#Rath Yatra Puri: রথযাত্রার আগে, জগন্নাথ মন্দিরের কাছে ড্রোন নিষিদ্ধ

উত্তরাপথ

২০ জুন ভগবান জগন্নাথের বার্ষিক রথ যাত্রার আগে, পুরী পুলিশ সতর্কতা মূলক পদক্ষেপ হিসাবে দ্বাদশ শতকের শ্রীজগ্ননাথ মন্দিরের কাছে ড্রোন উড়তে নিষেধ করেছে, বলে জানায় একজন পুলিশ কর্মকর্তা। তিনি আরও বলেন, এই নিষেধাজ্ঞা ১ জুলাই পর্যন্ত বলবৎ থাকবে, যারা এই নিষেধাজ্ঞা না মানবেন তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে। অনভিজ্ঞ ব্যক্তিদের দ্বারা অনিয়ন্ত্রিত ড্রোন ব্যবহার ভক্তদের অনেক্ষেত্রে নিরাপত্তার জন্য ঝুঁকি তৈরি করে। এর আগে নিয়ম লঙ্ঘনের জন্য পুরী পুলিশের পক্ষ থেকে কয়েকজনের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছিল বলে জানা গেছে।  যেহেতু শ্রী জগন্নাথ মন্দিরকে ড্রোন বিধিমালা ২০২১ এর বিধান অনুসারে একটি রেড জোন হিসাবে ঘোষণা করা হয়েছে, তাই মন্দির চত্বরে কাউকে কোনও রকম গ্যাজেট ওড়ানোর অনুমতি নেই। যদি কোনও অপারেটর একান্ত ড্রোন চালাতে চান তাঁর জন্য অপারেটরকে সনাক্তকরণ নম্বর ডিজিসিএ (সিভিল এভিয়েশনের মহাপরিচালক) দ্বারা জারি করা হয়েছে সহ বৈধ UIN (অনন্য) অবশ্যই দরকার।  এছাড়া ড্রোন চালানো যাবে না। আদেশে আরও বলা হয়েছে যে কোনও ব্যক্তির সম্পত্তির ক্ষতি বা আঘাতের সাথে জড়িত যে কোনও দুর্ঘটনার জন্য ড্রোন অপারেটররা দায়ী থাকবে। ড্রোনের যে কোনো নিয়ম লঙ্ঘন শাস্তিযোগ্য অপরাধ। শুধুমাত্র পুরী জেলা পুলিশ রথযাত্রার সময় ট্র্যাফিক, ভিড়ের ঘনত্ব এবং সৈকত নিরাপত্তা এবং গ্র্যান্ড রোডের উপর নজরদারির জন্য ড্রোন ব্যবহার করবে।

খবরটি শেয়ার করুণ

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন


লোকসংস্কৃতির আলোকে মালদার শতাব্দী প্রাচীন গম্ভীরা  

মৈত্রেয়ী চৌধুরীঃ পশ্চিমবঙ্গের উত্তরের একটি জেলা মালদা। আমের জন্য এই জেলাটি পরিচিতি লাভ করলেও এই জেলা আর ও একটি কারণে বিখ্যাত, তা হল গম্ভীরা । মালদার নিজস্ব লোকসংস্কৃতি।গম্ভীরা শব্দটি প্রকোষ্ট, গৃহ বা মন্দির অর্থের সঙ্গে আভিধানিক মিল থাকলেও এই অনুষ্ঠানটি উন্মুক্ত আকাশের নিচে বা কোথাও চাঁদোয়া বা ত্রিপল  দিয়ে ঢেকে অনুষ্ঠিত হয়। এই উৎসবের মূল কেন্দ্রবিন্দু হলেন স্বয়ং দেবাদিদেব। এই উৎসবের তিনি 'নানা' নামে পরিচিত।একজন শিবের সাজে থাকেন, আর দেবাদিদেবের চেলার মতো কিছু সংখ্যক সেই নানার ভক্ত হয়ে খোল, করতাল হাতে উনার সঙ্গী হন। বাস্তব জগতের এবং পারিপার্শ্বিক যা মা সমস্যা থাকে তা  চেলার নানার কাছে অভিযোগ জানান, যেন নানা সেই অভিযোগ শুনে তার সমাধান করেন।শিশু থেকে বৃদ্ধ সকলেই ভিড় করে জমায়েত .....বিস্তারিত পড়ুন

জানুন ২০২৩ সালের জাতীয় শিক্ষক পুরস্কার প্রাপ্ত শিক্ষক ডঃ শীলা অসোপা'র কথা

ত্তরাপথঃ ডঃ শীলা অসোপা, সরকারি বালিকা উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়, শ্যাম সদন, যোধপুরের অধ্যক্ষা, তিনি ১৭ বছর ধরে স্কুলের বাচ্চাদের পড়াচ্ছেন।তাঁকে শিশুদের শেখানোর নতুন পদ্ধতি উদ্ভাবন, স্কুলের অবকাঠামো শক্তিশালীকরণ এবং উদ্ভাবনের জন্য ২০২৩ সালের জাতীয় শিক্ষক পুরস্কারে পুরুস্কৃত করা হয়।  ডঃ অসোপাকে, যোধপুরে শ্যাম সদন, সরকারি বালিকা উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে, ১০ মাস আগে বদলি করা হয় । সেই সময় দ্বাদশ শ্রেণী পর্যন্ত বিদ্যালয়ে মাত্র দুটি কক্ষ ছিল।মেয়েরা টিনের চালা দিয়ে তৈরি ঘরে পড়াশোনা করত।  ঘর কম থাকায় গাছের নিচেও ক্লাস হত । তার কথায় ,সেই সময়টা বাচ্চাদের পড়াশুনা নিয়ে খুব দুশ্চিন্তায় কেটেছে । এরপর টিনের চালা দিয়ে তৈরি কক্ষে কাঠের পার্টিশন দিয়ে ৬টি কক্ষ তৈরি করা হয়। .....বিস্তারিত পড়ুন

আগামী ৩ বছরে শূন্য বর্জ্য হওয়ার পথে রাজস্থানের প্রথম গ্রাম

উত্তরাপথঃ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিভাগের একটি প্রকল্পের আওতায় আঁধি গ্রামে এই পরিবর্তন করা হচ্ছে।জয়পুর থেকে ৫০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত আন্ধি গ্রাম।আগামী তিন বছরে এই গ্রাম শূন্য বর্জ্য হয়ে যাবে বলে মনে করা হচ্ছে ।আন্ধি গ্রামের এই সম্পূর্ণ রূপান্তরটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিভাগের একটি প্রকল্পের অধীনে করা হচ্ছে।  এই প্রকল্পটি সবুজ প্রযুক্তির হস্তক্ষেপ ব্যবহার করে আন্ধি গ্রামকে জিরো ওয়েস্ট মডেলে রূপান্তরিত করার কাজ চলছে ।  এই প্রকল্পটি ২১ মার্চ ২০২২ এ শুরু হয়েছে,  প্রকল্প পরিচালক বলেন, এ গ্রামের অবস্থা আগে খুবই খারাপ ছিল।আগে এই গ্রামের লোকেদের কঠিন বর্জ্য আলাদা করার কোনও ধারনা ছিল না । .....বিস্তারিত পড়ুন

সম্পাদকীয়

বিশ্ব উস্নায়ন এবং তাকে কেন্দ্র করে জলবায়ু পরিবর্তন একবিংশ শতাব্দীর অন্যতম বড় চ্যালেঞ্জ। এটি  ধীরে ধীরে একাধিক উপায়ে মানব সমাজকে ব্যাপকভাবে প্রভাবিত করছে এবং অদূর ভবিষ্যতে এটি প্রায় অনিয়ন্ত্রিত হয়ে যাবে বলে মনে করা হচ্ছে।ইতিমধ্যে এটি আমাদের পরিবেশ, অর্থনীতি এবং আমাদের জীবন যাত্রার উপর ব্যাপক ভাবে প্রভাব দেখাতে শুরু করেছে ।সদ্য হয়ে যাওয়া হিমাচল প্রদেশের বন্যা আমাদের সামনে বেশ কিছু প্রশ্ন তুলে দিল । এবছর হিমাচল প্রদেশে বর্ষাকালে রেকর্ড পরিমাণে বৃষ্টিপাত হয়েছে ,যা বিগত কয়েক বছরের তুলনায় বহু গুণ বেশী।  ভারতের আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, হিমাচল প্রদেশে ১ জুলাই থেকে ১২ জুলাই পর্যন্ত গড় বৃষ্টিপাত হয়েছে ২৪৯.৬ মিমি যা স্বাভাবিক গড় ৭৬.৬ মিমি থেকে প্রায় ৭০% বেশী .....বিস্তারিত পড়ুন

Scroll to Top