slider


মানভূমে কৃষিবছরের সূচনা : আখ্যান যাত্রা ( ১ লা মাঘ )
ড. নিমাইকৃষ্ণ মাহাতঃ 'আখ্যান' কথাটির অর্থ হল সূচনা। পুরুলিয়া জেলা ও তৎসংলগ্ন অঞ্চলের মূলনিবাসী ও আদিবাসী কৃষকদের কৃষিবৎসরের সূচনা হয় আখ্যানযাত্রা অর্থাৎ ১লা মাঘ। 'যাত্রা' কথাটির অর্থ হলো শুভ বা পবিত্র। কৃষকেরা আখ্যান্ দিন অর্থাৎ ১ লা মাঘ দিনটিকে খুবই শুভ ও পবিত্র বলে মনে করে । তাই এই দিনটিকে ' আখ্যানযাত্রা ' নামে অভিহিত করা হয় । এই পবিত্র দিনে কৃষকেরা নানাবিধ শুভ কর্মের সূচনা করে । এই দিন অনেকে গৃহ নির্মাণের সূচনা করে , নতুন গৃহের প্রথম 'গুড়িচটানো ' ( ভিত কাটা) আরম্ভকরে। কৃষকেরা বিশ্বাস করে যে আখ্যান দিনে সূচনা হওয়া গৃহে বসবাস করলে সংসারের সমৃদ্ধি ঘটবে এবং কোনদিন অভাব হবে না। আখ্যান যাত্রার দিনে আচরণীয় সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কৃষিকেন্দ্রিক অনুষ্ঠানটি হলো 'হাল পুণহা' করা। ঐদিন সকাল থেকে ঘরের মহিলারা ঘর -দোর, উঠান পরিষ্কার করে এবং গোবর জল লেপন করে । ঘর এবং উঠানে আঁকা হয় মাঙ্গলিক চিহ্নস্বরূপ আলপনা এবং মা লক্ষ্মীর পদচিহ্ন । এইভাবে কৃষক পরিবারে সেদিন একটি বিশুদ্ধ পরিবেশ গড়ে তোলা হয়। এই বিশুদ্ধ পরিবেশে নতুন ফাল , হাল, পাশি, জোৎ, বিয়নি ইত্যাদি উপকরণ সহযোগে নতুন কৃষি বৎসরের প্রথম দিনে প্রথম হাল .....বিস্তারিত পড়ুন


Dhaka-Chennai: বাড়ছে চিকিৎসার সুযোগ ঢাকা-চেন্নাই রুটে সরাসরি ফ্লাইট চালু
উত্তরাপথঃআকাশ পথে যাত্রী চাহিদা বিবেচনা রুট বাড়াচ্ছে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স। সম্প্রতি জাপানের নারিতা, চায়নার গুয়াংজুর ফ্লাইট চালুর পর এবার গন্তব্য ভারতের চেন্নাই।গত ১৬ ডিসেম্বর শনিবার থেকে চালু হয়েছে ঢাকা থেকে ভারতের চেন্নাই বিমানের সরাসরি ফ্লাইট। ঢাকা ও চেন্নাইয়ের (Dhaka-Chennai) মধ্যে সরাসরি ফ্লাইট কেবল অসুস্থ মানুষদের মধ্যে চিকিৎসার সুযোগ বাড়াচ্ছে না,এটি যাত্রীদের জন্য উল্লেখযোগ্য সময় ও খরচ সাশ্রয় করছে। সেইসাথে লেওভার বা সংযোগকারী ফ্লাইটের প্রয়োজনীয়তা দূর করছে, যাত্রীরা এখন দ্রুত এবং আরও দক্ষতার সাথে তাদের গন্তব্যে পৌঁছাতে পারছে।বর্তমানে সপ্তাহে তিন দিন এই রুটে যাতাযাত করবে বোয়িং-সেভেন থ্রি সেভেন মডেলের উড়োজাহাজ। ভবিষ্যতে যাত্রীদের চাহিদা বিবেচনা করে এই রুটে ফ্লাইট সংখ্যা বাড়া্তে পারে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স।বিমানে সরাসরি ঢাকা-চেন্নাই (Dhaka-Chennai )ফ্লাইটে যাওয়া-আসার ভাড়া - ২৬ হাজার থেকে ৬১ হাজার টাকা পর্যন্ত। .....বিস্তারিত পড়ুন


তিন "C" এর শহর তালসেরি
প্রিয়াঙ্কা দত্তঃ ভারতের কেরালায় আছে ' City of 3C s ' বা তিন C এর শহর। জানা আছে, এই তিন C আসলে কি? এরা হলো ক্রিকেট, কেক আর সার্কাস (Cricket Cake and Circus) । এই তিন তিনটি বিষয়েই প্রথম স্থান অর্জনের লেবেল সেঁটে বসে আছে যে শহর, তার নাম তালসেরি (পূর্ব নাম তেলিচেরি)। মালাবার উপকূলে অবস্থিত এই বন্দর শহরটির ঝুলিতে আছে আরও অনেক রকম তকমা। এটি হলো কেরালায় একমাত্র ও প্রথম হেরিটেজ শহর।আসুন শিক্ষা, সংস্কৃতি ও শিল্পে সমৃদ্ধ এই শহরটির অন্দরে প্রবেশ করি। আরব সাগরের তীরে এই শহরটি গড়ে ওঠে আনুমানিক ১৬৮৩ সালে। ভারতীয় মশলা রপ্তানীর জন্য এই তেলিচেরী তেই প্রথম ঘাঁটি গেড়ে বসে ইংরেজরা। যার নিদর্শন স্বরূপ শতাব্দী প্রাচীন একটি দূর্গ আছে এখানে। যা প্রথমে মশলা সংরক্ষণের জন্য গুদামের কাজ করলেও পরে ঔপনিবেশিক শাসনের কেন্দ্র হিসেবে ও কাজ করছে। ফরাসী, পর্তুগিজ, ব্রিটিশ এর মত বিভিন্ন জাতির সংস্কৃতিক মেলবন্ধন এই শহরকে আরও সমৃদ্ধ করে তুলেছে । .....বিস্তারিত পড়ুন


স্বামীজীর প্রাচ্য পাশ্চাত্যের আলোকে ধর্ম
গৌতম কুমার দাঁঃ সৃষ্টির সেই ঊষালগ্ন থেকেই মানুষ যখনই প্রকৃতির রোষানলে পড়েছে তখনই আরাধনায় ব্রতী হয়েছে সেই সব অসীম শক্তির। সময়ের বিবর্তনে ধীরে ধীরে সেইসব শক্তি গুলি বৈদিক ঋষিদের দ্বারা রূপ লাভ করলো দেব শক্তিতে। লক্ষ্য করলে দেখা যায় বিভিন্ন পুরাণে যে সকল দেবতা বা দেবীর কথা উল্লেখ রয়েছে তাঁরা প্রাকৃতিক শক্তিরই বিভিন্ন রূপ। ঋষিগণ বিভিন্ন বিশষণে বিশেষিত করে তাঁদের মহিমা সাধারণ মানুষকে বোঝাতে চেয়েছেন। যে শক্তি অসীম অনন্ত সেই সব শক্তি গুলিকে তাঁরা কখনো বুদ্ধি রূপে, কখনো শান্তি রূপে,কখনো শক্তি রূপে, লক্ষ্মীরূপে বিভিন্ন ভাবে উপসনার জন্য অখণ্ড অনন্ত শক্তিকে খণ্ড খণ্ড রূপ দান করলেন। ত্রিকালঞ্জ ঋষিগণ উপলব্ধি করেছিলেন প্রকৃতির যেসব শক্তির দ্বারা মানুষ প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে উপকৃত হচ্ছেন সেইসব শক্তিকে মানুষের উচিৎ শ্রদ্ধা জানানো, তাঁদের বিভিন্ন অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে স্মরণ করা এবং তাঁদের প্রয়োজনীয়তা উপলব্ধি করা। .....বিস্তারিত পড়ুন


Fast Radio Bursts (FRBs): এক মহাজাগতিক ধাঁধা
ড. সায়ন বসুঃ মহাবিশ্বের বিশাল এবং রহস্যময় বিস্তৃতির রহস্য উন্মোচন করতে গিয়ে জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা একটি ঘটনাতে বেশ খানিকটা হোঁচট খেয়েছেন বলা যেতে পারে যা তাদের কৌতূহলকে বিমোহিত করেছে এবং তাদের কিছুটা বিভ্রান্ত করেছে - রহস্যময় ফাস্ট রেডিও বার্স্টস (Fast Radio Bursts) বা FRBs। জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা এর উপস্থিতি টের পেয়েছেন গত দুই দশকে FRB একটি ক্ষণস্থায়ী এবং গভীর স্থান থেকে উদ্ভূত বেতার তরঙ্গের তীব্র বিস্ফোরণ। এর সংক্ষিপ্ততা সত্ত্বেও, এই মহাজাগতিক সংকেতগুলি প্রচুর পরিমাণে শক্তি বহন করে, এবং তাদের উৎস আধুনিক জ্যোতির্বিজ্ঞানের সবচেয়ে আকর্ষণীয় ধাঁধাগুলির মধ্যে একটি। আজকের সংখ্যায় ফাস্ট রেডিও বার্স্টের আবিষ্কার, বৈশিষ্ট্য এবং এদের সম্ভাব্য উৎস বোঝার যে নিরন্তর প্রয়াস তারদিকে আলোকপাত করা হল| একটি ফাস্ট রেডিও বার্স্ট-এর প্রথম সনাক্তকরণ ২০০৭ সালের দিকে, যখন জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা ২০০১ সালে সংগৃহীত ডেটা পুনরায় নতুন করে দেখেছিলেন। অস্ট্রেলিয়ার পার্কস রেডিও টেলিস্কোপ মাত্র কয়েক মিলিসেকেন্ড স্থায়ী একটি অদ্ভুত বিস্ফোরণের সঙ্কেতকে সনাক্ত করেছিল .....বিস্তারিত পড়ুন


মকর পরব ও কৃষিসংস্কৃতি
ড . নিমাইকৃষ্ণ মাহাতঃ মকরপরব হল মানভূমের অন্যতম কৃষিকেন্দ্রিক লোকউৎসব । প্রকৃতপক্ষে মকর পরব হল ফসল তোলার আনন্দ উৎসব । সমগ্র অগ্রাহায়ন মাসে কঠোর পরিশ্রম করে এই অঞ্চলের কৃষকেরা ক্ষেতের ধান কেটে খামারজাত করে । তারপর পৌষ মাসে খামারে ধান ঝেড়ে সেই ধান কুচুড়ি ( পুড়া ), মরাই বা বস্তাতে ভরে সঞ্চিত করে রাখে বছর ভর খাওয়া , পরবর্তী চাষের মরশুমে কাজে লাগানো ও অন্যান্য কাজের জন্য । এইসব কঠোর পরিশ্রমধর্মী কাজের শেষে পৌষ সংক্রান্তিতে কৃষকের মনে এক অদ্ভুত আনন্দের সঞ্চার হয়। এই সময় কৃষকদের মনে একদিকে ফসল তোলার ( মূলত আমন ধান ) আনন্দ , অন্যদিকে চাষের কাজ থেকে সাময়িক বিরতি তথা অবসর- যাপনের ও আনন্দ- বিনোদনের এক অপূর্ব অনুভূতি কাজ করে - যার চূড়ান্ত বহিঃপ্রকাশ দেখা যায় মকর পরবে । তাই, মানভূমে মকর পরব কে পুরোপুরি কৃষিজড়িত উৎসব বলা যায়। ড. সুকুমার সেন মকর পরব কে 'শস্য উৎসব' হিসাবেই উল্লেখ করেছেন। তিনি বলেছেন ' টুসু উৎসব তিষ্য নক্ষত্রে অনুষ্ঠিত শস্যোৎসবের প্রবহমান ধারা।' মানভূমে মকর পরব বলতে টুসু পার্বণকেই বোঝায়। .....বিস্তারিত পড়ুন


Renewable Energy র ব্যবহার বাড়াতে হবে এশিয়াকে বৈশ্বিক উষ্ণতাকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে
উত্তরাপথঃ সম্প্রতি জার্মান থিঙ্কট্যাঙ্ক দ্বারা প্রকাশিত একটি রিপোর্টে বলা হয়েছে বৈশ্বিক উষ্ণতাকে ১.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসে (২.৭ ডিগ্রি ফারেনহাইট) সীমিত করার লক্ষ্য পূরণ করতে, নয়টি প্রধান এশিয়ান অর্থনীতিকে ২০৩০ সালের মধ্যে নবায়নযোগ্য শক্তি (Renewable Energy) থেকে প্রাপ্ত বিদ্যুতের অংশ বর্তমানে ৬% থেকে কমপক্ষে ৫০% বৃদ্ধি করতে হবে।বার্লিন-ভিত্তিক অ্যাগোরা এনার্জিওয়েন্ডের গবেষকদের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে এই নবায়নযোগ্য শক্তির(Renewable Energy) প্রায় এক তৃতীয়াংশ বায়ু এবং সৌর শক্তি থেকে আসা উচিত এছাড়াও জলবিদ্যুৎ এবং অন্যান্য পরিষ্কার উৎস এবং অবশিষ্টাংশ জীবাশ্ম জ্বালানী । গবেষণায় ইন্দোনেশিয়া এবং ভিয়েতনামের মতো উন্নয়নশীল দেশগুলির শক্তি পরিকল্পনা বিশ্লেষণ করা হয়েছে যেখানে শক্তির চাহিদা দ্রুত বাড়ছে এবং জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়ার মতো ধনী দেশ যেখানে মাথাপিছু গ্রিনহাউস গ্যাস নির্গমনের মাত্রা সবচেয়ে বেশি রয়েছে।এছাড়াও গবেষণায় উঠে এসেছে বিশ্বের বৃহত্তম কার্বন নিঃসরণকারী দেশ চীন বা অন্য প্রধান অবদানকারী দেশ ভারতের প্রসঙ্গ । .....বিস্তারিত পড়ুন