

উত্তরাপথঃ জাপানের ওগিমি(Ogimi) গ্রামটি স্থানীয় ভাবে “দীর্ঘায়ুর গ্রাম”বা “village of longevity.”নামে পরিচিত। জাপানের, সর্বশেষ গণনার একটি পরিসংখ্যান অনুসারে, ওগিমির ৩,০০০ গ্রামবাসীর মধ্যে ১৫ জনই শতবর্ষী। ১৭১ জনের বয়স ৯০ এর ঘরে। বর্তমানে জাপানে, ১০০ বা তার বেশি বয়সী ৭০,০০০ এরও বেশি লোক রয়েছে যা বর্তমান সময়ের পরিপ্রেক্ষিতে এক চমকপ্রদ পরিসংখ্যান। জাপানিদের এই দীর্ঘ জীবনের রহস্য কি ? সেই ব্যাপারে ওঠে এল এক চমকপ্রদ তথ্য “ইকিগাই” (Ikigai) এর কথা। এক কথায় ইকিগাই (Ikigai) হল জাপানে সুখী জীবনের জন্য একটি গাইড নীতি ।জাপানের মানুষদের তাদের জীবনে ভারসাম্য, অর্থ এবং দীর্ঘায়ু খোঁজার জন্য “ইকিগাই” এর এই প্রাচীন দর্শনটি বিশ্বব্যাপী মনোযোগ আকর্ষণ করেছে। ইকিগাই লাইফস্টাইল আমাদের সকলের দীর্ঘ জীবনের জন্য এক মূল্যবান শিক্ষা এতে কোনো সন্দেহ নেই।
আপনার জীবনধারা ওগামির((Ogimi) ) শতবর্ষীদের থেকে যে আলাদা হবে সন্দেহ নাই। আপনি সম্ভবত কাজ করেন, একটি শহরে থাকেন, অনেক দায়িত্ব আছে, আর্থিক চাপ, সম্পর্কের সমস্যা এবং আপনার মনে অনেক কিছু রয়েছে ইত্যাদি। আপনার জন্য “ইকিগাই” এর ১০টি নিয়ম গ্রহণ করা কঠিন হতে পারে, তবে কিছু নিয়ম মেনে চলা খুব সহজ। আপনি আপনার ইকিগাই নিজেই আবিষ্কার করে দীর্ঘদিন বাঁচতে পারবেন।এক্ষেত্রে আপনি নিজেকে একটি প্রশ্ন করুন, “কোন নিয়মগুলি আমি আমার নিজের জীবনে সহজেই প্রয়োগ করতে পারি যা আমার দৈনন্দিন জীবনে আমাকে সুস্থ থাকতে এবং দীর্ঘ জীবন লাভ করতে সাহায্য করবে?”
Ikigai এর দশটি নিয়ম
১. সক্রিয় থাকুন; অবসর গ্রহণ করবেন না।
যারা তাদের পছন্দের কাজগুলো ছেড়ে দেয় তারা জীবনের উদ্দেশ্য হারিয়ে ফেলে। এই কারণেই আপনার “অফিসিয়াল” পেশাগত ক্রিয়াকলাপ শেষ হওয়ার পরেও সেই সমস্ত জিনিসগুলি করা জরুরী ,যেগুলি আপনি করতে ভালোবাসেন সেইসাথে আপনার চারপাশের সমাজকেও উপকৃত করবে।এতে আপনার গ্রহণযোগ্যতা অন্যের কাছে অনেক বেড়ে যাবে।
২. ধীরে ধীরে কাজ করুন
তাড়াহুড়ো করা জীবনের মানের বিপরীতভাবে সমানুপাতিক। এক্ষেত্রে একটি পুরানো প্রবাদ আছে, “ধীরে হাঁটুন এবং আপনি অনেক দূর যাবেন।” আপনি যদি তাড়াহুড়ো করেন তবে এটি ইঙ্গিত করে যে আপনার কাজকর্ম আপনার নিয়ন্ত্রণে নেই এবং আপনি চাপের মধ্যে আছেন।অন্যদিকে আপনি যখন জিনিসগুলিকে ধীরগতিতে করেন তার অর্থ হল আপনি আপনার সিদ্ধান্তগুলি সম্পর্কে সচেতন এবং আপনার কাজগুলি আপনার নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।
৩. কখনও পেট ভরে খাবেন না।
“দীর্ঘ জীবনের জন্য খাওয়ার ক্ষেত্রেও নিয়ম রয়েছে। এই ক্ষেত্রে একটি জাপানি প্রবাদ রয়েছে। প্রবাদটির অনুবাদ হল ‘মাত্র ৮০% পূর্ণ খাওয়া ডাক্তারদের দূরে রাখে’।এই ৮০ শতাংশ নিয়ম অনুযায়ী বেশিদিন সুস্থ থাকার জন্য আমাদের ক্ষুধার চাহিদার চেয়ে একটু কম খাওয়া উচিত ।
৪. ভাল বন্ধুদের সঙ্গে নিজেকে যুক্ত করুন
“বন্ধুরা হল সর্বোত্তম ওষুধ”।সেখানে আড্ডায় আপনি আপনার উদ্বেগ ,ভাল লাগা, মজা করা, স্বপ্ন দেখার মত ব্যক্তিগত অনুভূতিগুলি যেমন প্রকাশ করতে পারবেন সেইসাথে ভালো পরামর্শ পাবেন। এটি আন্তঃব্যক্তিক সম্পর্কের গুরুত্ব তুলে ধরে। সম্পর্ক এবং বন্ধুত্ব ছাড়া, আমরা সংযোগ, ঘনিষ্ঠতা বা ভালবাসা অনুভব করতে পারি না, বা আমরা আমাদের আনন্দ, আশা, সংগ্রাম এবং ভয় ভাগ করতে পারি না।তাই একা থেকে সময় কাটানোর পরিবর্তে পুরানো বন্ধুদের সাথে যোগাযোগ করুন এবং একটি বন্ধুত্বপূর্ণ জীবন উপভোগ করুন।
৫. আপনার পরবর্তী জন্মদিনের জন্য প্রস্তুত থাকুন
জল যেমন প্রবাহিত হয়ে চলে ,জীবনও তেমন এক জায়গায় স্থির থাকে না। সবসময় সামনের দিকে এগিয়ে যায়। এটিকে সচল রাখার জন্য প্রতিদিন কিছুটা রক্ষণাবেক্ষণের প্রয়োজন। এছাড়াও, প্রতিদিন ব্যায়াম হরমোন নিঃসরণ করে যা আমাদের সুস্থ থাকতে সাহায্য করে।
৬. হাসি
একটি প্রফুল্ল মনোভাব শুধুমাত্র নিজের জন্য নয় – এটি আপনাকে অন্যের সাথে বন্ধুত্ব করতেও সাহায্য করে।
৭. প্রকৃতির সাথে পুনরায় সংযোগ করুন
যদিও আজকাল বেশিরভাগ মানুষ শহরে বাস করে তবু দৃষ্টি, শ্রবণ, স্বাদ, ঘ্রাণ এবং স্পর্শের পাঁচটি ইন্দ্রিয় ব্যবহার করে প্রকৃতির সাথে সংযোগ রক্ষা করুন। এটি একটি মননশীলতার অনুশীলন যা আপনাকে প্রকৃতির সাথে পুনরায় সংযোগ স্থাপনে সহায়তা করবে যাতে আপনি আপনার শরীরকে পুনরুজ্জীবিত করতে পারেন এবং মনকে শান্তির একটি মুহূর্ত দিতে পারেন।


৮. ধন্যবাদ দিন
আপনার পূর্বপুরুষদের কাছে, প্রকৃতির কাছে, যা আপনাকে আপনার শ্বাস-প্রশ্বাসের জন্য বাতাস দিচ্ছে , খাবার সরবরাহ করছে, আপনার বন্ধু ও পরিবারকে যারা আপনার দিনগুলিকে উজ্জ্বল করছে নিজেকে ভাগ্যবান বলে মনে করে প্রতিদিন মনে মনে এক মুহূর্ত এদের ধন্যবাদ জানাতে ব্যয় করুন,আপনি আপনার সুখের ভাণ্ডার বাড়তে দেখবেন।
৯. মুহূর্তে বাস
“অতীতের জন্য অনুশোচনা করা এবং ভবিষ্যতের ভয় করা বন্ধ করুন। আজ আপনার সব আছে. এর সঠিক ব্যাবহার করুন এবং এই সময়টাকে মনে রাখার যোগ্য করে তুলুন।”
১০. আপনার ikigai অনুসরণ করুন
“আপনার ভিতরে একটি আবেগ আছে,সেই সাথে রয়েছে একটি অনন্য প্রতিভা যা আপনার দিনগুলিকে অর্থ দেয় এবং আপনাকে শেষ অবধি নিজের সেরাটি ভাগ করে নিতে চালিত করে। যদি আপনি না জানেন আপনার ikigai কি তাহলে আপনার লক্ষ্য এটি আবিষ্কার করা । আপনার ইকিগাইকে এমন একটি অনন্য প্রতিভা হতে হবে না যা আপনাকে শেষ অবধি নিজের সেরাটি ভাগ করে নিতে চালিত করবে।আপনার ikigai আপনার সকালের কফি উপভোগ করা থেকে শুরু করে বাগানে গাছের পরিচর্যা যে কিছুই হতে পারে।
এই দ্রুতগতির চাপপূর্ণ পৃথিবীতে ইকিগাই আমাদেরকে আরও পরিপূর্ণ এবং উদ্দেশ্যপূর্ণ জীবনের দিকে পরিচালিত করে। একটি দীর্ঘ এবং সুখী জীবনের এই জাপানি গোপনীয়তাকে আয়ত্ত করার মাধ্যমে, আমরা ভারসাম্য, তৃপ্তি এবং একটি সুখী জীবনযাপন থেকে যে আনন্দ পাওয়া যায় তা খুঁজে পেতে চেষ্টা করতে পারি। সুতরাং, আসুন আমরা সবাই আমাদের ইকিগাই (ikigai ) আবিষ্কার করার জন্য একটি যাত্রা শুরু করি এবং আরও অর্থবহ অস্তিত্বের জন্য প্রচেষ্টা করি।
আরও পড়ুন
সহযাত্রী
দীপা - আর তো এগারো বছর আটমাস বারোদিন চাকরি , তাই না ? অংশু - বাপরে বরাবরই তোমার স্মৃতিশক্তি প্রবল , এতোটা মনে আছে ? দীপা- ঘোরো টো টো করে আর কটা বছর , আফটার রিটায়ার্ড মেন্ট কি করবে ? অংশু - ফার্ম হাউস ,গাছপালা পশুপাখি নিয়ে থাকবো। দীপা- বাঃ উন্নতি হয়েছে। যে অংশুবাবু কখনও একটা ফুলের চারা লাগায়নি সে কিনা ফার্ম হাউস করবে … অংশু - সময়ের সাথে সব বদলায় ম্যাডাম , আচ্ছা তোমার কনুইয়ের নীচে সেই পোড়া দাগটা দেখি তো গেছে কিনা … দীপা- তুমি অনেক রোগা হয়ে গেছো , তা ওজন কত শুনি ? অংশু - সত্তর বাহাত্তর হবে বোধহয় মাপিনি, দীপা - তা কেনো মাপবে ? একটা অগোছালো মানুষ। অংশু - যাক বাবা তাও অপদার্থ শব্দ টা বলোনি। দীপা - ভাবোনা ডিভোর্স হয়েছে বলে সে অধিকার নেই। সমাজ বিজ্ঞানের অধ্যাপক হয়েও আসলে সমাজটাই শেখোনি , আর কি শিখেছো বলো, ঐ ছেলে পড়ানো , সেমিনার আর লেখালেখি। তা ধন্যবাদ তোমার রূপালী ঠৌট উপন্যাস এবছর একাডেমি পেলো , দারুণ লেখো তুমি, আগের চেয়ে অনেক ধার। অংশু- বাঃ তুমি পড়েছো ? দীপা- সব পড়েছি , তোমার রিসেন্ট উপন্যাসের নায়িকা মেঘনা টি কে ? মানে কার আড়ালে কাকে লিখেছো ? অংশু - এও কি বাংলা সাহিত্যের অধ্যাপিকাকে বলে দিতে হবে ? দীপা- বারোটা বছর সময়ের শাসনে অনেক বদলালেও আমি বোধহয় সেই বড্ড সেকেলেই রয়ে গেলাম। অংশু - একা একাই কাটিয়ে দিলে বারো বছর। দীপা- একই প্রশ্ন আমিও করতে পারি। অংশু - আচ্ছা দীপা আজ না হয় শেষবারের মতো বলি, আমার মধ্যে কি ছিলো না বলোতো ? কেনো পারোনি এই বাউন্ডুলে ভবঘুরে মানুষটার সাথে চিরকালের ঘর বাঁধতে ? আমি কি ভালোবাসতে জানি না ? .....বিস্তারিত পড়ুন
Fried rice syndrome: আগের দিনের রান্না করা ভাত খেলে হতে পারে এই বিশেষ অসুখটি
উত্তরাপথঃ আপনার কি বাসী ভাত বা পান্তা খাওয়ার অভ্যেস আছে? সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়া তোলপাড় ফ্রাইড রাইস সিনড্রোম (Fried rice syndrome) নিয়ে আমরা প্রায়ই অবশিষ্ট খাবার গরম করে আবার খাই। কিন্তু জানেন কি এই অভ্যাস আপনাকে অসুস্থ করে তুলতে পারে। অনেক সময় পর আগের রান্না করা ভাত খাওয়ার ফলে পেট সংক্রান্ত সমস্যা হয়। কেউ কেউ মনে করেন যে খাবার পুনরায় গরম করলে এতে উপস্থিত ব্যাকটেরিয়া মারা যায়, কিন্তু তা নয়। যে খাবারেই স্টার্চ থাকে না কেন, এতে উপস্থিত টক্সিন তাপ প্রতিরোধী। অর্থাৎ খাবার গরম করার পরও ব্যাকটেরিয়া নষ্ট হয় না। ফ্রাইড রাইস সিনড্রোম নামে এই সমস্যা সম্পর্কিত একটি অবস্থা রয়েছে। আজ আমরা এই ফ্রাইড রাইস সিনড্রোম অবস্থার লক্ষণ, কারণ এবং প্রতিকার নিয়ে আলোচনা করব। ভাত রান্না করার পর, যখন অবশিষ্ট ভাত কয়েক ঘন্টা বা সারারাত ঘরের তাপমাত্রায় রেখে দেওয়া হয় এবং তাতে ব্যাকটেরিয়া জন্মাতে শুরু করে, তখন এই অবস্থার নাম দেওয়া হয়েছে ফ্রাইড রাইস সিনড্রোম। .....বিস্তারিত পড়ুন
Bandna Festival: ছোটনাগপুরের বিস্তীর্ণ অঞ্চল পাঁচ দিন বাঁদনার আমেজে মশগুল থাকে
বলরাম মাহাতোঃ চিরাচরিত রীতি অনুযায়ী কার্তিক অমাবস্যার আগের দিন থেকে মোট পাঁচ দিন ব্যাপী বাঁদনার(Bandna Festival) আমেজে মশগুল থাকে ছোটনাগপুরের বিস্তীর্ণ অঞ্চল। অবশ্য, পরবের শুভ সূচনা হয় তারও কয়েকদিন আগে। আদিবাসী সম্প্রদায়ের সামাজিক শাসন ব্যবস্থার চূড়ামণি হিসাবে গাঁয়ের মাহাতো, লায়া, দেহরি কিম্বা বয়োজ্যেষ্ঠ ব্যক্তি নির্ধারণ করেন- ৩, ৫, ৭ বা ৯ ক’দিন ধরে গবাদি পশুর শিং-এ তেল মাখাবে গৃহস্বামী! রুখামাটির দেশের লোকেরা কোনোকালেই মাছের তেলে মাছ ভাজা তত্ত্বের অনুসারী নয়। তাই তারা গোরুর শিং-এ অন্য তেলের পরিবর্তে কচড়া তেল মাখানোয় বিশ্বাসী। কারণ কচড়া তেল প্রস্তুত করতে গোধনকে খাটাতে হয় না যে! কচড়া তেলের অপ্রতুলতার কারণে বর্তমানে সরষের তেল ব্যবহৃত হলেও, কচড়া তেলের ধারণাটি যে কৃষিজীবী মানুষের গবাদি পশুর প্রতি প্রেমের দ্যোতক, তা বলাই বাহুল্য! এভাবেই রাঢ বঙ্গে গোবর নিকানো উঠোনে হাজির হয়- ঘাওয়া, অমাবস্যা, গরইয়া, বুঢ়ি বাঁদনা ও গুঁড়ি বাঁদনার উৎসবমুখর দিনগুলি। পঞ্চদিবসে তেল দেওয়া, গঠ পূজা, কাঁচি দুয়ারি, জাগান, গহাইল পূজা, চুমান, চউক পুরা, নিমছান, গোরু খুঁটা, কাঁটা কাঢ়া প্রভৃতি ১১টি প্রধান পর্ব সহ মোট ১৬টি লোকাচারের মাধ্যমে উদযাপিত হয় বাঁদনা পরব(Bandna Festival )। .....বিস্তারিত পড়ুন
World’s most polluted cities: নয়াদিল্লি, মুম্বাই এবং কলকাতা বিশ্বের সবচেয়ে দূষিত শহরের তালিকায়
উত্তরাপথঃ দিওয়ালি উদযাপনের একদিন পর জাতীয় রাজধানী নয়াদিল্লি, মুম্বাই এবং কলকাতা বিশ্বের সবচেয়ে দূষিত শহরের (World’s most polluted cities) তালিকায় উঠে এসেছে।সোমবার, অর্থাৎ দীপাবলির পরের দিন এই শহরগুলির বায়ুর গুণমান উল্লেখযোগ্য মাত্রায় খারাপ হয়েছে।বায়ুর গুনমান খারাপ হওয়ার পেছনে মাত্রাতিরিক্ত আতশবাজি জ্বালানোকে দায়ী করা হয়েছে। আমাদের বিশ্বের সবচেয়ে দূষিত শহরের (World’s most polluted cities) তালিকায় যথারীতি প্রথম স্থান দখল করেছে ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লি। দীপাবলির পরের দিন এটির AQI (এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স) পরিসংখ্যান ছিল ৪০৭। নভেম্বরের শুরু থেকে, দিল্লিতে AQI পরিসংখ্যান খারাপ হয়েছে। সুইস গ্রুপ আইকিউএয়ার শহরের বাতাসকে "বিপজ্জনক" বিভাগে রেখেছে।ভারতের আর্থিক রাজধানী মুম্বাই বিশ্বের সবচেয়ে দূষিত শহরের তালিকায়(World’s most polluted cities), ১৫৭ এর AQI সহ ষষ্ঠ স্থানে রয়েছে। কলকাতা ১৫৪ এর AQI সহ সপ্তম স্থানে রয়েছে। .....বিস্তারিত পড়ুন