আন্তর্জাতিক


অবশেষে ব্রিটেন সম্মত: হ্যাঙ্গারে সরানো হচ্ছে আটকে থাকা এফ-৩৫বি যুদ্ধবিমান
উত্তরাপথঃ টানা দুই সপ্তাহ কেরালার তিরুবনন্তপুরম বিমানবন্দরে আটকে থাকার পর অবশেষে ব্রিটেন রাজি হয়েছে অত্যাধুনিক F-35B যুদ্ধবিমানটি বিমানবন্দরের হ্যাঙ্গারে সরাতে। তবে এটি তখনই সম্ভব হবে, যখন যুক্তরাজ্যের বিশেষজ্ঞ প্রকৌশল দলের সদস্যরা প্রয়োজনীয় সরঞ্জামসহ ভারত পৌঁছবেন। এফ-৩৫বি কী? F-35B হচ্ছে মার্কিন সংস্থা Lockheed Martin দ্বারা নির্মিত পঞ্চম প্রজন্মের একটি সুপারসনিক স্টেলথ ফাইটার জেট। এটি বিশ্বের সবচেয়ে উন্নত যুদ্ধবিমান। Joint Strike Fighter (JSF) প্রোগ্রামটি ইতিহাসের সবচেয়ে ব্যয়বহুল যুদ্ধবিমান প্রকল্প, যার একটি প্রধান সংস্করণ এই F-35। ব্রিটিশ হাই কমিশনের একজন মুখপাত্র জানান,"একটি ব্রিটিশ F-35B যুদ্ধবিমান বর্তমানে তিরুবনন্তপুরম আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে মেরামতের অপেক্ষায় রয়েছে। বিমানটি ইঞ্জিনিয়ারিং সমস্যা নিয়ে জরুরি অবতরণ করেছিল। যুক্তরাজ্য ভারত সরকারের প্রস্তাব গ্রহণ করেছে এবং বিমানটি মেইনটেন্যান্স, রিপেয়ার অ্যান্ড ওভারহল (MRO) সুবিধার মধ্যে স্থানান্তরিত করা হবে।" তিনি আরও বলেন,"যখন যুক্তরাজ্যের ইঞ্জিনিয়ারিং দল বিশেষ সরঞ্জাম নিয়ে পৌঁছাবে, তখন বিমানটি হ্যাঙ্গারে নেওয়া হবে, যাতে অন্য বিমানের নিয়মিত রক্ষণাবেক্ষণ ব্যাহত না হয়।" কীভাবে এখানে এল বিমানটি? ব্রিটিশ নৌবাহিনীর বিমানবাহী রণতরী এইচএমএস প্রিন্স অফ ওয়েলস ৬ মে ২০২৫-এ একটি নৌ মহড়ার জন্য ভারত মহাসাগরে পৌঁছেছিল, যা ২৪টি এফ-৩৫ ফাইটার জেট বহন করছিল। ১৪ জুন, কেরালা উপকূল থেকে ১০০ নটিক্যাল মাইল (প্রায় ১৮৫ কিমি) দূরে থাকা জাহাজ থেকে একটি এফ-৩৫ উড্ডয়ন করে। উড্ডয়নের কিছুক্ষণ পরে, খারাপ আবহাওয়ার কারণে বিমানটি ভারতীয় রাডারে SQUAWK ৭00 নামে জরুরি কোড পাঠায় এবং জরুরি অবতরণের অনুমতি চায়। তিরুবনন্তপুরম এটিসি অনুমতি দেয়, এবং বিমানটি রাত ৯:৩০ নাগাদ অবতরণ করে। রিপোর্ট অনুসারে, বিমানটির জ্বালানি কম ছিল। ভারত ব্রিটেনের জ্বালানি পূরণের অনুরোধ অনুমোদন করে, কিন্তু পরে হাইড্রোলিক ব্যর্থতার কারণে বিমানটি মাটিতে আটকে যায়। এটি ১৪ দিন ধরে তিরুবনন্তপুরম বিমানবন্দরে আটকে রয়েছে। .....বিস্তারিত পড়ুন


নিউ মেক্সিকোতে ২৩,০০০ বছর পুরনো মানুষের পায়ের ছাপের বিতর্কিত দাবিকে সমর্থন করে নতুন গবেষণা
উত্তরাপথঃ ২০২১ সালে নিউ মেক্সিকোর হোয়াইট স্যান্ডস ন্যাশনাল পার্কে আবিষ্কৃত মানব পদচিহ্ন নিয়ে আমেরিকার প্রত্নতত্ত্ববিদদের মধ্যে তীব্র বিতর্ক শুরু হয়। গবেষণাটি দাবি করেছিল, এই পদচিহ্নগুলি ২৩,০০০ থেকে ২১,০০০ বছর আগের, যা উত্তর আমেরিকায় এখন পর্যন্ত পাওয়া প্রাচীনতম মানবচিহ্ন। এই আবিষ্কার চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দেয় বহুদিনের প্রচলিত বিশ্বাসে, যেখানে ধারণা ছিল ক্লোভিস জনগোষ্ঠীই প্রথম উত্তর আমেরিকায় পা রেখেছিল, সেই সময় ছিল শেষ বরফ যুগের শেষাংশ—১৩,০০০ থেকে ১৩,৫০০ বছর আগে। ২০২১ সালে, নিউ মেক্সিকোতে গবেষকরা একটি গবেষণাপত্র প্রকাশ করেছিলেন, যা আমেরিকান প্রত্নতত্ত্বের সবচেয়ে বিতর্কিত বিষয়গুলির একটি। গবেষণায় হোয়াইট স্যান্ডস ন্যাশনাল পার্কে পাওয়া মানুষের পায়ের ছাপের বর্ণনা দেওয়া হয়েছে, যেগুলির বয়স ২৩,০০০ থেকে ২১,০০০ বছর পুরনো, যা উত্তর আমেরিকায় এখন পর্যন্ত পাওয়া প্রাচীনতম মানবচিহ্ন। এটি দীর্ঘদিনের ধারণাকে চ্যালেঞ্জ করে যে প্রথম উত্তর আমেরিকানরা ছিলেন ক্লোভিস জনগোষ্ঠী—নিউ মেক্সিকোর ক্লোভিসের কাছে পাওয়া নিদর্শনের নামে নামকরণ করা—যারা শেষ বরফ যুগের শেষে একটি তুলনামূলকভাবে উষ্ণ সময়ে, ১৩,০০০ থেকে ১৩,৫০০ বছর আগে এসেছিলেন। যেহেতু পায়ের ছাপগুলি সরাসরি তারিখ নির্ধারণ করা যায় না, গবেষকরা এই ট্রেস ফসিলগুলির বয়স—২৩,০০০ থেকে ২১,০০০ বছর—অনুমান করেছেন পায়ের ছাপের উপরে এবং নীচের স্তরে পাওয়া বীজের রেডিওকার্বন ডেটিংয়ের মাধ্যমে। যদিও সমালোচকরা এখনও তর্ক করছেন যে প্রাচীন বীজগুলি সাইটের বয়স সঠিকভাবে প্রতিনিধিত্ব করে না, তবে গত সপ্তাহে সায়েন্স অ্যাডভান্সেস জার্নালে প্রকাশিত একটি নতুন গবেষণা মূল ফলাফলের পক্ষে আরও সমর্থন যোগ করেছে। ফলে, জলজ উদ্ভিদ রুপ্পিয়া সিরোসার বীজগুলি আবারও এই বিতর্কের কেন্দ্রে রয়েছে। “প্রথম আমেরিকানদের আগমন দীর্ঘদিন ধরে বিতর্কিত এবং হোয়াইট স্যান্ডস সাইটের তারিখ নির্ধারণের বৈধতার উপর উল্লেখযোগ্য বিতর্ক কেন্দ্রীভূত হয়েছে,” নতুন গবেষণায় গবেষকরা লিখেছেন, .....বিস্তারিত পড়ুন


গাজায় 'হাঙ্গার গেমস' বাস্তবতা: একটি মানবিক বিপর্যয়ের কাহিনী
প্রীতি গুপ্তাঃ যখন সুজান কলিন্সের লেখা "দ্য হাঙ্গার গেমস" বইগুলো প্রকাশ পেয়েছিল, তখনকার পাঠকরা হয়তো ভাবতেও পারেননি যে, বইয়ের সেই বিভীষিকাময় দৃশ্যগুলো বাস্তবের পৃথিবীতেও একদিন ঘটবে। কিন্তু আজ গাজার মাটিতে, এই ভয়াবহতা প্রতিদিন ঘটছে – এবং বিশ্বের চোখ যেন এই নরককেও দেখতে ব্যর্থ। গাজা উপত্যকা মার্চ মাস থেকে সম্পূর্ণ অবরুদ্ধ। প্রতিটি পরিবার এখন একবেলা খাবারের জন্য লড়াই করছে – কেউ কেউ তো দিনের পর দিন না খেয়ে কাটাচ্ছেন। মানবিক বিপর্যয় এখন আর একটিমাত্র ‘সংকট’ নয়, বরং তা এক নির্মম অস্ত্র হয়ে উঠেছে। ত্রাণ নয়, মৃত্যুর ফাঁদ মে মাসের শেষ দিকে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েল সমর্থিত Gaza Humanitarian Foundation (GHF) সীমিত কিছু ত্রাণ বিতরণ শুরু করে। কিন্তু সেগুলো ছিল পরিকল্পিতভাবে বিশৃঙ্খল এবং প্রাণঘাতী। গাজাবাসীদের জন্য এটি যেন একটি মরন-খেলা – খাদ্যের জন্য জীবন বাজি রাখার খেলা। ত্রাণ বিতরণ কেন্দ্র হিসেবে চিহ্নিত “নেটজারিম করিডোর”– একে স্থানীয়রা বলেন “মৃত্যুর করিডোর”। এই জায়গা ঘিরে আছে বালু, সৈন্য, বিদেশি মিলিশিয়া এবং ইসরায়েলি ট্যাঙ্ক। কোনও নির্দিষ্ট সময়সূচি নেই – কখনো ভোর ৪টায়, কখনো আরও দেরিতে গেট খোলা হয়। লোকজন আগের রাত থেকেই অপেক্ষা করতে থাকেন। দরজা খোলার সঙ্গে সঙ্গেই শত শত ক্ষুধার্ত মানুষ ছুটে যান একটি খাদ্যের বাক্সের আশায়। কোনও সারি নেই, নেই নিয়ন্ত্রণ, নেই নিরাপত্তা। চারপাশে শুধু ধুলো, আর্তনাদ, আতঙ্ক। ড্রোনগুলো মাথার ওপর চক্কর দেয়, তারপর হঠাৎ এক ঘোষণা – “চার মিনিট! যত পারো নিয়ে নাও!” বালির মধ্যে কিছু খাদ্যের বাক্স ফেলে রাখা হয়। তা কখনোই যথেষ্ট হয় না। হঠাৎ লড়াই শুরু হয় – কেউ কেউ ছুরি চালায়, মুষ্টিযুদ্ধ বেধে যায়, শিশুদের কান্না, মহিলাদের হাঁটুপরে হামাগুড়ি – এইসব দৃশ্য যেন বাস্তবের 'হাঙ্গার গেমস'। আর তারপর আসে গুলির শব্দ। মে মাসের শেষ থেকে এখন পর্যন্ত ৫০০’র বেশি মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন, এবং ৪,০০০’রও বেশি আহত হয়েছেন ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর গুলিতে – শুধুমাত্র ত্রাণ সংগ্রহ করতে যাওয়ার সময়। একজন স্থানীয়ের বাবা , ১৪ জুন সকালে পরিবারকে খাবার জোগার করতে গিয়ে আর ফেরেননি। .....বিস্তারিত পড়ুন


মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রধান শহরগুলি ধীরে ধীরে ডুবে যাচ্ছে
উত্তরাপথঃ ডেনভার থেকে ডিসি পর্যন্ত, ভূগর্ভস্থ জলস্তর নামার কারণে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অনেক বড় শহর ধীরে ধীরে ডুবে যাচ্ছে। সাম্প্রতিক একটি গবেষণায় দেখা গেছে যে ২৮টি বৃহত্তম শহর প্রতি বছর প্রায় দুই থেকে দশ মিলিমিটার (প্রায় ০.০৭ থেকে ০.৩৯ ইঞ্চি) ডুবে যাচ্ছে। এর মূল কারণ হল ভূগর্ভস্থ জলের অত্যধিক অপসারণ, যা চাহিদা বৃদ্ধির সাথে সাথে পানীয় জল এবং কৃষিকাজের জন্য ব্যবহৃত হচ্ছে। এই গবেষণাটি ৮ মে নেচার সিটিস জার্নালে প্রকাশিত হয়ে্ছে। যদিও প্রতি বছর এক ইঞ্চিরও কম ভূমি ডুবে যাওয়া ছোট মনে হতে পারে, তবে এটি ভবিষ্যতে গুরুতর সমস্যার কারণ হতে পারে। যখন ভূমি স্থানান্তরিত হয়, তখন এটি ভবন, রাস্তা, সেতু এবং বাঁধের ক্ষতি করতে পারে। উদাহরণস্বরূপ, আটলান্টিক উপকূল বরাবর, কিছু এলাকা প্রতি বছর পাঁচ মিলিমিটার পর্যন্ত ডুবে যাচ্ছে। বিজ্ঞানীরা এই শহরগুলিতে ভূগর্ভস্থ জলের বিস্তারিত মানচিত্র তৈরি করতে বিশেষ স্যাটেলাইট রাডার প্রযুক্তি ব্যবহার করেছেন। তারা নিউ ইয়র্ক, ডালাস এবং সিয়াটলের মতো জায়গাগুলি দেখেছেন, যেখানে প্রায় ৩৪ মিলিয়ন মানুষ বাস করে - মার্কিন জনসংখ্যার প্রায় ১২%। গবেষণায় জড়িত বিজ্ঞানী মানুচেহর শিরজাইয়ের মতে, এই স্যাটেলাইট প্রযুক্তি মহাকাশ থেকে পৃথিবীর "ক্যাট স্ক্যান" এর মতো। এটি নগর পরিকল্পনাকারীদের মাটি ঠিক কোথায় সরছে তা দেখতে সাহায্য করে যাতে তারা মেরামত, জোনিং এবং বন্যা প্রতিরোধের পরিকল্পনা করতে পারে। গবেষণায় যা পাওয়া গেছে অধ্যয়নে দেখা গেছে মার্কিন যুক্ত রাষ্ট্রের ২৮টি শহরে, কমপক্ষে ২০% ভূমি ডুবে যাচ্ছে। ২৫টি শহরে, কমপক্ষে ৬৫% এলাকা ডুবে যাচ্ছে। নিউ ইয়র্ক, শিকাগো, সিয়াটল, ডেনভার, কলম্বাস, ডালাস, হিউস্টন এবং অন্যান্য শহরগুলি প্রতি বছর প্রায় দুই মিলিমিটার ডুবে যাচ্ছে। টেক্সাসের কিছু শহর, বিশেষ করে হিউস্টনে এই পরিমাণ আরও বেশী - নির্দিষ্ট কিছু জায়গায় প্রতি বছর ১০ মিলিমিটার পর্যন্ত। গবেষণায় আরও উল্লেখ করা হয়েছে যে হিউস্টনের ভূগর্ভস্থ জলের স্তর বিভিন্ন এলাকায় অনেক ওঠানামা করে, .....বিস্তারিত পড়ুন


সাহারার ধুলোকণা: আটলান্টিকের ওপারেও প্রাণের সঞ্চার
উত্তরাপথঃ বিশাল সাহারা মরুভূমি থেকে প্রতি বছর যে পরিমাণ ধুলোর মেঘ উড়ে যায়, তা শুধু মরুভূমির চিহ্ন নয়, বরং পৃথিবীর অন্য প্রান্তে প্রাণের সঞ্চার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। সম্প্রতি এক আন্তর্জাতিক গবেষণায় দেখা গেছে, এই ধুলোর মেঘ আটলান্টিক মহাসাগর পেরিয়ে অ্যামাজন বনাঞ্চল পর্যন্ত পৌঁছে জীববৈচিত্র্য টিকিয়ে রাখতে সাহায্য করে। আয়রন বা লোহা উদ্ভিদ ও প্রাণীর জন্য অত্যন্ত দরকারি একটি পুষ্টি উপাদান। আটলান্টিক মহাসাগরের অনেক অঞ্চলে এই আয়রনের মূল উৎস হলো সাহারা মরুভূমি। তবে আয়রন সব জায়গায় একরকম কাজ করে না – এর কিছু রূপ জীবের শরীরে সহজে শোষিত হয়, আবার কিছু রূপ হয় নিষ্ক্রিয়। গবেষণার পেছনের গল্প ফ্লোরিডা স্টেট ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক জেরেমি ওউয়েন্স বলেন, “আগের গবেষণাগুলো সাধারণত মোট কতটা আয়রন আছে তা দেখতো। আমরা এবার খেয়াল করেছি, কতটা আয়রন আসলেই সাগরের জীবেরা ব্যবহার করতে পারে।” গবেষকরা আটলান্টিক মহাসাগরের তলদেশ থেকে বিভিন্ন নমুনা সংগ্রহ করেছেন – কেউ কেউ মরক্কোর উপকূল থেকে ২০০ কিমি দূরে, আবার কেউ কেউ ফ্লোরিডা উপকূল থেকে ৫০০ কিমি দূরের জায়গা থেকে। এই নমুনাগুলো ছিল প্রায় ১,২০,০০০ বছরের পুরনো, এবং সেগুলোর মধ্যে ছিল নানা ধরনের আয়রনের খনিজ – যেমন গোয়েথাইট, ম্যাগনেটাইট, পাইরাইট ইত্যাদি। কি দেখা গেল গবেষণায়? আফ্রিকার কাছের নমুনাগুলোতে বেশি পরিমাণে ‘বায়োরিঅ্যাকটিভ’ আয়রন পাওয়া গেছে – অর্থাৎ এমন আয়রন যা জীবরা সহজে শোষণ করতে পারে। কিন্তু যত দূরে গেছে, তত এই আয়রনের পরিমাণ কমে গেছে। কারণ, আয়রনের অনেকটাই সাগরের জীবেরা আগেই ব্যবহার করে ফেলে। তবে গবেষণায় একটা চমকপ্রদ তথ্যও মিলেছে। সাহারা থেকে যত দূরে ধুলো যায়, বাতাসে সূর্যরশ্মি আর রাসায়নিক প্রক্রিয়ায় সেই ধুলোর মধ্যে থাকা আয়রন ধীরে ধীরে আরও বেশি সহজপাচ্য হয়ে ওঠে। এর ফলে, দূরবর্তী জায়গার সামুদ্রিক শৈবাল বা ফাইটোপ্ল্যাঙ্কটন এগুলো শোষণ করে জীবন চালাতে পারে। .....বিস্তারিত পড়ুন


ফ্লোরিডার সৈকতে ৩১ মিলিয়ন টন শেওলার দুর্গন্ধ!
উত্তরাপথঃ সতর্কতা! এই গ্রীষ্মে ফ্লোরিডার সৈকতগুলো হতে পারে একেবারে দুর্গন্ধময়। কারণ ফিরে এসেছে সেই কুখ্যাত সর্গাসাম শেওলা – আর এবার এসেছে রেকর্ড পরিমাণে, প্রায় ৩১ মিলিয়ন টন! সর্গাসাম কি জিনিস? সর্গাসাম হলো এক ধরনের বাদামি রঙের বড় শেওলা, যা ভেসে থাকে সাগরের জলে। এটি অন্যান্য শেওলার মতো তলায় নয়, বরং জলের ওপরে দ্বীপের মতো ভেসে বেড়ায়। এর পাতার মতো অংশ, শাখা-প্রশাখা এবং ছোট গোলাকার ফোলানো গাঁঠ থাকে, যেগুলো গ্যাসে ভরা থাকে। এগুলোই শেওলাকে জলের ওপর ভেসে থাকতে সাহায্য করে, অনেকটা লাইফ জ্যাকেটের মতো। এই শেওলা কিন্তু সব সময় খারাপ নয়। এটি বিভিন্ন সামুদ্রিক প্রাণীর জন্য খাবার ও আশ্রয়স্থল হিসেবে কাজ করে। মাছ, কাঁকড়া, চিংড়ি, সামুদ্রিক কচ্ছপ—এদের অনেকেই সর্গাসামকে ঘিরেই জীবন কাটায়। এমনকি কিছু মাছ সারাজীবন এই শেওলার ভেসে থাকা বলয়ের আশপাশেই থাকে। মানুষের জন্য কতটা বিপজ্জনক? সমস্যা শুরু হয় যখন এই শেওলা সৈকতে এসে পচতে শুরু করে। তখন এটি থেকে হাইড্রোজেন সালফাইড গ্যাস বের হয়—যার গন্ধ একেবারে পচা ডিমের মতো। সাধারণভাবে, খোলা জায়গায় এই গন্ধে বড় কোনো ক্ষতি হয় না। কিন্তু বদ্ধ জায়গায় শ্বাস নিলে চোখ, নাক, গলা জ্বালা করতে পারে। যাদের হাঁপানি বা শ্বাসকষ্টের সমস্যা আছে, তাদের জন্য এটি বেশ বিপজ্জনক হতে পারে। এছাড়া, এই পচা শেওলার মধ্যে জেলিফিশ ও বিভিন্ন অর্গানিজমও থাকতে পারে, যেগুলোতে গায়ে র্যাশ বা চুলকানি হতে পারে। যারা সর্গাসাম পরিষ্কার করার কাজ করছেন, তাদের গ্লাভস, বুটস এবং গ্যাস ফিল্টার মাস্ক ব্যবহার করা উচিত। ২০২৫ সালে শ্যাওলার পরিমাণ কেন এত বড়? এই বছর সর্গাসাম শেওলার পরিমাণ এত বেশি হওয়ার পেছনে বড় কারণ হলো সমুদ্রের তাপমাত্রা বেড়ে যাওয়া—অর্থাৎ জলবায়ু পরিবর্তন। তাপমাত্রা বেশি হলে শেওলা দ্রুত বাড়ে। এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে নাইট্রোজেনের অতিরিক্ত উপস্থিতি, যা আসে জ্বালানি পোড়ানো বা সাহারার ধুলা থেকে। এখনকার হিসাব অনুযায়ী, এই শেওলার বিশাল পরিমাণটি .....বিস্তারিত পড়ুন


কাশ্মীরে ভয়াবহ হামলার পর ভারতীয়দের ভিসা স্থগিত করেছে পাকিস্তান
উত্তরাপথঃ ভারত-শাসিত কাশ্মীরে জঙ্গি হামলায় ২৬ জন পর্যটক নিহত হওয়ার পর উত্তেজনা বেড়ে যাওয়ার পর পাকিস্তানও ভারতের বিরুদ্ধে সমান পদক্ষেপ নিয়েছে।ইসলামাবাদ তাৎক্ষণিকভাবে ভারতীয় নাগরিকদের দেওয়া সমস্ত ভিসা স্থগিত করেছে, পাশাপাশি প্রতিবেশীর কিছু কূটনীতিককে বহিষ্কার করেছে এবং ভারতীয় বিমানের জন্য তার আকাশসীমা বন্ধ করে দিয়েছে। ভারতীয় পুলিশ হামলার পিছনে চার সন্দেহভাজন বন্দুকধারীর মধ্যে তিনজনের নাম প্রকাশ করেছে, জানিয়েছে যে দুজন পাকিস্তানি নাগরিক এবং তৃতীয়জন স্থানীয় কাশ্মীরি। পাকিস্তান গুলি চালানোর ঘটনায় ভারতের দাবী অস্বীকার করেছে।প্রসঙ্গত পহেলগামের কাছে মঙ্গলবারের হামলায় একদল বন্দুকধারী পর্যটকদের উপর গুলি চালায় তাতে ২৬ জন ভারতীয় পর্যটকের মৃত্যু হয়।এরপর ভারত-শাসিত কাশ্মীরের পুলিশ জানিয়েছে নাম প্রকাশ করা তিন সন্দেহভাজনই পাকিস্তান-ভিত্তিক জঙ্গি গোষ্ঠী লস্কর-ই-তৈয়বা (এলইটি) এর সদস্য। অন্যদিকে পাকিস্তানের জাতীয় নিরাপত্তা কমিটির এক বিবৃতিতে পহেলগাম হামলার সাথে পাকিস্তানের সম্পর্ক স্থাপনের প্রচেষ্টাকে বাতিল করে বলা হয়েছে,তাদের বক্তব্য কোনও বিশ্বাসযোগ্য তদন্ত বা যাচাইযোগ্য প্রমাণ পাওয়া যায়নি।এর আগে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন যে "ভারত প্রতিটি সন্ত্রাসী এবং তাদের সমর্থকদের চিহ্নিত করবে, তাদের ট্র্যাক করবে এবং শাস্তি দেবে এবং আমরা পৃথিবীর শেষ প্রান্ত পর্যন্ত তাদের তাড়া করব।"তিনি বলেছিলেন যে "হত্যার পিছনে থাকা সন্ত্রাসীরা এবং তাদের সমর্থকরা তাদের কল্পনার চেয়েও বড় শাস্তি পাবে"।এছাড়াও "আমাদের শত্রুরা দেশের আত্মার উপর আক্রমণ করার সাহস করেছে... সন্ত্রাসবাদ ভারতের আত্মাকে কখনও ভেঙে ফেলবে না।" বুধবার সন্ধ্যায় দিল্লি কাশ্মীরে হত্যাকাণ্ডের আলোকে ইসলামাবাদের বিরুদ্ধে কূটনৈতিক পদক্ষেপের ঘোষণা দিয়েছে - যার মধ্যে একটি ছিল দুই দেশের মধ্যে আটারি-ওয়াঘা সীমান্ত অবিলম্বে বন্ধ করে দেওয়া।ভারত "তাৎক্ষণিকভাবে" পাকিস্তানি নাগরিকদের ভিসা পরিষেবাও বাতিল করেছে। প্রতিক্রিয়ায় পাকিস্তান ভারতের সিন্ধু জল চুক্তি স্থগিতের সিদ্ধান্তও প্রত্যাখ্যান করেছে - যা প্রতিবেশীদের মধ্যে ছয় দশকের পুরনো পানি বণ্টন চুক্তি - এবং আরও বলেছে যে জল বন্ধ বা ভিন্ন দিকে সরানোর যেকোনো প্রচেষ্টা "যুদ্ধের আইন" হিসেবে বিবেচিত হবে। .....বিস্তারিত পড়ুন