উত্তরাপথ
একদিকে দেশে লাগামছাড়া মূল্যবৃদ্ধি, বেকারত্ব সেইসাথে পাল্লাদিয়ে বাড়ছে নেতা -মন্ত্রীদের দুর্নীতি ও তাদের বিরুদ্ধে অসন্তোষ যা কর্ণটিকে বিজেপির বিরুদ্ধে গেছে। বাজিমাত করেছে কংগ্রেস। কর্ণটিকে বিজেপির রাজনৈতিক বিপর্যয়ের পর আর এ এসের ইংরেজি সাপ্তাহিক ‘অর্থনাইজার’ পত্রিকায় প্রকাশিত নিবন্ধে পরিষ্কার করে দেওয়া হয়েছে যে, মোদী ম্যাজিক, হিন্দুত্ববাদে ভর করে নির্বাচন জেতার দিন শেষ হতে চলেছে। ২৪-এর লোকসভা নির্বাচনের আগে কার্যত ভরাডুবির ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে আর এস এসের ইংরেজি সাপ্তাহিক মুখপত্রে। কর্ণাটকে বিপর্যয়ের পর রাজস্থান, ছত্তিশগড়, মধ্যপ্রদেশ, মিজোরাম, ভেলেঙ্গানার বিধানসভা নির্বাচনকে ২৪-এর লোকসভা নির্বাচনের আগে সেমি ফাইন্যাল বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক মহল। ঠিক সেই সময় আর এস এসের মুখপত্রে হুশিয়ারি উঠে এসেছে বিজেপি নেতৃত্বের প্রতি। আর এস এসের মুখপত্রে বলা হয়েছে যে বিজেপির শক্তিশালী আঞ্চলিক নেতৃত্ব উঠে এলে পরিস্থিতি বদলাতে পারে। সেই সাথে বিজেপিকে বিভিন্ন রাজ্যের সংগঠনকে মজবুত করতে বলা হয়েছে। শুধুমাত্র একজন নেতার উপর ভিত্তি করে সমস্ত রাজ্যগুলি আগামীতে জেতা সম্ভব হবে না বলে ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে। সেই সাথে কংগ্রেস কর্ণাটকে শক্তিশালী আঞ্চলিক নেতৃত্ব গড়ার পাশে স্থানীয় সমস্যায় বেশি জোর দিয়েই বাজিমাত করেছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে।
কর্ণটিকে দুর্নীতি, মূল্যবৃদ্ধি, বেকারি যে বিজেপির পরাজয়ে ছাপ ফেলেছে তা কার্যত মেনে নিয়েছে আর এস এস।তবে এই পর্যবেক্ষণ আগামীতে বিজেপিকে কতটা পথ দেখাবে তা আগামী নির্বাচন গুলিতে স্পষ্ট হবে।
আরও পড়ুন
ছৌশিল্পী পদ্মশ্রী নেপাল মাহতো ও বিশ্ব মঞ্চে ভারতের লোকনৃত্য
গার্গী আগরওয়ালা মাহাতোঃ আমাদের চারিদিকে বিশ্ব দ্রুত বিকশিত হচ্ছে,পরিবর্তিত হচ্ছে শিল্প সাধনার প্রকৃতি। এই পরিবর্তিত শিল্প সাধনার যুগে আমাদের সেই সমস্ত ব্যক্তিদের স্বীকৃতি দেওয়া এবং সম্মান করা অপরিহার্য যারা সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য সংরক্ষণ ও প্রচারে তাদের জীবন উৎসর্গ করেছেন। এমনই একজন উল্লেখযোগ্য ব্যক্তিত্ব হলেন ছৌশিল্পী পদ্মশ্রী নেপাল মাহতো। নেপাল মাহাতো, যার ছৌনৃত্যের জগতে দেশে ও বিদেশে অতুলনীয় অবদান তাকে ভারতের চতুর্থ সর্বোচ্চ নাগরিক সম্মান ‘পদ্মশ্রী´এনে দিয়েছে। নেপাল মাহতোর জন্ম ১৭ জুন ১৯৫৪ সালে পশ্চিমবঙ্গের পুরুলিয়া জেলার বরাবাজার থানার আদাবনা নামে একটি ছোট গ্রামে। তার পিতা স্বর্গীয় নগেন্দ্রনাথ মাহাতো ও মাতা তুষ্ট মাহাতো। .....বিস্তারিত পড়ুন
ধানের সাধ ভক্ষণ : জিহুড়
ড. নিমাইকৃষ্ণ মাহাত: আশ্বিন সংক্রান্তিতে কৃষক সমাজের মধ্যে জিহুড় পার্বণ পালিত হয়। কৃষক সাধারণের মধ্যে জিহুড় পার্বণের একটি বিশেষ তাৎপর্য রয়েছে। জিহুড় অর্থাৎ আশ্বিন সংক্রান্তির সময় বহাল জমিতে লাগানো ধান বা বড়ান ধানে থোড় আসতে শুরু করে। সুতরাং ধান গাছ গর্ভাবস্থায় থাকে। মানুষের ক্ষেত্রে গর্ভাবস্থায় নানা ধরনের আচার-সংস্কার পালন করা হয়। এই সংস্কারগুলির অন্যতম হলো " ন' মাসি " অর্থাৎ গর্ভাবস্থার নবম মাসে যে আচার -অনুষ্ঠান পালন করা হয়। এর কিছুদিন পরেই সন্তানজন্মগ্রহণ করে। মানব- সমাজের গর্ভাবস্থাজনিত এই ধরনের আচার সংস্কারের সঙ্গে ধান গাছের গর্ভাবস্থার কারণে পালনীয় অনুষ্ঠান জিহুড়ের সাদৃশ্য থাকে দেখা যায়। সেই জন্য অনেকে জিহুড় অনুষ্ঠানকে ধান গাছের 'সাধভক্ষণ' বলে থাকেন। জিহুড়-এ ধান গাছ .....বিস্তারিত পড়ুন
গ্লোবাল ওয়ার্মিং রিপোর্ট: ২০২৩ বৈশ্বিক উষ্ণতা নিয়ে উদ্বেগজনক প্রতিবেদন
উত্তরাপথঃ সারা বিশ্ব যখন বিশ্ব উষ্ণায়নের কেন্দ্র করে শুরু হওয়া জলবায়ু সংকটের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে সেই সময়, ২০২৩ বৈশ্বিক উষ্ণতা নিয়ে একটি উদ্বেগজনক প্রতিবেদন আমাদের সামনে নিয়ে এসেছে। ইউরোপীয় ইউনিয়নের জলবায়ু পর্যবেক্ষণ কেন্দ্র ৮ আগস্ট যে পরিসংখ্যান আমাদের সামনে তুলে ধরেছেন,তাতে আগামী দিনের ভয়াবহ পরিণতির জন্য বিশ্ববাসীকে সতর্কবাণী শুনিয়েছেন।এখনও পর্যন্ত সারা বিশ্বে তাপ তরঙ্গ এবং দাবানলের জন্য ২০১৯ সালের জুলাই মাসটিকে চিহ্নিত করা হত । কিন্তু এবছর জুলাই মাসের তাপমাত্রা গত ২০১৯ সালের থেকেও ০.৩৩ সেন্টিগ্রেড বেশি ছিল EU-এর কোপার্নিকাস ক্লাইমেট চেঞ্জ সার্ভিসের ডেপুটি ডিরেক্টর সামান্থা বার্গেস বলেছেন, "গত ১২০,০০০ বছর ধরে পর্যবেক্ষণমূলক রেকর্ড এবং প্যালিওক্লাইমেট রেকর্ড এক সাথে সমন্বয় করে বিশ্লেষণ করলেও এত গরম ছিল না।" .....বিস্তারিত পড়ুন
আমন্ত্রণপত্রে, বর ও কনের নামের সাথে আইআইটি লেখায় বিতর্ক সোশ্যাল মাধ্যমে
উত্তরাপথঃ বিবাহের সময়, অভিনব এবং ডিজাইনার আমন্ত্রণ কার্ডগুলি সর্বদা সকলের আলোচনায় পরিণত হয়। কিছু আমন্ত্রণ পত্র বিলাসবহুল চকোলেটের সাথে কাস্টমাইজ করে বানানো হয়,আবার কোনও কোনও ক্ষেত্রে পরিবেশের কথা মাথায় রেখে বায়োডিগ্রেডেবল কার্ডের সাথে উপহার হিসাবে গাছ দেওয়া হয়। সম্প্রতি, একটি পুরাতন বিবাহের আমন্ত্রণপত্র ইন্টারনেটে ভাইরাল হচ্ছে যা বর এবং কনের শিক্ষাগত যোগ্যতা গুলিকে হাইলাইট করে বানানো হয়েছে । অর্থাৎ কার্ডে বর ও কনের নামের সাথে তাদের পড়াশোনার ডিগ্রিকেও যুক্ত করা হয়েছে। .....বিস্তারিত পড়ুন