Political Violence: রাজনৈতিক সন্ত্রাস করে এতবড় জয় অর্জন করা সম্ভব ?

উত্তরাপথ

পশ্চিমবঙ্গে ত্রি-স্তরীয় পঞ্চায়েত নির্বাচন ও Political Violence যেন একে অপরের পরিপূরক হয়ে গেছে । এবারের নির্বাচনে ব্যাপক ভাবে জয়লাভ করেছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দল  তৃণমূল কংগ্রেস ,বিজেপি দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে, এবং বাম দল এবং কংগ্রেসের জোট সবচেয়ে কম আসন পেলেও ভোটের  হার আগের বারের থেকে অনেকটাই বেড়েছে। তৃণমূল কংগ্রেসের এই জয় আগামী লোকসভা নির্বাচনের আগে তাদের দলের কর্মীদের বাড়তি উৎসাহ দেবে সন্দেহ নাই।

তবে এত বড় জয়ের পরও জাতীয় স্তরে মমতা সমালোচনার স্বীকার । কারণ তার রাজ্যে নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় এখনও পর্যন্ত ৪৫ জন প্রান হারিয়েছে যার দায় রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে তিনি কোনও ভাবেই অস্বীকার করতে পারেন না।অন্যদিকে বিজেপি, বাম এবং কংগ্রেস, টিএমসিকে পুরো রাজনৈতিক হিংসার জন্য দায়ী করেছেন। তাদের যুক্তি রাজ্য নির্বাচন কমিশন পঞ্চায়েত নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করার পর থেকেই রাজ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে। সেই সময় বারবার অভিযোগ করা হয়েছিল যে নির্বাচনে  ৬০,০০০ প্রার্থীর মনোনয়ন জমা দেওয়ার জন্য পর্যাপ্ত দিন নেই। কিন্তু তা সত্বেও কমিশনের পক্ষ থেকে দিন বাড়ানো হয়নি।ফলে পরের দিন থেকেই, রাজ্য জুড়ে বেশ কয়েকটি জায়গায় সহিংসতার ঘটনা ঘটে।

যদিও ক্ষমতাসীন তৃণমূল কংগ্রেস (টিএমসি) রাজনৈতিক সন্ত্রাস নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হওয়ার জন্য কেন্দ্রীয় বাহিনীকে দায়ী করেছে। ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুর এবং বিরোধী দলগুলি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে “গণতন্ত্র চূর্ণ করার” জন্য অভিযুক্ত করেছে৷।  বিজেপি, বাম এবং কংগ্রেস টিএমসিকে তাদের প্রার্থীদের মনোনয়ন জমা দেওয়া থেকে নির্বাচনে অংশ নেওয়া পুরো পর্বে বাঁধা দেওয়া সহ ভয় দেখানোর অভিযোগ করেছে এবং রাজনৈতিক সন্ত্রাসের জন্য দায়ী করেছে। অন্যদিকে, টিএমসি নিজেদের নির্দোষ বলে দাবি করেছে ।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য ২০১৮ সালে, টিএমসি ৯৫% এর বেশি গ্রাম পঞ্চায়েত জিতেছিল, যার মধ্যে ৩৪% আসন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায়  জিতেছিল, যা বাংলা পঞ্চায়েত নির্বাচনের ইতিহাসে একটি রেকর্ড। সেইসময়, বিরোধীরা অভিযোগ করেছিল তাদের মনোনয়ন জমা দিতে দেওয়া হয়নিএরসেই সময় টিএমসিকে বড় ধরনের সহিংসতা এবং ভোট কারচুপির অভিযোগে সমালোচনার মুখোমুখি হয়েছিল এবং পুলিশের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছিল।

এতসবের পরও একটা প্রশ্ন থেকে যায় এতবড় জয় কি শুধুমাত্র রাজনৈতিক সন্ত্রাস (Political Violence) করে অর্জন করা সম্ভব ? না কি বিরোধীদের সাংগঠনিক দুর্বলতা ঢাকার এক মরীয়া চেষ্টা ।

খবরটি শেয়ার করুণ

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন


মতুয়া আন্দোলনের এক মনোগ্রাহী ভাষ্য

অরবিন্দ পুরকাইত: আপাত বা গভীর কোনও স্তরেই তেমন কিছু তফাৎ পরিলক্ষিত না হলেও, বর্ণবাদী সমাজে একই পাড়ায় একেবারে প্রায় পাশাপাশি কেবল বিশেষ বিশেষ ঘরে জন্মানোর নিমিত্ত - শিক্ষাদীক্ষা পরের কথা – ভূমিষ্ঠ হওয়া থেকেই আজীবন একজন শ্রদ্ধা-ভক্তি-প্রণাম পাওয়ার অদৃশ্য শংসাপত্রের অধিকারী আর অন্যজনের সেবা-শ্রদ্ধা-ভক্তির অদৃশ্য দাসখতের দায়বদ্ধতা! কেন-না সৃষ্টিলগ্নেই একজন প্রজাপতি ব্রহ্মার মুখনিসৃত আর অন্যজন পদজ যে! সুতরাং মুখ থাকবে সবার উপরে, সবার নিচে পা – এতে অস্বাভাবিকতা বা আশ্চর্যের তো কিছু নেই! কিন্তু কেবল সেবা-শ্রদ্ধাতেই সব মিটে .....বিস্তারিত পড়ুন

Scroll to Top