তৃতীয় পাতা


সম্রাট নিরো থেকে ট্রাম্পঃএ যেন ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি

প্রীতি গুপ্তাঃ এ যেন ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি । প্রাচীনকালে, যখন রোম শহর আগুনে পুড়েছিল, তখন সম্রাট নিরো সঙ্গীত সাধনায় ব্যাস্ত ছিলেন বলে জানা যায়। এই গল্পটি এমন একজন নেতার প্রতিফলন ঘটায় যিনি তার জনগণের দুঃখ-কষ্ট থেকে বিচ্ছিন্ন ছিলেন । আজকের দিনে আমরা আমেরিকায় একই রকম পরিস্থিতি দেখতে পাচ্ছি। ক্যালিফোর্নিয়ায় যখন দাবানল ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞ চালাচ্ছে তখন দেশের রাষ্ট্রপ্রধান ব্যস্ত তার নিজের শপথ গ্রহণের অনুষ্ঠানের চাকচিক্যের মধ্যে। এখন পর্যন্ত পাওয়া খবরে জানা গেছে দক্ষিণ ক্যালিফোর্নিয়ায় বর্তমানে দুটি বড় অগ্নিকাণ্ড দমন করার চেষ্টা হচ্ছে। প্রায় ৭,৮০০  দমকলকর্মী প্রতি ঘন্টায় ৬০ থেকে ৮০ মাইল বেগে ঝোড়ো হাওয়ার মধ্যে কাজ করছে। এখন পর্যন্ত প্রায় ২০০,০০০ মানুষকে অন্যত্র সরে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।  এছাড়াও ভয়াবহ দাবানলে প্রায় কয়েক লক্ষ মানুষ তাদের ঘরবাড়ি হারিয়েছে। দাবানল দুঃখজনকভাবে প্রায় ২৮ জনের প্রাণ কেড়ে নিয়েছে ।আগুনের কবলে মাত্র ৭ দিনে, ৩ লক্ষ ২১ হাজার একর এলাকা বিশিষ্ট লস অ্যাঞ্জেলেস নিজের চোখে ৪০ হাজার একর জমি ছাই হয়ে যেতে দেখেছে।এই আগুনে ২৫০ বিলিয়ন আমেরিকান ডলারের সম্পত্তি নষ্ট হয়ে গেছে। ক্যালিফোর্নিয়ায় ধোঁয়া বাতাসে ভরে গেছে, এবং  পরিবারগুলি সবকিছু পিছনে ফেলে অন্যত্র  স্থানান্তরিত হতে বাধ্য হচ্ছে। একদিকে যখন আমেরিকায় এই পরিস্থিতি সেই সংকটের মাঝে, দেশের নেতা তাদের নাগরিকদের কষ্ট উপেক্ষা করে তার শপথ উৎসবের মাধ্যমে উদযাপন করেছেন। নেতাদের এই অসংবেদনশীল আচরণ জনগণের মধ্যে নেতার নেতৃত্ব এবং দায়িত্ব সম্পর্কে আলোচনার জন্ম দেয়। প্রকৃত নেতৃত্বের অর্থ হল কঠিন সময়ে জনগণের পাশে দাঁড়ানো। এই পরিস্থিতিতে আমেরিকায় নেতাদের উচিত দাবানলে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিদের পাশে দাঁড়িয়ে তাদের দিকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেওয়া। এক সময় চাণক্য তার অর্থশাস্ত্রে বলেছিলেন প্রজাসুখ একমাত্র রাজধর্ম হওয়া উচিত। কিন্তু বর্তমান সময়ে আমাদের ভোটে নির্বাচিত রাজারা সুখে আছে সেটা বিনা প্রতিবাদে তাকিয়ে দেখাই প্রজাদের অর্থাৎ কোটি কোটি ভোটারদের ধর্ম হয়ে দাঁড়িয়েছে। .....বিস্তারিত পড়ুন

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা কি প্রযুক্তিগত উন্নয়নের জন্য আশীর্বাদ, নাকি এটি মানবতার জন্য একটি বিশাল হুমকি ?

উত্তরাপথঃ প্রযুক্তিগত উন্নয়ন সর্বদা মানুষের কাজকে সহজ এবং উন্নত করার লক্ষ্যে তৈরি করা হয়। কিন্তু এর পিছনে সবচেয়ে বড় সমস্যা হল এর অপব্যবহার কীভাবে রোধ করা যায়। নৈরাজ্যবাদীরা সর্বদা বিশৃঙ্খলা ছড়িয়ে দিতে বা প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামো ভেঙে ফেলার জন্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা নামক একটি নতুন প্রযুক্তির আবির্ভাবের পর এই উদ্বেগ আরও বেড়েছে। শুরু থেকেই মানুষ প্রতিবাদ করে আসছে যে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার প্রচার মানুষের সৃজনশীলতা, গোপনীয়তা এবং আর্থিক নিরাপত্তাকে ঝুঁকির মধ্যে ফেলবে। কারণ এটি এমন একটি প্রযুক্তি যা বিশ্বজুড়ে উপলব্ধ তথ্য অনুসন্ধান করে এবং যে কোনও ব্যক্তিকে কাঙ্ক্ষিত তথ্য সরবরাহ করে। তবে, অ্যালগরিদমিক প্রযুক্তি ইতিমধ্যেই তথ্য অনুসন্ধান করছে। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ব্যবহারের মাধ্যমে, এই কাজটি আরও বৃহত্তর পরিসরে এবং বহুগুণ দ্রুত করা যেতে পারে। অতএব, বিশ্বের বিভিন্ন দেশ উদ্বিগ্ন যে AI-এর উত্থানের সাথে সাথে, সৃজনশীলতা, গোপনীয়তা এবং আর্থিক নিরাপত্তার উপর এর প্রভাব ভবিষ্যতে বড় সমস্যার জন্ম দেবে । AI দ্রুত বিপুল পরিমাণে তথ্য সংগ্রহ এবং বিশ্লেষণ করতে পারে, যা ডেটা লঙ্ঘন এবং অপব্যবহারের ঝুঁকি বাড়াবে বলে প্রাথমিক  ভাবে অনেকে মনে করছেন। বিশ্ব অর্থনৈতিক ফোরামে, বিভিন্ন দেশের নেতারা AI-এর অনিয়ন্ত্রিত বিস্তার রোধ করার জন্য এর উপর নিয়ন্ত্রণের প্রয়োজনীয়তার কথা বলেছেন। উদাহরণস্বরূপ, স্পেনের প্রধানমন্ত্রী ভুল তথ্য এবং সাইবার বুলিং-এর বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা বাস্তবায়নের জন্য ইউরোপীয় ইউনিয়নকে আহ্বান জানিয়েছেন। AI-কে চালিত করে এমন অ্যালগরিদমগুলিতে আরও স্বচ্ছতার আহ্বান জানানো হচ্ছে। জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস সতর্ক করে বলেছেন যে AI একটি বিশ্বব্যাপী চ্যালেঞ্জ এবং মানবতার জন্য একটি উল্লেখযোগ্য ঝুঁকি। তিনি সরকারি ও বেসরকারি উভয় ক্ষেত্রকেই এই বিষয়ে একসাথে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন। ঝুঁকি থাকা সত্ত্বেও, AI চিকিৎসা, শিক্ষা এবং প্রকৌশলের মতো ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য অবদান রাখতে পারে .....বিস্তারিত পড়ুন

সম্পাদকীয়- নির্বাচনী প্রতিশ্রুতিগুলি কি জন কল্যাণের জন্য , নাকি ভোট সংগ্রহের জন্য 'উৎকোচ '?

আমরা এমন এক সময়ের মধ্য দিয়ে যাচ্ছি যখন  সরকারের ক্ষমতা নেই  সমস্ত বেকার ছেলে-মেয়েদের চাকরি দেওয়ার। তাই নির্বাচন এলেই স্টক ক্লিয়ারেন্স সেলের মত শুরু হয়ে যায় সস্তায় সবকিছু পাইয়ে দেওয়ার প্রতিযোগিতা বিভিন্ন রাজনৈতিক দলগুলির মধ্যে। রাজনৈতিক দলগুলো নির্বাচনের আগে যে প্রতিশ্রুতি দিয়ে থাকে ,বর্তমানে নির্বাচনের পর অধিকাংশ দল সরকার গঠনের সাথে সাথে সেই প্রতিশ্রুতি পূরণ করতে শুরু করে। কয়েক দশক আগে দক্ষিণের রাজ্যগুলিতে শুরু হওয়া এই প্রবণতা এখন প্রায় সারা দেশে ছড়িয়ে পড়েছে।সবচেয়ে আশ্চর্যের ব্যাপার হলো প্রতিটি দলই এ ধরনের প্রতিশ্রুতিা দেয়, তা সত্বেও একে অপরের দিকে আঙুল তোলার কোনো সুযোগ তারা হাতছাড়া করে না। খুব সম্প্রতি দিল্লীতে এবং এরপর বিহারে বিধানসভা নির্বাচন হতে চলেছে। আমআদমি পার্টি আগামী নির্বাচনকে  সামনে রেখে তাদের বেশকিছু গ্যারান্টি ঘোষণা করেছে । আমআদমি প্রধান কেজরিবালের এই বক্তব্যে কারো কি আপত্তি থাকতে পারে? যে শুনবে সে বলবে এটা একটা বুদ্ধিমানের কাজ, সব রাজনৈতিক দলগুলোরও তাই করা উচিত। কিন্তু রাজনীতি এভাবে চলে না। বিজেপি বিষয়টি নিয়ে মাঠে নেমেছে এবং কেজরিবাল সরকারর বিরুদ্ধে বেশ কিছু দুর্নীতির অভিযোগ সামনে এনেছে যদিও বিষয়টি অস্বীকার করা হয়েছে আমআদমি পার্টির পক্ষ থেকে। অন্যদিকে তারাও খোদ প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধেও দুর্নীতির অভিযোগ এনেছে সেইসাথে তারা নির্বাচনের আগে যৌতুক বিতরণের অভিযোগ এনেছে। তাই স্বাভাবিক ভাবে এই বিষয়টি নিয়ে বিতর্ক শুরু হয়েছে যে নির্বাচনী প্রতিশ্রুতিগুলি কি জনগণের কল্যাণের জন্য নাকি সেগুলি ভোট সংগ্রহের জন্য 'উৎকোচ ' বিতরণের অনুশীলন? এর আগে মহারাষ্ট্র নির্বাচনের জন্য মহাবিকাশ আঘাদি, অর্থাৎ কংগ্রেস জোটের পক্ষ থেকেও পাঁচটি গ্যারান্টি ঘোষণা করা হয়েছিল। রাহুল গান্ধী নিজেই নারীদের জন্য তিন হাজার টাকা ঘোষণা করেন।এর আগে একই ধরনের রাজনৈতিক  ঘোষণা  বিজেপি থেকে তৃণমূল কংগ্রেস সবাই করে এসেছে। এগুলি নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি  না উৎকোচ .....বিস্তারিত পড়ুন

ইমিউন সেল ব্রেকথ্রু: ক্যান্সারের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে এক নতুন সহযোগী

উত্তরাপথঃক্যান্সার গবেষণার ক্ষেত্র থেকে উঠে এসেছে রোমাঞ্চকর খবর! বিজ্ঞানীরা সম্প্রতি আমাদের ইমিউন সিস্টেমে একটি লুকানো জিনিষ আবিষ্কার করেছেন যা ক্যান্সারের চিকিৎসায় কার্যকরী হতে পারে। বিজ্ঞানীরা এই আবিষ্কারটি ইনফ্ল্যামেটরি মনোসাইট নামক এক ধরনের ইমিউন সেলের উপর করেছেন।এটি ক্যান্সার কোষকে লক্ষ্য করে টি কোষকে পুনরায় সক্রিয় করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।বিজ্ঞানীদের এই অগ্রগতি মেলানোমা, ফুসফুস, অগ্ন্যাশয় এবং কোলোরেক্টাল ক্যান্সারের মতো কঠিন ক্যান্সারের মুখোমুখি রোগীদের জন্য আরও ভাল চিকিৎসা বিকল্পের দিকে নিয়ে যেতে পারে।  ইমিউনোথেরাপি কি? ইমিউনোথেরাপি ক্যান্সার কোষের বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য শরীরের নিজস্ব ইমিউন সিস্টেম । এর ব্যবহার ক্যান্সার চিকিৎসায় গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন এনেছে। এই পদ্ধতিটি ক্যান্সারের চিকিৎসায় উল্লেখযোগ্য পথ দেখিয়েছে যা একসময় অচিকিৎসাযোগ্য বলে মনে করা হয়েছিল। কেমোথেরাপির মতো প্রথাগত পদ্ধতির পরিবর্তে, ইমিউনোথেরাপি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে বা প্রতিরোধ ব্যবস্থাকে আরও কার্যকরভাবে ক্যান্সার কোষকে চিনতে ও ধ্বংস করতে সাহায্য করে। এর সাফল্য সত্ত্বেও, ইমিউনোথেরাপি পদ্ধতিটির একটি বড় প্রতিবন্ধকতা রয়েছে: কিছু ক্যান্সার চতুরতার সাথে নিজেদের ছদ্মবেশ ধারণ করতে পারে বা এমন এক পরিবেশ তৈরি করতে পারে যা প্রতিরোধ ক্ষমতাকে দমন করে, এই সব ক্ষেত্রে চিকিৎসার এই পদ্ধতিকে কার্যকরভাবে কাজে  লাগানো কঠিন করে তোলে। উদাহরণস্বরূপ, মেলানোমা রোগীদের অর্ধেকেরও বেশি বর্তমানে ইমিউনোথেরাপির থেকে খুব কম বা অধিকাংশ ক্ষেত্রে কোন সুবিধা পান না। কেন কিছু ক্যান্সার চিকিৎসার ক্ষেত্রে এই পদ্ধতি  কার্যকর ভাবে প্রয়োগ করা সম্ভব হচ্ছে না? .....বিস্তারিত পড়ুন

সম্পাদকীয়- যখন ডিগ্রিগুলি তাদের মূল্য হারায়

আমরা এমন এক সময়ের মধ্য দিয়ে যাচ্ছি যেখানে উচ্চশিক্ষাকে সাফল্যের সোনালী সিঁড়ি হিসাবে দীর্ঘকাল ধরে করা ঘোষণা প্রশ্নের মুখে এসে দাঁড়িয়েছে।আগে যেখানে কলেজের , ডিগ্রীগুলিকে আর্থিক স্থিতিশীলতা এবং কর্মজীবনের অগ্রগতির একটি গেটওয়ে হিসাবে দেখা হত ,আজ সেই ডিগ্রীগুলিকে  কখনও কখনও কেবল কাগজের টুকরো বলে মনে হয় । যখন দেখি আমাদের আশেপাশে একটা বিরাট সংখ্যক শিক্ষিত বেকার ছেলেমেয়ে সামান্য একটা চাকরির আশায় ঘুড়ে বেড়াচ্ছে । এদের মধ্যে একটা বিরাট সংখ্যা পারিবারিক বাধ্য বাধকতার কারণে সামান্য কিছু টাকার বিনিময়ে কাজ করতে বাধ্য হচ্ছে। যা একসময় সমৃদ্ধির সর্বজনীনভাবে স্বীকৃত পথ ছিল তা এখন অর্থনৈতিক বাস্তবতায় বার বার কলেজ ডিগ্রির মূল্য প্রশ্নবিদ্ধ হচ্ছে।চাকরির বাজারের পরিবর্তন এবং নিয়োগকর্তাদের ক্রমবর্ধমান চাহিদার কঠোর আলোতে যাচাই করা হচ্ছে  কর্ম প্রার্থীদের । আজ ডিগ্রী তার দীপ্তি হারিয়েছে, প্রাথমিক কারণগুলির মধ্যে একটি হল ডিগ্রীধারীদের সাথে চাকরির বাজারের অনুপাত।আজ যে সংখ্যক ব্যক্তি কলেজ ডিগ্রি অর্জন করেছে, সেই অনুপাতে চাকরির বাজার সীমিত। তাই স্বাভাবিক ভাবেই প্রতিযোগিতা বেড়েছে।যেহেতু নিয়োগকর্তারা একটি পদের বিপরীতে প্রচুর যোগ্য প্রার্থীর আবেদন পাচ্ছেন তাই তাদের কাছে ডিগ্রির মর্যাদা গুরুত্বহীন হয়ে পড়ছে। আমরা যখন এই সমস্যার জটিলতার দিকে তাকাই, তখন এটা স্পষ্ট হয়ে যায় যে আমাদের শিক্ষাব্যবস্থার মূল ভিত্তিরই একটি উল্লেখযোগ্য সংস্কারের প্রয়োজন।কারণ ঐতিহ্যগত ডিগ্রীগুলি যাচাই-বাছাইয়ের মুখোমুখি হয়ে  অনলাইন কোর্স, কোডিং সহ বিভিন্ন বৃত্তিমূলক প্রশিক্ষণ প্রোগ্রামগুলির কাছে দিন দিন পিছিয়ে পড়ছে।সময় এসেছে দ্রুত পরিবর্তনশীল চাকরির বাজারের সাথে সঙ্গতি রেখে বিকল্প শিক্ষার পথ গ্রহণ করার।সেইসাথে প্রয়োজন ঐতিহ্যগত একাডেমিক শিক্ষাব্যবস্থা পুনঃমূল্যায়নের। .....বিস্তারিত পড়ুন

বাংলাদেশ : ধর্ম কারার প্রাচীরে বজ্র হানো

জীবনকুমার সরকার: আগস্ট মাসে বাংলাদেশের কোটা আন্দোলনের সেই বীভৎস রূপ দেখে আমরা তখনই পরিষ্কার অনুমান করেছিলাম, এই আন্দোলন বাহ্যত কোটা সংস্কারের আন্দোলন হলেও এর অভ্যন্তরীণ রূপরেখা কিন্তু ভালো হবে না। মুক্তচিন্তার মানুষ হওয়া সত্ত্বেও সে–সময় অনেকেই আমাদের সঙ্গে সহমত পোষণ করেননি। আশাকরি এখন তারা ভালো করেই বুঝে গেছেন যে, বাংলাদেশের ইতিহাস ও রাজনীতি তারা কমই বোঝেন। আগস্ট মাসের কোটা আন্দোলনের মধ্যে স্পটভাবে নেপথ্যে ছিলো ইসলামী মৌলবাদী নেতাদের অন্তর্ভুক্তি। আমাদের এখানে অনেকেই মনে করলেন এটা স্বৈরাচারিতার বিপক্ষে প্রগতি ও স্বাধীনতার পক্ষে গণ–অভ্যুত্থান। এইভাবে দেখাটা মারাত্মক ভুল ছিলো। সময় এসে সেটা বুঝিয়ে দিলো। শেখ হাসিনার আওয়ামী লীগ সরকারের যে কোনোকিছু ভুল ছিলো না, তা আমরা বলছি না। আওয়ামী লীগ সরকারের দুটো চরম দিক ছিলো। একটি দিক ছিলো কঠোরভাবে বিরোধীদের দমন করার দিক। অন্যটি হলো, উগ্র ইসলামী শক্তির সঙ্গে নানাভাবে আপস করে দমিয়ে রাখার দিক। সব মিলিয়ে তাঁর সময়েও সে–দেশের সংখ্যালঘুরা যে খুব ভালো ছিলো, তা কিন্তু নয়। ফলে হাসিনার আমলেও সংখ্যালঘুরা বিপন্নতা সবসময়ই বোধ করেছেন। আসলে আমাদের মনে রাখতে হবে, বাংলাদেশের সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষেরা সারা বছরই একটা উদ্বেগের মধ্যে বাস করে, যা হাসিনার সময়ও পরিলক্ষিত হয়। তবু একথা স্বীকার করতেই হবে, হাসিনা বাংলাদেশের ইসলামী উগ্রপন্থীদের একটা বেড়াজালে কঠোর হাতে আটকে রেখেছিলেন। স্বাধীন বাংলাদেশ ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনাবিরোধী সেইসব পাকিস্তানপন্থী মৌলবাদী শক্তির সামনে আজ আর কোনো বেড়া নেই। সীমাহীন উল্লাসে তারা আজ বাংলাদেশের রাস্তায়। বর্তমান তত্ত্বাবধায়ক সরকার সে রাস্তাকে আরও সুগম করে দিচ্ছে। তাই নব্য ’রাজনৈতিক ইসলাম’ জেগে উঠেছে .....বিস্তারিত পড়ুন

রাজকুমারী ইউরিকোর অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া টোকিও কবরস্থানে অনুষ্ঠিত হয়

উত্তরাপথঃ মঙ্গলবার টোকিওর একটি কবরস্থানে জাপানের রাজকীয় পরিবারের প্রাচীনতম সদস্য এবং সম্রাট নারুহিতোর পিসি প্রিন্সেস ইউরিকোর অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া সম্পন্ন হয়। এই মাসের শুরুতে ১০১ বছর বয়সে তিনি মারা যান।রবিবার এবং সোমবার অনুষ্ঠিত একটি শ্রদ্ধাঞ্জালি অনুষ্ঠানের পরে, টোকিওর বাঙ্কিও ওয়ার্ডের তোশিমাগাওকা কবরস্থানে রাজকীয় পরিবারের জন্যবিশেষ এক রেনসো-নো-গি নামে পরিচিত একটি শিন্টো অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছিল। তার নাতনী, রাজকুমারী আকিকো, সেবার সময় প্রধান শোককারী হিসাবে কাজ করেছিলেন। প্রায় ৫০০ জন ব্যক্তি অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, যার মধ্যে ছিলেন ক্রাউন প্রিন্স ফুমিহিতো, ক্রাউন প্রিন্সেস কিকো এবং সম্রাট নারুহিতো এবং সম্রাজ্ঞী মাসাকোর একমাত্র সন্তান প্রিন্সেস আইকো। অন্যান্য উল্লেখযোগ্য অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে ছিলেন প্রধানমন্ত্রী শিগেরু ইশিবা এবং বিভিন্ন সরকারি কর্মকর্তা।ঐতিহ্য বজায় রেখে, সম্রাট নারুহিতো, সম্রাজ্ঞী মাসাকো, সাবেক সম্রাট আকিহিতো এবং সাবেক সম্রাজ্ঞী মিচিকো অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন না। একটি পৃথক সমাবেশে, জনসাধারণের প্রায় ৯০০ জন সদস্য রাজকুমারী ইউরিকোকে শ্রদ্ধা জানাতে এসেছিলেন। প্রসঙ্গত তিনি দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময়  এবং পরবর্তী বছরগুলিতে মা ও শিশুর স্বাস্থ্যের উন্নতির জন্য নিজেকে উৎসর্গ করেছিলেন। "তিনি অনেক প্রতিকূল অবস্থার মধ্যদিয়ে গেছেন এবং সহনশীলতার সাথে সব কিছু সহ্য করেছেন।  আমি আশা করি তিনি শান্তি পাবেন," বলেছেন ৭৬ বছর বয়সী নোবুহিরো সাকাকি, একজন টোকিওর বাসিন্দা যিনি শোক সভায় অংশ নিয়েছিলেন।টোকিওর কাছাকাছি কানাগাওয়া প্রিফেকচারের হিরাতসুকা থেকে ৫৩ বছর বয়সী ইয়োকো এন্ডো মন্তব্য করেছেন, "তিনি সমবেদনা এবং শক্তির মূর্ত প্রতীক।"শিনজুকু ওয়ার্ডের একটি শ্মশানে বিকেলে দাহ করার পরে, তার ছাই কবরস্থানে তার স্বামী প্রিন্স মিকাসার পাশে একটি কবরে রাখা হয়। প্রিন্সেস ইউরিকো, জাপানি আভিজাত্যের একজন প্রাক্তন সদস্য, প্রিন্স মিকাসাকে বিয়ে করেছিলেন— .....বিস্তারিত পড়ুন

12 3 4 5 6 7 8
Scroll to Top