে, পায়রাটিকে মুম্বাইয়ের একটি পশুচিকিৎসা হাসপাতালে রাখা হয়েছিল, যেখানে তার খাবার ও পানীয়ের যত্ন নেওয়া হয়েছিল। .....বিস্তারিত পড়ুন


বিজ্ঞানীরা পাখিদের ভিন্ন ভিন্ন আওয়াজের কারণ আবিষ্কার করলেন
উত্তরাপথঃ পাখিরা বিভিন্ন যোগাযোগের জন্য বিভিন্ন ধরণের শব্দ করে, যার মধ্যে রয়েছে সঙ্গীদের আকর্ষণ করা, শিকারীদের ভয় দেখানোর জন্য, অথবা শুধুমাত্র মজা করার জন্যও এটি করে। পাখির কণ্ঠস্বরের ব্যাপক বৈচিত্র্য বৈজ্ঞানিক অনুসন্ধানের বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে এবং উইসকনসিন-ম্যাডিসন বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকদের সাম্প্রতিক এক গবেষণায় এই বৈচিত্র্যের অন্তর্নিহিত প্রভাব সম্পর্কে নতুন অন্তর্দৃষ্টি প্রদান করা হয়েছে। উইসকনসিন-ম্যাডিসন বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা এই শব্দগুলিকে কী প্রভাবিত করে তা বোঝার জন্য একটি বিশ্বব্যাপী গবেষণা করেছেন। তারা বিশ্বব্যাপী বিপুল সংখ্যক পাখি প্রজাতির ১,০০,০০০ এরও বেশি অডিও রেকর্ডিং বিশ্লেষণ করেন, যার মধ্যে প্রায় ৭৭% পরিচিত প্রজাতির অন্তর্ভুক্ত। অনুসন্ধানগুলি পাখির কণ্ঠস্বর গঠনের জন্য বেশ কয়েকটি মূল কারণ প্রকাশ করে: পূর্বে, পাখিদের বসবাসের জায়গা, তাদের আকার এবং তাদের ঠোঁটের আকৃতি তাদের শব্দকে কীভাবে প্রভাবিত করে তার উপর গবেষণাগুলি কেন্দ্রীভূত ছিল, তবে এই গবেষণাগুলি প্রায়শই ছোট এলাকায় সীমাবদ্ধ ছিল। অধ্যাপক জুজানা বুরিভালোভার সাথে কাজ করা এইচ.এস. সত্য চন্দ্র সাগর বিশ্বব্যাপী এই ধারণাগুলি অন্বেষণ করতে চেয়েছিলেন। অনুসন্ধানগুলি পাখির কণ্ঠস্বর গঠনের জন্য বেশ কয়েকটি মূল কারণ তুলে ধরে: ১. বাসস্থানের প্রভাব: গবেষণায় দেখা গেছে যে পাখির প্রজাতি যে আবাসস্থলে বাস করে তা তাদের শব্দের ফ্রিকোয়েন্সিকে উল্লেখযোগ্যভাবে প্রভাবিত করে। উদাহরণস্বরূপ, প্রচুর প্রবাহমান জলের পরিবেশে, কম-ফ্রিকোয়েন্সির শব্দ থাকে। যা উচ্চ-ফ্রিকোয়েন্সি পাখির ডাককে প্রভাবিত করে। যে পাখিরা উচ্চ-ফ্রিকোয়েন্সি শব্দ উৎপন্ন করে তারা এই ধরনের পরিবেশে অসুবিধাগ্রস্ত হতে পারে, যার ফলে কম ফ্রিকোয়েন্সির জন্য তাদের বিবর্তনীয় পছন্দ তৈরি হতে পারে। ২. ভৌগোলিক ধরণ: একই অক্ষাংশে বসবাসকারী পাখিরা একই রকম শব্দ উৎপন্ন করে, যা ভৌগোলিক অবস্থার সাথে বিবর্তনীয় অভিযোজনকে প্রতিফলিত করতে পারে। .....বিস্তারিত পড়ুন