ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসির(Ebrahim Raisi) মৃত্যুতে রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা ভারতের

হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি (Ebrahim Raisi), পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমির আবদুল্লাহিয়ান এবং আরও সাতজনের মৃত্যুর ঘটনায় বড় সিদ্ধান্ত নিয়েছে ভারত সরকার। ভারত সরকার রাইসি এবং হুসেইন আমির আবদুল্লাহিয়ানের সম্মানে 21 মে মঙ্গলবার একদিনের জাতীয় শোক ঘোষণা করেছে। শোক দিবসে ভারতের সব সরকারি ভবনে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত থাকবে।

হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি, পররাষ্ট্রমন্ত্রী হুসেইন আমির আবদুল্লাহিয়ান  প্রয়াণে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি শোকপ্রকাশ করেন।স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক দেশজুড়ে মঙ্গলবার একদিনের জাতীয় শোক পালন করার কথা ঘোষণা করে ।উল্লেখ্য, রবিবার হেলিকপ্টার ভেঙে পড়ে মৃত্যু হয় রাইসি এবং ইরানের বিদেশমন্ত্রী হোসেন আমিরাবদোল্লাহিয়ানের।প্রয়াতদের সম্মান জানাতেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে ভারত। দেশজুড়ে  জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত রাখা হয় মঙ্গলবার। সরকারিভাবে দেশে কোনও আনুষ্ঠানিক বিনোদন অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয় নি সেদিন।

প্রসঙ্গত গত ১৯ মে রবিবার প্রসঙ্গত, রবিবার আজারবাইজানের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে আরস নদীর উপরে একটি বাঁধ উদ্বোধন করার কথা ছিল রাইসির। সেই অনুষ্ঠানে যাওয়ার সময়েই বিপত্তি।  ঘন কুয়াশার কারণে ইব্রাহিম রাইসির হেলিকপ্টার পূর্ব আজারবাইজান প্রদেশের পাহাড়ী বনাঞ্চলের পাহাড়ে আঘাত করার পরে বিধ্বস্ত হয়। খারাপ আবহাওয়ার কারণে, অনুসন্ধান এবং উদ্ধারকারী দলগুলিকে দুর্ঘটনাস্থলে পৌঁছতে অনেক লড়াই করতে হয় শেষ পর্যন্ত সোমবার ভোরে তারা সেখানে পৌঁছতে পারে।

এই দুর্ঘটনার খবর আসার পর ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি ইরানে পাঁচ দিনের জাতীয় শোক ঘোষণা করেন। এর পর প্রথম ভাইস প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মোখবারকে দেশের ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব দেওয়া হয়। রাইসির (Ebrahim Raisi) দুর্ঘটনার খবর পেয়েই গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সোমবার ইরানের প্রেসিডেন্টের আকস্মিক মৃত্যুর খবর পেয়েই এক্স হ্যান্ডেলে বার্তা দেন তিনি। মোদির কথায়, ভারত ও ইরানের দ্বিপাক্ষিক মজবুত করতে রাইসির অবদান অনস্বীকার্য। কঠিন সময়ে রাইসির পরিবার এবং ইরানের সকল নাগরিকের পাশে রয়েছে ভারত।

খবরটি শেয়ার করুণ

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন


ছৌশিল্পী পদ্মশ্রী নেপাল মাহতো ও বিশ্ব মঞ্চে ভারতের লোকনৃত্য

গার্গী আগরওয়ালা মাহাতোঃ আমাদের চারিদিকে বিশ্ব দ্রুত বিকশিত হচ্ছে,পরিবর্তিত হচ্ছে শিল্প সাধনার প্রকৃতি। এই পরিবর্তিত শিল্প সাধনার যুগে আমাদের সেই সমস্ত ব্যক্তিদের স্বীকৃতি দেওয়া এবং সম্মান করা অপরিহার্য যারা সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য সংরক্ষণ ও প্রচারে তাদের জীবন উৎসর্গ করেছেন। এমনই একজন উল্লেখযোগ্য ব্যক্তিত্ব হলেন ছৌশিল্পী পদ্মশ্রী নেপাল মাহতো। নেপাল মাহাতো, যার ছৌনৃত্যের জগতে  দেশে ও বিদেশে অতুলনীয় অবদান তাকে ভারতের চতুর্থ সর্বোচ্চ নাগরিক সম্মান ‘পদ্মশ্রী´এনে দিয়েছে। নেপাল মাহতোর জন্ম ১৭ জুন ১৯৫৪ সালে পশ্চিমবঙ্গের পুরুলিয়া জেলার বরাবাজার থানার আদাবনা নামে একটি ছোট গ্রামে। তার পিতা স্বর্গীয় নগেন্দ্রনাথ মাহাতো ও মাতা তুষ্ট মাহাতো। .....বিস্তারিত পড়ুন

ভোরের শুকতারা

অনসূয়া পাঠকঃ বাস ছাড়তে তখনো কিছুটা সময় বাকি ছিলো, আমি মা বাবার সাথে বাসের ভেতরে জানালার দিকের সিটটায় বসে আছি। এমন সময় দেখি আমাদের পাশের সিটে বসে একজন রবীন্দ্রনাথের সঞ্জয়িতা পড়ছেন, বইটাকে দেখে আমার চোখের সামনে একটা সোনালী ফ্রেমের চশমা পরা মুখ ভেসে উঠলো, চন্দন স্যারের মুখ। বছর পাঁচেক আগের কথা, আমার বাবা তখন জঙ্গলমহল মেদিনীপুরের আমলাশুলির পোষ্টমাষ্টার। দু কিমি দূরেই আমার পিসীমার বাড়ি। ওখানেই আমার হাইস্কুলে পড়াশোনা শুরু। আর যে স্যার আমার মননে সদা জাগরুক , বাংলা সাহিত্যের বটবৃক্ষ বলা যায় যাকে , আমার গল্প যাঁকে নিয়ে সেই চন্দন স্যারকে ওখানেই পাওয়া। ফর্সা গায়ের রঙ, মাথায় ক়াঁচা পাকা চুল , সরু গোঁফ চোখে সোনালী ফ্রেমের চশমা, .....বিস্তারিত পড়ুন

বিক্রম সারাভাই: ভারতীয় মহাকাশ গবেষণার একজন দূরদর্শী পথিকৃৎ

উত্তরাপথঃ ডঃ বিক্রম সারাভাই ছিলেন ভারতের অন্যতম সেরা বিজ্ঞানী। তিনি একজন বিজ্ঞানী, উদ্ভাবক, শিল্পপতি এবং স্বপ্নদর্শীর ভূমিকা সমন্বিত, ভারতীয় মহাকাশ কর্মসূচির জনক হিসাবে বিখ্যাত।তাঁর নিরলস প্রচেষ্টায় ভারত মহাকাশ অনুসন্ধানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে।ইন্ডিয়ান স্পেস রিসার্চ অর্গানাইজেশন (ISRO) এর প্রতিষ্ঠা ছিল তার অন্যতম সেরা সাফল্য। তিনি রাশিয়ান স্পুটনিক উৎক্ষেপণের পর ভারতের মতো একটি উন্নয়নশীল দেশের জন্য মহাকাশ কর্মসূচির গুরুত্ব সম্পর্কে সরকারকে সফলভাবে বোঝান।এরপর ডঃ হোমি জাহাঙ্গীর ভাভা, যিনি ভারতের পারমাণবিক বিজ্ঞান কর্মসূচির জনক হিসাবে পরিচিত, ভারতে প্রথম রকেট উৎক্ষেপণ কেন্দ্র স্থাপনে ডঃ সারাভাইকে সমর্থন করেছিলেন। .....বিস্তারিত পড়ুন

লোকসংস্কৃতির আলোকে মালদার শতাব্দী প্রাচীন গম্ভীরা  

মৈত্রেয়ী চৌধুরীঃ পশ্চিমবঙ্গের উত্তরের একটি জেলা মালদা। আমের জন্য এই জেলাটি পরিচিতি লাভ করলেও এই জেলা আর ও একটি কারণে বিখ্যাত, তা হল গম্ভীরা । মালদার নিজস্ব লোকসংস্কৃতি।গম্ভীরা শব্দটি প্রকোষ্ট, গৃহ বা মন্দির অর্থের সঙ্গে আভিধানিক মিল থাকলেও এই অনুষ্ঠানটি উন্মুক্ত আকাশের নিচে বা কোথাও চাঁদোয়া বা ত্রিপল  দিয়ে ঢেকে অনুষ্ঠিত হয়। এই উৎসবের মূল কেন্দ্রবিন্দু হলেন স্বয়ং দেবাদিদেব। এই উৎসবের তিনি 'নানা' নামে পরিচিত।একজন শিবের সাজে থাকেন, আর দেবাদিদেবের চেলার মতো কিছু সংখ্যক সেই নানার ভক্ত হয়ে খোল, করতাল হাতে উনার সঙ্গী হন। বাস্তব জগতের এবং পারিপার্শ্বিক যা মা সমস্যা থাকে তা  চেলার নানার কাছে অভিযোগ জানান, যেন নানা সেই অভিযোগ শুনে তার সমাধান করেন।শিশু থেকে বৃদ্ধ সকলেই ভিড় করে জমায়েত .....বিস্তারিত পড়ুন

Scroll to Top