Frozen Shoulder: ফ্রোজেন শোল্ডারের সমস্যা কি? এর লক্ষণ, কারণ ও চিকিৎসা জেনে নিন

উত্তরাপথঃ কাঁধে তীব্র ব্যথা এবং শক্ত হয়ে যাওয়ার সমস্যাকে ফ্রোজেন শোল্ডার বলা হয়। এই সমস্যাটি বেশ সাধারণ এবং মানুষকে প্রায়ই এর সম্মুখীন হতে হয়। ফ্রোজেন শোল্ডারের ক্ষেত্রে, কাঁধে ব্যথা হয় এবং এর সাথে কাঁধের পেশীতে একটি শক্ত অনুভূতি দেখা দেয় ।যার জেরে কাঁধ পুরোপুরি কাজ করা বন্ধ করে দেয়, এই অবস্থাকে বলা হয় ফ্রোজেন শোল্ডার। যাদের ফ্রোজেন শোল্ডারের সমস্যা আছে, তাদের কাঁধের সাথে সম্পর্কিত কোনো কাজ করা কঠিন হয়ে পড়ে। এই লোকেরা তাদের চুল আঁচড়ানো, দাঁত ব্রাশ করা, গাড়ি চালানো বা চুল শ্যাম্পু করার মতো ছোটখাটো দৈনন্দিন কাজও করতে অক্ষম হয়ে পড়ে , কারণ এটি করার সময় তারা তাদের কাঁধে তীব্র ব্যথা অনুভব করে । তাদের কাজের জন্য অন্যের সাহায্যের উপর নির্ভর করতে হয়। ফ্রোজেন শোল্ডারের সমস্যা কেন হয়? কাঁধের জয়েন্ট এবং এর চারপাশের কোষগুলি কাঁধের ক্যাপসুল হিসাবে পরিচিত। ফ্রোজেন শোল্ডারের সমস্যা সাধারণত কাঁধে প্রদাহের কারণে হয়। কাঁধের জয়েন্টের ক্যাপসুলে লিগামেন্ট থাকে যা কাঁধের হাড়কে একে অপরের সাথে ধরে রাখে। যখন ক্যাপসুল স্ফীত হয়ে যায়, তখন কাঁধের হাড়গুলি জয়েন্টে অবাধে চলাচল করতে পারে না।এর ফলে প্রচণ্ড ব্যাথা হয় এবং কাঁধের সঙ্গে সম্পর্কিত কোনো কাজ করা কঠিন হয়ে পড়ে। ফ্রোজেন শোল্ডার লক্ষণগুলি কী কী? কাঁধে ব্যথা সেই সঙ্গে কাঁধ শক্ত হওয়া। রাতে ব্যথা অনুভব করা এবং ঘন ঘন ঘুম থেকে উঠা কাঁধ বা পিঠের দিকে বাহু ঘুরানোর সময় প্রচুর ব্যথা অনুভব করা ফ্রোজেন শোল্ডারের সমস্যা কি নিরাময় হয়? ফ্রোজেন শোল্ডারের সমস্যা সাধারণত প্রথমে একদিকে কাঁধে শুরু হয় .....বিস্তারিত পড়ুন

দূষণে তাজমহল বর্ণহীন হয়ে পড়ছে, শুরু করা হয়েছে মাডপ্যাক থেরাপি  

প্রীতি গুপ্তাঃ বছরের পর বছর ধরে, ভারতের তাজমহলের আইকনিক সাদা মার্বেলটি ধীরে ধীরে রঙ পরিবর্তন করে চলেছে, যার ফলে অনেকেই ভাবছেন কেন এই প্রিয় স্মৃতিস্তম্ভটি আর আগের মতো সাদা নেই। তাজমহলের মার্বেল, যা আবহাওয়া, ধূলিকণা এবং দূষণের কারণে হলুদ ও মাঝে মাঝে কালো হয়ে গিয়েছে, বর্তমানে মাডপ্যাক থেরাপি ব্যবহার করে তা উজ্জ্বল করার চেষ্টা করা হচ্ছে। তাজমহলের রঙ পরিবর্তনের পেছনে বেশ কিছু কারণ রয়েছে বলে বিশেষজ্ঞদের ধারনা। তাজমহলের বর্ণহীনতার অন্যতম প্রধান কারণ হিসাবে দূষণকে দায়ী করা হচ্ছে। আগ্রা শহর, যেখানে তাজমহল অবস্থিত, সেই অঞ্চলটি  উচ্চ মাত্রার বায়ু দূষণের জন্য পরিচিত। এই দূষণ  যানবাহন নিষ্কাশন, শিল্প নির্গমন এবং অন্যান্য দূষণের উৎসের কারণে হচ্ছে। এই দূষণে রয়েছে কণা পদার্থ এবং সালফার ডাই অক্সাইড, যা মার্বেলের সাথে বিক্রিয়া করে মার্বেলের মধ্যে অসংখ্য কালো,হলুদ দাগ তৈরি করেছে।উপরন্তু, এলাকায় পোকামাকড় এবং পাখির উপস্থিতিও মার্বেলের বিবর্ণতায় অবদান রাখতে পারে, কারণ তাদের বর্জ্য এই স্মৃতিস্তম্ভের পৃষ্ঠে দাগ তৈরি করতে পারে। আরেকটি কারণ যা তাজমহলের রঙ পরিবর্তনের জন্য অবদান রেখেছে তা হল আবহাওয়া। স্মৃতিস্তম্ভটি সারা বছর ধরে প্রখর সূর্যালোক, বৃষ্টি এবং আর্দ্রতা সহ বিভিন্ন প্রাকৃতিক উপাদানগুলির সংস্পর্শে আসে। এই আবহাওয়ার কারণে মার্বেল ধীরে ধীরে ক্ষয় হয়ে এর আসল উজ্জ্বলতা হারাচ্ছে, যার ফলে ধীরে ধীরে তাজমহলের রঙের পরিবর্তন হতে পারে বলে বিজ্ঞানীদের ধারনা। যদিও বর্তমানে প্রশাসন তাজমহলের রঙের পরিবর্তনের বিষয়টি নিয়ে যথেষ্ট উদ্বিগ্ন । তারা তাজমহলের আশেপাশের এলাকায় বায়ু দূষণ নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা বাস্তবায়ন .....বিস্তারিত পড়ুন

Spacesuit turn urine into drinking water: নতুন স্পেস স্যুট প্রস্রাবকে পানীয় জলে রূপান্তর করবে

উত্তরাপথঃ মহাকাশ ভ্রমণের সময় মহাকাশচারীদের স্বাস্থ্যবিধি এবং হাইড্রেশন ব্যবস্থাপনা একটি বড় চ্যালেঞ্জ। বিশেষ করে দীর্ঘ দূরত্বের স্পেসওয়াকের সময় প্রস্রাব এলে পরিস্থিতি আরও গুরুতর হয়ে ওঠে। বর্তমানে, এই পরিস্থিতি এড়াতে, মহাকাশচারীরা প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য তৈরি বিশেষ এক ধরনের ডায়াপার ব্যবহার করেন। কিন্তু, এখন গবেষকরা এমন একটি স্পেস স্যুট তৈরি করেছেন যা শুধুমাত্র ডায়াপারের প্রয়োজনীয়তাই দূর করবে না বরং প্রস্রাবকে পানীয় জলে রূপান্তরিত করবে। মহাকাশ সর্বদা বিজ্ঞানীদের আকর্ষণ করেছে। মহাকাশ অন্বেষণ করার জন্য এতদিন অনেক মিশন চালু করা হয়েছে,বর্তমানেও চলমান রয়েছে এবং ভবিষ্যতেও তা অব্যাহত থাকবে। কিন্তু মহাকাশের রহস্য উদঘাটনের এই প্রক্রিয়াটি অনেক অনন্য চ্যালেঞ্জে পূর্ণ। এর মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল মহাকাশচারীদের স্বাস্থ্যবিধি এবং হাইড্রেশন ব্যবস্থাপনা। বর্তমানে, স্পেসওয়াক করার সময়, বর্জ্য ব্যবস্থাপনার জন্য বিশেষ ডায়াপার ব্যবহার করা হয় যাকে বলা হয় 'সর্বোচ্চ শোষণকারী গার্মেন্টস'। এটি আট ঘন্টা পর্যন্ত স্থায়ী হতে পারে, যার ফলে তারা মূত্রনালীর সংক্রমণ এবং গ্যাস্ট্রোইনটেস্টাইনাল সমস্যার মতো চিকিৎসা সমস্যায় ভুগতে পারে। কিন্তু, এখন গবেষকরা এই সমস্যার সমাধান খুঁজে পেয়েছেন। নিউইয়র্কে অবস্থিত ওয়েইল কর্নেল মেডিকেল কলেজের মেসন ল্যাবের গবেষকরা এই সমস্যাগুলি মোকাবেলা করার জন্য একটি বৈপ্লবিক সমাধান তৈরি করেছেন। তারা একটি বিশেষ ধরনের স্পেস স্যুট তৈরি করেছেন, .....বিস্তারিত পড়ুন

বিকানির ও ভুজিয়া

প্রিয়াঙ্কা দত্তঃমরু শহর বিকানির আর তার এক জগৎবিখ্যাত নোনতা মুখরোচক "ভুজিয়া"। ২০১০ সালে যা পেয়ে গেছে জি আই ট্যাগ। অর্থাৎ সারা বিশ্বে যেখানেই এই ভুজিয়া তৈরি হোক না কেন ," বিকানিরী ভুজিয়া " নাম পাওয়ার অধিকার তাদের নেই। সম্পূর্ণ দেশীয় পদ্ধতিতে তৈরি এই খাবারের উৎপত্তিও এর স্বাদের মতোই আকর্ষণীয়। রাজস্থানের অন্যতম জনপ্রিয় শহর বিকানির। যোধপুরের রাজা রাও যোধার পুত্র রাও বিকা স্বপ্ন দেখেছিলেন এমন এক রাজ্যের যেখানে প্রজারাই হবে রাজার পরিচয়। মরুস্থলির মধ্যে দেবী করনি মাতার আশীর্বাদে তিনি গড়ে তুললেন শহর বিকানির। রুক্ষ শুষ্ক এই জনপদের মানুষের জীবনে প্রতি নিয়ত চলত বেঁচে থাকার জন্য সংগ্রাম। রাও বিকা সেই সংগ্রামকেই সংযোজিত করলেন তাঁর জীবনেও। গড়ে তুললেন জুনাগড় দুর্গ। আর সাধারণ মানুষের খাদ্য যেমন বাজরা, রাগী, তিন্ডা, ফনী মনসা, এলোভেরা, টক কুল এই সবই রাজকীয় হয়ে উঠে এলো রাজ পরিবারের খাদ্য তালিকায়। এভাবেই বংশ পরম্পরায় বিকানিরের খাদ্য তালিকা সমৃদ্ধ হতে থাকলো নিত্য ব্যবহৃত উপাদান দিয়ে তৈরি নিত্য নতুন খাদ্যে। বিকনিরের বিখ্যাত ভুজিয়ার জন্মও এমনই এক পরীক্ষা নিরীক্ষার দ্বারা। জনশ্রুতি আছে রাও বিকার বংশধর মহারাজা শ্রী ডুঙ্গার সিং একবার আগ্রা সফরে গিয়ে সেখানকার ডালমুট চেখে বেজায় খুশি হয়েছিলেন। নিজের গড়ে ফিরেই তাঁর খানসামাদের আদেশ দেন তেমনই মুখরোচক কোনও পদ তৈরি করতে। আর তার ফল যে এমন হবে , তা হয়ত স্বয়ং ডুঙ্গার সিং ও হয়তো কল্পনা করতে পারেন নি । বিকানিরের  জলহাওয়া আর নিজস্ব মশলার গুণে ভূজিয়া হয়ে উঠলো বিশ্ব বিখ্যাত। তবে নিশ্চয় সে সফর ছিল দীর্ঘ একশ বছরেরও বেশি সময়ের । .....বিস্তারিত পড়ুন

এই প্রথম চাঁদের মাটিতে জলের প্রমাণ দিলেন বিজ্ঞানীরা

উত্তরাপথঃচাঁদের মাটিতে জল আছে বলে জানা গেছে। চীনের বিজ্ঞানীরা ChangE5 মিশনের অধীনে চাঁদ থেকে কিছু মাটি এনেছিলেন।সেই মাটির মধ্যে জলের কণা পাওয়া গেছে। এই প্রথম কোনো দেশ চাঁদে জলের অস্তিত্বের এমন দৃঢ় প্রমাণ দিয়েছে। এতে চাঁদ সম্পর্কে আমাদের অনেক না জানা তথ্যের বোধগম্যতা বাড়তে পারে, সেইসাথে চাঁদে প্রাণের সম্ভাবনা আছে কি না তাও জানা যাবে। চীন ২০২০ সালে ChangE5 মিশন শুরু করে। সে সময় উদ্দেশ্য ছিল চাঁদ থেকে মাটি আনা, যাতে এর কণা পরীক্ষা করা যায়। এখন পর্যন্ত বলা হচ্ছিল চাঁদের পৃষ্ঠ সম্পূর্ণ শুষ্ক ও শক্ত। কিন্তু এই প্রমাণটি স্পষ্ট করেছে যে যদি সেই পৃষ্ঠে জলের অণু উপস্থিত থাকে তবে এটি আর্দ্র হবে। এটাও স্পষ্ট যে সেখানে জলের অস্তিত্ব শুধু বরফের আকারেই নেই। কয়েক দশক আগে, আমেরিকান অ্যাপোলো নভোচারীরা চন্দ্রের মাটির নমুনা নিয়ে এনেছিলেন।সেই সময় তাদের আনা মাটির মধ্যে জলের কোনো চিহ্ন ছিল না। এই নমুনাগুলি দেখার পরে, বিজ্ঞানীরা এই সিদ্ধান্তে পৌঁছেছিলেন যে চন্দ্রের মাটি সম্পূর্ণ শুষ্ক। বিজ্ঞানীদের এই ধারনা সেই সময় NASA দ্বারাও সমর্থিত ছিল। সেইসময় নাসা বলেছিল, চাঁদের পৃষ্ঠে জলের অস্তিত্ব নেই।এরপর ধীরে ধীরে প্রযুক্তির বিকাশের সাথে সাথে এই ধারণাটিকে চ্যালেঞ্জ করা শুরু হয় এবং বর্তমানে প্রায় ৪০ বছর পরে পূর্বের এই ধারণায় সম্পূর্ণরূপে বদল এসেছে।আধুনিক বিজ্ঞানীদের বিশ্লেষণ চাঁদের মাটিতে জলের অস্তিত্ব রয়েছে। এর আগে ২০০৯ সালে আমাদের চন্দ্রযান-১ একই ধরনের ইঙ্গিত দিয়েছিল। ভারতের মহাকাশযান চাঁদে হাইড্রেটেড খনিজ সনাক্ত করেছিল, যা সূর্যালোক অঞ্চলে জলের অণুর উপস্থিতি নির্দেশ করে .....বিস্তারিত পড়ুন

মৃত সাগরে (Dead Sea) কোনও প্রানের অস্তিত্ব নেই কিন্তু কেন?

উত্তরাপথঃ মৃত সাগর নিয়ে মানুষের কৌতূহলের অন্ত নেই, তাদের কৌতূহল মূলত দুটি বিষয় কে নিয়ে এক সত্যি কি মৃত সাগরে কোনও মাছ বা জলজ উদ্ভিদ বাঁচেনা? আর দুই কেন? এর পেছনে আসল কারণ কি? প্রথমেই আসা যাক মৃত সাগরের ভৌগলিক অবস্থানে, এর অবস্থান দক্ষিণ-পশ্চিম এশিয়ায় ইসরায়েল এবং জর্ডানের মধ্যে।এর পূর্ব উপকূল জর্ডানের অন্তর্গত, এবং এর পশ্চিম তীরের দক্ষিণ অর্ধেক ইসরায়েলের অন্তর্গত। সাধারণ ভাবে সাগর বা সমুদ্র যেখানে সাধারণত ব্যাপক প্রাণের অস্তিত্ব দেখা যায়, সেখানে এই গোটা সাগর একদম মৃত। তবে সাগর এই নামটির মধ্যে ভেতরে একটা সমস্যা আছে। মৃত ‘সাগর’ আসলে সাগর নয়, লেক—বাংলায় যাকে বলে হ্রদ।প্রকৃতপক্ষে, এটি প্রায় ৩৪% লবণাক্ততার স্তর সহ বিশ্বের সবচেয়ে লবণাক্ত জলের একটি হ্রদ। মৃত সাগরে প্রাণের অভাবের একটি প্রধান কারণ হল উচ্চ লবণের পরিমাণ। বেশিরভাগ জীবের বেঁচে থাকার জন্য একটি নির্দিষ্ট স্তরের লবণাক্ততা প্রয়োজন, কিন্তু মৃত সাগরের লবণের পরিমাণ যেকোনো জীবের বেঁচে থাকার জন্য অনেক বেশি। চরম লবণাক্ততা এখানে একটি রূঢ় পরিবেশ তৈরি করেছে যা উদ্ভিদ ও প্রানী উভয়ের জীবনের জন্য অযোগ্য। উপরন্তু, মৃত সাগর অত্যন্ত ক্ষারীয়, যার pH মাত্রা প্রায় ৯.৬। এই ক্ষারত্ব আরও অণুজীব এবং অন্যান্য জীবন গঠনের বৃদ্ধিকে বাঁধা দেয় যারা সাধারণত জলের উপর বাস করে। উচ্চ লবণের ঘনত্ব এবং ক্ষারত্বের সংমিশ্রণ মৃত সাগরে যে কোনও প্রাণের অস্তিত্বকে অবিশ্বাস্যভাবে চ্যালেঞ্জিং করে তুলেছে। মৃত সাগর নাম থাকা সত্ত্বেও, মৃত সাগরের তীরে কিছু ধরণের জীবনের অস্তিত্ব পাওয়া গেছে। সমুদ্রের চারপাশের কাদা এবং লবণের আস্তরণে নির্দিষ্ট ধরণের ব্যাকটেরিয়া এবং আর্কিয়া পাওয়া গেছে। .....বিস্তারিত পড়ুন

12 3 4 5 6 7 8
Scroll to Top