সাহিত্য ও শিল্প


হোপ ডায়মন্ড এবং কোহ-ই-নূর (Hope and Koh-i-Noor) হীরার উৎস চিহ্নিত করল গবেষকরা
উত্তরাপথঃ বিশ্বের সবচেয়ে আইকনিক এবং ঐতিহাসিকভাবে তাৎপর্যপূর্ণ দুটি হীরা, হোপ ডায়মন্ড এবং কোহ-ই-নূর (Hope and Koh-i-Noor) । এই দুটি হীরা, যা বর্তমানে ওয়াশিংটন ডিসি-র স্মিথসোনিয়ান ন্যাশনাল মিউজিয়াম অফ ন্যাচারাল হিস্ট্রি এবং লন্ডনের টাওয়ারে যথাক্রমে সংরক্ষিত রয়েছে, এই হীরাদুটির উৎপত্তি কোথা থেকে তা আজও অজানা । বহু শতাব্দী ধরে এই হীরা দুটি নিয়ে অসংখ্য রহস্য তৈরি হয়েছে।সম্প্রতি গবেষকরা এই হীরা দুটির উৎপত্তির রহস্য খুঁজে বের করার চেষ্টা করেছেন। দ্য হোপ ডায়মন্ড, একটি ৪৫.৫৬-ক্যারেট গভীর নীল হীরা, বিশ্বের সবচেয়ে বিখ্যাত হীরাগুলির মধ্যে এটি একটি এবং বলা হয় যে ইতিহাস জুড়ে বিভিন্ন রাজপরিবারের মালিকানায় ছিল এই হীরা, যার মধ্যে মেরি অ্যান্টোয়েনেট এবং রানী এলিজাবেথ আই অন্যতম।অন্যদিকে কোহ-ই-নূর, একটি ১৯০-ক্যারেট আয়তক্ষেত্রাকার-কাট হীরা, ১৪ শতকের এই হীরার একটি সমৃদ্ধ ইতিহাস রয়েছে । এটি বিভিন্ন মুঘল সম্রাট এবং ব্রিটিশ রাজাদের মালিকানাধীন। আমেরিকার জেমোলজিক্যাল ইনস্টিটিউট (জিআইএ) এবং অ্যারিজোনা বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা দুটি হীরার রাসায়নিক গঠন বিশ্লেষণ করতে উন্নত কৌশল ব্যবহার করেছেন এবং একটি উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি করেছেন। তাদের অনুসন্ধান অনুসারে, উভয় হীরাই মধ্য আফ্রিকার একই অঞ্চল থেকে, বিশেষ করে বতসোয়ানার ওরাপা খনি থেকে বেরিয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। গবেষকরা হীরার ক্ষুদ্র টুকরোগুলির রাসায়নিক গঠন বিশ্লেষণ করতে "লেজার অ্যাবলেশন-ইন্ডাকটিভলি কাপলড প্লাজমা ভর স্পেকট্রোমেট্রি" (LA-ICP-MS) নামে একটি কৌশল ব্যবহার করেছেন। .....বিস্তারিত পড়ুন


Lodha: পশ্চিমবঙ্গে লোধাদের ভূমিহীনতা তাদের বিকাশের ক্ষেত্রে বড় বাঁধা
গার্গী আগরওয়ালা মাহাতোঃ বেশ কিছু দিন আগে একটি খবর শিরোনামে আসে লোধা (Lodha) সম্প্রদায়ের ১৩ বছর বয়সী একটি শিশুকে খাবার চুরি করার অভিযোগে মারধর করা হয়।পরে জানা যায় সাবাং এর বোরোচরা গ্রামের বাসিন্দা শিশুটি ক্ষুধার কারণে খাবার চুরি করেছিল। এরপর ঘটনার খবর ছড়িয়ে পড়ার পর শত শত এলাকাবাসী স্থানীয় একটি রাজ্য সড়ক অবরোধ করে এবং অপরাধীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানায়।সেদিনের সেই ঘটনা স্বাধীনতার ৭৮ বছর পর পুরো লোধা সমাজের অর্থনৈতিক তথা সামাজিক চিত্র বোঝার ক্ষেত্রে একটি উদাহরণ মাত্র।লোধারা পশ্চিমবঙ্গের তিনটি উপজাতির মধ্যে একটি যারা আদিম উপজাতি গোষ্ঠীর অন্তর্গত। ভারতের অন্যান্য উপজাতিদের তুলনায় লোধারা আর্থ-সামাজিকভাবে পিছিয়ে। লোধাদেরকে ব্রিটিশ সরকার অপরাধী উপজাতি হিসেবে গণ্য করেছিল, এবং তারপর প্রাক ও উত্তর-উপনিবেশিক যুগে তাদের একটি ডি-নোটিফাইড উপজাতি হিসেবে গণ্য করা হয়েছিল। স্বাধীনতার পর, তারা কেন্দ্রীয় সরকার কর্তৃক আদিম উপজাতি গোষ্ঠী (PTG) হিসাবে পুনরায় মনোনীত হয়। এখন আবার লোধাদের কেন্দ্রীয় সরকার বিশেষভাবে দুর্বল উপজাতীয় গোষ্ঠী (PVTG) হিসাবে পুনরায় মনোনীত করেছে। পশ্চিমবঙ্গে, লোধারা প্রধানত পুরুলিয়া ,পশ্চিম মেদিনীপুর এবং ঝাড়গ্রাম জেলায় কেন্দ্রীভূত। .....বিস্তারিত পড়ুন


Bhojeshwar Mahadev Temple: রহস্য এবং কিংবদন্তিতে পূর্ণ মধ্যপ্রদেশের ভোজেশ্বর মন্দির
প্রীতি গুপ্তাঃ মধ্যপ্রদেশের ভোজপুর গ্রামে এক চমৎকার এবং বিস্ময়কর,এক অসম্পূর্ণ শিব মন্দির রয়েছে।এটি ভোজপুর শিব মন্দির বা ভোজেশ্বর মন্দির (Bhojeshwar Mahadev Temple)নামে বিখ্যাত। প্রাচীন এই শিব মন্দিরটি পারমার রাজবংশ (১০১০ AD- ১০৫৫AD) দ্বারা নির্মিত হয়েছিল। মন্দিরটি ১১৫ফুট (৩৫ মিটার) লম্বা, ৮২ ফুট (২৫ মিটার) চওড়া এবং ১৩ ফুট (৪ মিটার) উঁচু একটি টিলায় দাঁড়িয়ে আছে। এই মন্দিরের সবচেয়ে বড় বৈশিষ্ট্য হল এখানকার বিশাল শিবলিঙ্গ, এই অনন্য এবং বিশাল আকারের শিবলিঙ্গের কারণে ভোজেশ্বর মন্দিরকে উত্তর ভারতের সোমনাথও বলা হয়।মসৃণ লাল বেলেপাথর দিয়ে তৈরি, এই শিবলিঙ্গটি একটি একক পাথর দিয়ে তৈরি এবং এটিকে বিশ্বের বৃহত্তম প্রাচীন শিবলিঙ্গ বলে মনে করা হয়।ভোজেশ্বর মন্দিরটি (Bhojeshwar Mahadev Temple)১১ শতকে পরমারা রাজবংশের কিংবদন্তি রাজা রাজা ভোজ দ্বারা চালু করা হয়েছিল। তবে, মন্দিরটি অসম্পূর্ণ অবস্থায় রয়েছে, শুধুমাত্র গর্ভগৃহে বিশাল শিবলিঙ্গ রয়েছে। মূল মন্দিরের কাঠামোটি কখনই নির্মিত হয়নি, যা ঐতিহাসিক এবং প্রত্নতাত্ত্বিকদের জন্য একটি বিভ্রান্তিকর রহস্য হিসেবে রয়েছে। ভিত্তি সহ এই মন্দিরের শিবলিঙ্গের মোট উচ্চতা ৪০ ফুট (১২ মিটার) এর বেশি। শিবলিঙ্গের দৈর্ঘ্য, এর উচ্চতা ৭.৫ফুট (২.৩ মিটার) এবং ব্যাস ৫.৮ ফুট (২ মিটার)। .....বিস্তারিত পড়ুন


অনুগল্প-মাছের কাঁটা
অসীম পাঠকঃ গোটা চৌধুরী পরিবার জুড়ে হৈচৈ কান্ড। কি না নতুন বউ মাছের কাঁটা বাছতে জানে না। একান্নবর্তী পরিবারে বাড়ির বড়ো ছেলে অর্নবের বউ নিশা মাছের কাঁটা বেছে খেতে পারেনা। তা না পারার ই কথা , ডাক্তার ছেলের ইঞ্জিনিয়ার বউ। শ্বশুর বাড়িতে যেদিন প্রথম পা রাখে নিশা সেদিন অর্নবের মা নমিতা দেবী তার গালে চুমু খেয়ে আদর করে বলেছিলো , তুই আমার মেয়ের অভাব পুরন করলি , মেয়ের মতোই থাকবি। তা প্রথম দিন খেতে বসেই নতুন বউ ডাক দেয় , মা কোথায় আমাকে খাইয়ে দাও , অফিস বেরুতে হবে। এ কি আদিখ্যেতা রে বাবা । নমিতা দেবী না পারছেন কিছু বলতে না পারছেন হজম করতে, এ যে গলার কাঁটা। মনে মনে গজরাতে গজরাতে ভাবেন একি বিষফোঁড়া উঠলো রে বাবা। নিশা সব বুঝে আদুরে গলায় বলে , আমি তো আপনার মেয়ে তাই না ? নমিতা দেবী কাৎলা মাছের মত মুখ করে বলেন , অবশ্যই। নিশা।অর্নবের দিকে চোখ টিপে মুচকি হাসে। নমিতা দেবী বলেন , তা হ্যাঁ মা মাছের কাঁটা না হয় বাছতে পারো না তাই বলে কি মাংসের হাড় ও বেছে দিতে হবে । সাথে সাথেই চটপটি মেয়ের ঝটপট জবাব , ও মা আপনি জানেননা যে আমি হাড় বিহীন মাংস খাই , এখন তো বোনলেস চিকেনের যুগ তা আপনাদের হেঁসেলে তো মুরগি চলে না , কি আর করি ফিগারটা তো মেন্টেন করতে হবে, মাছই ভরসা। নতুন বউ এর কথা শুনলে নমিতা দেবীর গা জ্বলে যায়। একদিন বলেই ফেললেন একটু আধটু রান্নাঘরে যাওয়ার কথা। শুনেই নিশা বলে, তা কি করে হয় মা , আমি তো চাকরী করি , এই যে আমার শ্বশুর মশাই উনি কি রান্নাঘরে যান ? আর আপনার ছেলেকেই দেখুন এক কাপ চা অবধি বানাতে পারে না। মেজ কাকাবাবু ছোট কাকাবাবু সবাই তো সকাল সকাল ভাত খেয়ে অফিস ছোটেন। আমি রাঁধতে শিখিনি মা তবে রান্নার যোগান দিতে পারি। .....বিস্তারিত পড়ুন


খাদ্য রসিক স্বামী বিবেকানন্দ
প্রীতি গুপ্তাঃ মহান ভারতীয় দার্শনিক এবং আধ্যাত্মিক নেতা স্বামী বিবেকানন্দ শুধুমাত্র তার গভীর শিক্ষা এবং প্রজ্ঞার জন্যই পরিচিত ছিলেন না বরং জীবনের সহজ আনন্দের জন্যও তিনি পরিচিত ছিলেন। স্বামীজি যে জিনিসগুলি বিশেষভাবে পছন্দ করতেন তার মধ্যে একটি হল চা। তিনি বিশ্বাস করতেন যে এক কাপ চা একজনের মনের আন্নদকে বাড়িয়ে তুলতে পারে এবং দুঃখ- দুর্দশার সময়েও মনে শান্তি দিতে পারে। কথিত আছে যে, সন্ন্যাসী হওয়া ছাড়াও তার ব্যক্তিত্বে অনেক মজার বিষয় The Monk as a Man নামে একটি পুস্তকে শঙ্কর স্বামী বিবেকানন্দের জীবনের অনেক না জানা কথা লিখেছেন। সেখানে তিনি স্বামী বিবেকানন্দের লেখাপড়া থেকে শুরু করে খাবারের প্রতি ভালোবাসা সবই আলোচনা করেছেন।এই বইয়ের ভিত্তিতে, আমরা আপনাকে তার সম্পর্কে কিছু অজানা মজার কথা বলছি। বৃটিশ শাসন চলছে দেশে,দেশবাসী ব্রিটিশদের কাছ থেকে স্বাধীনতা পাওয়ার জন্য লড়াই করছেন।এমন এক সময়ে দাঁড়িয়ে, আমাদের দেশের অনেকে চায়ের বিরোধিতা করেছিলেন কারণ এটি ব্রিটিশদের উপহার ছিল, তবে স্বামী বিবেকানন্দ সহ বাংলার অনেক স্বাধীনতা সংগ্রামী ছিলেন, যারা চা খুব পছন্দ করতেন। স্বামীজি বিভিন্ন ধরনের চা পান করতে পছন্দ করতেন।সেই .....বিস্তারিত পড়ুন


অনুগল্প --পোষ্টমর্টেম
অসীম পাঠকঃ আ্যানাটমির ক্লাশ সেরে মেডিক্যাল এর ব্রিলিয়ান্ট স্টুডেন্ট অরুণ যখন হোষ্টেলে এসে ফ্রেশ হয়ে বিছানায় গা এলিয়ে দিলো তখন ঘড়ির কাঁটায় সন্ধ্যা ছয় টা বেজে দশ মিনিট । প্রদীপ স্যার রাত ঠিক নয় টায় তাদের কয়েকজনকে ডেকেছেন। মর্গে একটা বেওয়ারিশ লাশ এসেছে। কাটাছেঁড়া করতে করতেই জানতে হবে প্রাণী দেহের ভেতরের অবস্থান । কেন ভালো নেই বুঝতে না পারলেও অরুণের মন আজ ভালো নেই । তানিয়ার জন্য ব্যাকুল। সামনেই বড়োদিনের ছুটিতে তার বাড়ি যাবার কথা । দীর্ঘ দশ মাস পড়াশোনার চাপে ব্যাঙ্গালোরেথ বাইরে যেতে পারেণি অরুণ।গত তিন মাস আগেই কোন কারণ ছাড়াই অরুণের ব্রেক আপ হয়ে গেছে তানিয়ার সাথে। কিন্তু মনের ক্যানভাসে এখনও তানিয়া। তানিয়াটা বরাবরই ভীষণরকম খামখেয়ালী। অনেক উপরে ওঠার স্বপ্ন তার। এইসব ভাবতে ভাবতে ওল্ড মগ রাম হাল্কা গরম জলে মিশিয়ে আদা দিয়ে দু পেগ খেতেই মনের জ্বালা আর শরীরের ক্লান্তি দুটোই যেনো মিটে যায় অরুণের। ডিনারটা ফিরে এসেই করবে।শীতটা বেশ জাঁকিয়ে পড়েছেএবার। শোয়েটারের উপর সাদা এপ্রনটা চাপিয়ে স্টেথো ঝুলিয়ে মর্গের দিকে পা বাড়ালো অরুণ। প্রদীপ স্যার ভীষণ পাংকচুয়াল। রাস্তার দুপাশে ঘন অন্ধকারের বুক চিরে নৈশ রহস্য .....বিস্তারিত পড়ুন


রবীন্দ্রনাথের চিন্তায় বাংলাদেশ
প্রীতি গুপ্তাঃরবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বাঙালিদের জন্য সাহিত্যিক মহত্ত্বের শিখর হিসাবে দাঁড়িয়ে আছেন।রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের রচনা বাঙালীর গর্ব, আনন্দ, সান্ত্বনা এবং অনুপ্রেরণার উৎস যা জীবনের সমস্ত দিককে ছুঁয়ে গেছে, অনেকটা ইংরেজদের জন্য শেক্সপিয়ার, ফরাসিদের জন্য ভিক্টর হুগো, জার্মানদের জন্য গ্যেটে, ইতালীয়দের জন্য দান্তে, রাশিয়ানদের জন্য টলস্টয়, উর্দুভাষীদের জন্য গালিব, পারসিকদের জন্য ফেরদৌসি এবং সংস্কৃত অনুরাগীদের জন্য কালিদাসের মতো। বাঙালীর সর্বশ্রেষ্ঠ সাহিত্যিক আইকন বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জন্মবার্ষিকী যে শুধুমাত্র পশ্চিমবঙ্গ জুড়ে পালিত হয় তা নয়, পিছিয়ে নেই প্রতিবেশী বাংলাদেশও।ভারতের মতোই বাংলাদেশের জাতীয় সঙ্গীতের রচয়িতাও রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর।বাংলাদেশের অনেক জায়গার সঙ্গে নিবিড়ভাবে জড়িয়ে আছে কবির স্মৃতিচিহ্ন। কুষ্টিয়ার শিলাইদহে কুঠিবাড়ি, শাহজাদপুর কাচারিবাড়ি, সিরাজগঞ্জের পতিসর, নওগার কুঠিবাড়ি ও খুলনার কুঠিবাড়ি ও কবির শ্বশুরবাড়ি তারমধ্যে অন্যতম। বাংলাদেশের খুলনা জেলার রূপসা থানার পিঠাভোগেই ছিল রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের পূর্বপুরুষের বসবাস। পরবর্তীকালে তাদের পরিবারের অধিকাংশ সদস্য কলকাতায় এসে বসবাস শুরু করেন। .....বিস্তারিত পড়ুন