সাহিত্য ও শিল্প


নীলষষ্ঠী

অসীম পাঠক:দাঁড়াও মন, অনন্ত ব্রক্ষ্মান্ড মাঝে আনন্দ সভা ভবনে আজ।। বিপুল মহিমায়ময়,গগনে মহাসনে বিরাজ করে বিশ্ব রাজ।। সিন্ধু শৈল তটিনী মহারণ্য জলধরমালা তপন চন্দ্র তারা গভীর মন্দ্রে গাহিছে শুন গান। এই বিশ্ব মহোৎসব দেখি মগন হল সুখে কবিচিত্ত ভুলি গেল সব কাজ।….. নীলপূজা বা নীলষষ্ঠী হল বাংলার হিন্দুসমাজের এক লৌকিক উৎসব, যা মূলত শিব-দুর্গার বিবাহ বা শিবের বিয়ে নামে পরিচিত। বাঙালি গৃহিণীরা নিজের সন্তান এর মঙ্গল কামনায় নীরোগ সুস্থ জীবন কামনা করে এই ব্রত পালন করেন। এক নতুন সুরের দ্যোতনা , এক নতুন জীবনের দ্যোতনা , এক সন্ধিক্ষণে সুমহান ধর্মীয় আদর্শের কাছে আমি নতজানু। ভরতবর্ষ সুমহান ধর্মীয় আদর্শের পীঠস্থান । বিবিধের মাঝে মিলন মহান ই এখানের বৈশিষ্ট্য । সত্য শিব সুন্দরের উপাসনা রত মানুষ আধ্যাত্মিক আদর্শের কাছে নতজানু ।ভরতবর্ষ সুমহান ধর্মীয় আদর্শের পীঠস্থান । বিবিধের মাঝে মিলন মহান ই এখানের বৈশিষ্ট্য । সত্য শিব সুন্দরের উপাসনা রত মানুষ আধ্যাত্মিক আদর্শের কাছে নতজানু । একদিকে পবিত্র রমজান আর একদিকে নীলষষ্ঠী চড়ক পূজোর ধূম ….. চড়ক পূজা পশ্চিমবঙ্গ, ত্রিপুরা ও বাংলাদেশের হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ .....বিস্তারিত পড়ুন

মীনা উপজাতি ও তাদের প্রাণবন্ত সংস্কৃতি

প্রীতি গুপ্তাঃমীনা উপজাতি ভারতের রাজস্থানের বৃহত্তম এবং প্রাচীনতম উপজাতি সম্প্রদায়গুলির মধ্যে একটি। তারা তাদের প্রাণবন্ত সংস্কৃতি, সমৃদ্ধ ইতিহাস এবং পরিচয়ের দৃঢ় অনুভূতির জন্য পরিচিত। মীনা সম্প্রদায়ের একটি অনন্য ভাষা, রীতিনীতি এবং ঐতিহ্য রয়েছে যা তাদেরকে এই অঞ্চলের অন্যান্য সম্প্রদায়ের থেকে আলাদা করে। মীনা উপজাতির একটি দীর্ঘ ইতিহাস রয়েছে যা প্রাচীন যুগের। তারা মৎস্য উপজাতি থেকে এসেছে বলে মনে করা হয়, যাদের উল্লেখ হিন্দু মহাকাব্য মহাভারতে  করা হয়েছে। শতাব্দীর পর শতাব্দী ধরে, মীনা জনগণ একটি স্বতন্ত্র সাংস্কৃতিক পরিচয় গড়ে তুলেছে যা তাদের ঐতিহ্যগত জীবনধারার সাথে গভীরভাবে সম্পর্কিত। মীনা উপজাতি প্রাথমিকভাবে রাজস্থান রাজ্যে দেখতে পাওয়া যায়, যেখানে তারা বংশ পরম্পরায় বসবাস করে আসছে। তারা তাদের সম্প্রদায়ের দৃঢ় বোধ এবং আঁটসাঁট সামাজিক কাঠামোর জন্য পরিচিত। মীনা জনগণ প্রাথমিকভাবে কৃষিজীবী, যারা তাদের ভরণ-পোষণের প্রাথমিক উপায় হিসেবে কৃষিকাজকে নির্ভর করে। তারা ঐতিহ্যবাহী কৃষি কৌশলে দক্ষ এবং স্থানীয় পরিবেশ সম্পর্কে তাদের গভীর জ্ঞান রয়েছে। .....বিস্তারিত পড়ুন

বসন্ত

অসীম পাঠকঃ বসন্ত মানেই পলাশ এর মনমাতানো সমারোহ। ফুল কিংশুক ভারী হিংসুক , হিংসুক এ কারণেই সে যে প্রেমের প্রতীকী ভাষ্যে উদ্দীপ্ত। রাঙা হাসি রাশি রাশি অশোকে পলাশে। পলাশ আমার ভীষণ প্রিয়। ভালোবাসতে জানা প্রতিটি মানুষের কাছেই পলাশ নিশ্চই ভীষণ প্রিয় হবে। সময়ের গন্ডি পেরিয়ে কালো চুলে রূপালী প্রলেপ ,তবুও যেনো পরিণত মনে ভালোবাসাও পরিণত হয়েছে অবচেতন মনের জীবাশ্মে। জীবননদীর বাঁকে বাঁকে শুধু অনুভব আর উপলব্ধির খেলা। এরকমই কোনো এক বসন্তেই হয়তো মুখোমুখি বসে কেটে যাবে মুহূর্তের পর মুহূর্ত। স্বপ্ন নিয়েই তো মানুষ বাঁচে। আবার হয়তো কল্পনার ক্যানভাসে সব আটকে থাকবে ধূলো মাখা সময়ের ফ্রেমে। আমাদের যাবতীয় ব্যাস্ততা শেষের পর সেই মাহেন্দ্র ক্ষণ আর সময় উপহার দেবে কিনা তা মহাকাল জানে। আমার গলার নীল টাই আর তোমার নীল শাড়ির কম্বিনেশন মেলার কথাও নয়, মেলবন্ধন সে তো আবেগের গান কবিতা সর্বস্ব এক স্বর্গীয় শব্দের ভান্ডারে, তবুও অনুভূতির গভীরে স্বপ্ন দেখায় দোষ নেই। .....বিস্তারিত পড়ুন

বাবা সাহেব ভীমরাও আম্বেদকর এই সংবিধানকে পুড়িয়ে ফেলতে চেয়েছিলেন।কিন্তু কেন?

উত্তরাপথঃ হাতে গোনা আর কদিন বাকি,দেশবাসী পালন করতে চলেছে ডক্টর ভীমরাও রামজি আম্বেদকরের ১৬৩ তম জন্মবার্ষিকি। ডঃ আম্বেদকর  ভারতের সংবিধানের অন্যতম স্রষ্টা। সেইসাথে তিনি একজন বিস্ময়কর চিন্তাবিদ, সমাজকর্মী এবং মহান নেতা ছিলেন। জীবনের গুরুত্বপূর্ণ সময়ে তিনি দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য কাজ করেছেন।বাবা সাহেব ভীমরাও আম্বেদকর ১৪ এপ্রিল ১৮৯১ সালে মহারাষ্ট্রের একটি দলিত পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি তার অধ্যয়ন জীবনে অনেক সংগ্রামের মুখোমুখি হয়েছিলেন, কিন্তু তার কঠোর পরিশ্রম, তার চমৎকার শিক্ষা এবং তার অনন্য মনোযোগ তাকে একজন বিশিষ্ট চিন্তাবিদ করে তুলেছিল।তিনি দেশের সকল শ্রেণী, বর্ণ ও ধর্মের মানুষের স্বার্থে সমাজে সমতা, ন্যায়বিচার ও অধিকারের দাবি নিশ্চিত করতে সংবিধান প্রণয়ন করেছিলেন। সংবিধান মূলত যেকোনো দেশের সর্বোচ্চ পাঠ্য।এটি সেই বই যার উপর দেশের সাংবিধানিক কাঠামো টিকে আছে।সহজ কথায়, এটি এমন একটি বই যাতে দেশের সামাজিক, রাজনৈতিক ও বিচার ব্যবস্থাকে নির্দেশনা দেওয়ার জন্য নিয়মাবলী লেখা হয়েছে। .....বিস্তারিত পড়ুন

মানভূমের প্রবাদে চৈত্র মাস ( মধুমাস ) 

নিমাইকৃষ্ণ মাহাতঃ মানভূমের কৃষিভাবনায় চৈত্র মাস বা মধুমাসের বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে । এই সময় এখানকার আবহাওয়া সাধারণত রুক্ষ-শুষ্ক থাকে । তাই , এই ধরনের আবহাওয়ায় কোন ধরনের ফসলের চাষ সম্ভব তা প্রবাদের মধ্য দিয়ে প্রকাশিত হতে দেখা যায় । যেমন- আখ ,আদা , পুই এ তিন চৈতে রুই। দীর্ঘ জীবন-অভিজ্ঞতা থেকেই মানভূমের কৃষক এই সিদ্ধান্তে পৌঁছেছে । কৃষিক্ষেত্র একজন কৃষকের কাছে   Open-Air- Laboratory . মানভূমে   চৈত্র মাসকে কেন্দ্র করে এই ধরনের আরো অনেক কৃষিপ্রবাদ , খনার বচন , ডাক- এর বচন ইত্যাদি প্রচলিত রয়েছে। এছাড়া চৈত্র মাসে মানভূমে নানা ধরনের লোক-পার্বণ অনুষ্ঠিত হয় । যেমন - ছাতুপরব , ভক্তা ঘুরা , শিবের গাজন ইত্যাদি । কাজেই মানভূমের চৈত্র মাস বা মধুমাসকে কেন্দ্র করে নানা ধরনের কৃষিপ্রবাদের প্রচলন দেখা যায় ।এখানে সেগুলির কয়েকটি উল্লেখ করা হল - ১)চৈতেতে খর খর , বৈশাখে ঝড় পাথর ।  জ্যৈষ্ঠেতে তারা  ফুটে , তবে জানবে  বর্ষা বটে । চৈত্র মাসে খর রৌদ্র বিরাজ করলে , বৈশাখ মাসে শিলাবৃষ্টি হলে এবং জ্যৈষ্ঠ মাসে মেঘমুক্ত আকাশে তারা ফুটে থাকলে সেই বছর বর্ষাকালে ভালো বৃষ্টি হওয়ার খুবই সম্ভাবনা থাকে। .....বিস্তারিত পড়ুন

রাষ্ট্রপতি ভবন - এক অনন্য অভিজ্ঞতা।।

প্রিয়াঙ্কা দত্তঃ এক বাঙালির বদান্যতায় পৃথিবীর বৃহত্তম গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ নাগরিকের বাসভবন দর্শনের সৌভাগ্য হয়েছিল। সেই বাঙালি আর কেউ নন, প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি শ্রী প্রণব মুখোপাধ্যায়। যিনি ২০১৬ সালে জনসাধারণের জন্য খুলে দিয়েছিলেন বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম এই রাষ্ট্রীয় আবাসস্থল।মূলত তিনটি অংশ দর্শকদের জন্য খোলা থাকে। মেইন বিল্ডিং, মিউজিয়াম আর অমৃত উদ্যান।আহা সে ভ্রমণের অভিজ্ঞতা ভাষার অতীত। ইতিহাস  বলে, ১৯১১ সন রাজা পঞ্চম জর্জ যখন ভারতের রাজধানী কলকাতা থেকে দিল্লিতে নিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিলেন তখন ভাইসরয় দের বসবাসের জন্য গড়ে তোলা হয় ভাইসরয় হাউস। কাজ শুরু হয় ১৯১২ সালে আর শেষ হয় ১৯২৯ এ। ১৯৫০ সালে ভারতের প্রথম রাষ্ট্রপতি শ্রী রাজেন্দ্র প্রসাদ এর নিবাস স্থল হিসাবে তার নাম হয় রাষ্ট্রপতি ভবন। ভবনটির মূল স্থপতি স্যার এডুইন লুটিয়েন্স ও হার্বার্ট বেকার । ইউরোপীয় ও ভারতীয় স্থাপত্য কীর্তির এক অপূর্ব মেলবন্ধন ঘটানো হয় এই ভবন নির্মাণে। তাই ইন্ডিয়া গেট থেকে রাষ্ট্রপতি ভবন, এই পুরো চত্বরটি সেজে উঠেছে অনন্য শৈলীতে। ঝাঁ চকচকে কর্তব্য পথের পশ্চিম প্রান্তে রাষ্ট্রপতি ভবন আর পূর্বে ইন্ডিয়া গেটের অপরূপ সৌন্দর্য এক কথায় অসাধারণ। বর্তমান রাষ্ট্রপতি ভবনটি গড়ে ওঠে রাইসিনা হিল অঞ্চলে যা সমতল থেকে প্রায় ৫০ মিটার উঁচুতে অবস্থিত।  মূল ভবনটি ছড়িয়ে আছে প্রায় পাঁচ একর জমিতে। প্রবেশ দ্বারের সংখ্যা মোট ৩৮ টি। সত্যিই এর বিশালতা দেখার মতো। মূল প্রবেশ দ্বারে রয়েছে ১৪৫ ft উঁচু জয়পুর স্তম্ভ। মহারাজ সোয়াই মাধো সিং উপহার দিয়েছিলেন  বৃটিশ সরকারকে। নতুন রাজধানী দিল্লী স্থাপনের স্মৃতি স্বরূপ। কারণ রাইসিনা হিলের বেশিরভাগ অংশ ছিল জয়পুরের মহারাজের সম্পত্তি। .....বিস্তারিত পড়ুন

বীর সন্ন্যাসী বিবেকানন্দ

অসীম পাঠকঃ ভারতের প্রান্ত ভূখন্ডে দন্ডায়মান গৈরিকধারী এক দীপ্ত তরুণ , প্রাণ প্রাচুর্যে তিনি স্পন্দমান দিব্য বিভায় বিভাসিত । যাঁর বজ্র কন্ঠে ধ্বনিত হলো যুব সমাজ কে জাগ্রত করার অগ্নিগর্ভ আহ্বান , ভারত আত্মার জ্যোতির্ময় পুরুষ , খরশান তরবারি র মতো শানিত ব্যাক্তিত্ব আমাদের সর্বজনপ্রিয় স্বামীজী , তিনি ই সেই যৌবনের ঋত্বিক যিনি সোনার ভারত গড়ার দায়িত্ব দিয়ে গিয়েছিলেন কোন পক্বকেশ পরিকল্পনা কারীর কাছে নয় , প্রবল দুর্দম তরুণদের হাতে আধমরা দের ঘা মেরে বাঁচানো সবুজদের কাছে । যাঁর কর্মময় জীবন এবং অমিয় বানী যুগে যুগে লাঞ্ছিত অত্যাচারিত নিপীড়িত মানুষের মুক্তির পথ , স্বামী বিবেকানন্দ র পথ ই হলো সূর্যের পথ বিবর্তনের পথ , তীর্থের পথ । ১৮৬৩ সালে ৯ জানুয়ারি স্বামী বিবেকানন্দ জন্ম গ্রহণ করেন। তার বাবা বিশ্বনাথ দত্ত ছিলেন নামকরা উকিল। তার মা ভুবনেশ্বরী দেবী তার নামকরণ করেছিলেন, নামকরণের দিনে তিনি বলেন শিব ঠাকুরের দয়ায় ছেলেকে পেয়েছেন তাই তার নাম রাখা হবে বীরেশ্বর, বীরেশ্ব্রর থেকে সংক্ষেপে তাকে ডাকা হল বিলে। ছোটবেলায় নরেণ এতো দুরন্ত ছিলো যে তাঁর মা সর্বদা বলতেন, শিবের কাছে ছেলে চাইলুম , তা তিনি নিজে না এসে পাঠালেন তার চেলা এক ভূতকে । .....বিস্তারিত পড়ুন

12 3 4 5 6 7 8
Scroll to Top