শিক্ষা ও স্বাস্থ্য


চকোলেট + চা = রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ? বিজ্ঞানীরা প্রকাশ করলেন আশ্চর্যজনক তথ্য
উত্তরাপথঃ সারে বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি গুরুত্বপূর্ণ গবেষণায় জানা গেছে, চকোলেট এবং চায়ের মতো খাবারে থাকা ফ্ল্যাভান-৩-অল নামক একটি প্রাকৃতিক উপাদান রক্তচাপ কমাতে এবং রক্তনালীর স্বাস্থ্য উন্নত করতে সাহায্য করতে পারে। বিশেষ করে যাদের উচ্চ রক্তচাপ রয়েছে, তাদের ক্ষেত্রে এর প্রভাব উল্লেখযোগ্য। কিছু ক্ষেত্রে এটি ওষুধের মতোই কার্যকর হতে পারে। এই গবেষণা হৃদয়ের স্বাস্থ্য উন্নত করার জন্য একটি সুস্বাদু এবং সহজলভ্য উপায়ের দিক নির্দেশ করেছে। চা, চকোলেট এবং হৃদয়ের স্বাস্থ্য চা এবং চকোলেট প্রেমীদের জন্য সুখবর! প্রতিদিন এক কাপ চা বা একটি ছোট ডার্ক চকোলেট খাওয়া আপনার হৃদয়ের স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী হতে পারে। সারির বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি নতুন গবেষণা, যা *ইউরোপিয়ান জার্নাল অফ প্রিভেন্টিভ কার্ডিওলজি*-তে প্রকাশিত হয়েছে, জানাচ্ছে যে ফ্ল্যাভান-৩-অল নামক প্রাকৃতিক উপাদান রক্তচাপ কমাতে এবং রক্তনালীর স্বাস্থ্য উন্নত করতে সাহায্য করে। এই উপকারী উপাদানটি কোকো, চা, আপেল এবং আঙুরের মতো সাধারণ খাবারে পাওয়া যায়। ১৪৫টি নিয়ন্ত্রিত গবেষণার তথ্য বিশ্লেষণ করে গবেষকরা দেখেছেন, নিয়মিত ফ্ল্যাভান-৩-অল গ্রহণ উচ্চ রক্তচাপে আক্রান্ত ব্যক্তিদের রক্তচাপ উল্লেখযোগ্যভাবে কমাতে পারে। কিছু ক্ষেত্রে এর প্রভাব কিছু রক্তচাপের ওষুধের মতোই। ফ্ল্যাভান-৩-অল এর সবচেয়ে সমৃদ্ধ উৎস হলো ডার্ক চকোলেট, সবুজ এবং কালো চা, আপেল, কোকো পাউডার এবং লাল বা বেগুনি আঙুর। এক কাপ সবুজ চায়ে প্রায় ১০০-২০০ মিলিগ্রাম ফ্ল্যাভান-৩-অল থাকে, আর ডার্ক চকোলেটে (কোকোর পরিমাণের উপর নির্ভর করে) ১০ গ্রামে ১০০-৬০০ মিলিগ্রাম থাকতে পারে। কোকো পাউডারে এটি আরও ঘনীভূত। রক্তচাপের বাইরেও উপকার: রক্তনালীর স্বাস্থ্য এর উপকার শুধু রক্তচাপ কমানোর মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়। ফ্ল্যাভান-৩-অল রক্তনালীর অভ্যন্তরীণ সূক্ষ্ম আস্তরণ, যাকে এন্ডোথেলিয়াম বলা হয়, তার কার্যকারিতা উন্নত করে। এটি হৃদয়ের সামগ্রিক স্বাস্থ্যের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। মজার বিষয় হলো, এমনকি রক্তচাপ অপরিবর্তিত থাকলেও এই উন্নতি লক্ষ্য করা গেছে, যা রক্ত সঞ্চালন ব্যবস্থায় এর ব্যাপক প্রভাব নির্দেশ করে। ডার্ক চকোলেট, বিশেষ করে যেগুলোতে ৭০% বা তার বেশি কোকো থাকে, ফ্ল্যাভান-৩-অল এর সমৃদ্ধ উৎস। .....বিস্তারিত পড়ুন


ক্যাফেইন আপনার মস্তিষ্ককে ঘুমের মধ্যেও "জাগিয়ে" রাখে!
উত্তরাপথঃ আপনি কি সকালে এক কাপ কফি দিয়ে দিন শুরু করেন ? কিংবা সকালে চা, চকোলেট, এনার্জি ড্রিংক বা কোমল পানীয় পছন্দ করেন ? তাহলে জেনে নিন, এগুলোর মধ্যে থাকা ক্যাফেইন আপনার ঘুমের সময়ও মস্তিষ্ককে সক্রিয় রাখতে পারে! মন্ট্রিয়ল বিশ্ববিদ্যালয়ের এক নতুন গবেষণায় এমনই চমকপ্রদ তথ্য উঠে এসেছে। ক্যাফেইন শুধু আপনাকে দিনের বেলা জাগিয়ে রাখে না, এটি ঘুমের সময় মস্তিষ্কের পুনরুদ্ধার প্রক্রিয়াকেও বদলে দেয়। এতে শরীর ও মনের সতেজতা এবং স্মৃতিশক্তির উপর প্রভাব পড়ে। গবেষণাটি পরিচালনা করেছেন ফিলিপ থলকে ও কারিম জারবি। তাঁরা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (AI) এবং ইলেক্ট্রোএনসেফালোগ্রাফি (EEG) ব্যবহার করে দেখেছেন, ক্যাফেইন ঘুমের সময় মস্তিষ্কের সংকেতের জটিলতা বাড়ায়। এটি মস্তিষ্ককে একটি "ক্রিটিকাল" অবস্থায় নিয়ে যায়, যেখানে মস্তিষ্ক সুশৃঙ্খল কিন্তু নমনীয় থাকে। এই অবস্থায় মস্তিষ্ক তথ্য প্রক্রিয়া করতে, শিখতে এবং দ্রুত সিদ্ধান্ত নিতে পারে। কিন্তু সমস্যা হলো, এই "জাগ্রত" অবস্থা ঘুমের সময় মস্তিষ্কের বিশ্রামে বাধা দেয়। গবেষক জুলি ক্যারিয়ার বলেন, "ক্যাফেইন মস্তিষ্ককে উদ্দীপিত করে, যার ফলে এটি রাতে মস্তিস্ককে পুরোপুরি বিশ্রাম নিতে দেয় না। ফলে স্মৃতি গঠন ও মনোযোগ ক্ষমতার উপর প্রভাব পড়তে পারে।" কিভাবে গবেষণা হলো? গবেষকরা ৪০ জন সুস্থ প্রাপ্তবয়স্কের ঘুমের সময় মস্তিষ্কের কার্যকলাপ পর্যবেক্ষণ করেছেন। এক রাতে তাঁরা ঘুমের আগে ক্যাফেইন ক্যাপসুল খেয়েছেন, আরেক রাতে প্লাসিবো (নকল ওষুধ)। ফলাফলে দেখা গেছে, ক্যাফেইন গ্রহণের পর মস্তিষ্কের সংকেত আরও জটিল এবং গতিশীল হয়, বিশেষ করে নন-র্যাপিড আই মুভমেন্ট (NREM) ঘুমের সময়, যা স্মৃতি সংরক্ষণের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। এছাড়া, ক্যাফেইন ধীর তরঙ্গ (থিটা ও আলফা), যা গভীর ঘুমের সঙ্গে যুক্ত, কমিয়ে দেয় এবং বেটা তরঙ্গ বাড়ায়, যা জাগ্রত অবস্থায় মানসিক সক্রিয়তার সময় দেখা যায়। এর মানে, ক্যাফেইনের প্রভাবে ঘুমের সময়ও মস্তিষ্ক সক্রিয় থাকে, যা বিশ্রামের জন্য ক্ষতিকর। তরুণদের উপর বেশি প্রভাব গবেষণায় দেখা গেছে, ২০-২৭ বছর বয়সী তরুণদের মস্তিষ্ক ক্যাফেইনের প্রভাবে বেশি সাড়া দেয়, বিশেষ করে REM ঘুমের সময়, যখন আমরা স্বপ্ন দেখি। এর কারণ তরুণদের মস্তিষ্কে অ্যাডেনোসিন রিসেপ্টর বেশি থাকে। .....বিস্তারিত পড়ুন


চাল-কফির গুণে হার্ট অ্যাটাক রোধ? নতুন গবেষণায় চমক
উত্তরাপথ;প্রতিদিনের খাবারে থাকা কিছু সাধারণ উপাদান হয়তো হৃদরোগের বিরুদ্ধে এক নতুন প্রতিরক্ষা গড়ে তুলতে পারে। সাম্প্রতিক এক গবেষণায় দেখা গেছে, চাল, কফি ও কিছু সবজিতে থাকা ফেরুলিক অ্যাসিড (Ferulic Acid) নামের একটি প্রাকৃতিক যৌগ হৃদয়ের ধমনী সংকোচন রোধে কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারে। এই ধমনী সংকোচনই অনেক সময় হৃদস্পন্দন অনিয়ম, বুকে ব্যথা ও হার্ট অ্যাটাকের অন্যতম কারণ হয়ে ওঠে। জাপানের তোহো বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্মাসিউটিক্যাল সায়েন্স অনুষদের গবেষক ড. কেনতো ইয়োশিওকা, ড. কেইসুকে ওবারা ও অধ্যাপক ইওশিও তানাকা সম্প্রতি তাঁদের গবেষণাপত্রে এই ফলাফল প্রকাশ করেছেন । কীভাবে কাজ করে এই প্রাকৃতিক যৌগ? গবেষণায় ব্যবহার করা হয় শূকরের করোনারি আর্টারি, যেটি মানুষের হৃদরক্তনালীর গঠনের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে মিলে যায়। পরীক্ষা করে দেখা যায়, রাসায়নিকভাবে আর্টারি সংকোচনের সময় ফেরুলিক অ্যাসিড তা উল্লেখযোগ্যভাবে কমিয়ে দেয়। গবেষকরা জানান, ফেরুলিক অ্যাসিড মূলত দুটি পথে কাজ করে: প্রথমত, এটি ধমনীতে ক্যালসিয়াম প্রবেশে বাধা দেয়, ফলে পেশি সংকোচন বাধাগ্রস্ত হয়। দ্বিতীয়ত, ক্যালসিয়াম ছাড়া অন্য উপায়ে ধমনী সংকোচন রোধেও এটি ভূমিকা রাখে। এটি মায়োসিন লাইট চেইন নামক এক বিশেষ প্রোটিনের সক্রিয়তা কম করে, যা ধমনী সংকোচনের জন্য জরুরি। ওষুধের চেয়েও কার্যকর? আরও চমকপ্রদ তথ্য হলো—বাজারে প্রচলিত হৃদরোগ প্রতিরোধী ওষুধ ডিলটিয়াজেম-এর চেয়েও ফেরুলিক অ্যাসিড অনেক ক্ষেত্রে বেশি কার্যকর হয়েছে বলে গবেষণায় দেখা গেছে। "যেহেতু এটি প্রাকৃতিক ও নিরাপদ, তাই ভবিষ্যতে এটি খাদ্য উপাদান বা হার্টের নতুন ওষুধ তৈরির উপাদান হিসেবেও বিবেচিত হতে পারে," বলেন গবেষক ড. ইয়োশিওকা। কোথায় পাওয়া যায় ফেরুলিক অ্যাসিড? ফেরুলিক অ্যাসিড পাওয়া যায়— চালের খোসা ও ব্রান-এ কফির দানায় ও রোস্টেড কফিতে গাজর, টমেটো, আপেল, শস্যদানা, ও সবুজ পাতাযুক্ত সবজিতে হৃদয়ের যত্নে খাদ্যের ভাবনা বর্তমানে হৃদরোগে আক্রান্তের সংখ্যা ভারতে ও বাংলাদেশে উদ্বেগজনক হারে বাড়ছে। এই অবস্থায় খাদ্যের মাধ্যমে হৃদয় সুস্থ রাখার এই সম্ভাবনা মানুষের জীবনে নতুন আশা এনে দিতে পারে। .....বিস্তারিত পড়ুন


পেঁয়াজ কাটলেই চোখে জল? বিজ্ঞান যা বলছে, তা জানলে অবাক হবেন!
উত্তরাপথঃ রান্নাঘরে পেঁয়াজ কাটতে গিয়ে চোখের জল পড়েনি—এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া দুষ্কর। আমরা অনেকেই ঠান্ডা জল ব্যবহার, পেঁয়াজ ফ্রিজে রাখা কিংবা সানগ্লাস পরার মতো ঘরোয়া টিপস মেনে চলেছি, কিন্তু তবুও চোখের জল থামানো যেন অসম্ভব! তাহলে এর আসল কারণ কী? সম্প্রতি কর্নেল বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা এক আকর্ষণীয় গবেষণায় দেখিয়েছেন, সমস্যার মূল চাবিকাঠি লুকিয়ে আছে আপনার ছুরির ধার ও কাটার কৌশলে। পেঁয়াজ: ইতিহাসে ও পুষ্টিতে সমৃদ্ধ এক উপাদান পেঁয়াজ শুধু রান্নার উপাদান নয়, এটি হাজার হাজার বছর ধরে মানব সভ্যতার খাদ্যাভাসের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। প্রাচীন মিশরীয়রা পেঁয়াজকে অনন্ত জীবনের প্রতীক মনে করত, এমনকি ফেরাউনদের সমাধিতেও রাখা হতো এই অদ্ভুত গন্ধওয়ালা সবজিটি! আজ আমরা জানি, পেঁয়াজ অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল উপাদান এবং জরুরি পুষ্টিতে পরিপূর্ণ একটি স্বাস্থ্যকর খাদ্য। কেন পেঁয়াজ আমাদের কাঁদায়? পেঁয়াজ কাটলে চোখে জল আসে, কারণ এতে থাকা এক বিশেষ রাসায়নিক যৌগ—সিন-প্রোপেনেথিয়াল-এস-অক্সাইড—কাটার সময় বাতাসে ছড়িয়ে পড়ে। এই গ্যাস চোখে গিয়ে অশ্রুগ্রন্থিকে উদ্দীপিত করে, ফলে চোখ জল দিয়ে প্রতিক্রিয়া দেখায়, যাতে এই জ্বালাময়ী পদার্থ ধুয়ে ফেলা যায়। কর্নেলের গবেষণায় কী বেরিয়ে এসেছে? এই সমস্যা নিয়ে কর্নেল বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানীরা একটি অভিনব পরীক্ষা চালান। তারা একটি ছোট পেঁয়াজ "গিলোটিন" তৈরি করেন, যেখানে বিভিন্ন প্রকারের ব্লেড ব্যবহার করে আলাদা গতিতে পেঁয়াজ কাটা হয়। পেঁয়াজের প্রতিক্রিয়া আরও ভালোভাবে বোঝার জন্য এগুলো কালো স্প্রে পেইন্টে রঙ করা হয়, যাতে কাটা অংশটিকে পরিষ্কার ভাবে দেখা যায়। তারা দেখতে পান: • ধারালো ছুরি ব্যবহার করলে পেঁয়াজ কম বিকৃত হয়, ফলে কম গ্যাস নির্গত হয়। • ভোঁতা ছুরি পেঁয়াজকে চাপ দিয়ে ফাটিয়ে ফেলে, যার ফলে হঠাৎ এক ধরনের "রাসায়নিক বিস্ফোরণ" ঘটে এবং ক্ষতিকর অ্যারোসল চোখে পৌঁছায়। • দ্রুত কাটার ফলে আরও বেশি গ্যাস তৈরি হয়। গবেষণায় বলা হয়েছে, একটি ভোঁতা ছুরি ধারালো ছুরির তুলনায় ৪০ গুণ বেশি জ্বালাময়ী কণা তৈরি করতে পারে, এবং দ্রুত কাটার গতি সেই পরিমাণ চারগুণ বাড়িয়ে দিতে পারে! তাহলে করণীয় কী? গবেষকরা বলছেন, যদিও গবেষণাটি এখনো পর্যালোচনার পর্যায়ে রয়েছে, তবুও প্রাথমিক ফলাফল সুস্পষ্ট: 👉 একটি ভালো ধারালো ছুরি ব্যবহার করুন 👉 ধীরে ধীরে এবং শান্তভাবে কেটে নিন এই দুটি অভ্যাস পেঁয়াজ কাটার সময় চোখে জল আসার সমস্যা অনেকটাই কমিয়ে দিতে পারে। পেঁয়াজ, এই নিরীহ মনে হলেও এটি একপ্রকার জৈব অস্ত্রের মতো! যদি আপনি তাড়াহুড়ো করে, ভোঁতা ছুরি দিয়ে এটিকে সামলাতে যান, তাহলে এটি আপনার চোখে সরাসরি ‘হামলা’ চালাবে। .....বিস্তারিত পড়ুন


একটি সাধারণ প্রাতঃরাশের খাবার আপনার অন্ত্রের ক্ষতি করতে পারে
উত্তরাপথঃ আপনি যদি ডিম দিয়ে দিন শুরু করতে ভালোবাসেন, তাহলে আপনার এই বিষয়ে সতর্ক হওয়া উচিত। নর্থ ক্যারোলিনা স্টেট ইউনিভার্সিটির একটি নতুন গবেষণায় দেখা গেছে যে ডিম, ভাত, সয়া এবং ইস্টের মতো খাবারে পাওয়া প্রোটিনের ধরণ আমাদের অন্ত্রে বসবাসকারী ক্ষুদ্র অণুজীবগুলিকে উল্লেখযোগ্যভাবে প্রভাবিত করতে পারে। এই জীবাণুগুলি সুস্বাস্থ্যের জন্য অপরিহার্য, হজম থেকে শুরু করে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা এমনকি মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। গবেষকরা বলেছেন, "আমাদের আধুনিক খাদ্যতালিকায় কিছু সমস্যা আছে, কিন্তু আমরা সঠিক ভাবে জানিনা এটি কি।" তারা গবেষণায় জানতে চেয়েছিলেন যে বিভিন্ন খাবার কীভাবে আমাদের অন্ত্রের জীবাণুগুলিকে প্রভাবিত করে এবং এই জীবাণুগুলি প্রতিক্রিয়ায় কী করে। বিজ্ঞানীরা এক সপ্তাহ ধরে প্রোটিনের একক উৎস - যেমন ডিমের সাদা অংশ, বাদামী চাল, সয়া এবং ইস্টের - এর উপর ভিত্তি করে ইঁদুরকে খাবার খাওয়ান। তারপর তারা অন্ত্রের ব্যাকটেরিয়ায় এই খাবারগুলি কীভাবে প্রতিক্রিয়া দেখায় তা অধ্যয়ন করেন। ফলাফলগুলি চোখ খুলে দেয় বিজ্ঞানীরা এক সপ্তাহ ধরে প্রোটিনের একক উৎস - যেমন ডিমের সাদা অংশ, বাদামী চাল, সয়া এবং খামির - এর উপর ভিত্তি করে ইঁদুরকে খাবার খাওয়ান। তারপর তারা অন্ত্রের ব্যাকটেরিয়া কীভাবে প্রতিক্রিয়া দেখায় তা অধ্যয়ন করেন। ফলাফলগুলি চোখ খুলে দেয় প্রোটিনের ধরণ অন্ত্রের ব্যাকটেরিয়ার ’প্রকার’ এবং সেই ব্যাকটেরিয়া ‘কী করে’ উভয়ই পরিবর্তন করে। উন্নত জেনেটিক এবং প্রোটিন বিশ্লেষণ সরঞ্জাম ব্যবহার করে, গবেষকরা দেখেছেন যে প্রোটিন উৎস পরিবর্তন করার ফলে অন্ত্রের জীবাণুতে বড় পরিবর্তন ঘটে। বাদামী চাল, ইস্ট এবং ডিমের সাদা অংশের সাথে ডায়েটের ফলে সবচেয়ে লক্ষণীয় প্রভাব দেখা গেছে। গবেষণায় দুটি প্রধান প্রভাবের উপর দৃষ্টি দেওয়া হয়েছে: ১. অ্যামিনো অ্যাসিড ভাঙ্গন: প্রোটিন অ্যামিনো অ্যাসিড দিয়ে তৈরি। অন্ত্রের জীবাণুগুলি এই প্রোটিনগুলিকে ভেঙে ফেলে এবং তাদের নিজস্ব প্রয়োজনে অ্যামিনো অ্যাসিড ব্যবহার করে। যদিও এটি প্রত্যাশিত, এটি কখনও কখনও এমন পদার্থ তৈরি করতে পারে যা বিষাক্ত বা মস্তিষ্ক এবং অন্ত্রের যোগাযোগের উপর প্রভাব ফেলতে পারে। ২. চিনির ভাঙ্গন (গ্লাইক্যান): এগুলি প্রোটিনের সাথে সংযুক্ত শর্করার দীর্ঘ শৃঙ্খল। গবেষকরা দেখেছেন যে সয়া, ভাত, ইস্ট এবং ডিমের সাদা অংশের মতো খাবারগুলি অন্ত্রের জীবাণুগুলি এই চিনির শৃঙ্খলগুলি ভেঙে ফেলার এনজাইম তৈরির পদ্ধতি পরিবর্তন করেছে। উদাহরণস্বরূপ, ডিমের সাদা অংশে, কিছু ব্যাকটেরিয়া গ্লাইক্যানগুলিকে লক্ষ্য করে এমন এনজাইমের উৎপাদন বাড়িয়েছে, যা অন্ত্রের আস্তরণকে প্রভাবিত করতে পারে। এটা কেন গুরুত্বপূর্ণ? .....বিস্তারিত পড়ুন


এনার্জি ড্রিংক কি আপনাকে অসুস্থ করে তুলছে? ক্যান্সারের সাথে এর যোগসূত্র কি?
উত্তরাপথঃ এনার্জি ড্রিংক প্রেমীরা এই তীব্র গরমে যে কোনও ব্রান্ড্যের এনার্জি ড্রিংকের দিকে এগিয়ে যাওয়ার আগে আজকের এই প্রতিবেদন আপনাকে হয়তো দুবার ভাবাবে। টরিন – বর্তমানে অনেক এনার্জি ড্রিংকের এক গুরুত্বপূর্ণ উপাদান,এবং প্রস্তুতকারী সংস্থাগুলি এই উপাদানটি নিয়ে গর্ব করে । উইলমোট ক্যান্সার ইনস্টিটিউটের গবেষণায় দেখা গেছে টরিন - এবং লিউকেমিয়ার মতো রক্তের ক্যান্সারের মধ্যে একটি আশ্চর্যজনক সংযোগ রয়েছে। লিউকেমিয়ার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে টরিনের ভূমিকা রোচেস্টার বিশ্ববিদ্যালয়ের উইলমোট ক্যান্সার ইনস্টিটিউটের একটি সাম্প্রতিক গবেষণায় লিউকেমিয়া কীভাবে বৃদ্ধি পায় এবং ছড়িয়ে পড়ে তার উপর আলোকপাত করা হয়েছে। দেখা যাচ্ছে, টরিন, যা এনার্জি ড্রিংকসে জনপ্রিয় এবং মাংস, মাছ এবং ডিমের মতো খাবারেও এটি পাওয়া যায়। এটি ক্যান্সার কোষগুলিকে বেঁচে থাকতে সাহায্য করার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। গবেষকরা দেখেছেন যে লিউকেমিয়া কোষগুলি নিজেরাই টরিন তৈরি করতে পারে না। পরিবর্তে, তারা অস্থি মজ্জার কাছাকাছি সুস্থ কোষগুলি থেকে এটি হাইজ্যাক করে - আপনার হাড়ের ভিতরের নরম টিস্যু যেখানে রক্তকণিকা তৈরি হয়। তারা টরিন ধরার জন্য একটি বিশেষ ট্রান্সপোর্টার ব্যবহার করে, যা পরে তাদের বৃদ্ধিতে ইন্ধন জোগায়। টরিনকে বর্জন করলে কি হতে পারে বিজ্ঞানীরা লিউকেমিয়া কোষে প্রবেশ করা থেকে টরিনকে আটকাতে উন্নত কৌশল ব্যবহার করেছেন। তারা শরীরে পুরোপুরি টরিন সরবরাহ বন্ধ করে দিয়েছে, যা ক্যান্সার কোষ গুলির বৃদ্ধি বন্ধ করে দিয়েছে! এর থেকে বোঝা যায় যে বিজ্ঞানীদের এই নতুন পর্যবেক্ষণ আক্রমণাত্মক ক্যান্সারের বিরুদ্ধে লড়াই করার একটি নতুন উপায় হতে পারে। টরিন কেন গুরুত্বপূর্ণ? দেখা যাচ্ছে, টরিন ক্যান্সার কোষগুলিকে গ্লাইকোলাইসিস নামক একটি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে শক্তি পেতে সাহায্য করে, যে প্রক্রিয়ায় কোষগুলি গ্লুকোজ ভেঙে জ্বালানি তৈরি করে। টরিন গ্রহণ করে, লিউকেমিয়া কোষগুলি তাদের শক্তি সরবরাহ বাড়ায় এবং আরও দ্রুত বৃদ্ধি পায়। গবেষকদের কাছে এটি একটি বড় আশ্চর্যের বিষয় ছিল - তারা আগে বুঝতে পারেননি যে টরিন ক্যান্সারের বৃদ্ধিকে উৎসাহিত করতে পারে। এটি কি সব ধরণের লিউকেমিয়াকে প্রভাবিত করে? গবেষণায় দেখা গেছে যে টরিন গ্রহণ বর্জন করলে বিভিন্ন ধরণের লিউকেমিয়া প্রভাবিত হয়, যার মধ্যে রয়েছে তীব্র মাইলয়েড লিউকেমিয়া (AML), দীর্ঘস্থায়ী মাইলয়েড লিউকেমিয়া (CML), এবং মাইলোডিসপ্লাস্টিক সিনড্রোম (MDS)। এগুলি হল গুরুতর রক্তের ক্যান্সার যা অস্থি মজ্জা থেকে শুরু হয়। ভবিষ্যতের গবেষণায় MDS-এর মতো প্রাথমিক অবস্থা থেকে পূর্ণাঙ্গ লিউকেমিয়া পর্যন্ত .....বিস্তারিত পড়ুন


ঠান্ডা জল আপনাকে মানসিক চাপ এবং বার্ধক্যের বিরুদ্ধে লড়াই করতে সাহায্য করে
উত্তরাপথঃ ঠান্ডা জলে থাকা ঠান্ডা ভাব আপনার স্বাস্থ্যের জন্য ভালো বলে মনে করছেন গবেষকরা। অটোয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি নতুন গবেষণায় দেখা গেছে যে নিয়মিত শরীরকে ঠান্ডা জলের সংস্পর্শে রাখলে এটি আপনার কোষগুলিকে চাপ এবং ক্ষতির বিরুদ্ধে শক্তিশালী করে তুলতে পারে। বিজ্ঞানীরা দেখেছেন মাত্র এক সপ্তাহ ধরে প্রতিদিন ঠান্ডা জলে স্নানের পর,আমাদের কোষগুলি আরও ভালোভাবে পরিষ্কার এবং মেরামতের লক্ষণ দেখায়। এটি রোগ থেকে রক্ষা করতে এবং বার্ধক্যকে ধীর করতে সাহায্য করতে পারে। ঠান্ডাা জল কীভাবে আপনার কোষকে প্রভাবিত করে অটোয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা দেখতে চেয়েছিলেন যে ঠান্ডা জল কীভাবে আপনার কোষের ভিতরের ছোট অংশগুলিকে প্রভাবিত করে। তারা দুটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ের উপর দৃষ্টি নিবদ্ধ করেছেন: ‘অটোফ্যাজি’ (একটি প্রক্রিয়া যেখানে আপনার শরীর কোষের ভিতরের ক্ষতিগ্রস্ত অংশগুলি পরিষ্কার করে) এবং ‘অ্যাপোপটোসিস’ (ভাঙা বা ক্ষতিগ্রস্ত কোষ অপসারণের প্রক্রিয়া)। গবেষণায় দেখা গেছে যে শরীরকে ঠান্ডা জলের সংস্পর্শে আনা এই প্রাকৃতিক পরিষ্কার এবং মেরামতের প্রক্রিয়াগুলিকে উন্নত করতে পারে, সেইসাথে কোষগুলিকে চাপের প্রতি আরও স্থিতিস্থাপক করে তোলে। কেলি কিং এবং অধ্যাপক গ্লেন কেনির নেতৃত্বে এই গবেষণাটি করা হয়েছিল। তারা দশজন সুস্থ যুবকের সাথে কাজ করেছিলেন। এক সপ্তাহ ধরে প্রতিদিন, পুরুষরা প্রায় ১৪°C (৫৭.২°F) তাপমাত্রায় এক ঘন্টা ঠান্ডা জলে বসেছিলেন। প্রতিটি সেশনের আগে এবং পরে, বিজ্ঞানীরা তাদের কোষের ভিতরে কী ঘটছে তা দেখার জন্য রক্তের নমুনা নিয়েছিলেন। .....বিস্তারিত পড়ুন