slider


মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র কি আগামী দিনে বিজ্ঞানের সুপার পাওয়ার থাকবে ?
উত্তরাপথঃ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র দীর্ঘদিন ধরে বৈজ্ঞানিক গবেষণা এবং উদ্ভাবনে একটি নেতা হিসাবে স্বীকৃত।তবে , বিশেষ করে ডোনাল্ড ট্রাম্পের নির্বাচনের মতো রাজনৈতিক পরিবর্তনের পরিপ্রেক্ষিতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র তার সেই মর্যাদা বজায় রাখতে বা বাড়াতে পারে কিনা তা নিয়ে প্রশ্ন ইতিমধ্যে উঠতে শুরু করেছে।যদিও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সম্প্রতি চীন থেকে ক্রমাগত প্রতিযোগিতার সম্মুখীন। সাম্প্রতিক বছরগুলিতে, মার্কিন যুক্তষ্ট্র ২০ শতকের মাঝামাঝি থেকে শুরু হওয়া একটি প্রবণতা অব্যাহত রেখে অন্য যেকোনো দেশের তুলনায় বিজ্ঞানে বেশি নোবেল পুরস্কার জিতেছে। উল্লেখযোগ্যভাবে, ২০২০ সালে, আমেরিকান ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানিগুলি ভ্যাকসিন তৈরিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিল যা একটি বড় মহামারী নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করেছিল।এছাড়াও ক্যালিফোর্নিয়ার একটি স্টার্ট-আপ যুগান্তকারী AI টুল ChatGPT প্রবর্তন করে কৃত্রিম মেধা তৈরিতে বিপ্লব ঘটিয়েছে। এই বছর, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র গবেষণা ও উন্নয়নে (R&D) প্রায় $১ ট্রিলিয়ন বিনিয়োগ করবে বলে আশা করা হচ্ছে, যা অন্য যেকোনো দেশের চেয়ে বেশি। এই দেশের গবেষণাগারগুলি বিশ্বজুড়ে গবেষকদের আকর্ষণ করে,মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে বিদেশী বংশোদ্ভূত ব্যক্তিরা বিজ্ঞান, প্রযুক্তি, প্রকৌশল এবং ওষুধে (STEM) কর্মশক্তির ৪৩% তৈরি করে। এখন দেখার নতুন রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হওয়ার পর পরিস্থিতি কোন দিকে যায়। বৈজ্ঞানিক সম্প্রদায়ের কিছু ব্যক্তি ইতিমধ্যেই উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন যে আগামী দিনে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র গবেষণা ও উন্নয়নে তার বরাদ্দ কমাতে চলেছে। অন্যদিকে চীন তার গবেষণা ও উন্নয়নে বরাদ্দ বাড়িয়ে ইতিমধ্যে বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বৈজ্ঞানিক ক্ষেত্রে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে ছাড়িয়ে যাচ্ছে। . ইউএস ন্যাশনাল একাডেমি অফ সায়েন্সেসের প্রেসিডেন্ট মার্সিয়া ম্যাকনাট সাম্প্রতিক বক্তৃতায় এই সমস্যাটিকে নিয়ে মন্তব্য করেছেন, এই বলে যে আমেরিকান বিজ্ঞান পিছিয়ে পড়ছে বলে মনে করা হচ্ছে। গবেষণার জন্য সীমিত অর্থায়ন, বিজ্ঞানের ক্রমবর্ধমান রাজনীতিকরণ এবং বিতর্কিত অভিবাসন বিতর্কের মতো সমস্যাগুলি এর জন্য দায়ী। .....বিস্তারিত পড়ুন


ভাষার জন্য প্রাণ
ড. সায়ন বসুঃ "আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো, একুশে ফেব্রুয়ারি আমি কি ভুলিতে পারি।। ছেলে হারা শত মায়ের অশ্রু গড়া এ ফেব্রুয়ারি আমি কি ভুলতে পারি" এই অমর লাইনগুলির রচয়িতা যিনি সেই আবদুল গাফ্ফার চৌধুরী ১৯৫২ সালের ২১ ফেব্রুয়ারী ঢাকা মেডিকেল কলেজে গিয়েছিলেন আহত ছাত্রদের দেখতে। এঁরা ছিলেন সেই সব ছাত্র যারা নিজের মাতৃভাষার জন্যে লড়াই করেছিলেন। ১৯৫২ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি ঢাকায় ছাত্রদের মিছিলে গুলি চালালে শহীদ হন সালাম, বরকত, রফিক, জব্বার, শফিউরসহ নাম না জানা অনেক ছাত্র। তৎকালীন ঢাকা কলেজের ছাত্র ও দৈনিক সংবাদের অনুবাদক আবদুল গাফ্ফার চৌধুরী যখন ঢাকা মেডিকেলের বহির্বিভাগে ঢোকেন, দেখতে পান সেখানে পড়ে আছে জগন্নাথ কলেজের ছাত্র ভাষা শহীদ রফিকউদ্দিন আহমদের মরদেহ। ১৪৪ ধারা ভেঙে যখন ছাত্র-জনতা মিছিল নিয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের হোস্টেল প্রাঙ্গণে আসে পুলিশ তখন গুলি চালায়। রফিকউদ্দিন মাথায় গুলিবিদ্ধ হয়ে পড়ে যান এবং ঘটনাস্থলেই শহীদ হন। মেডিকেল হোস্টেলের ১৭ নম্বর রুমের পূর্বদিকে তার মরদেহ পড়ে ছিল। ৬-৭ জন ভাষা আন্দোলন কর্মী তার মরদেহ এনাটমি হলের পেছনের বারান্দায় এনে রাখেন। রফিকউদ্দিনের মরদেহ দেখে আবদুল গাফ্ফার চৌধুরীর মনে হয়েছিল, এটি যেন তার আপন ভাইয়েরই রক্তমাখা মরদেহ। এ সময়ই তার মনের আল্পনায় ভেসে এসেছিল কবিতার দুটি ছত্র যা এই লেখার শুরুতে উল্লেখ করা হয়েছে । হাসপাতালের বাইরে তখন ছাত্র-জনতার ভিড়। ঠিক তখনই বন্ধু সৈয়দ আহমদ হোসেনের সঙ্গে দেখা হয় আবদুল গাফ্ফার চৌধুরীর। সৈয়দ আহমদ হোসেন তাকে জিজ্ঞেস করলেন, ‘মিছিলে ছিলেন?’ আবদুল গাফ্ফার চৌধুরী বললেন, ‘ছিলাম। কিন্তু গুলি শুরু হলে মেডিকেল হোস্টেলে চলে গেলাম। একটা মরদেহও দেখে এলাম বারান্দায়।’ একইসঙ্গে আবদুল গাফ্ফার চৌধুরী কবিতার প্রসঙ্গটিও বললেন। সৈয়দ আহমদ হোসেন কবিতার প্রথম ছত্র শুনে আবদুল গাফ্ফার চৌধুরীর হাত চেপে বললেন, ‘খুব ভালো হয়েছে। এই কবিতাটির বাকি অংশ এখনই লিখে ফেলুন না।’ এর পরের .....বিস্তারিত পড়ুন


ফুসফুসের ক্যান্সারে ন্যানোস্কেল পরীক্ষা অনেক মানুষের জীবন বাঁচাতে পারে
উত্তরাপথঃ গবেষকরা একটি অতি সংবেদনশীল ন্যানোস্কেল সেন্সর তৈরি করেছেন যা শ্বাসে আইসোপ্রিনের মাত্রা সনাক্ত করতে সক্ষম, যা ফুসফুসের ক্যান্সারের জন্য একটি বায়োমার্কার বা ফুসফুসের ক্যান্সারের সূচক হিসাবে কাজ করতে পারে। Pt@InNiOx নামক সেন্সরটি বিশেষ প্ল্যাটিনাম-ভিত্তিক ন্যানোক্লাস্টারগুলিকে পর্যবেক্ষণ করতে করে এবং অবিশ্বাস্যভাবে নিম্ন স্তরে আইসোপ্রিন সনাক্ত করতে পারে, প্রতি বিলিয়নে মাত্র ২ অংশ – যা এটিকে আগের সেন্সরগুলির তুলনায় আরও কার্যকর করে তোলে৷ কিভাবে শ্বাস স্বাস্থ্য সমস্যা প্রকাশ করতে পারে আমাদের শ্বাসে বিভিন্ন রাসায়নিক উপাদান রয়েছে যা আমাদের স্বাস্থ্য সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য প্রদান করতে পারে, যার মধ্যে ফুসফুসের ক্যান্সারের মতো রোগের জন্য চিহ্নিতকারী উপাদানও রয়েছে। যদি চিকিৎসকদের কাছে এই পদার্থগুলি সহজে সনাক্ত করার জন্য সরঞ্জাম থাকে তবে তারা আগেই রোগ নির্ণয় করতে পারেন এবং চিকিৎসার ফলাফল উন্নত করতে পারে। এসিএস সেন্সর জার্নালে ৬ নভেম্বর প্রকাশিত একটি সাম্প্রতিক গবেষণায়, বিজ্ঞানীরা এই নতুন ধরণের সেন্সর সম্পর্কে তথ্য প্রকাশ করেছেন। এটি সফলভাবে ফুসফুসের ক্যান্সারে আক্রান্ত ব্যক্তিদের শ্বাস-প্রশ্বাসে আইসোপ্রিনের মাত্রায় পরিবর্তন সনাক্ত করেছে। এই গবেষণাটি বিশেষ করে সময়োপযোগী, কারণ নভেম্বর মাসকে ফুসফুসের ক্যান্সার সচেতনতা মাস হিসাবে ধরা হয়। শ্বাস সনাক্তকরণের পিছনে বিজ্ঞান যখন আমরা শ্বাস ছাড়ি, তখন আমরা অন্যান্য যৌগের সাথে জলীয় বাষ্প এবং কার্বন ডাই অক্সাইডের মতো বিভিন্ন গ্যাস নির্গত করি। এর মধ্যে, নিম্ন স্তরের আইসোপ্রিন একটি সম্ভাব্য ফুসফুসের ক্যান্সার নির্ণয়ের ইঙ্গিত দিতে পারে।এই ধরনের যন্ত্রের মাধ্যমে স্তরে সঠিকভাবে আইসোপ্রিন সনাক্ত করতে, বিশেষ সেন্সর প্রয়োজন, যা আমাদের শ্বাসের অন্যান্য রাসায়নিক থেকে আইসোপ্রিনকে আলাদা করতে সক্ষম হবে .....বিস্তারিত পড়ুন


কেন আমাদের মনে হয় আমরা যা জানি সব ঠিক, অন্যরা ভুল
উত্তরাপথঃ একটি সাম্প্রতিক সমীক্ষা প্রকাশ করে যে একটা বড় অংশের লোক তাদের সিদ্ধান্ত এবং মতামতের উপর অত্যধিক আত্মবিশ্বাসী কারণ তারা বিশ্বাস করে যে তাদের কাছে সেই নির্দিষ্ট বিষয় সম্পর্কে যথেষ্ট তথ্য আছে, এমনকি তা না থাকলেও। এটি প্রায়শই একজন ব্যক্তিকে একজন বন্ধু বা সহকর্মীর সাথে মতানৈক্যের ক্ষেত্রে নিজেকে সঠিক বলে ভাবায় । সম্প্রতি একটি নতুন গবেষণা দেখিয়েছে যে কেন আমরা সব সময় নিজেদের সঠিক বলে ভাবি। ওহিও স্টেট ইউনিভার্সিটির অ্যাঙ্গাস ফ্লেচার সহ গবেষকরা দেখেছেন যে লোকেরা প্রায়শই বিবেচনা করে না যে কোনও বিষয়ে সঠিক সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য তাদের আরও তথ্যের প্রয়োজন হতে পারে কি না। তারা যা জানে তার ভিত্তিতে তারা সিদ্ধান্ত নেয় এবং মনে করে যে তাদের কাছে যা তথ্য রয়েছে এটি যথেষ্ট।গবেষণাটি আজ (৯ অক্টোবর) PLOS ONE জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে। গবেষণাপত্রে প্রকাশিত সমীক্ষায়, ১২৬১ আমেরিকান জল সমস্যার সম্মুখীন একটি কাল্পনিক স্কুল সম্পর্কে পড়ে। এরপর তারা তিনটি দলে বিভক্ত হয়ে যায়। ১. একটি দল জলের চাহিদার উপর ভিত্তি করে স্কুলগুলিকে একীভূত করার জন্য যুক্তিগুলি পড়ে ৷ ২. অন্য একটি দল স্কুলকে আলাদা রাখার পক্ষে যুক্তি পড়ে।৩. একটি তৃতীয় দল উভয় পক্ষের সমস্ত যুক্তি পড়ে। ফলাফলগুলি দেখায় যে যারা যুক্তির শুধুমাত্র একটি দিক পড়েছেন তাদের মধ্যে আত্মবিশ্বাস সবচেয়ে ছিল । তারা কোনও বিষয়ে মতামত দেওয়ার আগে তাদের কাছে সেই বিষয়ে যথেষ্ট তথ্য রয়েছে এই আত্মবিশ্বাস ছিল। প্রকৃতপক্ষে, যাদের কাছে শুধুমাত্র আংশিক তথ্য রয়েছে তারা প্রায়শই তাদের চেয়ে বেশি আত্মবিশ্বাসী ছিল যাদের কাছে সমস্ত তথ্য ছিল।এমনকি যখন তারা পুরো ঘটনাটি জানত না, তারা বিশ্বাস করেছিল যে তাদের সিদ্ধান্ত সঠিক ছিল।মজার বিষয় হল,, কিছু অংশগ্রহণকারী যারা প্রাথমিকভাবে শুধুমাত্র একটি পক্ষ পড়েছিল .....বিস্তারিত পড়ুন


আর্কটিক সাগরে একটি অত্যাশ্চর্য আবিষ্কার
উত্তরাপথঃ এমআইটি এবং নরওয়েজিয়ান সমুদ্রবিজ্ঞানীরা সম্প্রতি ক্যাপেলিন স্পনিং ঋতুতে নরওয়ের বাইরে সমুদ্র অধ্যয়ন করার সময় একটি অবিশ্বাস্য ঘটনা আবিষ্কার করেছেন। সাধারণ ভাবে ক্যাপেলিন,হল এক ধরনের সামুদ্রিক মাছ যা আকারে ১৩ থেকে ২০ সেন্টিমিটার লম্বা এবং ৪০ থেকে ৪৫ গ্রাম পর্যন্ত ওজন হতে পারে।তাদের ডিম পাড়ার জন্য প্রতি ফেব্রুয়ারিতে আর্কটিক বরফের প্রান্ত থেকে নরওয়ের উপকূলে কোটি কোটি সংখ্যায় তারা মাইগ্রেট করে।এই অভিবাসন তাদের প্রধান শিকারী আটলান্টিক কডকে আকর্ষণ করে। এখন অবধি, বিজ্ঞানীরা এই শিকারী-শিকারের মিথস্ক্রিয়াটি এত বড় আকারে অধ্যয়ন করেননি।উন্নত সোনার ইমেজিং ব্যবহার করে, গবেষকরা একটি রেকর্ড-ব্রেকিং ইভেন্ট ক্যাপচার করেছেন এবং নেচার কমিউনিকেশনস বায়োলজি তে তাদের গবেষণার ফলাফল শেয়ার করেছেন। তারা দেখেছিল যে বিক্ষিপ্ত ক্যাপেলিন জড়ো হতে শুরু করে, দশ পর্যন্ত প্রসারিত একটি বিশাল ক্ষেত্র তৈরি করছে। প্রতিক্রিয়া হিসাবে, কড পাশাপাশি তাদের নিজস্ব বিশাল গোষ্ঠী তৈরি করেছে ।এর পরে যা ছিল একটি খাওয়ানোর উন্মাদনা—কড ক্যাপেলিন শোলকে ছাড়িয়ে গিয়েছিল, অল্প সময়ের মধ্যে তারা ১০ মিলিয়নেরও বেশি মাছ খেয়ে ফেলেছিল। এই পরিবেশগত "হটস্পট" আর্কটিক মহাসাগরে শিকারী-শিকার মিথস্ক্রিয়াগুলির একটি রেকর্ড-ব্রেকিং ঘটনা, যা প্রথম গবেষকদের নজরে আসে। ঘটনাটি, বিশাল সংখ্যায় হলেও, সামগ্রিকভাবে ক্যাপেলিন জনসংখ্যার জন্য হুমকি নয়। এই অঞ্চলে উৎপন্ন ক্যাপেলিনের মাত্র ০.১% কে ভোজন হিসাবে শোল গ্রহণ করে। যাইহোক, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে আর্কটিক বরফ ধীরে ধীরে গলে যাওয়ার কারণে, ক্যাপেলিনকে আরও দীর্ঘতর, আরও চাপযুক্ত স্থানান্তরের মুখোমুখি হতে হবে, যা তাদেরকে এই ধরনের বড় আকারের শিকারীদের হাত থেকে নিজেদের রক্ষা করার জন্য আরও কঠিন সংগ্রামের মুখোমুখি হতে হবে। যেহেতু কড সহ অনেক প্রজাতির জন্য ক্যাপেলিন একটি গুরুত্বপূর্ণ খাদ্য উৎস, তাই সমুদ্রের বাস্তুতন্ত্র রক্ষার জন্য খুব দক্ষতার সাথে তাদের আচরণ পর্যবেক্ষণ করা গুরুত্বপূর্ণ।এমআইটি প্রফেসর নিকোলাস মাক্রিস বলেছেন, "এই ধরনের ঘটনাগুলি শিকারী-শিকারের ভারসাম্যকে কয়েক ঘন্টার মধ্যে পরিবর্তন করতে পারে।" .....বিস্তারিত পড়ুন


গবেষণায় প্রকাশ যারা চিনিযুক্ত ফল খায় তারা ইথানল গ্রহণ করে
উত্তরাপথঃ গবেষকরা বিশ্বাস করেন যে ইথানল, যা প্রাকৃতিকভাবে প্রাচীন বিবর্তনীয় প্রক্রিয়ার কারণে বাস্তুতন্ত্রে পাওয়া যায়। এটি প্রাণীদের অতিরিক্ত ক্যালোরি সরবরাহ করতে পারে এবং তাদের আচরণ এবং জীববিদ্যাকেও প্রভাবিত করতে পারে।দীর্ঘকাল ধরে, বন্য প্রাণীরা গাঁজানো ফল খাওয়ার পরে "মাতাল" অবস্থায় উপস্থিত হওয়াকে একটি বিরল ঘটনা বলে মনে করা হয়েছিল। ৩০ অক্টোবর *ট্রেন্ডস ইন ইকোলজি অ্যান্ড ইভোলিউশন*-এ প্রকাশিত একটি নতুন পর্যালোচনা এই ধারণাটিকে চ্যালেঞ্জ করে। গবেষকরা পরামর্শ দেন যে যেহেতু ইথানল প্রায় প্রতিটি ইকোসিস্টেমে উপস্থিত একটি সাধারণ বিষয় , তাই অনেক প্রাণী যারা মিষ্টি ফল খায় তারা নিয়মিত এটির মুখোমুখি হতে পারে। কিম্বার্লি হকিংস, ইউনিভার্সিটি অফ এক্সেটারের একজন আচরণগত পরিবেশবিদ, বলেছেন, "আমরা বুঝতে পারছি যে প্রকৃতিতে ইথানল আমাদের ধারণার চেয়ে অনেক বেশি সাধারণ। বেশিরভাগ প্রাণী যারা চিনিযুক্ত ফল খায় তারা সম্ভবত কিছু ইথানল গ্রহণ করে।" কিভাবে ইথানল সাধারণ হয়ে উঠল ইথানল প্রায় ১০০ মিলিয়ন বছর আগে ব্যাপক সহজলভ্য হয়ে ওঠে যখন ফুলের গাছগুলি অমৃত সম সুমিষ্ট ফল উতপাদন করতে শুরু করে।আজ, ইথানলের উচ্চ ঘনত্ব প্রাকৃতিকভাবে পাওয়া যায়, বিশেষ করে আর্দ্র গ্রীষ্মমন্ডলীয় এলাকায়। সাধারণভাবে, গেঁজে যাওয়া ফলগুলিতে প্রায় ১% থেকে ২% অ্যালকোহল থাকে তবে কিছু, অতিরিক্ত পাকা পাম ফলের মতো ফলে , ১০.২% পর্যন্ত অ্যালকোহল থাকতে পারে।এটি উল্লেখ করা হয়েছে যে প্রাণীরা ইথানল খাওয়া শুরু করার আগে এটিকে ভেঙে ফেলার ক্ষমতা ছিল এবং বিবর্তন প্রাইমেট এবং গাছের শ্রুর মতো প্রজাতির মধ্যে এই ক্ষমতাটিকে উন্নত করেছে, তারা দক্ষতার সাথে ইথানল প্রক্রিয়া করতে সক্ষম করেছে। প্রাণীদের জন্য ইথানলের উপকারিতা যদিও প্রাণীরা ইচ্ছাকৃতভাবে ইথানলের সন্ধান করতে পারে না, তবে এর ব্যবহার বিভিন্ন সুবিধা দিতে পারে। .....বিস্তারিত পড়ুন


জীবনানন্দ : আবহমান রূপসী বাংলার কবি
ড. জীবনকুমার সরকারঃউত্তর রৈবিক যুগের এক অনন্য মাত্রার কবি জীবনানন্দ দাশ। রবীন্দ্রনাথের পর বাংলা কাব্যভুবনে এক দল কবি রবীন্দ্রআবহ ছেড়ে এবং পূর্বতন কাব্যধারার বাইরে দাঁড়িয়ে আধুনিক-প্রগতিশীল ও সাম্যবাদী কাব্য আন্দোলন শুরু করেন। একথা বাংলা সাহিত্যের পাঠক মাত্রই জানেন। সেটার বিস্তৃত ব্যাখ্যার কোনো প্রয়োজন দেখি না। এখানে শুধু এটুকু বলার যে, এই আধুনিক কবিতা আন্দোলনের সেই সময়টা শুরু হয় বিশ শতকের তিরিশের দশক থেকে। আশ্চর্যের বিষয় এই আধুনিক কাব্য আন্দোলনের উত্তাপ জীবনানন্দকে গ্রাস করতে পারলো না। তাহলে কি তিনি আধুনিক নন? অবশ্যই আধুনিক। শুধু আধুনিক নন, আধুনিক কালের শ্রেষ্ঠ কবি। তাঁর শ্রেষ্ঠত্ব হলো, রোমান্টিক মেদুরতায়। রোমান্টিক মেদুরতার আত্মমগ্ন কবি ছিলেন জীবনানন্দ দাশ। আবার প্রখর জীবন ও সময়বোধ ছিলো তাঁর। এই দুইয়ের যুগলবন্দি চেতনা তাঁকে নতুন কাব্যবয়ান নির্মাণে সাহায্য করেছিলো। ফলে প্রগতিশীল ও রক্ষণশীল দুই পক্ষই তাঁকে শাণিত আক্রমণে জর্জরিত করেছিলো। সে আক্রমণ কখনও কখনও ব্যক্তিগত পর্যায়েও দাঁড়িয়ে যেতো। কাব্যচেতনায় বিভোর, কল্পনা প্রতিভায় অনন্য এবং আত্মনিমগ্ন কবি জীবনানন্দ প্রথম থেকেই সবার থেকে আলাদা হতে শুরু করেন। নানা সমালোচনার মুখে তাঁকে পড়তে হয়েছে। সবই হয়েছে তাঁর অভিনবত্ব কাব্যভাষার সৌজন্যে। বরিশালের নিসর্গে ইন্দ্রিয়তন্ময়তায় একের পর এক যেসব কবিতা সৃজন করেছেন তিনি, তা আমাদের বোধের জগতে নতুন সংকেত দিয়েছে। পারিবারিক স্বপ্নচেতনা, নৈতিক শুদ্ধতার বশবর্তী হবার ফলে তিনি হয়ে ওঠেন নিঃসঙ্গচারী এক পথিক। একটি শক্তিশালী মূল্যবোধ ও নীতিজ্ঞান নিয়ে জীবনকে এগিয়ে নিতে চাইতেন, যেটা তাঁর কাছে ঈশ্বরবোধের মতো হয়ে উঠেছিলো। আলাদা করে ঈশ্বরচিন্তা জীবনানন্দ দাশের ছিলো না। একবার অরবিন্দ গুহের সঙ্গে আলাপচারিতা করার সময় জীবনানন্দ দাশ জানাচ্ছেন — “ আমি ঈশ্বর বিশ্বাস করি না। আমি মানুষের নীতিবোধে বিশ্বাস করি।” ( সূত্র: জীবনানন্দ দাশ নির্জনতম বিভ্রান্তি, সুব্রত রাহা, উত্তরধ্বনি, শিলিগুড়ি, পৃষ্ঠা: ১২) .....বিস্তারিত পড়ুন