

উত্তরাপথঃ আকাশ পথে যাত্রী চাহিদা বিবেচনা রুট বাড়াচ্ছে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স। সম্প্রতি জাপানের নারিতা, চায়নার গুয়াংজুর ফ্লাইট চালুর পর এবার গন্তব্য ভারতের চেন্নাই।গত ১৬ ডিসেম্বর শনিবার থেকে চালু হয়েছে ঢাকা থেকে ভারতের চেন্নাই বিমানের সরাসরি ফ্লাইট। ঢাকা ও চেন্নাইয়ের (Dhaka-Chennai) মধ্যে সরাসরি ফ্লাইট কেবল অসুস্থ মানুষদের মধ্যে চিকিৎসার সুযোগ বাড়াচ্ছে না, এটি যাত্রীদের জন্য উল্লেখযোগ্য সময় ও খরচ সাশ্রয় করছে। সেইসাথে লেওভার বা সংযোগকারী ফ্লাইটের প্রয়োজনীয়তা দূর করছে, যাত্রীরা এখন দ্রুত এবং আরও দক্ষতার সাথে তাদের গন্তব্যে পৌঁছাতে পারছে।
বর্তমানে সপ্তাহে তিন দিন এই রুটে যাতাযাত করবে বোয়িং-সেভেন থ্রি সেভেন মডেলের উড়োজাহাজ। ভবিষ্যতে যাত্রীদের চাহিদা বিবেচনা করে এই রুটে ফ্লাইট সংখ্যা বাড়া্তে পারে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স।বিমানে সরাসরি ঢাকা-চেন্নাই (Dhaka-Chennai )ফ্লাইটে যাওয়া-আসার ভাড়া – ২৬ হাজার থেকে ৬১ হাজার টাকা পর্যন্ত। এর আগে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শফিউল আজিম এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে জানান, ১৬ ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবসকে স্মরণ করে সরাসরি ঢাকা-চেন্নাই ফ্লাইট পরিষেবা শুরু করতে চলেছে।
চিকিৎসা সংক্রান্ত কারণে ভারতের চেন্নাই বাংলাদেশিদের অন্যতম জনপ্রিয় গন্তব্য। প্রতি সপ্তাহের শনি, সোম ও বৃহস্পতিবার এই রুটে সরাসরি বিমান চলাচল করছে। ঢাকা থেকে দুপুর ১২টা ৫০ মিনিটে ছেড়ে যাওয়ার পর, একই দিনে চেন্নাই থেকে স্থানীয় সময় বিকাল ৪টা ১৫ মিনিটে বিমানটি আবার যাত্রী নিয়ে বাংলাদেশ ফিরে যাচ্ছে।
প্রসঙ্গত ঢাকা-চেন্নাই (Dhaka-Chennai )রুট বাংলাদেশের নাগরিকদের একটি অত্যন্ত চাহিদাপূর্ণ রুট। এতদিন বাংলাদেশের যারা চিকিৎসার জন্য চেন্নাই যেতেন, তারা প্রথমে কলকাতা আসতেন এরপর তাদের অনেকেই কলকাতা থেকে ট্রেনে করে আবার কেউ কেউ ফ্লাইটে করেও চেন্নাই যেতেন। এই চাহিদার কারণেই ঢাকা-চেন্নাই-ঢাকা রুটে সাপ্তাহিক তিনটি ফ্লাইট পরিচালনা করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের পক্ষ থেকে।
তবে, এখন ঢাকা থেকে চেন্নাই পর্যন্ত যে বিমান চলে ওই বিমান চালায় ইউএস বাংলা নামে একটি বেসরকারি এয়ারলাইন্স। ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স প্রতি রবি, বুধ ও শুক্রবার ওই বিমান চালায়। বিমান বাংলাদেশের তরফে জানানো হয়েছে, তারা বিভিন্ন নতুন রুটে বিমান চালাতে চাইছেন। এই কারণে বাড়ানো হচ্ছে রুটের সংখ্যা। খুব দ্রুত বিমান বাংলাদেশ ঢাকা থেকে চেন্নাই পর্যন্ত সপ্তাহে পাঁচদিন বিমান চলাবে বলে জানা গেছে।
আরও পড়ুন
সহযাত্রী
দীপা - আর তো এগারো বছর আটমাস বারোদিন চাকরি , তাই না ? অংশু - বাপরে বরাবরই তোমার স্মৃতিশক্তি প্রবল , এতোটা মনে আছে ? দীপা- ঘোরো টো টো করে আর কটা বছর , আফটার রিটায়ার্ড মেন্ট কি করবে ? অংশু - ফার্ম হাউস ,গাছপালা পশুপাখি নিয়ে থাকবো। দীপা- বাঃ উন্নতি হয়েছে। যে অংশুবাবু কখনও একটা ফুলের চারা লাগায়নি সে কিনা ফার্ম হাউস করবে … অংশু - সময়ের সাথে সব বদলায় ম্যাডাম , আচ্ছা তোমার কনুইয়ের নীচে সেই পোড়া দাগটা দেখি তো গেছে কিনা … দীপা- তুমি অনেক রোগা হয়ে গেছো , তা ওজন কত শুনি ? অংশু - সত্তর বাহাত্তর হবে বোধহয় মাপিনি, দীপা - তা কেনো মাপবে ? একটা অগোছালো মানুষ। অংশু - যাক বাবা তাও অপদার্থ শব্দ টা বলোনি। দীপা - ভাবোনা ডিভোর্স হয়েছে বলে সে অধিকার নেই। সমাজ বিজ্ঞানের অধ্যাপক হয়েও আসলে সমাজটাই শেখোনি , আর কি শিখেছো বলো, ঐ ছেলে পড়ানো , সেমিনার আর লেখালেখি। তা ধন্যবাদ তোমার রূপালী ঠৌট উপন্যাস এবছর একাডেমি পেলো , দারুণ লেখো তুমি, আগের চেয়ে অনেক ধার। অংশু- বাঃ তুমি পড়েছো ? দীপা- সব পড়েছি , তোমার রিসেন্ট উপন্যাসের নায়িকা মেঘনা টি কে ? মানে কার আড়ালে কাকে লিখেছো ? অংশু - এও কি বাংলা সাহিত্যের অধ্যাপিকাকে বলে দিতে হবে ? দীপা- বারোটা বছর সময়ের শাসনে অনেক বদলালেও আমি বোধহয় সেই বড্ড সেকেলেই রয়ে গেলাম। অংশু - একা একাই কাটিয়ে দিলে বারো বছর। দীপা- একই প্রশ্ন আমিও করতে পারি। অংশু - আচ্ছা দীপা আজ না হয় শেষবারের মতো বলি, আমার মধ্যে কি ছিলো না বলোতো ? কেনো পারোনি এই বাউন্ডুলে ভবঘুরে মানুষটার সাথে চিরকালের ঘর বাঁধতে ? আমি কি ভালোবাসতে জানি না ? .....বিস্তারিত পড়ুন
Vijay Stambh : চিতোরগড় দুর্গে বিজয় স্তম্ভ হিন্দু – মুসলিম সহাবস্থানের প্রতীক
উত্তরাপথঃ খ্রিস্টীয় ৭ম শতাব্দীতে মৌর্য রাজবংশ কর্তৃক স্থাপিত চিতোরগড় দুর্গ সাহস ও আত্মত্যাগের প্রতীক হিসেবে আজও দাঁড়িয়ে আছে। এই দুর্গ তার বিশাল কাঠামো, রাজপ্রাসাদ, একাধিক সুদৃশ্য মন্দির সহ সুন্দর জলাশয়ের জন্য বিখ্যাত।৭০০-একর এলাকা জুড়ে বিস্তৃত, এই দুর্গটিতে প্রায় ৬৫টি ঐতিহাসিক স্থাপত্য নিদর্শন রয়েছে যা রাজপুত এবং ইসলামিক স্থাপত্য শৈলীর সূক্ষ্মতার প্রমান দেয়। বিজয় স্তম্ভ (Vijay Stambh)) হল এই দুর্গে অবস্থিত,সবচেয়ে মনোমুগ্ধকর কাঠামো।এই আশ্চর্য-অনুপ্রেরণামূলক স্তম্ভটি কেবল তার উচ্চতার জন্য বিখ্যাত নয়,এটি রাজপুতদের অদম্য সাহস এবং অধ্যবসায়ের গল্পও বলে যা চিতোরগড় দুর্গেরই সমার্থক হয়ে উঠেছে।বিজয় স্তম্ভ (Vijay Stambh), নাম থেকে বোঝা যায়, বিজয়ের প্রতীক। প্রাচীনকালে যে কোনো যুদ্ধ অভিযানের সাফল্যের পর সেই বিজয়কে স্মরণীয় করে রাখতে রাজারা মন্দির, স্তূপ, স্মৃতিস্তম্ভ ও স্তম্ভ নির্মাণ করতেন। ৯ তলা এই বিজয় স্তম্ভটি ১৯৪০ থেকে ১৪৪৮ সালের মধ্যে মহারানা কুম্ভ দ্বারা নির্মিত হয়েছিল। .....বিস্তারিত পড়ুন
Fried rice syndrome: আগের দিনের রান্না করা ভাত খেলে হতে পারে এই বিশেষ অসুখটি
উত্তরাপথঃ আপনার কি বাসী ভাত বা পান্তা খাওয়ার অভ্যেস আছে? সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়া তোলপাড় ফ্রাইড রাইস সিনড্রোম (Fried rice syndrome) নিয়ে আমরা প্রায়ই অবশিষ্ট খাবার গরম করে আবার খাই। কিন্তু জানেন কি এই অভ্যাস আপনাকে অসুস্থ করে তুলতে পারে। অনেক সময় পর আগের রান্না করা ভাত খাওয়ার ফলে পেট সংক্রান্ত সমস্যা হয়। কেউ কেউ মনে করেন যে খাবার পুনরায় গরম করলে এতে উপস্থিত ব্যাকটেরিয়া মারা যায়, কিন্তু তা নয়। যে খাবারেই স্টার্চ থাকে না কেন, এতে উপস্থিত টক্সিন তাপ প্রতিরোধী। অর্থাৎ খাবার গরম করার পরও ব্যাকটেরিয়া নষ্ট হয় না। ফ্রাইড রাইস সিনড্রোম নামে এই সমস্যা সম্পর্কিত একটি অবস্থা রয়েছে। আজ আমরা এই ফ্রাইড রাইস সিনড্রোম অবস্থার লক্ষণ, কারণ এবং প্রতিকার নিয়ে আলোচনা করব। ভাত রান্না করার পর, যখন অবশিষ্ট ভাত কয়েক ঘন্টা বা সারারাত ঘরের তাপমাত্রায় রেখে দেওয়া হয় এবং তাতে ব্যাকটেরিয়া জন্মাতে শুরু করে, তখন এই অবস্থার নাম দেওয়া হয়েছে ফ্রাইড রাইস সিনড্রোম। .....বিস্তারিত পড়ুন
Bandna Festival: ছোটনাগপুরের বিস্তীর্ণ অঞ্চল পাঁচ দিন বাঁদনার আমেজে মশগুল থাকে
বলরাম মাহাতোঃ চিরাচরিত রীতি অনুযায়ী কার্তিক অমাবস্যার আগের দিন থেকে মোট পাঁচ দিন ব্যাপী বাঁদনার(Bandna Festival) আমেজে মশগুল থাকে ছোটনাগপুরের বিস্তীর্ণ অঞ্চল। অবশ্য, পরবের শুভ সূচনা হয় তারও কয়েকদিন আগে। আদিবাসী সম্প্রদায়ের সামাজিক শাসন ব্যবস্থার চূড়ামণি হিসাবে গাঁয়ের মাহাতো, লায়া, দেহরি কিম্বা বয়োজ্যেষ্ঠ ব্যক্তি নির্ধারণ করেন- ৩, ৫, ৭ বা ৯ ক’দিন ধরে গবাদি পশুর শিং-এ তেল মাখাবে গৃহস্বামী! রুখামাটির দেশের লোকেরা কোনোকালেই মাছের তেলে মাছ ভাজা তত্ত্বের অনুসারী নয়। তাই তারা গোরুর শিং-এ অন্য তেলের পরিবর্তে কচড়া তেল মাখানোয় বিশ্বাসী। কারণ কচড়া তেল প্রস্তুত করতে গোধনকে খাটাতে হয় না যে! কচড়া তেলের অপ্রতুলতার কারণে বর্তমানে সরষের তেল ব্যবহৃত হলেও, কচড়া তেলের ধারণাটি যে কৃষিজীবী মানুষের গবাদি পশুর প্রতি প্রেমের দ্যোতক, তা বলাই বাহুল্য! এভাবেই রাঢ বঙ্গে গোবর নিকানো উঠোনে হাজির হয়- ঘাওয়া, অমাবস্যা, গরইয়া, বুঢ়ি বাঁদনা ও গুঁড়ি বাঁদনার উৎসবমুখর দিনগুলি। পঞ্চদিবসে তেল দেওয়া, গঠ পূজা, কাঁচি দুয়ারি, জাগান, গহাইল পূজা, চুমান, চউক পুরা, নিমছান, গোরু খুঁটা, কাঁটা কাঢ়া প্রভৃতি ১১টি প্রধান পর্ব সহ মোট ১৬টি লোকাচারের মাধ্যমে উদযাপিত হয় বাঁদনা পরব(Bandna Festival )। .....বিস্তারিত পড়ুন