

বিলকিস বানোর সংগ্রামের গল্প, তার জীবনের একটা বড় অংশ কেটেছে বিচার পেতে
উত্তরাপথঃ আসন্ন লোকসভা নির্বাচনকে সামনে রেখে বিজেপির বিরুদ্ধে এবার বিলকিস বানো ইস্যুতে ময়দানে তৃণমূল কংগ্রেস। সম্প্রতি বিলকিস বানোর গণধর্ষণ কাণ্ডের মামলায় সুপ্রিম কোর্টে বড় ধাক্কা খেয়েছে গুজরাত সরকার। বিলকিস বানো গণধর্ষণকাণ্ডে ১১ জন সাজাপ্রাপ্তকে মুক্তি দেওয়ার যে সিদ্ধান্ত সেই সময় গুজরাত সরকার নিয়েছিল, সেই সিদ্ধান্তকে খারিজ করে দিয়েছে শীর্ষ আদালত। অবিলম্বে ওই ১১ জনকে দু সপ্তাহের মধ্যে জেলে ফেরানোর নির্দেশ দিয়েছে দেশের শীর্ষ আদালত ৷ বিলকিস বানোর জীবনের একটা বড় অংশ কেটেছে বিচার পেতে। ৩ মার্চ, ২০০২ সালে গুজরাটের দাহোদ জেলার রন্ধিকপুর গ্রামের বাসিন্দা বিলকিস ইয়াকুব রসুল বানোকে গণধর্ষণ করা হয়। এর আগে ২৭ ফেব্রুয়ারী ২০০২ সালে, গুজরাটের গোধরা স্টেশনে দাঁড়িয়ে থাকা সবরমতি এক্সপ্রেসে আগুন দেওয়া হয়। অযোধ্যা থেকে ফিরে আসা কয়েক ডজন কর সেবক ও রাম ভক্ত এই ট্রেনে যাতায়াত করছিলেন। এ অগ্নিকাণ্ডে শিশু ও নারীসহ পাঁচ ডজন লোক দগ্ধ হয়। .....বিস্তারিত পড়ুন


রসায়নে CSIR Young Scientist Awards ২০২২ বিজেতা ড. নির্মল গোস্বামী
উত্তরাপথঃকরোনা মহামারীর পর সম্প্রতি Council of Scientific & Industrial Research আবার তাদের CSIR Young Scientist Awards দেওয়া শুরু করল। প্রসঙ্গত করোনা মহামারীর সময় এই পুরষ্কার প্রদান সাময়িক ভাবে বন্ধ রেখেছিল CSIR। ডাঃ নির্মল গোস্বামী CSIR - ইনস্টিটিউট অফ মিনারেলস অ্যান্ড মেটেরিয়ালস টেকনোলজি থেকে রসায়নে তার অসামান্য অবদানের জন্য CSIR Young Scientist Awards ২০২২ পেয়েছেন। CSIR Young Scientist Award হল যে কোন CSIR ইনস্টিটিউটে কর্মরত তরুণ বিজ্ঞানীদের অসামান্য অবদানের স্বীকৃতি ।CSIR এই পুরস্কারের মাধ্যমে তাদের তরুণ বিজ্ঞানীদের ভারতে করা বিগত ৫ বছরের তাদের অসামান্য গবেষণাকে বিশ্বমঞ্চে তুলে ধরার চেষ্টা করে।এই পুরষ্কার প্রাপকেরা ২৫ লক্ষ টাকা গবেষণা অনুদান সহ একাধিক সুবিধা পান। ডাঃ নির্মল গোস্বামী বাঁকুড়ার শালডিহা কলেজ থেকে রসায়নে সম্মানিক (B.Sc) ও বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয় থেকে রসায়নে M.Sc. করেন । তারপর কলকাতার এস.এন. বোস ন্যাশনাল সেন্টার ফর বেসিক সায়েন্সেস (S. N. Bose National Centre for Basic) থেকে তার গবেষণা শুরু করেন .....বিস্তারিত পড়ুন


মানভূমে কৃষিবছরের সূচনা : আখ্যান যাত্রা ( ১ লা মাঘ )
ড. নিমাইকৃষ্ণ মাহাতঃ 'আখ্যান' কথাটির অর্থ হল সূচনা। পুরুলিয়া জেলা ও তৎসংলগ্ন অঞ্চলের মূলনিবাসী ও আদিবাসী কৃষকদের কৃষিবৎসরের সূচনা হয় আখ্যানযাত্রা অর্থাৎ ১লা মাঘ। 'যাত্রা' কথাটির অর্থ হলো শুভ বা পবিত্র। কৃষকেরা আখ্যান্ দিন অর্থাৎ ১ লা মাঘ দিনটিকে খুবই শুভ ও পবিত্র বলে মনে করে । তাই এই দিনটিকে ' আখ্যানযাত্রা ' নামে অভিহিত করা হয় । এই পবিত্র দিনে কৃষকেরা নানাবিধ শুভ কর্মের সূচনা করে । এই দিন অনেকে গৃহ নির্মাণের সূচনা করে , নতুন গৃহের প্রথম 'গুড়িচটানো ' ( ভিত কাটা) আরম্ভকরে। কৃষকেরা বিশ্বাস করে যে আখ্যান দিনে সূচনা হওয়া গৃহে বসবাস করলে সংসারের সমৃদ্ধি ঘটবে এবং কোনদিন অভাব হবে না। আখ্যান যাত্রার দিনে আচরণীয় সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কৃষিকেন্দ্রিক অনুষ্ঠানটি হলো 'হাল পুণহা' করা। ঐদিন সকাল থেকে ঘরের মহিলারা ঘর -দোর, উঠান পরিষ্কার করে এবং গোবর জল লেপন করে । ঘর এবং উঠানে আঁকা হয় মাঙ্গলিক চিহ্নস্বরূপ আলপনা এবং মা লক্ষ্মীর পদচিহ্ন । এইভাবে কৃষক পরিবারে সেদিন একটি বিশুদ্ধ পরিবেশ গড়ে তোলা হয়। এই বিশুদ্ধ পরিবেশে নতুন ফাল , হাল, পাশি, জোৎ, বিয়নি ইত্যাদি উপকরণ সহযোগে নতুন কৃষি বৎসরের প্রথম দিনে প্রথম হাল .....বিস্তারিত পড়ুন


নরেন্দ্র মোদীর সমুদ্র সৈকতের ছবি কীভাবে #BoycottMaldives -এপরিণত হয়েছে
উত্তরাপথঃ আজকের আন্তঃসংযুক্ত বিশ্বে, একটি একক ছবি কিভাবে সুদূরপ্রসারী পরিণতি ডেকে আনতে পারে তা প্রত্যক্ষ করল সারাবিশ্ব। এটি স্পষ্ট হয়েছিল যখন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর একটি আপাতদৃষ্টিতে সাধারণ সমুদ্র সৈকতের ছবি মালদ্বীপের বয়কটের (#BoycottMaldives) অনুঘটক হয়ে ওঠে ।সম্প্রতি দক্ষিণ ভারতের কেরালার উপকূলের কাছাকাছি লাক্ষাদ্বীপে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী তার নিজের কয়েকটি ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্স-এ পোস্ট করেন। সেখানে তাকে সমুদ্রতটের পাশ দিয়ে হেঁটে যেতে ও সাগরে ডুব দিতে দেখা যাচ্ছে।এরপর সেই ছবিগুলোকে কেন্দ্র করেই বিতর্কের সূত্রপাত শুরু হয়। মোদী তার পোস্টে মালদ্বীপের কথা উল্লেখ করেননি। তবে তার পোস্টে তিনি স্বল্প পরিচিত লাক্ষা দ্বীপপুঞ্জের মনোরম প্রাকৃতিক দৃশ্যের প্রশংসা করেছেন।মোদীর এই পোস্ট দেখে অনেকে ধরে নেন, প্রকারান্তরে তিনি ভারতের নাগরিকদের মালদ্বীপে না গিয়ে লাক্ষাদ্বীপে ছুটি কাটাতে যেতে উদ্বুদ্ধ করছেন।এরপর ছবিগুলো দেখে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিভিন্ন রকম প্রতিক্রিয়া আসতে থাকে।এর মধ্যে মালদ্বীপের তিনজন মন্ত্রীও এই পোস্টের প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন। .....বিস্তারিত পড়ুন


ঠান্ডার তোয়াক্কা না করেই লোকে লোকারণ্য গঙ্গাসাগর মেলা
উত্তরাপথঃ প্রতি বছরই যেন আগের বারের রেকর্ড ভেঙে বেশি পূণ্যার্থী এসে ভিড় করেন গঙ্গাসাগরে। এই আবহে মকরস্নানের আগেই উঠে এল পূণ্যার্থীদের অবিশ্বাস্য পরিসংখ্যান। উল্লেখ্য, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় গত বুধবার গঙ্গাসাগর মেলার উদ্বোধন করেছিলেন। সেদিন থেকে শনিবার দুপুর পর্যন্ত গঙ্গাসাগরে আগত পূণ্যার্থীদের সংখ্যা প্রকাশ্যে এসেছে।জানা গেছে বুধবার গঙ্গাসাগর মেলা শুরু হওয়ার পর থেকে শনিবার দুপুর ১২টা পর্যন্ত ৪৫ লক্ষ পুণ্যার্থী গঙ্গাসাগরে স্নান সেরে ফিরে গিয়েছেন। এবছর পূণ্যস্নানের যোগ ছিল রবিবার (ইংরেজি মতে সোমবার) রাত ১২টা ১৩ মিনিট থেকে সোমবার দুপুর ১২ টা ১৩ মিনিট পর্যন্ত। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে শনিবারই গঙ্গাসাগরে যান মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস, সুজিত বসু, শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়রা। সেখানে গিয়ে গোটা ব্যবস্থা খতিয়ে দেখেন তাঁরা।এই আবহে পূণ্যার্থীদের ভিড় সামলাতে কলকাতা থেকে কাকদ্বীপ পর্যন্ত একাধিক বাফার জোন তৈরি করা হয়েছে। মেলা প্রাঙ্গণে রয়েছে ৩৪টি ওয়াচ টাওয়ার। ১১০০ সিসি ক্যামেরা ও ড্রোনের মাধ্যমে নজদারি চলছে সবসময়।এবার গঙ্গাসাগরের ৬টি স্নানঘাটে স্নানের আয়োজন করা হয়েছে .....বিস্তারিত পড়ুন


Nyay Yatra: রাহুল গান্ধীর ন্যায় যাত্রা কি INDIA জোটকে ন্যায় দিতে পারবে?
উত্তরাপথঃ কড়া নিষেধাজ্ঞার মধ্যেও শুরু হল রাহুল গান্ধীর ন্যায় যাত্রা(Nyay Yatra)। মণিপুর সরকার প্রথমে স্থান এবং পরে সংখ্যার বিষয়ে অনেক বিধিনিষেধ আরোপ করেছিল। মণিপুরে বিজেপির সরকার আছে।কংগ্রেসের লক্ষ্য রাহুল গান্ধীর আগের ভারত জোড় সফরের মতো এটিকে একটি "রূপান্তরমূলক" সফর করা।যাত্রাটি ১৫টি রাজ্যের ১০০টি লোকসভা কেন্দ্রের মধ্য দিয়ে বাসে এবং পায়ে হেঁটে ৬,৭১৩ কিলোমিটার দূরত্ব অতিক্রম করবে।ন্যায় যাত্রা ৬৭ দিনে ১১০টি জেলা অতিক্রম করবে এবং ২০ বা ২১ মার্চ মুম্বাইয়ে শেষ হবে বলে আশা করা হচ্ছে।লোকসভা নির্বাচনের প্রস্তুতি নিতে, কংগ্রেস তার বড় মিশনের পদক্ষেপ হিসাবে রাহুল গান্ধীর নেতৃত্বে ভারত জোড় ন্যায় যাত্রার (Nyay Yatra )সূচনা করল। এর আগে কংগ্রেস ভারত জোড়ো যাত্রার মাধ্যমে দক্ষিণ থেকে উত্তরে অনেক রাজ্য সফর করেছিল এবং বেশ কিছু রাজ্যে সাফল্যের মুখ দেখে কংগ্রেস। এবার সেই একই পথে দলকে আরও জনপ্রিয় করার জন্য ভারত জোড় ন্যায় যাত্রা শুরু করল কংগ্রেস। .....বিস্তারিত পড়ুন