slider


Maria Branyas বিশ্বের সবচেয়ে বয়স্ক ব্যক্তি ১১৭ বছর বয়সে মারা গেলেন, জানুন তার দীর্ঘ জীবনের রহস্য

উত্তরাপথঃ এটা প্রায়ই বলা হয় যে বয়স শুধুমাত্র একটি সংখ্যা, কিন্তু কিছু নির্বাচিত ব্যক্তির জন্য, অবিশ্বাস্যভাবে বৃদ্ধ বয়সে পৌঁছানো কেবল ভাগ্যের চেয়ে বেশি বলে মনে হয়।বিশ্বের সবচেয়ে বয়স্ক নারী, মারিয়া ব্রানিয়াস মোরেরা (Maria Branyas)সম্প্রতি ১১৭ বছর বয়সে মারা গেছেন।গিনেস বুক অফ ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস অনুসারে, তিনি ছিলেন ইতিহাসের অষ্টম বয়স্ক ব্যক্তি (যাচাইযোগ্য বয়স সহ)। মহিলা, যিনি আশাবাদকে গ্রহণ করেছিলেন এবং স্পষ্ট নেতিবাচকতা থেকে দূরে থাকতেন, তিনি বিশ্বাস করতেন  যে এই বৈশিষ্ট্যগুলি তাকে দীর্ঘ জীবনযাপন করতে সহায়তা করেছে। প্রসঙ্গত মোরেরা (Maria Branyas)৪ মার্চ, ১৯০৭ সালে সান ফ্রান্সিসকোতে জন্মগ্রহণ করেন। মঙ্গলবার তার পরিবার  সোশ্যাল মিডিয়াতে একটি  পোস্টে মোরেরার মৃত্যুর খবর ঘোষণা করে। পরিবার জানায় , ১৯ আগস্ট তিনি মারেরা শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেছে। তিনি প্রায় ২০ বছর ধরে একটি নার্সিং হোমে বসবাস করছিলেন। মৃত্যুর কিছুক্ষণ আগে, মারেরা তার পরিবারের সাথে কথা বলার সময়, জানায়, যে তিনি এখন দুর্বল বোধ করতে শুরু করেছেন এবং বুঝতে পারছেন যে তার সময় শেষ হতে চলেছে।  মারিয়া ব্রানিয়াসের দীর্ঘায়ু গবেষকদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছিল। গবেষকরা তার জেনেটিক্স এবং লাইফস্টাইল নিয়ে গবেষণা করেছেন।গবেষকদের মতে তার রক্তে চর্বি ও চিনির পরিমাণ কম ছিল। গবেষকরা তাদের গবেষণায় দেখেছেন যে মোরেরার রক্তে চর্বি ও চিনির মাত্রা কম ছিল। উপরন্তু, তার দেহের কোষগুলি গড় ব্যক্তির তুলনায় ধীরে ধীরে বার্ধক্যের দিকে যাচ্ছিল। মোরেরার দীর্ঘ জীবনের রহস্য উন্মোচন করতে গিয়ে গবেষকরা আশ্চর্যজনকভাবে, তার দীর্ঘায়ুতে অবদান রাখার অন্যতম প্রধান কারণ হিসাবে তার জীবনে বিষাক্ত মানুষের অনুপস্থিতির কথা উল্লেখ করেছেন। .....বিস্তারিত পড়ুন

ভারতীয় তথা বিশ্বের একমাত্র আর্মলেস তীরন্দাজ শীতল দেবী আজ অনেকের কাছে অনুপ্রেরনা

উত্তরাপথঃখেলার জগৎ এমন একটি ক্ষেত্র যেখানে একজন ক্রীড়াবিদকে অধিকাংশ ক্ষেত্রে তার শারীরিক ক্ষমতা দ্বারা বিচার বিশ্লেষণ করা হয়। ভারতীয় তীরন্দাজ শীতল দেবী এক্ষেত্রে এক ব্যতিক্রম। শীতল দেবীর জীবনে সীমাবদ্ধতা থাকা সত্ত্বেও তিনি তাঁর দৃঢ়সংকল্প এবং ইচ্ছাশক্তির জোরে আজ অসাধ্য সাধন করেছে।জন্ম থেকে হাত না থাকা সত্ত্বেও, এই অসাধারণ ভারতীয় তীরন্দাজ প্রতিকূলতাকে অস্বীকার করে প্যারিস প্যারালিম্পিক ২০২৪-এ তার নিজের এক পরিচয় তৈরি করতে প্রস্তুত। জম্মু থেকে আসা, শীতলের গল্প আজ অনেকের কাছে অনুপ্রেরণা।   প্যারিস ২০২৪ প্যারালিম্পিক গেমস ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে । ১৭ বছর বয়সী ভারতীয় তীরন্দাজ শীতল দেবী এই মেগা ইভেন্টের অন্যতম প্রধান মুখ হতে চলেছেন। জম্মুর বাসীন্দা শীতল দেবী ২০০৭ সালে ফোকোমেলিয়া নিয়ে জন্মগ্রহণ করেছিলেন, এটি একটি বিরল জন্মগত ব্যাধি যা তাকে বিশ্বের খুব কম তিরন্দাজদের মধ্যে একজন করে তোলে যারা হাত ছাড়াই এই খেলায় প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারে। ছেলেবেলা থেকেই শীতল তার শারীরিক সীমাবদ্ধতা সম্পর্কে সর্বদা সচেতন ছিলেন। তবুও, তিনি কখনই তার পরিস্থিতির কাছে হার স্বীকার করেননি। অল্প বয়স থেকেই তিনি তার বন্ধু এবং ভাইবোনদের খেলাধুলার অনুশীলন করতে দেখতেন, সেই সময় থেকেই তিনি তীরন্দাজিতে আগ্রহী ছিলেন। তার বাবা-মায়ের প্রাথমিক সংশয় সত্ত্বেও, শীতল তার অনুশীলন থেকে সরে যায়নি। তার পরিবার এবং একজন নিবেদিত প্রশিক্ষকের সাহায্যে, তিনি ১২ বছর বয়সে প্রশিক্ষণ শুরু করেছিলেন। ধনুর্বিদ্যায় শিতলের অনন্য পদ্ধতির মধ্যে রয়েছে তার পা এবং মুখ ব্যবহার করে ধনুকের স্ট্রিং ধরে রাখা এবং ছেড়ে দেওয়া। এটি অপ্রচলিত মনে হতে পারে, .....বিস্তারিত পড়ুন

চাকমা উপজাতি বাংলাদেশের বৃহত্তম আদিবাসী হওয়া সত্বেও দীর্ঘ চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন

প্রীতি গুপ্তাঃ চাকমা উপজাতি বাংলাদেশের বৃহত্তম আদিবাসী সম্প্রদায়ের একটি। এদের প্রধানত বাংলাদেশের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলীয় পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চলে, এছাড়াও ভারতের ত্রিপুরা এবং মিজোরাম সহ অরুণাচল প্রদেশের তিরাপ, চাংলাং, সুবানসুরি এবং লোহিত জেলা, কার্বি-আংলাংয়ের ল্যাংসিলেট এলাকায় এবং উত্তর কাছাড় পার্বত্য জেলা , আসামের কাছাড় জেলা এবং পশ্চিমবঙ্গেও কিছু চাকমা উপজাতি পরিবার দেখা যায়।সর্বশেষ পাওয়া পরিসংখ্যান অনুসারে বাংলাদেশে চাকমাদের বর্তমান জনসংখ্যা প্রায় ৫-৬ লক্ষ, মিজোরামে ৮০,০০০ - ১০০,০০০ অরুণাচল প্রদেশে ৬০-৭০ হাজার, ত্রিপুরায় ৪০ -৫০ হাজার এবং আসামে প্রায় ৩০ হাজার। এই চাকমা উপজাতির একটি সমৃদ্ধ সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য রয়েছে, তবে এরা বছরের পর বছর ধরে অসংখ্য প্রতিকূলতার সম্মুখীন হওয়া সত্ত্বেও তারা তাদের অনন্য ঐতিহ্য ও রীতিনীতি রক্ষা করে চলেছে।চাকমা উপজাতির উৎপত্তি বর্তমান মায়ানমারের প্রাচীন আরাকান রাজ্যে বলে জানা যায়। ১৬ শতকে বার্মিজদের দ্বারা তাদের জন্মভূমি আক্রমণের পর তারা পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চলে চলে আসে। চাকমারা প্রধানত বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বী এবং তাদের ধর্মীয় অনুশীলন তাদের দৈনন্দিন জীবনের সাথে গভীরভাবে জড়িত। তবে চাকমাদের উৎপত্তিস্থল ঠিক কোথায় তা খুঁজে বের করা খুবই কঠিন। চাকমা বা প্রাচীন চাকমা ইতিহাসের উৎপত্তি সম্পর্কে ঐতিহাসিকরাও নীরব। খ্রিস্টীয় দশম শতাব্দীর আগে চাকমাদের অস্তিত্বের কোনো লিখিত তথ্যের উল্লেখ পাওয়া যায় না। হাচিনসন, ক্যাপ্টেন লইন এবং অন্যান্যদের বিবরণেও চাকমাদের উৎপত্তি সম্পর্কে সঠিক আলোকপাত করা হয়নি।তবে প্রাথমিক ভাবে শোনা কথার উপর ভিত্তি করে এবং চালিত ইতিহাসের উপর ভিত্তি করে হিন্দুরা চাকমাদের হিন্দু হিসেবে এবং মুসলমানদেরকে মোহামেডান হিসেবে দেখতেন বলে জানা যায়। অন্যদিকে চাকমা ইতিহাস, যাকে বিজাগ বলা হয় তাও  অনেক ক্ষেত্রে স্ববিরোধী বলে মনে হতে পারে। .....বিস্তারিত পড়ুন

আমেরিকান বিজ্ঞানীরা চুলের মতো পাতলা ব্যাটারি তৈরি করেছেন, যা সহজেই শরীরে বসানো যাবে  

উত্তরাপথঃআমেরিকান বিজ্ঞানীদের এক যুগান্তকারী কৃতিত্ব, তাদের একটি দল সফলভাবে নতুন ব্যাটারি তৈরি করেছে , যা মাত্র ১ মিলিমিটার দৈর্ঘ্য এবং ০.১ মিলিমিটার ব্যাস, মোটামুটি একটি মানুষের চুলের আকার। এই কমপ্যাক্ট ডিজাইনের ডিভাইসটিকে একটি ছোট ছেদের মাধ্যমে সহজেই শরীরে ঢোকানো যায়, এটি পেসমেকার, ইনসুলিন পাম্প এবং নিউরোস্টিমুলেটরগুলির মতো ইমপ্লান্টযোগ্য ডিভাইসগুলিকে পাওয়ার  দেওয়ার জন্য একটি আদর্শ সমাধান । ব্যাটারিটি "গ্রাফিন" নামক একটি বিশেষ উপাদান দিয়ে তৈরি যা অবিশ্বাস্যভাবে পাতলা এবং হালকা ওজনের, এটি শরীরের কোনো উল্লেখযোগ্য অস্বস্তি বা ক্ষতি না করেই স্থাপন করা যায়। গ্রাফিন উপাদানটিও জৈব সামঞ্জস্যপূর্ণ, যার অর্থ এটি নিরাপদে পার্শ্ববর্তী টিস্যুর সাথে যোগাযোগ করতে পারে।মিশিগান বিশ্ববিদ্যালয়ের ডক্টর মাইকেল ম্যাকঅ্যাল্পাইনের নেতৃত্বে বিজ্ঞানীদের দল কয়েক বছর ধরে এই প্রকল্পে কাজ করছেন। তারা সফলভাবে পশুরদেহের উপর এই মডেলটি পরীক্ষা করেছেন।এখন তারা মানুষের উপর ক্লিনিকাল ট্রায়ালের সাথে এগিয়ে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন।চিকিৎসকদের আশা এই প্রযুক্তি চিকিৎসা বিজ্ঞানে বিপ্লব ঘটাবে। এখন প্রশ্ন এটা কিভাবে কাজ করে? চুলের আকারের ব্যাটারি শক্তি উৎপন্ন করতে উপকরণের একটি অনন্য সমন্বয় ব্যবহার করে। গ্রাফিন উপাদান ইলেক্ট্রোড হিসাবে ব্যবহৃত হয়, যখন "সোডিয়াম অ্যাসিটেট" নামক একটি বিশেষ ধরনের লবণ ইলেক্ট্রোলাইট হিসাবে ব্যবহৃত হয়। যখন দুটি উপকরণ একত্রিত হয়, তারা একটি ছোট বৈদ্যুতিক প্রবাহ তৈরি করে যা চিকিৎসা ডিভাইসগুলিকে শক্তি দিতে ব্যবহার করা যেতে পারে। ব্যাটারিটি স্বাবলম্বী হওয়ার জন্য ডিজাইন করা হয়েছে, যার অর্থ এটি শরীরের প্রাকৃতিক শক্তির উৎস ব্যবহার করে নিজেকে রিচার্জ করতে পারে। এটি বহিরাগত চার্জিং ডিভাইসের প্রয়োজনীয়তা দূর করে, যা এটিকে রোগীদের জন্য অনেক বেশি সুবিধাজনক এবং ব্যবহারিক করে তোলে। .....বিস্তারিত পড়ুন

স্বাধীনতা সংগ্রামের অচেনা নায়িকা: ভবানী মাহাতো

উত্তরাপথঃ ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাসে সাহস এবং আত্মত্যাগের অসংখ্য কাহিনী রয়েছে যা দেশের স্বাধীনতার সংগ্রামকে এক সাফল্যের রূপ দিয়েছে। এমনই একজন অমিমাংসিত ব্যক্তিত্ব হলেন ভোবানী মাহাতো। স্বাধীনতা সংগ্রামী ভবানী মাহাতো ৩০ আগস্ট, ২০২৪-এর মধ্যরাতে ঘুমের মধ্যেই তিনি শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ১০৬ বছর। তার মৃত্যুর সাথে সাথে ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামের এক অধ্যায়ের সমাপ্তি হল। ভবানী মাহাতোর গল্প ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামের সেইসব হৃদয়বাণ মানুষদের অজানা গল্প , যারা দেশের ভাগ্য গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন।এই মানুষগুলি কখনও গুলি বোমা ছোড়েননি, রক্তক্ষয়ি কোনও সংগ্রামে অংশ নেয়নি , জেলে যাননি কিন্তু আড়াল থেকে বিপ্লবী কর্মকাণ্ডকে অক্সিজেন জুগিয়ে গিয়েছেন। ভারতীয় স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাসে এমন মানুষের সংখ্যাও নেহাত কম নয়।অথচ স্বাধীনতা সংগ্রামী হিসেবে এই মানুষগুলো কোনও সরকারি স্বীকৃতি পাননি।পুরুলিয়ার মানবাজার ১ নং ব্লকের চেপুয়া গ্রামের বাসিন্দা ভবানী মাহাতো তেমনই একজন ‘স্বাধীনতা সংগ্রামী’। কুড়মি সম্প্রদায়ের মেয়ে ভবানীদেবী। মাত্র ন’বছর বয়সে বিয়ে হয় বৈদ্যনাথ মাহাতোর সঙ্গে। ওই ছোট্ট বয়সেই ঘরকন্না, চাষের কাজ সবই একাহাতে করতে হত ভবানীদেবীকে। তার স্বামী যুক্ত ছিলেন বিপ্লবী কাজকর্মের সঙ্গে। ১৯৪২ সালের ৮ অগাস্ট মহাত্মা গাঁধী ‘ভারত ছাড়ো আন্দোলনে’র ডাক দিলেও, চেপুয়া গ্রামে সেই খবর এসে পৌঁছয় ৩০ সেপ্টেম্বর। গাঁধী আন্দোলনের ডাক দিয়েছেন শুনে ঝাঁপিয়ে পড়েন বাংলার মানুষও। বৈদ্যনাথও যোগ দেন আন্দোলনে, জেল হয় ১৩ মাসের। স্বামীর অনুপস্থিতিতেপুরো সংসারের দায়িত্ব এসে পরে ভবানী দেবীর উপর। ফসল কাটা, তা বাড়িতে তুলে আনা, মজুত করা থেকে শুরু করে   সংসারের রান্নাবান্না একাহাতেই সব সামলে ছিলেন,সেই সাথে স্বাধীনতা সংগ্রামী যারা দেশের কাজ করার জন্য বাড়ি ছেড়ে বিভিন্ন জায়গায়  আত্মগোপন করে ছিলেন তাদের খাওয়ানোর দায়িত্ব নিঃশব্দে নিজের কাঁধে তুলেনিয়েছিলেন। .....বিস্তারিত পড়ুন

দ্য গ্রেট প্লাস্টিক রাইস এবং নকল ডিম বিতর্ক: কল্পকাহিনী না সত্য ?

প্রীতি গুপ্তাঃ সাম্প্রতিক সময়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় প্লাস্টিকের চাল এবং নকল ডিমের ভিডিও ভায়রাল হয়েছে। সচেতনতা মূলক প্রচার হিসেবে অনেকেই এই ভিডিওগুলি শেয়ার করেছেন ।  এই ভিডিওগুলি কি সত্যি ? নাকি এই ভিডিওগুলি কেবল প্রচারের সরঞ্জাম যা ভুল তথ্য ছড়িয়ে দেওয়ার জন্য ডিজাইন করা হয়েছে? প্লাস্টিকের চাল এবং নকল ডিমের গুজব দীর্ঘদিন ধরে প্রচারিত হচ্ছে।সাম্প্রতি একটি YouTube ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় দেখা যাচ্ছে, যেখানে একটি কারখানায় নকল ডিম তৈরির প্রক্রিয়া ধাপে ধাপে দেখানো হচ্ছে । এখন প্রশ্ন এটা কি আসলেই নকল ডিমের অস্তিত্বের প্রমাণ?সত্য হল, এই ভিডিওগুলির মধ্যে অনেকগুলি বিশ্বাসযোগ্য নয় এবং প্রায়শই ভুল তথ্য ছড়িয়ে দেওয়ার জন্য প্রচারের সরঞ্জাম হিসাবে ব্যবহৃত হচ্ছে।এখানে যে ভিডিওটির কথা বলা হচ্ছে সেটিকে এমনভাবে উপস্থাপন করা হচ্ছে  যাতে এটিকে বাস্তব বলে মনে হয় এবং মানুষের মনে বিভ্রান্তি বাড়ায়। কিন্তু কেন এই ভিডিওগুলি এত বিশ্বাসযোগ্য হচ্ছে মানুষের কাছে ? এর প্রধান কারণ এই ধরনের ভিডিও নির্মাতারা আমাদের আবেগকে প্ররোচিত করার জন্য এবং ম্যানিপুলেট করার জন্য ভিডিও গুলিকে এই ভাবে ডিজাইন করেছে।এই ভিডিওগুলির নির্মাতারা প্রায়ই ভীতিকর কৌশল ব্যবহার করে, খাদ্য নিরাপত্তা এবং গুণমান নিয়ে আমাদের ভয় ও উদ্বেগ নিয়ে খেলা করে। তারা ভিডিওগুলিকে এমনভাবে উপস্থাপন করে যাতে সেগুলিকে বাস্তব বলে মনে হয়, তারা দর্শকদের মধ্যে তাদের তৈরি ভিডিওকে জনপ্রিয় করতে আতঙ্কের অনুভূতি তৈরি করে। এখন প্রশ্ন নকল ডিম কি সত্যি বানানো সম্ভব ? মোম বা এ–জাতীয় নানা দ্রব্য মিশিয়ে ডিমের মতো দেখতে কিছু অবশ্যই কিছু বানানো যায়।স্থানীয়ভাবে অসাধু ব্যবসায়ীরা এগুলো বিক্রি করার সময় ধরা পড়েছে, তা–ও ফেসবুকের কল্যাণে জানা যাচ্ছে, তা অতিরঙ্গিত।আসল ডিমের আনুকরনে একটি নকল ডিম তৈরিতে আসল ডিমের থেকে সেই নকল ডিমের তৈরি খরচ অনেক বেশী হবে । .....বিস্তারিত পড়ুন

Frozen Shoulder: ফ্রোজেন শোল্ডারের সমস্যা কি? এর লক্ষণ, কারণ ও চিকিৎসা জেনে নিন

উত্তরাপথঃ কাঁধে তীব্র ব্যথা এবং শক্ত হয়ে যাওয়ার সমস্যাকে ফ্রোজেন শোল্ডার বলা হয়। এই সমস্যাটি বেশ সাধারণ এবং মানুষকে প্রায়ই এর সম্মুখীন হতে হয়। ফ্রোজেন শোল্ডারের ক্ষেত্রে, কাঁধে ব্যথা হয় এবং এর সাথে কাঁধের পেশীতে একটি শক্ত অনুভূতি দেখা দেয় ।যার জেরে কাঁধ পুরোপুরি কাজ করা বন্ধ করে দেয়, এই অবস্থাকে বলা হয় ফ্রোজেন শোল্ডার। যাদের ফ্রোজেন শোল্ডারের সমস্যা আছে, তাদের কাঁধের সাথে সম্পর্কিত কোনো কাজ করা কঠিন হয়ে পড়ে। এই লোকেরা তাদের চুল আঁচড়ানো, দাঁত ব্রাশ করা, গাড়ি চালানো বা চুল শ্যাম্পু করার মতো ছোটখাটো দৈনন্দিন কাজও করতে অক্ষম হয়ে পড়ে , কারণ এটি করার সময় তারা তাদের কাঁধে তীব্র ব্যথা অনুভব করে । তাদের কাজের জন্য অন্যের সাহায্যের উপর নির্ভর করতে হয়। ফ্রোজেন শোল্ডারের সমস্যা কেন হয়? কাঁধের জয়েন্ট এবং এর চারপাশের কোষগুলি কাঁধের ক্যাপসুল হিসাবে পরিচিত। ফ্রোজেন শোল্ডারের সমস্যা সাধারণত কাঁধে প্রদাহের কারণে হয়। কাঁধের জয়েন্টের ক্যাপসুলে লিগামেন্ট থাকে যা কাঁধের হাড়কে একে অপরের সাথে ধরে রাখে। যখন ক্যাপসুল স্ফীত হয়ে যায়, তখন কাঁধের হাড়গুলি জয়েন্টে অবাধে চলাচল করতে পারে না।এর ফলে প্রচণ্ড ব্যাথা হয় এবং কাঁধের সঙ্গে সম্পর্কিত কোনো কাজ করা কঠিন হয়ে পড়ে। ফ্রোজেন শোল্ডার লক্ষণগুলি কী কী? কাঁধে ব্যথা সেই সঙ্গে কাঁধ শক্ত হওয়া। রাতে ব্যথা অনুভব করা এবং ঘন ঘন ঘুম থেকে উঠা কাঁধ বা পিঠের দিকে বাহু ঘুরানোর সময় প্রচুর ব্যথা অনুভব করা ফ্রোজেন শোল্ডারের সমস্যা কি নিরাময় হয়? ফ্রোজেন শোল্ডারের সমস্যা সাধারণত প্রথমে একদিকে কাঁধে শুরু হয় .....বিস্তারিত পড়ুন

12 3 4 5 6 7 8
Scroll to Top