slider


অষ্টগ্রহের মিলন

ডঃ সায়ন বসুঃ এক ঐতিহাসিক মহাজাগতিক ঘটনার সাক্ষী হতে চলেছে পৃথিবীবাসী। রাতের আকাশে একসঙ্গে সৌরজগতের সমস্ত গ্রহকে দেখতে পাওয়ার অনন্য অভিজ্ঞতা হতে চলেছে আমাদের। ২০২৫ সালে, রাতের আকাশে সৌরজগতের সমস্ত গ্রহকে একসঙ্গে দেখার বিরল সুযোগ রয়েছে। জানুয়ারি মাসের শেষ সপ্তাহ থেকে ফেব্রুয়ারি মাসের মাঝামাঝি পর্যন্ত এই মহাজাগতিক দৃশ্য উপভোগ করা যাবে। বিশেষ করে, ২৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ তারিখে একটি "গ্রহ প্যারেড" (Planetary Parade) ঘটবে, যেখানে বুধ, শুক্র, মঙ্গল, বৃহস্পতি, শনি, ইউরেনাস, এবং নেপচুন একসঙ্গে আকাশে সারিবদ্ধ হবে। এই সময়, শুক্র, মঙ্গল, বৃহস্পতি, এবং শনি খালি চোখে দেখা যাবে, তবে ইউরেনাস এবং নেপচুন দেখতে দূরবীন বা টেলিস্কোপের প্রয়োজন হবে। শুক্র গ্রহ সবচেয়ে উজ্জ্বল থাকবে, এরপর বৃহস্পতি ও শনি। মঙ্গল তার স্বাভাবিক কমলা আভা নিয়ে দৃশ্যমান হবে। এই মহাজাগতিক দৃশ্য উপভোগ করতে, সূর্যাস্তের পরপরই পর্যবেক্ষণ শুরু করা উচিত, কারণ এই সময় গ্রহগুলি সবচেয়ে ভালোভাবে দেখা যায়। আলো দূষণ কম এমন স্থানে গিয়ে আকাশ দেখলে অভিজ্ঞতাটি আরও মনোরম হবে।  এই ঘটনা, যা একদিকে বিজ্ঞানীদের জন্য গবেষণার এক অসাধারণ সুযোগ, অন্যদিকে জ্যোতির্বিজ্ঞানে আগ্রহী সাধারণ মানুষের কাছে এক গভীর আকর্ষণ, সারা পৃথিবী জুড়ে উৎসাহের জন্ম দিয়েছে। সৌরজগতের গ্রহগুলি তাদের নিজ নিজ কক্ষপথে ঘুরতে থাকে এবং প্রতিটি গ্রহের কক্ষপথের সময়কাল ভিন্ন। ফলে, একসঙ্গে সমস্ত গ্রহকে একই সময়ে আকাশে দেখা যাওয়ার ঘটনা অত্যন্ত বিরল। এই বিশেষ পরিস্থিতি ঘটে যখন গ্রহগুলি তাদের নিজ নিজ কক্ষপথে এমনভাবে অবস্থান করে যে, পৃথিবী থেকে দেখলে তারা একই সরলরেখায় বা একই কোণে অবস্থান করছে বলে মনে হয়। মঙ্গল, শুক্র, বৃহস্পতি, শনি এবং বুধের মতো উজ্জ্বল গ্রহগুলিকে সহজেই খালি চোখে দেখা যাবে। এই গ্রহগুলির উজ্জ্বলতা এবং আকাশে তাদের অবস্থান নির্ভর করছে সূর্যের আলো প্রতিফলনের ওপর। এই মহাজাগতিক দৃশ্যের সময়কাল সংক্ষিপ্ত হতে পারে, তাই এটি দেখার জন্য একটি নির্দিষ্ট সময়ে প্রস্তুতি নেওয়া প্রয়োজন। .....বিস্তারিত পড়ুন

বাংলাদেশ : ধর্ম কারার প্রাচীরে বজ্র হানো

জীবনকুমার সরকার: আগস্ট মাসে বাংলাদেশের কোটা আন্দোলনের সেই বীভৎস রূপ দেখে আমরা তখনই পরিষ্কার অনুমান করেছিলাম, এই আন্দোলন বাহ্যত কোটা সংস্কারের আন্দোলন হলেও এর অভ্যন্তরীণ রূপরেখা কিন্তু ভালো হবে না। মুক্তচিন্তার মানুষ হওয়া সত্ত্বেও সে–সময় অনেকেই আমাদের সঙ্গে সহমত পোষণ করেননি। আশাকরি এখন তারা ভালো করেই বুঝে গেছেন যে, বাংলাদেশের ইতিহাস ও রাজনীতি তারা কমই বোঝেন। আগস্ট মাসের কোটা আন্দোলনের মধ্যে স্পটভাবে নেপথ্যে ছিলো ইসলামী মৌলবাদী নেতাদের অন্তর্ভুক্তি। আমাদের এখানে অনেকেই মনে করলেন এটা স্বৈরাচারিতার বিপক্ষে প্রগতি ও স্বাধীনতার পক্ষে গণ–অভ্যুত্থান। এইভাবে দেখাটা মারাত্মক ভুল ছিলো। সময় এসে সেটা বুঝিয়ে দিলো। শেখ হাসিনার আওয়ামী লীগ সরকারের যে কোনোকিছু ভুল ছিলো না, তা আমরা বলছি না। আওয়ামী লীগ সরকারের দুটো চরম দিক ছিলো। একটি দিক ছিলো কঠোরভাবে বিরোধীদের দমন করার দিক। অন্যটি হলো, উগ্র ইসলামী শক্তির সঙ্গে নানাভাবে আপস করে দমিয়ে রাখার দিক। সব মিলিয়ে তাঁর সময়েও সে–দেশের সংখ্যালঘুরা যে খুব ভালো ছিলো, তা কিন্তু নয়। ফলে হাসিনার আমলেও সংখ্যালঘুরা বিপন্নতা সবসময়ই বোধ করেছেন। আসলে আমাদের মনে রাখতে হবে, বাংলাদেশের সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষেরা সারা বছরই একটা উদ্বেগের মধ্যে বাস করে, যা হাসিনার সময়ও পরিলক্ষিত হয়। তবু একথা স্বীকার করতেই হবে, হাসিনা বাংলাদেশের ইসলামী উগ্রপন্থীদের একটা বেড়াজালে কঠোর হাতে আটকে রেখেছিলেন। স্বাধীন বাংলাদেশ ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনাবিরোধী সেইসব পাকিস্তানপন্থী মৌলবাদী শক্তির সামনে আজ আর কোনো বেড়া নেই। সীমাহীন উল্লাসে তারা আজ বাংলাদেশের রাস্তায়। বর্তমান তত্ত্বাবধায়ক সরকার সে রাস্তাকে আরও সুগম করে দিচ্ছে। তাই নব্য ’রাজনৈতিক ইসলাম’ জেগে উঠেছে .....বিস্তারিত পড়ুন

ভাত: এশিয়ার ডায়াবেটিস সংকটের একটি সম্ভাব্য সমাধান

উত্তরাপথঃ বিজ্ঞানীরা এশিয়ায় ক্রমবর্ধমান ডায়াবেটিসের হারের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সাহায্য করার উপায় হিসাবে কম গ্লাইসেমিক ইনডেক্স (কম জিআই) চাল অন্বেষণ করছেন, যা সাদা চালের বেশী ব্যবহারের সাথে যুক্ত।ইন্টারন্যাশনাল রাইস রিসার্চ ইনস্টিটিউট (আইআরআরআই) এবং ম্যাক্স প্ল্যাঙ্ক ইনস্টিটিউটের একটি সমীক্ষা দলের মতে যে কম জিআই চাল ডায়াবেটিসের বিরুদ্ধে একটি কার্যকর হাতিয়ার হতে পারে, বিশেষ করে এশিয়ায়। টাইপ ২ ডায়াবেটিস বিশ্বব্যাপী একটি প্রধান স্বাস্থ্য সমস্যা, ২০২১ সালে ৫৩৭ মিলিয়নেরও বেশি লোককে প্রভাবিত করে এবং এই সংখ্যা ২০৪৫ সালের মধ্যে ৭৮০ মিলিয়নেরও বেশি হতে পারে। এশিয়াতে, চিনিযুক্ত পানীয়, প্রক্রিয়াজাত খাবার এবং পরিশোধিত কার্বোহাইড্রেটের উচ্চ গ্রহণের কারণে সমস্যাটি আরও খারাপ হয়েছে।এক্ষেত্রে পালিশ করা সাদা চাল উচ্চ ডায়াবেটিসের ঝুঁকির সাথে যুক্ত। লো-জিআই চাল কী? টাইপ ২ ডায়াবেটিস দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে, বিশেষ করে নিম্ন ও মধ্যম আয়ের দেশগুলিতে, এশিয়া জনপ্রতি সবচেয়ে বেশি চাল খায়। উচ্চ গ্লাইসেমিক ইনডেক্স (জিআই) সহ সাদা চালের উচ্চ ব্যবহার ডায়াবেটিসের ঝুঁকির সাথে যুক্ত। কম GI চাল আরও ধীরে ধীরে হজম হয়, যার ফলে রক্তে শর্করার মাত্রা তীক্ষ্ণ স্পাইকের পরিবর্তে ধীরে ধীরে বৃদ্ধি পায়, এটি একটি স্বাস্থ্যকর বিকল্প হিসাবে তৈরি করে। ঐতিহ্যগত সাদা চালের সাধারণত উচ্চ GI (70-94) থাকে, যখন কম GI চালের লক্ষ্য থাকে GI-এর নিচে 55-এর নিচে। চ্যালেঞ্জ হল এমন চাল তৈরি করা যা এখনও সুস্বাদু এবং উচ্চ-ফলনশীল। লো-জিআই চালের অগ্রগতি গবেষকরা এখন ধানের জাত প্রজনন করছেন যেগুলি কম জিআই এবং উচ্চ প্রোটিন উভয়ই। তারা হজমের সময় গ্লুকোজ নিঃসরণকে ধীর করার জন্য প্রতিরোধী স্টার্চের মতো কিছু উপাদান বাড়াচ্ছে। নতুন প্রজনন কৌশল বিজ্ঞানীদের ফলন বা স্বাদ না হারিয়ে কম জিআই সহ ধানের স্ট্রেন তৈরি করার অনুমতি দিচ্ছে। .....বিস্তারিত পড়ুন

 ভেষজ চামড়ার চমক

 প্রিয়াঙ্কা দত্ত : ভেষজ চামড়া বা নিরামিষ চামড়া তাও আবার হয় নাকি ?! যেন অনেকটা সোনার পাথর বাটির মতো শোনাচ্ছে । কিন্তু সত্যি সত্যিই এমনটি সম্ভব হয়েছে কিছু শুভবুদ্ধি সম্পন্ন মানুষের চেষ্টা আর উন্নত প্রযুক্তির হাত ধরে।  প্রাণিজ চামড়ার বদলে এখন গাছ-গাছালির বিভিন্ন অংশ থেকে তৈরি হচ্ছে ভেগান চামড়া যা প্রাণীজ চামড়ার মতোই সুদৃশ্য ও টেকসই। বর্তমানে এর ক্রমবর্ধমান চাহিদা ও ব্যবহার নিশ্চয়ই সাসটেইনেবল ডেভেলপমেন্ট এর পথে আমাদেরকে অনেক দূর এগিয়ে দেবে । প্রাচীনকাল থেকে মানুষ নিজের প্রয়োজনে বিভিন্নভাবে ব্যবহার করে আসছে জীবিত অথবা মৃত পশুকে । এমনকি পশুর হাড় ,মাংস ,চামড়া, শিং, নখ সমেত প্রায় সবকিছুই আমরা এখনো ব্যবহার করে আসছি সাড়ম্বরে। তার জন্য পশু হত্যাও হয়ে চলেছে নির্বিচারে। বর্তমানে প্রতি বছর প্রায় এক বিলিয়ন পশু হত্যা করা হয় শুধুমাত্র চামড়ার যোগান দেবার জন্য । গরু, মোষ, শূকর এরা তো আছেই সঙ্গে নানান বিপন্ন প্রাণী যেমন কুমির ,বাঘ, গন্ডার ,তিমি, শীল মাছ এদেরকেও মেরে ফেলা হচ্ছে সের্ফ চামড়া চাহিদা পূরণের জন্য । সেই চামড়া দিয়ে তৈরি হচ্ছে ব্যাগ ,জুতো ,জ্যাকেট, ঘর সাজানোর জিনিস আরো কত কি! শুধুমাত্র কিছু মানুষের স্টাইল স্টেটমেন্ট বাঁচিয়ে রাখার তাগিদে প্রাণ যাচ্ছে বেচারা পশুদের।শুধু তাই নয় ,যারা পরিবেশ সচেতন তারা জানে কি পরিমান ক্ষতিকর রাসায়নিক ব্যবহার করা হয় চামড়া শিল্পে। ফলে মারাত্মকভাবে দূষিত হয় জলসম্পদ । এছাড়া কার্বন ফুটপ্রিন্টের পরিমাণও এক্ষেত্রে অনেক বেশি । এই বর্বরতা আর দূষণের মাত্রা কমাতে আগ্রহী কিছু মানুষ সহজ ও পরিবেশ বান্ধব সমাধান নিয়ে কাজ করতে শুরু করেন। বিভিন্ন উদ্ভিদের ফেলে দেওয়া অংশ থেকে শুরু হয় চামড়া নির্মানের কাজ। ধীরে ধীরে তার উপযোগিতা ও প্রয়োজন পৃথিবীর মানুষ বুঝতে পারে। শুরু হয় ব্যবসায়িক ভিত্তিতে তার উন্নতি সাধনের চেষ্টা। নিরামিষ চামড়া প্রথমবার সফলতার সাথে তৈরি হয় আপেলের খোসা থেকে ২০০৪ সালে ইতালিতে। এর পর ধীরে ধীরে বৃদ্ধি পায় এর পরিধি। ছত্রাক থেকে প্রস্তুত চামড়া " মাইলো " কোম্পানি ব্যবহার করে জুতো প্রস্তুত করতে। .....বিস্তারিত পড়ুন

মানভূমে ধান সংক্রান্ত লোকবিশ্বাস

নিমাইকৃষ্ণ মাহাতঃ সাবেক মানভূম তথা অধুনা পুরুলিয়া জেলা ও তৎসংলগ্ন অঞ্চলের মূলনিবাসী ও আদিবাসী মানুষেরা মূলত কৃষিনির্ভর । এই অঞ্চলে কৃষিকাজ বলতে প্রধানত আমন ধানের চাষাবাদকেই বোঝায় । তাই, ধানকে কেন্দ্র করে এই অঞ্চলের মানুষের মধ্যে নানা ধরনের লোকাচার ও লোকবিশ্বাস গড়ে উঠেছে ‌। ধানকেন্দ্রিক লোকবিশ্বাসগুলি এখানকার কৃষকদের নিজস্ব সত্তায় জড়িত রয়েছে । তাই , ধানকেন্দ্রিক লোকবিশ্বাসগুলি এই অঞ্চলে কৃষিসংস্কৃতির অঙ্গ হয়ে উঠেছে । এ বিষয়ে এতদ্ অঞ্চলে প্রচলিত কয়েকটি ধানকেন্দ্রিক লোকবিশ্বাসের দৃষ্টান্ত দেওয়া যেতে পারে- ১ ) ধানের বীজবপন সংক্রান্ত প্রচলিত লোকবিশ্বাস : পুরুলিয়া জেলা ও তৎসংলগ্ন অঞ্চলে সাধারণত জ্যৈষ্ঠ মাসে কৃষি ক্ষেত্রে ধানের চারা তৈরির জন্য ধানের বীজ বপন করা হয় । বিশেষ করে এই অঞ্চলে অপেক্ষাকৃত রুক্ষ , শুষ্ক , পাথুরে জমিতে বা পাহাড় , ডুংরির ঢালে আইস্যা ধান বা গোড়া ধান জ্যৈষ্ঠ মাসে বা আষাঢ় মাসের শুরুতে বোনা হয় । ক্ষেতে  ধানের বীজ ফেলার আগে ওই ধানের সঙ্গে কিছুটা রোহিন মাটি (  রোহিনের সময় অর্থাৎ ১৩ ই জ্যৈষ্ঠ ক্ষেত থেকে যে মাটি আনা হয় ) ও মধু মিশিয়ে দেওয়া হয় ।    এ বিষয়ে প্রচলিত লোকবিশ্বাস হল যে মধু ও রোহিন মাটি মেশানোর ফলে ধানের বীজ থেকে তৈরি চারা গাছের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে এবং পোকামাকড়ের আক্রমণ থেকে চারাগাছ নিজেকে রক্ষা করতে পারবে ।   আবার , অনেকেই নিমপাতা চিবোতে চিবোতে কৃষি ক্ষেত্রে ধানের বীজ বপন করে । কেউ কেউ ক্ষেতের মধ্যে বীজ বপনের সময় নিমপাতা না চিবিয়ে ধানের বীজ বপনের শেষে বাড়িতে এসে নিমপাতা দিয়ে ফ্যান ভাত খায়।   এ সম্পর্কে প্রচলিত লোকবিশ্বাসটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ ও বিজ্ঞানভিত্তিক । নিমপাতা রোগ প্রতিরোধক ও জীবাণুনাশক । বীজ ধান অনেক দিন ধরে সংরক্ষিত থাকে বলে বর্ষার শুরুতে বীজ ধানের মধ্যে নানা ধরনের পোকা ও জীবাণু সৃষ্টি সম্ভাবনা থেকে যায় । .....বিস্তারিত পড়ুন

Porphyrion: মহাজাগতিক ব্ল্যাক হোল জেটের বিস্ময়কর আবিষ্কার

ড. সায়ন বসুঃ সম্প্রতি জ্যোতির্বিজ্ঞানের ক্ষেত্রে একটি অবাক করা আবিষ্কার ঘটেছে, যা মহাবিশ্বের গঠন এবং তার বিকাশ সম্পর্কিত আমাদের ধারণাকে নতুনভাবে চ্যালেঞ্জ করছে। নেদারল্যান্ডসের LOFAR (Low-Frequency Array) রেডিও তরঙ্গ ডিটেক্টরের নেটওয়ার্ক ব্যবহার করে গবেষকরা আবিষ্কার করেছেন একটি নতুন ব্ল্যাক হোল জেট সিস্টেম, যার নামকরণ করা হয়েছে Porphyrion। LOFAR একটি অত্যাধুনিক রেডিও টেলিস্কোপ নেটওয়ার্ক যা কম ফ্রিকোয়েন্সি রেডিও তরঙ্গ পর্যবেক্ষণ করতে সক্ষম। এই নেটওয়ার্কের মাধ্যমে মহাজাগতিক ঘটনাগুলির গভীর পর্যবেক্ষণ করা হয়, যা সাধারণত চোখে না দেখা যায়। LOFAR একটি নেটওয়ার্ক ভিত্তিক টেলিস্কোপ, যা নেদারল্যান্ডসের পাশাপাশি ইউরোপের বিভিন্ন দেশে বিস্তৃত। এতে নেদারল্যান্ডসের ছাড়াও যুক্তরাজ্য, জার্মানি, ফিনল্যান্ড, এবং সুইডেনের কয়েকটি স্থানে রেডিও অ্যন্টেনা রয়েছে। এইভাবে, LOFAR একটি ভার্চুয়াল সুপারটেলিস্কোপ হিসেবে কাজ করে, যা বিশ্বের বিভিন্ন অংশে অবস্থিত ডেটা সংগ্রহ করে বিশ্লেষণ করতে সক্ষম। LOFAR রেডিও তরঙ্গের মধ্যে এমন সংকেত গ্রহণ করেছিল, যা প্রমাণ করেছিল যে মহাবিশ্বের এক বিশাল অঞ্চলে শক্তিশালী এবং বিস্তৃত ব্ল্যাক হোল জেটের অস্তিত্ব রয়েছে। এই পর্যবেক্ষণগুলি পর্যালোচনা করার পর, বিজ্ঞানীরা বুঝতে পেরেছিলেন যে এই জেট সিস্টেমটি অতীতের বৃহত্তম জেট সিস্টেমগুলির তুলনায় অনেক বেশি বিস্তৃত এবং শক্তিশালী। গ্রীক পুরাণের এক বিদ্রোহী দৈত্যের নামানুসারে এই সিস্টেমটির নামকরণ করা হয়েছে। এই ব্ল্যাক হোল জেট সিস্টেমটি বর্তমানে জানা সবচেয়ে বড়, যার আকার পূর্ববর্তী রেকর্ডধারী ব্ল্যাক হোল জেটের তুলনায় প্রায় ৭ মিলিয়ন আলোকবর্ষ বেশি বিস্তৃত। .....বিস্তারিত পড়ুন

জানেন কি ডার্ক চকোলেট ডায়াবেটিসের ঝুঁকি কমাতে পারে

উত্তরাপথঃ হার্ভার্ডের টি.এইচ. চ্যান স্কুল অফ পাবলিক হেলথ চকলেট প্রেমীদের মন ভাল করার মত খবর প্রকাশ করেছেন।তাদের মতে ডার্ক চকোলেট টাইপ ২ ডায়াবেটিসের ঝুঁকি ২১% কমাতে সাহায্য করতে পারে,তবে এই উপকারিতা দুধ চকোলেটের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য নয়। প্রধান গবেষক বিঙ্কাই লিউ (Binkai Liu) একজন ডক্টরাল ছাত্র, ব্যাখ্যা করেন, "আমাদের গবেষণার ফলাফলগুলি দেখায় যে সমস্ত চকোলেট এক নয় ৷ তবে চকোলেট প্রেমীদের জন্য, ডার্ক চকলেট বেছে নেওয়া আপনার স্বাস্থ্যের উন্নতির একটি সহজ উপায় হতে পারে।"৪ ডিসেম্বর The BMJ-এ প্রকাশিত এই গবেষণার লক্ষ্য ছিল চকোলেট এবং ডায়াবেটিসের মধ্যে বিভ্রান্তিকর সম্পর্ক স্পষ্ট করা। এর আগের অনেক গবেষণায় দেখা গেছে যে গবেষকরা কিন্তু ডার্ক চকলেট এবং দুধের চকোলেটের মধ্যে পার্থক্য করেনি। নতুন এই গবেষণায় গবেষকরা নার্সেস হেলথ স্টাডিজ এবং হেলথ প্রফেশনালস ফলো-আপ স্টাডিতে প্রায় ১৯২,০০০ প্রাপ্তবয়স্কদের থেকে ৩৯ বছরের বেশি ডেটা বিশ্লেষণ করেছেন। তারা অংশগ্রহণকারীদের খাদ্যাভাস, ডায়াবেটিসের অবস্থা এবং ওজন দেখেছিল। গবেষণার শেষে, প্রায় ১৯,০০০ অংশগ্রহণকারীদের টাইপ ২ ডায়াবেটিস তৈরি হয়েছিল। যারা তাদের চকলেট খাওয়ার কথা বলেছেন, তাদের মধ্যে ডায়াবেটিসের প্রায় ৫,০০০ কেস উল্লেখ করা হয়েছে. ডার্ক চকোলেটের উপকারিতা গবেষণায় দেখা গেছে যে যারা প্রতি সপ্তাহে কমপক্ষে পাঁচ আউন্স চকলেট উপভোগ করেছেন তাদের মধ্যে টাইপ ২ ডায়াবেটিস হওয়ার ঝুঁকি ১০% কম ছিল। ডার্ক চকোলেটের জন্য, প্রভাবটি আরও বেশি তাৎপর্যপূর্ণ ছিল: যারা সপ্তাহে অন্তত পাঁচটি করে ডার্ক চকলেট খেয়েছেন তাদের ঝুঁকি ২১% কম ছিল। তদুপরি, প্রতি সপ্তাহে খাওয়া প্রতিটি ডার্ক চকলেটের  জন্য, ডায়াবেটিসের ঝুঁকি ৩% হ্রাস পেয়েছিল। অন্যদিকে, দুধের চকোলেট খাওয়া কোনো স্বাস্থ্য উপকারিতা গবেষণায় দেখায়নি। বেশীরভাগ ক্ষেত্রে দীর্ঘমেয়াদী ওজন বৃদ্ধির সাথে যুক্ত ছিল টাইপ ২ ডায়াবেটিস। .....বিস্তারিত পড়ুন

12 3 4 5 6 7 8
Scroll to Top