slider


প্রধানমন্ত্রী মোদি 'র বক্তব্য আজ POSTECH এবং KIST এর বিজ্ঞানীদের দ্বারা প্রমানিত

গার্গী আগরওয়ালা মাহাতোঃ বেশ কয়েক বছর আগে প্রধানমন্ত্রী মোদি World Bio Fuel Day’র উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে একটি গল্প বলেছিলেন – প্রধানমন্ত্রী বলেন, তিনি খবরে পড়েছেন - একজন চা-বিক্রেতার নিকটবর্তী নর্দমা থেকে নির্গত  দাহ্য গ্যাসের চা তৈরিতে বুদ্ধিমান ব্যবহার সম্পর্কে। তিনি বলেন, চা-বিক্রেতা একটি বাসন উল্টে , একটি গর্ত কেটে পাইপ বসিয়ে নর্দমা থেকে বেরিয়ে আসা গ্যাস ব্যবহার করে চা তৈরি করেন । চা বিক্রেতার এত সহজ প্রযুক্তিতে প্রধানমন্ত্রী বিস্মিত হয়েছিলেন। যখন আমাদের প্রধানমন্ত্রী নর্দমা হতে নির্গত গ্যাসকে জ্বালানিতে রূপান্তরিত করার ধারণাটি উল্লেখ করেছিলেন, আমি সহ, অনেকের কাছে এটি অবিশ্বাস্য ছিল। সব থেকে বেশী  উল্লেখযোগ্য ছিল, মোদির মন্তব্যে বিভিন্ন গণমাধ্যমে রাজনৈতিক নেতাদের প্রতিক্রিয়া। রাহুল গান্ধীর থেকে কেজরিয়াল সবাই ফলাও করে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের বিরোধিতা শুরু করেন। সমানতালে মিডিয়াগুলিও লেগে পড়ে প্রধানমন্ত্রীর সমালোচনায়। সেদিন রাজনৈতিক দলগুলি প্রধানমন্ত্রীর বৈজ্ঞানিক সাক্ষরতার দুর্বলতা নিয়ে একাধিক প্রশ্ন তুলেছিল। মিডিয়াগুলিও একাধিক কভারেজ এই তথ্য নিয়ে প্রকাশ করেছিল। .....বিস্তারিত পড়ুন

GW230529 - মহাকর্ষীয় তরঙ্গের নতুন ঠিকানা !

ড. সায়ন বসুঃ আলবার্ট আইন্সটাইন এক শতক আগে তাঁর সাধারণ আপেক্ষিকতাবাদে যে মহাকর্ষীয় তরঙ্গের কথা বলে গিয়েছিলেন বর্তমানে বিজ্ঞানীরা তা হাতেকলমে প্রমাণ করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। ২০১৫ সালে প্রথমবার এই তরঙ্গের সন্ধান পান Advanced Laser Interferometer Gravitational-Wave Observatory (LIGO বা লাইগো)-এর বিজ্ঞানীরা। লাইগো লেজার রশ্মিগুলিকে লম্ব পথে বিভক্ত করে মহাকর্ষীয় তরঙ্গ সনাক্ত করে, তাদের প্রতিফলিত করে আয়না থেকে দূরে অবস্থিত কিলোমিটার এবং তারপরে তাদের পুনরায় সংযুক্ত করে। কোটি কোটি কিলোমিটার দূর থেকে আসা মহাকর্ষীয় তরঙ্গ, লেজার রশ্মি দ্বারা পরিভ্রমণ করা দূরত্বে সামান্য পরিবর্তন ঘটায়। এই ভাবে লাইগো, দুটি ব্ল্যাক হোলের একত্রিত হওয়ার মতো মহাজাগতিক ঘটনা সনাক্ত করে। ২০১৫ সালে GW150914-কে চিহ্নিত করা থেকে ২০২৩ সালে GW230529 এর সন্ধান, এর মাঝে আরোও অনেক মহাকর্ষীয় তরঙ্গের সন্ধান পেয়েছেন লাইগোর বিজ্ঞানীরা। .....বিস্তারিত পড়ুন

CSDS-Lokniti Pre-poll Survey: বেকারত্ব ও মুদ্রাস্ফীতি এই নির্বাচনে সবচেয়ে বড় ইস্যু হতে চলেছে

সমীক্ষা বিশ্লেষণে গার্গী আগরওয়ালা মাহাতোঃ নির্বাচনের ফলাফলের ভবিষ্যদ্বাণী করা প্রাক-নির্বাচন সমীক্ষার প্রধান কাজ।এটি ভোটারদের ভোট দেওয়ার উদ্দেশ্য সম্পর্কে মূল্যবান তথ্য প্রদান করতে পারে, যা নির্বাচনের ফলাফলের পূর্বাভাস দিতে সাহায্য করতে পারে অনেক ক্ষেত্রে।কিন্তু এই প্রসঙ্গে একটি বিষয় গুরুত্বপূর্ণ তাহল আজ পর্যন্ত কোনও প্রাক-নির্বাচন সমীক্ষা ১০০ শতাংশ সঠিক প্রমানিত হয়নি। সম্প্রতি সামনে এসেছে সিএসডিএস-লোকনীতির(CSDS-Lokniti)প্রাক-নির্বাচন সমীক্ষা।  এই সমীক্ষা অনুসারে, এবারের নির্বাচনে ভোটারদের কাছে সবচেয়ে বড় ইস্যূ হতে চলেছে বেকারত্ব। যখন সমীক্ষা করা হয় সেই সময় লোকদের জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল যে তাদের সবচেয়ে বড় সমস্যা কী, ২৭ শতাংশ মানুষ বলেছেন বেকারত্ব তাদের কাছে সবচেয়ে বড় সমস্যা।প্রসঙ্গত এটি অত্যন্ত দুর্ভাগ্য জনক হলেও সত্যি যে আজ পর্যন্ত আমাদের দেশের প্রায় প্রতিটি নির্বাচনে গরীব বা বেকারত্ব ইস্যুই প্রধান নির্বাচনের ইস্যূ হলেও আজ পর্যন্ত সেই সমস্যার সমাধান হয়নি। ১৯৭১ সালে ইন্দিরা গান্ধী স্লোগান দিয়েছিলেন ‘গরিবী হঠাও’। সেই থেকে ২০২৪ পর্যন্ত প্রতিটি নির্বাচনে এটি একটি প্রধান ইস্যূ হিসেবে উঠে এলেও বাস্তবে এই সমস্যার সমাধান হয়নি।স্বাধীনতার পর থেকে আজ পর্যন্ত আমাদের দেশে প্রতিটি রাজনৈতিক দলই প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ ভাবে দেশ শাসন ক্রেছেন,কিন্তু এই সমস্যার সমাধান হয়নি। নির্বাচন আসে নির্বাচন যায় .....বিস্তারিত পড়ুন

Peter Higgs: চলে গেলেন হিগস-বোসন কণার প্রস্তাবক, ৯৪ বছর বয়সে

উত্তরাপথঃ‘হিগস বোসন কণার প্রস্তাবক’ পদার্থবিজ্ঞানী পিটার হিগস (Peter Higgs) গত ৮ এপ্রিল ২০২৪ সালে ৯৪ বছর বয়সে মারা যান। উত্তরাপথের পক্ষ থেকে পক্ষ থেকে তাঁর প্রতি রইল বিনম্র শ্রদ্ধা। হিগস এডিনবার্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের তাত্ত্বিক পদার্থবিজ্ঞানের অধ্যাপক ছিলেন এবং তার যুগান্তকারী কাজের জন্য ২০১৩ সালে তিনি পদার্থবিজ্ঞানে নোবেল পুরস্কার লাভ করেন।পিটার হিগস বহু বছর ধরে এডিনবার্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ছিলেন। হিগস বোসন, যা "ঈশ্বর কণা" হিসাবে পরিচিত, কণা পদার্থবিজ্ঞানের স্ট্যান্ডার্ড মডেলের একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। এটি অন্যান্য সমস্ত কণাকে তাদের ভর দেওয়ার জন্য দায়ী এবং এটি মহাবিশ্বের একটি মৌলিক বিল্ডিং ব্লক। হিগস প্রথম ১৯৬০-এর দশকে এই অধরা কণাটির অস্তিত্বের কথা  বলেছিলেন। এরপর ২০১২ সালে সুইজারল্যান্ডের CERN গবেষণাগারের বিজ্ঞানীরা লার্জ হ্যাড্রন কোলাইডারের সাথে পরিচালিত পরীক্ষার মাধ্যমে এর অস্তিত্ব নিশ্চিত করতে সক্ষম হন।পদার্থবিজ্ঞানে তার অবদানের পাশাপাশি, হিগস তার নম্রতা এবং বিনয়ের জন্য পরিচিত ছিলেন। তার নোবেল পুরষ্কার জয়ের সাথে আসা প্রচুর খ্যাতি এবং স্বীকৃতি সত্ত্বেও, তিনি একটি সংরক্ষিত এবং অসামান্য ব্যক্তিত্ব ছিলেন, তিনি তার ব্যক্তিগত প্রশংসা শোনার পরিবর্তে তার কাজের দিকে মনোনিবেশ করতে বেশী পছন্দ করতেন। .....বিস্তারিত পড়ুন

বাবা সাহেব ভীমরাও আম্বেদকর এই সংবিধানকে পুড়িয়ে ফেলতে চেয়েছিলেন।কিন্তু কেন?

উত্তরাপথঃ হাতে গোনা আর কদিন বাকি,দেশবাসী পালন করতে চলেছে ডক্টর ভীমরাও রামজি আম্বেদকরের ১৬৩ তম জন্মবার্ষিকি। ডঃ আম্বেদকর  ভারতের সংবিধানের অন্যতম স্রষ্টা। সেইসাথে তিনি একজন বিস্ময়কর চিন্তাবিদ, সমাজকর্মী এবং মহান নেতা ছিলেন। জীবনের গুরুত্বপূর্ণ সময়ে তিনি দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য কাজ করেছেন।বাবা সাহেব ভীমরাও আম্বেদকর ১৪ এপ্রিল ১৮৯১ সালে মহারাষ্ট্রের একটি দলিত পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি তার অধ্যয়ন জীবনে অনেক সংগ্রামের মুখোমুখি হয়েছিলেন, কিন্তু তার কঠোর পরিশ্রম, তার চমৎকার শিক্ষা এবং তার অনন্য মনোযোগ তাকে একজন বিশিষ্ট চিন্তাবিদ করে তুলেছিল।তিনি দেশের সকল শ্রেণী, বর্ণ ও ধর্মের মানুষের স্বার্থে সমাজে সমতা, ন্যায়বিচার ও অধিকারের দাবি নিশ্চিত করতে সংবিধান প্রণয়ন করেছিলেন। সংবিধান মূলত যেকোনো দেশের সর্বোচ্চ পাঠ্য।এটি সেই বই যার উপর দেশের সাংবিধানিক কাঠামো টিকে আছে।সহজ কথায়, এটি এমন একটি বই যাতে দেশের সামাজিক, রাজনৈতিক ও বিচার ব্যবস্থাকে নির্দেশনা দেওয়ার জন্য নিয়মাবলী লেখা হয়েছে। .....বিস্তারিত পড়ুন

টোকিওতে বসন্তকাল মানেই চেরি ফুল দেখা, বাইরে যাওয়া, খাওয়া, পান করার এক সুযোগ

প্রীতি গুপ্তাঃ টোকিওতে বসন্তকাল মানেই চেরি ফুল, যা জাপানি ভাষায় সাকুরা নামে পরিচিত। জাপানীদের জীবনে এই সুন্দর গোলাপী এবং সাদা ফুল বাইরে যাওয়া, খাওয়া, পান এবং আনন্দ করার এক সুযোগ এনে দেয়। বর্তমানে এটি একটি জাপানি সংস্কৃতিতে পরিণত হয়েছে।"ফুল দেখা"র এই সংস্কৃতি জাপানিদের জীবনে ‘হানামি’ নামে পরিচিত।এর আকর্ষণ জাপানে সব বয়সের লোকেদের কাছে সমান ভাবে রয়েছে।এই বছর টোকিও সাকুরা (চেরি ব্লসম) ৩১ মার্চ, ২০২৪-এর কাছাকাছি থেকে শুরু হবে বলে আশা করা হচ্ছে। জাপানে চেরি ব্লসম উপভোগ করার জন্য এই জায়গাগুলি গুরুত্বপূর্ণ। এই জায়গাগুলিতে আপনি আপনার পরিবারের সাথে ভালোভাবে ‘হানামি’ (ফুল দেখার অভিজ্ঞতা) লাভ করতে পারবেন।এই সূক্ষ্ম গোলাপী ফুলের ক্ষণস্থায়ী সৌন্দর্য শতাব্দী ধরে জাপানিরা উদযাপিত করে আসছে। হানামি বা চেরি ব্লসম দেখার ঐতিহ্য জাপানের একটি প্রিয় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। প্রতি বছর, হাজার হাজার স্থানীয় এবং পর্যটকরা ফুল ফোটা চেরি গাছের প্রশংসা করতে এবং সেই চেরি ফুলের নীচে পিকনিক উপভোগ করতে শহর জুড়ে পার্ক, বাগান এবং রাস্তায় নেমে আসে। .....বিস্তারিত পড়ুন

মানভূমের প্রবাদে চৈত্র মাস ( মধুমাস ) 

নিমাইকৃষ্ণ মাহাতঃ মানভূমের কৃষিভাবনায় চৈত্র মাস বা মধুমাসের বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে । এই সময় এখানকার আবহাওয়া সাধারণত রুক্ষ-শুষ্ক থাকে । তাই , এই ধরনের আবহাওয়ায় কোন ধরনের ফসলের চাষ সম্ভব তা প্রবাদের মধ্য দিয়ে প্রকাশিত হতে দেখা যায় । যেমন- আখ ,আদা , পুই এ তিন চৈতে রুই। দীর্ঘ জীবন-অভিজ্ঞতা থেকেই মানভূমের কৃষক এই সিদ্ধান্তে পৌঁছেছে । কৃষিক্ষেত্র একজন কৃষকের কাছে   Open-Air- Laboratory . মানভূমে   চৈত্র মাসকে কেন্দ্র করে এই ধরনের আরো অনেক কৃষিপ্রবাদ , খনার বচন , ডাক- এর বচন ইত্যাদি প্রচলিত রয়েছে। এছাড়া চৈত্র মাসে মানভূমে নানা ধরনের লোক-পার্বণ অনুষ্ঠিত হয় । যেমন - ছাতুপরব , ভক্তা ঘুরা , শিবের গাজন ইত্যাদি । কাজেই মানভূমের চৈত্র মাস বা মধুমাসকে কেন্দ্র করে নানা ধরনের কৃষিপ্রবাদের প্রচলন দেখা যায় ।এখানে সেগুলির কয়েকটি উল্লেখ করা হল - ১)চৈতেতে খর খর , বৈশাখে ঝড় পাথর ।  জ্যৈষ্ঠেতে তারা  ফুটে , তবে জানবে  বর্ষা বটে । চৈত্র মাসে খর রৌদ্র বিরাজ করলে , বৈশাখ মাসে শিলাবৃষ্টি হলে এবং জ্যৈষ্ঠ মাসে মেঘমুক্ত আকাশে তারা ফুটে থাকলে সেই বছর বর্ষাকালে ভালো বৃষ্টি হওয়ার খুবই সম্ভাবনা থাকে। .....বিস্তারিত পড়ুন

12 3 4 5 6 7 8
Scroll to Top